মুভি রিভিউ: ঝিন্দের বন্দী
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি বাংলা মুভি রিভিউ শেয়ার করে নেবো। আজকে আমি যে মুভিটি রিভিউ দেবো সেটির নাম হলো "ঝিন্দের বন্দী"। অনেকদিন বাদে আজকে আবার উত্তম কুমারের মুভিতে ফিরে আসলাম এবং দেখে ভালো লাগলো। এই মুভিটি আমি আগে দেখিনি আর এই মুভিটি অনেক পুরানো একটা মুভি। তবে মুভি পুরানো হলেও রোমাঞ্চকর কাহিনীগুলো। আশা করি কাহিনীটি পড়ে আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে। তো এখন কাহিনীর মূল বিষয়গুলোর দিকে চলে যাওয়া যাক।
♜কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:♜
✔মূল কাহিনী:
মুভির শুরুতে দেখা যায় একজন লোক পাহাড়ের উপর দিয়ে চলন্ত একটি ট্রেনে করে আসতে থাকে এবং সে একটি হোটেলের সামনে যায় যেখানে অনেক বিদেশী ভদ্রলোকেরাও আছে। সেখানে আবার দুইজন লোক তলোয়ার নিয়ে প্রাকটিস করছে। এরপর ওখানে একজনের কাছে জমিদার গৌরী শঙ্কর অর্থাৎ উত্তম কুমার এর খোঁজ করতে লাগে। এরপর সেখানে না পেয়ে সোজা তাদের রাজপ্রাসাদে চলে যায়, উত্তম কুমার জমিদার বংশের ছিল। আর যে লোকটি তার সন্ধানে গিয়েছিলো সে হলো উত্তর প্রদেশের ঝিন্দ রাজ্যের রাজমহলের একজন সিপাহী সর্দার। আর উনি তার রাজ্যের কিছু বিষয়ে সাহায্য চাইতে এসেছিলেন অর্থাৎ সেখানকার রাজ্যের দুই ছেলের মধ্যে সিংহাসন নিয়ে একটু ঝামেলা হয়, বড়োজনের জায়গায় ছোট জন সিংহাসন এ বসতে চায় কিন্তু সেখানকার প্রজারা বড়োজনকেই চায় কারণ ছোটজন উন্মাদ অবস্থায় থাকে। আর এখানে সবথেকে একটা ইন্টারেষ্টিং বিষয় হলো যে ওই ঝিন্দ রাজ্যের বড়ো ছেলের চেহারার সাথে উত্তম কুমারের চেহারার হুবহু মিল। যাইহোক সেই ছোটজন চালাকি করে বড়োজনের অভিষেক ভন্ড করে দেয় অর্থাৎ তার ছোট ভাই চালাকি করে এমন কিছু বলে যে সকালে তাকে আর খুঁজে পায় না। তাদের দুইজনের নাম ছিল শঙ্কর সিং আর উদিত সিং । পরে উত্তম কুমারকেই সেখানকার নকল রাজা বানিয়ে রাখতে চায় কারণ এইবার না হলে উদিতই সিংহাসন পেয়ে যাবে। কিন্তু উত্তম কুমার এতে রাজি হলেও তার বড়ো ভাই রাজি হতে চায় না কারণ এই নকল রাজা সাজার জন্য যদি কোনো বিপদ হয়। কিন্তু উত্তম কুমার সরদার মহাশয়ের সাথে ট্রেন করে ঝিন্দ স্টেশন এ চলে আসে এবং সেখান থেকে স্টেশন মাস্টারের সহায়তায় দুটো ঘোড়ার ব্যবস্থা করে সেখান থেকে বেরিয়ে পড়ে।
ঘোড়ায় চেপে দুইজন অনেক্ষন বাদে ঝিন্দ রাজমহলের কাছে পৌঁছিয়ে যায় কিন্তু তার আগেই উদিত এর কাছে স্টেশন মাস্টার চিঠি লিখে পাঠিয়ে জানিয়ে দেয় তবে সাথে যে শঙ্কর সিং এর মতো দেখতে আরেকজন আসছে সেটা আর জানায়নি। এরপর তারা রাজমহলের ভিতরে প্রবেশ করে আর উত্তম কুমারের অভিষেক এর আয়োজন শুরু করে দেয়। এদিকে উদিত আর তার বন্ধু মিলে শঙ্কর সিংকে একটা ঘরে বন্দি অবস্থায় রাখে আর মাঝে মাঝে গিয়ে এরা অত্যাচার করতে লাগে। এরপর উত্তম কুমারকে ডাক্তার দেখতে আসে কারণ শঙ্কর সিংকে ওই ডাক্তার চিকিৎসা করতো। তবে ডাক্তার বুঝে উঠতে পারিনি যে এটা নকল শঙ্কর। এরপর সরদার মহাশয় যা হয় কিছু একটা বুঝিয়ে দিয়ে সেখান থেকে বাইরে পাঠিয়ে দেয়। এরপর উত্তম কুমারকে স্নান এর জন্য কিছু পরিচালিকাকে রাখে আর তারা মেয়ে ছিল। এদিকে উত্তম কুমার এইটা দেখে একটু লজ্জা পায় কারণ সে স্নানের জায়গায় মেয়েদের পছন্দ করে না একপ্রকার। কিন্তু সরদার বলে যে রাজবংশের নিয়ম তো মেনে চলতে হবে, আর এখানে যেসব মেয়েরা কাজের পরিচালিকা হিসেবে আছে সবাই সম্ভ্রান্ত পরিবারেরই কিন্তু এখানকার মেয়েদের কোনো রাজবংশে কাজ করতে পাঠানোকে তাদের পরিবার গর্বের বলে মনে করে। এইসব শুনে একটি মেয়ের সাথে স্নানকক্ষ অব্দি গিয়ে তাকে ফিরিয়ে দেয় আর নিজে একা একা প্রবেশ করে যায়। যাইহোক এরপর উদিত বাবু সেখানে চলে আসে আর সিংহাসনে উত্তম কে দেখে যেন হতভম্ব হয়ে যায় যে কি ব্যাপার আমি তো শঙ্করকে বন্দি করে রেখেছি তাহলে এ কথার থেকে এলো। এরপর কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখে আর সবাই মিষ্টি মুখে খোঁচা মতো দিতে থাকে।
উদিত সেখান থেকে রাগান্বিত হয়ে বেরিয়ে যায় কিন্তু সরদার উজির কে বলে তার পিছু নিতে কারণ তাদের একটা সন্দেহ ছিল যে না আবার কি খিচুড়ি পাকিয়ে বসে। এরপর তারা বেরিয়ে শক্তিগড়ের একটি দুর্গের দিকে যায় এবং উজির সেটা দেখে এসে এদের জানায়। তবে এখানে উত্তম কুমারের মনে একটা ধারণা হয় যে শঙ্কর সিংকে তারা অন্য কোথাও না সরিয়ে নিশ্চই এই ঝিন্দ এর মধ্যে আটক করে রেখেছে। এরপর সরদার আর কোনো ঝামেলায় না গিয়ে আগেভাগে অভিষেক এর কাজ শেষ করতে চায় এবং সবকিছুর নিয়ম মেনে সেখানে কিছু ইংরেজ দের উপস্থিত রেখে সব কাজ সম্পন্ন করে। এরপর উত্তম কুমার রাজা হয়ে যাওয়ার পর একটি রাজ্য থেকে নিমন্ত্রণ পত্র আসে আর সেখানে তারা না যেতে চাইলেও যাওয়ার জন্য রাজি হয় কারণ এখন রাজা হয়ে বেশি অসুস্থতার বাহানা দেখালে হবে না। তাই সবাই সেই রাজ্যের উদেশ্যে রওনা হয়ে পড়ে। সারা রাস্তা পাড়ি দিয়ে শেষে সবাই সেই ঝড়োয়া নামক রাজ্যে পৌঁছায় আর সেখানে গিয়ে রাজকুমারীকে দেখে মুগ্ধ হয়ে যায়, যদিও তারা আগে ছোটবেলার পূর্ব পরিচিত কিন্তু সেটা শঙ্কর সিং এর সাথে। এরপর উত্তম কুমারকে খাবার খেয়ে শেষ বিকেলের দিকে যেতে বলে এবং আতিথ্য গ্রহণ করে যায়।
ঝড়োয়া নামক রাজ্য থেকে ফিরে আসার পথে ময়ুরবাহন নামক লোকটি তাদের দেখে ফেলে এবং সেটি উদিত কে জানায়। এরপর ঝড়োয়ার রানী কস্তুরীবাঈ চিঠি দিয়ে শঙ্কর সিং অর্থাৎ উত্তম কুমারকে বলে আর তারা বলতে উত্তম আর উজির রাতের বেলা বের হয় আর প্রথমে সেই স্টেশন এর দোকানের লোকটিকে টোকা মেরে আসে যাতে এটি আবার উদিত কে গিয়ে বলে কারণ এরা জানতো আগের মতো এবারো খবরটা পৌঁছিয়ে দেবে। এরপর সেখান থেকে রানী কস্তুরীবাঈ এর কাছে যায় আর সেখানে কিছু সময় কাটিয়ে চলে আসে, তবে এতে সরদার বাবুর একটু রাগ হয় কারণ রানী কস্তুরীবাঈ এই ঝিন্দ রাজ্যের ভাবি রানী তাই তোমার ঐভাবে দেখা করাটা ভালো দেখায় না। আর এই কথা শুনতেই উত্তম খোঁচে যায় কারণ তাকে এখানে বাধ্য হয়ে মহারাজের অভিনয় করতে হচ্ছে তাই সে সাফ বলে দেয় যে আমি একজন রাজা ঝিন্দের বন্দি নই। এরপর উদিত এর লোক ময়ূরবাহন একটা প্রস্তাব উত্তম এর কাছে নিয়ে আসে আর সেটি হলো শিকার করতে যাওয়ার, এখানেও একটা ফন্দি এঁটেছে সেটা বুঝতে আর কারো বাকি ছিল না। এরপর প্রস্তাবটা গ্রহণ করে উত্তম কুমার। এরপর কস্তুরীবাঈ আবার চিঠি লেখে রাতে লুকিয়ে তার সাথে দেখা করার জন্য কিন্তু এদিকে উদিত উত্তম এর গতিবিধির উপর নজরদারি রাখতে বলে। ফলে উত্তম যখন রাতের আঁধারে পাহাড়ের নিচে দিয়ে পুরানো রাজবাড়িতে যায় দেখা করতে তখন পিছন দিক থেকে একজন নজর রাখে আর তার পিছু নিতে থাকে। এরপর উত্তম কুমার একটু সেটা আভাস পায় আর বাইরে বেরিয়ে আসতেই তার উপর লোকটি ঝাঁপিয়ে পড়ে আর সেখানে ময়ূরবাহন নামক সেই লোকটি উপস্থিত ছিল। এরপর সেখান থেকে লোকটিকে ধাক্কা মেরে উত্তম পালিয়ে যায় আর এরপর একটা লোক চিঠি দিয়ে যায় যেখানে লেখা ছিল শক্তিগড়ের দুর্গে শঙ্কর সিং বন্দি অবস্থায় আছে।
এরপর উত্তম আর সরদার শক্তিগড়ের দুর্গের কাছে গিয়ে উদিত এর সাথে দেখা করে কিন্তু ভিতরে আর যাইনি। সেখানে ময়ূরবাহন আবার চলে যাওয়ার সময় উত্তমকে বলে যায় পাহাড়ের নিচে দেখা করতে কি জরুরি কথা বলবে তাই। এরপর সেখানেই তাবু টানিয়ে অবস্থান করে তারা । উত্তম শুয়ে শুয়ে কস্তুরীবাঈ এর দেওয়া চিঠি পড়তে লাগে আর সেই সময় একজন লোক লুকিয়ে তার সাথে দেখা করে বলে তোমাকে খুন করার জন্য মতলব আটছে তারা আর শঙ্কর সিং কেও তারা খুন করতে চাচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি। এরপর ময়ূরবাহন আর উত্তম রাতের অন্ধকারে দেখা করে পাহাড়ের কোনো একটা জায়গায় আর সেখানে ময়ূরবাহন কোনো একজনকে বন্ধুক নিয়ে লুকিয়ে রাখে যাতে সুযোগ পেলেই গুলি করতে পারে। আর ঠিক সুযোগ পেতেই গুলি করে দেয় কিন্তু গায় লাগিনি। এরপর দুর্গের ভিতরে একটি লোকের সহায়তায় শঙ্কর সিংকে উদ্ধার করার জন্য লুকিয়ে লুকিয়ে প্রবেশ করে। আর এদিকে ময়ূরবাহন শয়তানি করে কস্তুরীবাঈ কেও তুলে আনতে যায়। তাদের এই পরিকল্পনাগুলো আবার উত্তমের জানা ছিল। যাইহোক এরপর কস্তুরীবাঈকে তুলে নিয়ে এসে একটা ঘরে আটকে রাখে এবং সেখানে ময়ূরবাহন উত্তম কুমারের উপস্থিতি দেখে ফেলে। এরপর তাদের দুইজনের মধ্যে একটা ধস্তাধস্তি শুরু হয় আর চালাকির সাথে ময়ূরবাহন কে ছুরি মেরে দেয় এবং পরে উদিত কেও একইভাবে মেরে দেয়। অবশেষে শঙ্কর সিংকে তারা উদ্ধার করতে পারে আর উত্তম কুমার সবার থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায় নিজের জায়গায়।
✔ব্যক্তিগত মতামত:
এই কাহিনীটি আসলে ঝিন্দ এর ভাবি রাজার উধাও হওয়া নিয়ে শুরু হয় আর তার পুরো কাহিনীটা উত্তম কুমার তার চরিত্রে অভিনয় করে। এখানে উত্তম কুমার ডাবল অভিনয় করেছে এবং বিষয়গুলো কাহিনী অবলম্বনে ভালোভাবেই তুলে ধরেছে। আর এই কাহিনীতে উত্তম কুমার যে নকল শঙ্করের চরিত্রে অভিনয় করেছে সে ছিল বাংলাদেশের থেকে তাই ময়ূরবাহন তাকে একভাবে বাঙালি বলে বলে সম্বোধন করতো। আর শঙ্কর সিং এর ভাই উদিত সিং অনেক সম্পত্তির মালিক ছিল মানে তার বাবা মারা যাওয়ার আগে তাকে অনেক দিয়ে যায়। পাহাড়ের উপর শক্তিগড় নামক একটা দুর্গ আছে এবং এইরকম অনেক আছে কিন্তু তার লোভ ছিল সিংহাসনের দিকে। যতই দেওয়া হতো তার যেন পোষাতো না, তাই তার ভাই উদিত তাকে বন্দি করে রেখে নিজে সিংহাসনে বসতে চেয়েছিলো। কিন্তু নকল শঙ্করকে দেখে তার প্ল্যান পুরো ভেস্তে যায় আর তখন একপ্রকার উদ্মাদ হয়ে যায়। এই মুভিতে হালকাপাতলা এডভেঞ্চার, থ্রিলার আর রোমাঞ্চকর বিষয়টাও ফুটিয়ে তুলেছে যেটা কাহিনীর ভাবমূর্তিকে আরো সুন্দর করে তুলেছে। কাহিনী বেশ ইন্টারেষ্টিং লেগেছিলো শেষের দিকে এসে।
✔ব্যক্তিগত রেটিং:
৭.৮/১০
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
উত্তম কুমারের মুভি এর আগে দেখেছি তবে সত্যি বলতে সেইটা আপনার পূর্বের মুভি রিভিউ দেখে। অসাধারণ এক অভিনেতা উত্তম কুমার। তবে যাই হোক আগের দিনের মুভির মাঝে আলাদা রকমের একটা ফিল পাওয়া যায়। সামাজিক মুভিগুলো পরিবার নিয়ে বসে একসাথে দেখা যায়। যা এ যুগের কিছু মুভি এক সাথে দেখার যোগ্য না। আর আগের দিনের মুভির রোমাঞ্চকর মুহুর্তগুলো সামাজিক ছিলো। তবে এখনকার কিছু কিছু মুভিতে রোমান্সের নামে নোংরামিতে ভরা থাকে।
যাইহোক, আজকের মুভি রিভিউ পড়ে খুবিই ভালো লাগলো। বিশেষ করে যখন ছোট ছিলাম তখন ডাবল রোল দেখে অনেক অবাক হতাম। চিন্তা করতাম এটা কি ভাবে করে একই রকম দুই মানুষ। আসলে তখন ছোট ছিলাম। মুভির কাহিটা আমার ভালো লেগেছে হয়তো মুভিটি যখন দেখবো আরো মজা পাবো।
দাদা, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ অনেক দিন পর আবার উত্তম কুমারের মুভি রিভিউ করার জন্য। আর দাদা, আমার কাছেও মুভিত শেষের দিকটা বেশি ইন্টারেস্টিং লেগেছে। ভালোবাসা অবিরাম দাদা 💕💕
ঝিন্দের বন্দী মুভিটি অনেক আগের হলেও মনে হচ্ছে মুভিটি খুবই সুন্দর। আর উত্তম কুমারের মুভি বলে কথা অসাধারণ তো হওয়ার কথাই। আমার কাছে উত্তম কুমারের মুভি গুলো সত্যিই খুব ভালো লাগে। আপনার আজকের এই মুভি রিভিউটা খুব ভাল করে পড়েছি পড়ে খুব ভালো লাগলো। আপনি মুভি রিভিউগুলো এত সুন্দর করে তুলে ধরেন মনে হচ্ছে মুভিটা চোখের সামনে ভাসছে। মুভি রিভিউ টা পড়ে মনে হল সত্যি খুব ইন্টারেস্টিং। আমি অবশ্যই সময় করে একদিন দেখে নিব। আপনার এই পর্যন্ত সবগুলো মুভি রিভিউ আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর সুন্দর মুভি রিভিউ গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
উত্তম কুমারের মুভি এককথায় অসাধারণ।পূর্বের মুভিগুলো সাদা-কালো হলেও অভিনয়ের মধ্যে এক জীবন্ত চরিত্র ফুটে উঠতো।মনেই হতো না এটি কোনো অভিনয়, মনে হতো চোখের সামনে বাস্তবে ঘটছে।পূর্বের মুভিগুলো রোমান্টিকতায় ভরপুর ছিল ও অনেক শিক্ষণীয় ছিল।আমার এই মুভিটি দেখা হয় নি, তবে উত্তম কুমারের প্রত্যেকটি মুভি এককথায় দারুণ।তাই এটি সময় পেলে দেখতে হবে অবশ্যই।ডাবল অভিনয়ের মুভিগুলো আমার দেখতে বেশ ভালো লাগে।অভিনয় জগতের শ্রেষ্ঠ নায়ক ।পূর্বের মুভিগুলো একবার দেখলে বারবার দেখতে ইচ্ছে করে।এটি যদিও সাদা কালো ছিল, তবুও অভিনয় দক্ষতা ছিল জীবন্ত।এদের সম্পর্কে যতই প্রশংসা করা হোক না কেন তা খুবই সল্প বলে মনে হয় আমার কাছে। আজকের এই মুভিটার রিভিউ ও অসাধারণ।
আপনি খুব সুন্দর করে মুভিটি রিভিউ দিয়েছেন দাদা।ধন্যবাদ আপনাকে,ভালো থাকবেন।
দাদা আপনি দারুন একটি মুভি রিভিউ শেয়ার করেছেন। আমি প্রথমেই বলতে চাই আপনি সব সময় অনেক সুন্দর সব মুভি রিভিউ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেন। তেমনি আজকেও আপনার এই "ঝিন্দের বন্দী" মুভি রিভিউ আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো। মুভি রিভিউ যখন আমি পড়ছিলাম তখন বারবার মনে হচ্ছিলো আগেকার সময়কার মুভি গুলো অনেক কাহিনী নির্ভর ছিল। এই মুভিটির মাঝে আলাদা এক রকমের অনুভূতি রয়েছে। আমাদের সকলের প্রিয় অভিনয়শিল্পী স্যার উত্তম কুমার যেখানে অভিনয় করেছেন সেই মুভিটি অবশ্যই সেরা। সর্বকালের সেরা অভিনয়শিল্পী হলেন উত্তম কুমার। আসলে পুরনো দিনের এই মুভিগুলো হয়তো এখন আর দেখা হয়না তবে সেই পুরনো অভিনয়শিল্পীদের দক্ষতা অনেক বেশি। এই মুভিটির মাঝে যেমন অ্যাডভেঞ্চার ছিল তেমনি অনেক রোমাঞ্চকর অনুভূতি ছিল। পুরো বিষয়টি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে দাদা। অনেক সুন্দর ভাবে এই মুভি রিভিউ সকলের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
শ্রদ্ধেয় স্যার উত্তম কুমার অভিনীত ছবি মানেই হচ্ছে সুপারহিট ছবি। কারণ শ্রদ্ধেয় স্যার উত্তম কুমার নিজের অভিনয়ের দক্ষতায় দর্শক মাতিয়ে রাখতেন। তিনি তার অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শক মনে জায়গা করে নিয়েছেন। আপনার এই মুভিটি পড়ে মনে হচ্ছে এই মুভিটি অনেক পুরোনো। তবে মুভি পুরনো হলেও কিন্তু অভিনয়শিল্পীরা কখনো পুরনো হয় না। আর যেখানে শ্রদ্ধেয় গুণী শিল্পী উত্তম কুমার অভিনয় করেছেন সেই মুভিটি অবশ্যই ভালো ছিল। আপনার এই মুভি রিভিউ পড়ে যতটুকু জানতে পারলাম এই মুভিতে শ্রদ্ধেয় স্যার উত্তম কুমার ডবল চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এখানে দুজন চরিত্রে অভিনয় করার মাধ্যমে তিনি তার অভিনয় দক্ষতা ফুটিয়ে তুলেছেন। দুই ভাই দুই চরিত্রের মানুষ। ছোট ভাই নিজের বড় ভাইকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার জন্য তাকে বন্দি করে রেখেছেন। আপনার এই মুভি রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লেগেছে দাদা। সুন্দর করে মুভি রিভিউ উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং সেইসাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। 💓💓💓
মুভি রিভিউ: ঝিন্দের বন্দী দেখে আবারও উত্তম কুমারের ছবি দেখে খুবই ভালো লাগলো।সে সময়ে উত্তম কুমারে সুপারহিট।এই মুভিতে উত্তম কুমার ডবল অভিনয় করেছেন।এবং খুবই দুঃখ তার সাথে তার চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলেছেন খুবই সুন্দর সাবলীল ভাবে।উত্তম কুমার সুচিত্রা সেনের ছবি আসলেই অনেক ভালো লাগতো যদিও আমি মুভি তেমন ভালো দেখতাম না।তবে আপনার মুভি রিভিউ দেখে বেশ কয়েকটি মুভি সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জেনে নিলাম।
আপনার মুভি রিভিউ দেখে দেখে আমার অনেকগুলো মুভি রিভিউ দেখা হয়ে গেল।উত্তম কুমারের মুভি মানে সামাজিকভাবে,,বৈচিত্র্যময় মুভি। দাদা আপনি এত চমৎকার চমৎকার মুভি রিভিউ করে আমাদেরকে দেখার সুযোগ করে দেন হলে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি ভবিষ্যতে আরো সুন্দর সুন্দর মুভি রিভিউ পাব,, আপনার মাধ্যমে এই প্রত্যাশা রাখছি।♥♥
কত আগের মুভি।১৯৬১ সালের। সাদাকালো মুভি।যদিও আমি তেমন মুভি দেখি না।তবে মনে হচ্ছে ইন্টারেস্টিং মুভি।সুযোগ পেলে দেখে নিবো। ধন্যবাদ।
দাদা সত্যি বলতে কি মানুষের স্বভাবই এমন। যে যত পায় পায়, সে ততো বেশি চায়। সিনেমাটির গল্পেও আমরা তাই দেখতে পেলাম। আপনার মুভি রিভিউ টি এককথায় চমৎকার লাগলো। কাহিনীর খুঁটিনাটি অনেক কিছুই তুলে ধরেছেন আপনি। এত বিস্তারিত ভাবে খুব কম লোকই রিভিউ শেয়ার করে থাকে। উত্তম কুমারের কোন সিনেমাই আমি এখন পর্যন্ত দেখিনি। তবে ঝিন্দের বন্দী একটি উপন্যাস পড়েছিলাম বহু বছর আগে। এ ধরনের সিনেমা গুলো আমার কাছে ভালই লাগে। মারামারি বা আধুনিক আইটেম সং না থাকলেও কাহিনীগুলোই সিনেমার মূল শক্তি। অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রিভিউ সহজ ভাষায় আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার জন্য।❤️❤️👍
ঝিন্দের বন্দী মনে হচ্ছে খুবই মজাদার একটি মুভি। মুভিটি দেখার আগ্রহ অনেক বেড়ে গেছে দাদা আপনার রিভিউটি পড়ে। যদিও আগের ছবি কিন্তু খুবই সুন্দর মনে হচ্ছে। আসলে আগের ছবি গুলোই বেশি সুন্দর দাদা। ঝিন্দের বন্দী আসলে নামটাই খুব ইন্টারেস্টিং তাই ছবিটি আমাকে দেখতে হবে দাদা। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ মুভিররিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনি সবসময় খুবই ইন্টারেস্টিং মুভির রিভিউ গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করন।☺️☺️ আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল দাদা।
এত আগের মুভির রিভিউ!! তবে ঠিকই আছে উত্তম কুমারের মুভি রিভিউ বলে কথা। উনাকে দেখলেই তো মনে এক ধরনের প্রশান্তি কাজ করে। যেমন তার অভিনয় তেমনি তার সুদর্শন চেহারা। সত্যি বলতে দাদা ভাই আগে মুভিগুলোতে অনেক রোমাঞ্চকর ব্যাপার ছিল। আমি নিজেও অনেক আগের আগের মুভি এখনো দেখতে পছন্দ করি। আমার কাছে তো ভালোই লাগে। আর এই মুভিগুলো দেখলে তখনকার সময়ে মানুষের চিন্তা-ভাবনা সবকিছু সম্পর্কে জানা যায় এবং বোঝা যায়। পুরো মুভির কাহিনীটি খুব ভালোমতো পড়লাম। বেশ ভালোই লেগেছে আমার কাছে। আসলে দাদাভাই আপনি এই পর্যন্ত যতগুলো মুভি রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন প্রত্যেকটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আপনার আসলেই ভালো সিনেমা দেখার। এবং সেগুলোর রিভিউ সুন্দরভাবে শেয়ার করার অনেক ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। ধন্যবাদ দাদা ভাই। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো🥰❣️।