ওয়েব সিরিজ রিভিউ: ডার্ক ওয়েব- ডেস্টিনেশন শেরিং ( চতুর্থ পর্ব )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'ডার্ক ওয়েব' সিরিজটির চতুর্থ পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "ডেস্টিনেশন শেরিং"। গত পর্বের শেষে দেখেছিলাম সাদেক নামক লোকটাকে একজন গুলি করে মেরে দিয়েছিলো। এরপর থেকে আজকের কাহিনীটা কতদূর কি হয় দেখবো।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
☫মূল কাহিনী:☫
সাদেক লোকটা সাহেব এর দাদার বিষয়ে অনেক কিছু তথ্য কালেক্ট করেছিল কিন্তু সেইটা ফোনে বলতে গিয়েও তাকে বলতে পারিনি। আর তাকে যে একজন ফ্লো করছে পেছন থেকে এবং মারার চেষ্টা করছে সেটাও সে বলে উঠতে পারিনি অর্থাৎ তখন সে নিজেকে কিভাবে বাঁচাবে সেই পথ খুঁজছিলো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার রক্ষা হলো না, আর সাহেব শুধু ফোনে লাস্ট গুলির শব্দটাই শুনতে পেয়েছিলো। এরপর সে তার বন্ধু সম্পুর্নাকে ফোন করে ডেকে আনে এবং দুইজন সাদেক লোকটার বাড়িতে যায় খোঁজ নিতে। কিন্তু তার বাড়িতে গিয়ে পায়না অর্থাৎ সে সকালে বেরিয়ে তারপর আর বাড়ি ফেরেনি বলে সেখানকার আশেপাশের লোকজন তাদের জানায়। সাহেব খুব দুশ্চিন্তা করতে লাগে, কারণ তার জন্য যদি সাদেক এর কিছু হয়ে যায় তাহলে সে নিজেকে ক্ষমা করতে পারবে না। এটাই স্বাভাবিক, কারণ একজনের সহযোগিতা করতে গিয়ে নিজের জীবনকে যদি মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে হয় তাহলে খারাপ লাগারই কথা। যাইহোক, ওই মুহূর্তে সাহেব এর ফোনে একটা মেসেজ আসে যে তার ভাতিজা আঁখিকে স্কুল থেকে কিডন্যাপ করে নিয়েছে। বাচ্চারা যেহেতু গেম এর কথা শুনলে খুবই খুশি হয়ে থাকে, আর কিডন্যাপাররা সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাকে নতুন ভিডিও গেম দেবে বলে তুলে নিয়ে যায়।
আর স্কুল থেকে নিয়ে গেছে সেটা কেউ টেরও পায়নি, কারণ মেয়েটা খুবই ছোট আর তার বাবাকে চেনে এইরকম পরিচয় দেয়, আর মেয়েটাও চুপচাপ তাদের সাথে গাড়িতে করে চলে যায়। এরপর তাকে মেরে ফেলার একটা ভিডিও তৈরি করে সাহেব এর ফোনে পাঠিয়ে দেয় ভয় দেখানোর জন্য, আর আঁখিকে পরে তারাই আবার বাড়ির সামনে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। সাহেব আর সম্পূর্ণা বাড়িতে এসে এই কিডন্যাপের বিষয়টা পুলিশকে ইনফর্ম করবে কিনা সেটা নিয়ে আলোচনা করে, কারণ আগেও একবার তার দাদার এই মিসিং এর বিষয়ে তেমন একটা গুরুত্ব দেয়নি, তাই যদি এবারও আবার এই বিষয় নিয়ে তারা সিরিয়াস না হয় তাহলে শুধু শুধু সময় নষ্ট হবে। ফলস্বরূপ পরে না জানানোর চিন্তা করে যেহেতু আঁখি ফিরেই এসেছে, কিন্তু সাহেব আঁখি আর তার বৌদিকে নিয়ে চিন্তায় পড়ে যায় যে এদের যদি কিছু হয়ে যায় এই সমস্যার মধ্যে পড়ে। কিন্তু তার বৌদি তাকে বলে দেয় যে আমাদের নিয়ে চিন্তা করার প্রয়োজন নেই, তোমাদের কাজ যাও, কারণ আমার জানা দরকার তোমার দাদার সাথে কি হয়েছিল।
তবে তার বৌদি তার দাদার অফিসের কেবিনে একটু ভালো করে খোঁজখবর নিতে বলে, কারণ অনেক সময় অনেক দরকারি কাগজপত্রও সেখানে রেখে আসে। এরপর তারা দুইজন অফিসে আবার যায় আর সেখানে রাখা কাগজপত্র খুঁজতে লাগে আর একটা খবরের কাগজ পায় যেখানে শেরিং এর বিষয়ে কিছু বিষয় ছাপানো হয়। আর ইন্দ্র এই শেরিং এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করতো বলে তাদের সেখানে থেকে ধারণা হয় আর সেটা দার্জেলিং এর দিকে। এরপর শেরিং এর বিষয়ে আরো কিছু বিষয় ইন্টারনেট থেকে খুঁজে বের করে যে লোকটার আসল পরিচয় কি। তবে শুধু এইটুকু তারা জানতে পেরেছিলো যে শেরিং নামক লোকটা দার্জেলিং এর পশুপতি ভবন থেকে সফটওয়ার ডেভেলপমেন্ট এর উপর কাজ করেছিলেন অর্থাৎ এক কোথায় এই শেরিং লোকটা ছিল যেমন ভালো একজন মানুষ আর সাথে একজন কম্পিউটার এক্সপার্টও। এখন বর্তমানে তিনি সেখান থেকে নাকি হঠাৎ রেজিগনেশন দিয়ে চলে গেছিলেন। এইটুকুই তারা জানতে পারে, আর এখন তাদের উদ্দেশ্য দার্জেলিং এর এই পশুপতি ভবনে গিয়ে খোঁজ নেওয়া।
তারা দার্জেলিং এর উদ্দেশ্যে ট্রেনে যাওয়ার বদলে গাড়ি করে যাওয়ার চিন্তা করে,কারণ ট্রেনে করে গেলে রিস্ক হয়ে যেতে পারে, তাই সম্পূর্ণা তার অফিস থেকে যাওয়ার ব্যবস্থা করে। অফিসে কথা বলে যাওয়ার ব্যবস্থা করে ফেলে, তবে যে ছেলেটা ঠিক করে দিয়েছে তার সাথে এই খারাপ লোকেদের হাত আছে। আর সাদেককেও সম্ভবত এই লোক লাগিয়ে মেরে ফেলেছে। গুপ্তচর মোটামুটি সবজায়গায় লাগিয়ে রেখেছে তাদের উপর নজর রাখার জন্য। আর শেরিংকেও তারা মেরে ফেলার জন্য খুঁজছে, কারণ তার মতো একজন এক্সপার্টকে যদি তারা পেয়ে যায় তাহলে তাদের এই খেলা বেশিদিন টিকবে না। আর এদের লোকজন এমনভাবে ছড়িয়ে আছে যে কেউ টের পাবে না, কারণ কেউ ভিক্ষুক সেজে আছে আবার কেউ জুতো সেলাই করার বেশে সেজে রাস্তায় বসে আছে। আর যে লোকটাকে লাগিয়ে সাদেককে মেরে ফেলেছিলো তাকে শেরিংকে খুঁজে পেলে মেরে ফেলতে বলে।
☫ব্যক্তিগত মতামত:☫
এই ডেস্টিনেশন শেরিং পর্বে তারা শেরিং এর কিছুটা খোঁজ পেয়েছে, তবে অনেক দেরি করে পেয়েছে। কারণ এই শেরিং এখন সেখানে থাকে না, কোনো একটা কারণে সে সেখান থেকে রিসাইন করে চলে যায়। লোকটা আসলে নন বেঙ্গলি ছিল, কিন্তু ভালো বাংলায় কথা বলতে পারতো। শেরিং এর সাথে বাইরের দেশের অনেক প্রজেক্ট এর সাথে কন্টাক্ট ছিল, সে একটা এন্টি ভাইরাসও লঞ্চ করতে চেয়েছিলো। তবে তার মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল, যে এমন একটা ডিজিটাল প্রোগ্রামিং লঞ্চ করা যাতে গ্রামের সবাই সেটি সহজে ব্যবহার করতে পারবে ইন্টারনেটের সহযোগিতায় কিন্তু তার কাছে এতটা ফান্ড ছিল না। ফলে তার কাজ এই ফান্ড এর জন্য আটকে থাকে, নিজের ইনকামের টাকা দিয়ে যতটুকু পেরেছিলো, সে ততটুকু করে রেখেছিলো। আর এখন সাহেব এর সমস্ত কিছু তারা ট্র্যাক করছে, কোথায় যাচ্ছে সবকিছুর উপরে। এমনকি তার ফোনের ডিভাইসও ট্রাপে ফেলে রেখেছে, ফোন দিয়ে কোথাও কিছু ফোন করলে বা সার্চ করলে সাথে সাথে সেই ইনফরমেশন তাদের কাছে চলে যাচ্ছে। এখন তারা দার্জেলিং এ গিয়ে শেরিং এর কোনো খোঁজ পায় কিনা সেটা দেখার বিষয়, কারণ তার খোঁজ না পেলে ইন্দ্রর খোঁজ পাওয়া যাবে না।
☫ব্যক্তিগত রেটিং:☫
৯.৪/১০
☫ট্রেইলার লিঙ্ক:☫
আজকে আবারও ডার্ক ওয়েব সিরিজটির চতুর্থ পর্ব রিভিউ শেয়ার করেছেন দাদা আজকের পর্ব পড়ে অনেক ভালো লাগলো আমার।এই পর্বের মাধ্যমে জানতে পারলাম, তারা শেরিং এর সামান্য কিছু খোঁজ পেয়েছে।কিন্তু তারা এই খোঁজটি অনেক দেরি করে পেয়েছে। যার কারণ হলো শেরিং সেই সময় সেখানে থাকে না। সে অন্য কারণে সেখান থেকে রিসাইন করে চলে যায়। আসলে শেরিং এর সাথে বাইরের অন্য অন্য দেশের নানা রকমের প্রজেক্ট এর সাথে কন্টাক্ট ছিল। আসলে শেরিং একটা এন্টি ভাইরাসও লঞ্চ করতে চেয়েছিলো। তবে তার আসল উদেশ্য ছিলো ডিজিটাল প্রোগ্রামিং লঞ্চ করা। যার মাধ্যমে গ্রামের সবাই সেটি সহজে ব্যবহার করবে। কিন্তু তার কাছে এতটা ফান্ড ছিল না।আর এটা করতে ফান্ড দরকার অনেক। সে তার নিজের ইনকামের টাকা দিয়ে যে টুকু পেরেছিলো, ততটুকু করে রেখেছিলো।আসলে সে তার সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে করে গেছে। নিজের অর্থ দিয়ে সর্বোচ্চ পরিমাণ চেষ্টার মাধ্যমে এতোটুকু করতে পেরেছিল। আর এদিকে তারা এখুন দার্জেলিং এ গিয়ে শেরিং খোঁজ করছে।আগামী পর্বের মাধ্যমে জানা যাবে তারা খোঁজ পায়নকিনা।সেই অপেক্ষা রইলাম দাদা।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
'ডার্ক ওয়েব' সিরিজটির চতুর্থ পর্ব রিভিউ শেয়ার করেছেন পড়ে অনেক ভালো লাগলো দাদা। এই ডেস্টিনেশন শেরিং পর্বে আরো নতুন নতুন তথ্য সামনে চলে এলো। তারা শেরিং এর খোঁজ পেয়েছে কিন্তু হয়তো একটু দেরি হয়ে গেছে। অন্য দিকে শেরিং এর সাথে বাইরের দেশের অনেক প্রজেক্ট এর সাথে কন্টাক্ট ছিল। তাইতো সে এন্টি ভাইরাস লঞ্চ করে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলো। আর সাহেব এর সমস্ত কিছু তারা ট্র্যাক করছে বলেই সব তথ্য জানতে পারছে। ইন্দ্রর খোঁজ পাওয়া খুবই জরুরি। এজন্য শেরিং এর খোঁজ আগে পেতে হবে। দেখা যাক দার্জেলিং এ গিয়ে শেরিং এর কোনো খোঁজ তারা পায় কিনা। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
দাদা নন বেঙ্গলি শেরিং ভাল লোক ছিল মনে হচ্ছে। সে ভালো বাংলায় কথা বলতে পারতো। শেরিং এর সাথে বাইরের দেশের অনেক প্রজেক্ট এর সাথে কন্টাক্ট ছিল, সে একটা এন্টি ভাইরাসও লঞ্চ করতে চেয়েছিলো। তবে তার মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল, যে এমন একটা ডিজিটাল প্রোগ্রামিং লঞ্চ করা যাতে গ্রামের সবাই সেটি সহজে ব্যবহার করতে পারবে ইন্টারনেটের সহযোগিতায় কিন্তু তার কাছে এতটা ফান্ড ছিল না। ফলে তার কাজ এই ফান্ড এর জন্য আটকে থাকে, নিজের ইনকামের টাকা দিয়ে যতটুকু পেরেছিলো, সে ততটুকু করে রেখেছিলো। শেষ পর্যন্ত শেরিং এর কাজটি সম্পূর্ণ হয় কিনা সেটাই দেখার বিষয়। ধন্যবাদ দাদা।
দাদা এই ওয়েব সিরিজের চতুর্থ পর্বে এসে আরো কিছু তথ্য জানতে পারলাম। বিশেষ করে এই ডেস্টিনেশন শেরিং পর্বে দেখছি শেরিং এর কিছুটা খোঁজ পেয়েছে যদিও অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে। তাও আবার লোকটা দেখছি নন বেঙ্গলি কিন্তু বাংলায় কথা বলতে পারতো। আবার দেখছি শেরিং এর সাথে বাইরের দেশের অনেকগুলো প্রজেক্ট এর সাথে কন্টাক্ট রয়েছে। তাদের আবার দেখছি ডিজিটাল প্রোগ্রামিং লঞ্চ করার ইচ্ছে ছিল যদিও এটার জন্য অনেক বেশি প্রাণের প্রয়োজন। অন্যদিকে আবার সাহেবের সকল ধরনের তথ্য ওরা প্রতিটা মুহূর্তে নিয়ে নিচ্ছিল। কোথায় যাচ্ছে কি করছে এমন কি ফোনের সকল তথ্য নিয়ে নিচ্ছিল। কিন্তু ইন্দ্রর খোঁজ পাওয়াটা অনেক জরুরী ছিল। এখন দেখা যাক দার্জেলিং এ গিয়ে শেরিং এর কোনো খোঁজ পায় কিনা? আর এর খোঁজ পেলে তো ইন্দ্র এর খোঁজ পাওয়া যাবে। পরবর্তী পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
ডার্ক ওয়েব সিরিজের চতুর্থ পর্বটা পড়ে আরো অনেক কিছুই জানতে পারলাম। এই পর্ব থেকে আরো কিছু রহস্যজনক বিষয় জানা গেল। এখানে তো দেখছি ডেস্টিনেশন শেরিং পর্বে সেদিন খুঁজে পেয়েছে কিন্তু অনেক পরে। এখন আবার সাহেবের সমস্ত কিছু ওরা ট্রাক করে সবকিছুই জেনে ফেলছে। বিশেষ করে ফোন ট্র্যাক করার কারণে কোথায় যাচ্ছে কি করছে সবকিছুই ট্র্যাক করে নিয়েছে। সকল ইনফরমেশন দেখছি নিয়ে নিয়েছে। কিন্তু আগামী পর্বে দার্জেলিং এ গিয়ে শেরিং এর কোনো খোঁজ পায় কিনা সেটা দেখা যাবে। পরবর্তী পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
শেরিং এর পর্বে দেখছি শেরিং এর কিছুটা খোঁজ পাওয়া গেছে। যদিও কিছুটা সময় লেগে গিয়েছে। শেরিং দেখছি বাইরের দেশে অনেক প্রজেক্ট এর সাথে কন্টাক্ট ছিল। এখন দেখছি তাদের উদ্দেশ্য ডিজিটাল প্রোগ্রামিং লঞ্চ করা। আবার দেখছি ওরা সব ধরনের ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে ইনফরমেশন নিয়ে নিচ্ছে। এটা তো অনেক বড় সমস্যা। পরবর্তী পর্বে তারা দার্জেলিং এ গিয়ে শেরিং এর কোনো খোঁজ পায় কিনা? তার সাথে ইন্দ্র এর খোঁজ পায় কিনা।
প্রিয় দাদা, ডার্ক ওয়েব- ডেস্টিনেশন শেরিং ওয়েব সিরিজের চতুর্থ পর্বের রিভিউটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে দাদা এ ধরনের ওয়েব সিরিজ গুলো দেখার মধ্যে মজাই আলাদা এবং অনেকগুলো নতুন নতুন শিক্ষা অর্জন করা যায় এধরনের ওয়েব সিরিজ গুলো দেখে। সময় পেলে অবশ্যই আপনার রিভিউ করা ওয়েব সিরিজ দেখবো।