শেষ রক্ষাটা আর হলো না
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ক একটি পোস্ট শেয়ার করবো। গতকাল ছিল বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা, বলা যায় একটা মহাযুদ্ধ এর অবসান হতে চলেছে। ইন্ডিয়া আর অস্ট্রেলিয়া খেলা মানে একটা অন্যরকম যুদ্ধ, সবসময় একটা চেলেঞ্জিং মুহূর্ত থাকে । আর এইবার ফাইনালে কারা জিততে পারে তার প্রেডিকশন অনেক আগেই সবার মনের মধ্যে হয়ে গিয়েছে, ভারত জিতবে এটা সবারই বিশ্বাস ছিল, এমনকি ধরে নিয়েছিলাম এইবার কাপটা ঘরের মাঠেই থাকবে। এই প্রেডিকশনটা ধরাই যায়, কারণ ইন্ডিয়া প্রথম থেকে যেভাবে সেমী ফাইনাল পর্যন্ত খেলেছে, তাতে করে ফাইনাল নিশ্চিন্তে জিততে পারবে। তবে এখানে বিষয়টা হয়ে গিয়েছে অন্যরকম টসের সময়ে। যে মাঠে অর্থাৎ আমেদাবাদের মাঠে জিততে গেলে টসে জেতাটা আগে আবশ্যক হয়ে পড়ে, কারণ এই পিচে কোন সময়ে ব্যাটিং করলে ভালো করা যাবে সেটা নির্ধারণ করা যায় টসে জিতে।
আর এই পিচের সম্পর্কে ভারতও যেমন ভালোভাবে পরিচিত, তেমন অস্ট্রেলিয়ান টিমও ভালোভাবে পরিচিত। ফলে অস্ট্রেলিয়া টসে জেতার পরে ক্যাপ্টেন সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়ে নিলো অর্থাৎ আগে ফিল্ডিং এর ডিসিশন নিয়ে নিলো। যেটা রোহিত শর্মার জন্য একটা কঠিন পরিস্থিতি ছিল. কারণ সেও ভালোভাবে জানে যে এই সময়ে এই পিচে ব্যাটিং করলে রান উঠবেই না বেশি, স্লো রান ওঠে খুব। তবে রোহিত এসে ভালোই শুরুটা করেছিল, যদি ভালোভাবে একটু ধরে খেলতো, তাহলে রানটা ভালো করতে পারতো, কিন্তু সব বলে কেন হিট করার প্রয়োজন হয়ে গেলো সেটাই বুঝলাম না। কেউই ধরে ধরে খেলতে পারেনি, গিলও আউট হয়ে গেলো। কোহলি আর রাহুল ধরে ধরে মোটামুটি খেলেই যাচ্ছিলো, কিন্তু ওপেনিং জুটি ভেঙে যাওয়ার ফলে, রান যেন একদমই ঝিমিয়ে গেলো। প্রথমে মেরে ৮০ এর কাছাকাছি নিয়ে গেলো, কিন্তু পরের ১০ ওভার অর্থাৎ এক কোথায় বলা যায় ১১-৩০ ওভার পর্যন্ত রান একদমই ঝিমিয়ে গিয়েছিলো, না কোনো ৪ , না কোনো ৬।
সব থেকে বড়ো বিষয় অস্ট্রেলিয়ার প্রত্যেকটা প্লেয়ার কালকে যেভাবে ফিল্ডিং করেছে, সেটা বলার মতো না, খুবই হার্ড বোলিং আর ফিল্ডিং ছিল। একটা বাউন্ডারি বের হতে দেয়নি ৫০ বলের মধ্যে। কোহলির আউটটা আন-এক্সপেক্টেড ছিল, বলটা অভাবে উইকেটে গিয়ে লাগবে ভাবতেই পারেনি কোহলি নিজেও। অস্ট্রেলিয়ার সাথে ম্যাচ জিততে গেলে কমপক্ষে ৩০০ রান ক্রস করা প্রয়োজন, কিন্তু কালকে যে হলো এইটা সবাইকে অবাক করেছে, ২৫০ রানও ক্রস হলো না। এই রানে ইন্ডিয়ার একমাত্র ভরসা ছিল বোলিং আর উইকেট নেওয়ার উপরে। শুরুটাও তারা ভালো করেছিল, কিন্তু হেড যে খেলতেই পারছিলো না প্রথম থেকে, সে নাকি ম্যাচ বের করে নিয়ে গেলো একাই। এটাই ভাবতে অবিশ্বাস্য লাগছিলো চোখের সামনে, শামি যে কি বল করলো কালকে কিজানি, মার খেয়ে গেলো।
তাছাড়া ফিল্ডিংও মিস গিয়েছে। মূল কথা, কালকে টসেই ম্যাচটা আগে থেকে হেরে বসে ছিল। কালকের ম্যাচটা নিয়ে এখনো বিশ্বাস করা যাচ্ছে না যে, ভারতের মাটি থেকে কাপ নিয়ে ক্যারিবিয়ানরা বাড়ি চলে যাচ্ছে। এইবারও হাতের কাছে পেয়েও ভারত মিস করে ফেললো। অস্ট্রেলিয়া শালা এই কানাঘোষা মারতে মারতে ফাইনালে চলে যায় আর কাপ নিয়ে চলে যায় প্রত্যেকবার। এই নিয়ে অনেকগুলো কাপ জিতে ফেলেছে। যাইহোক, এটা কপালেও ছিল না আর ঘটনা যা ঘটলো সেটা অবিশ্বাস্য ছিল, বলার ভাষা নেই কারো। কোটি কোটি দর্শক মাঠে যেন ১ ঘন্টার মতো শুনশান অবস্থা ছিল, কোনো শব্দ ছিল না আর। সবাই আসলে অনেক আশা নিয়েই গিয়েছিলো, কিন্তু এইরকম যে ঘটবে এইটা কারোরই আশা ছিল না।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
এবারের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ইন্ডিয়া দল এতটাই ভালো পারফরম্যান্স করেছে যে কাপটা হয়তো ইন্ডিয়াই পাবে। টানা দশ ম্যাচ অপরাজিত তাও আবার কোন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাই ছিল না প্রতিটি ম্যাচে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া অনেক কষ্টে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল যেটা তাদের অনেক বড় একটা শিক্ষা ছিল। সেখান থেকেই তারা ফাইনালে জয় তুলে নিয়েছে। এভাবেও ফিরে আসা যায় সেটাই অস্ট্রেলিয়া দল দেখিয়ে দিল আমরা তো আগেই ধরে নিয়েছিলাম ইন্ডিয়া ভালোভাবেই ম্যাচটি জিতে নেবে কিন্তু তার বিপরীত হলো।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলেই আমিও ভেবেছিলাম এবারের কাপ ভারতের মাটিতে থাকবে,কারন প্রত্যেকটি খেলা তারা বেশ ভালো খেলেছে কিন্তু কালকে এত রানের টার্গেট দিলো আমি বেশ অবাক। খুব সহজেই অস্ট্রেলিয়ারা কাপ জিতে গেলো,টার্গেট পুরন করতে খুব বেশি কষ্ট করতে হয়নি।ধন্যবাদ
অনেক আশা করেছিলাম এবার ভারত বিশ্বকাপ জয় লাভ করতে পারবে কিন্তু শেষ রক্ষাটা আর হলো না। রোহিত শর্মা ভালো শুরু করলেও পরবর্তীতে আর কেউ ভালোভাবে ব্যাট করতে পারেনি সেজন্যই মূলত এমনটা হয়েছে। প্রথমে অস্ট্রেলিয়ার তিনটা উইকেট পড়ে গেল তারপরে যেন আর উইকেটই পরলো না।
দাদা আমি প্রথমে ভেবেছিলাম অস্ট্রেলিয়া প্রথমে টস জিতে বলিং নিয়ে ভুল করেছে। কারন আমি জানতাম যে যেহেতো শীতকাল সন্ধার পরে তো পিচের মধ্যে কুয়াশা পড়বে। তখন তো বল সুইং করবে বেশি। কিন্তুু আমার চিন্তা ভুল প্রমানিত হলো। অস্ট্রেলিয়া টস জিতে বলিং নিয়ে ভালোই করেছে। গতকাল অস্ট্রেলিয়ার বলিং খুবই ভালো হয়েছে। গিল আউট হয়ে যাওয়ার পরে রোহিত শর্মা থেকে থাকেনি। প্রতি বলে হিট করেছে। এটার মনে হয় দরকার ছিল না। আরেকটু দেখে শুনে খেলার দরকার ছিল। তারপরও সে তার রানটা মোটামুটি তুলেছে। সবাই যদি এবারেজে এরকম রান তুলতে পারতো তাহলেও ৪০০+ রান হতো। কিন্তুু ২৫০ও হলো না। বিরাট আর রাহুল খেলাটা ধরেছিল। তবে তারা দুইজন আর কিছু অভার খেলার দরকার ছিল। ভবেছিলাম কোহেলি ফিফটি করে কিছু বল হিট করবে। কিন্তুু সে আর সেই সময় পেল না। তারপরও মোটামুটি একটি স্কোর হয়েছিল। যদি ট্রাভিজ আউট হয়ে যেত তাহলে খেলাটা অন্য দিকে মোড় নিতো। তারাতো পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন দল। তারা জায়গা মত ঠিকই কাজ করেছে। ঐদিন আফগানিস্তানের সাথে হেরে যেতে বসেছিল অথচ আজকে তারাই বিশ্বকাপ নিয়ে গেল। ইন্ডিয়া টানা ১০টা ম্যাচ জিতে এসেছে। সবাইতো ধারনা করেছে এবার ইন্ডিয়া থেকে কেউ কাপ নিতে পারবে না। অথচ বাস্তাবে কি হলো ইন্ডিয়া লাষ্টের ম্যাচে এসে হেরে বসলো। ইন্ডিয়ার দর্শক তো বাদ দিলাম। বাংলাদেশের কোটি কোটি দর্শক সেটা মেনে নিতে পারছে না। কি চিন্তা করলো আর কি হলো। গতকাল আমি দেখেছি মাঠের দর্শকের সাথে বাহিরের দর্শকের মন কত খারাপ ছিল। শুনেছি ইন্ডিয়ার খেলোয়াররা ড্রেসিং রুমে গিয়ে কান্না করেছে। এই হারটা মেনে নেওয়া যায় না। তারপরও বাস্তবতাকে মেনে নিতে হয়। যায়হোক এবার হেরেছে তো কি হয়েছে। পরের বার আবার চেষ্টা করবে। ২০২৭ সালে আবার দেখা হবে দক্ষিণ আফ্রিকাতে। ধন্যবাদ।
দাদা আমার তো অনেক বেশি ইচ্ছা ছিল ফাইনাল ম্যাচটা দেখার। কিন্তু ব্যস্ততা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল ওই সময়টাতে আর খেলা দেখা হয়নি। এর পরবর্তীতে মনে এসেছিল আপনার পোষ্টের কথা। আপনি খেলা বিষয়ক পোস্টগুলো শেয়ার করেন যেগুলো আমার অনেক ভালো লাগে। আর ম্যাচগুলো না দেখা হলেও আপনার রিভিউর মাধ্যমে সেগুলোর রিভিউ পড়া হয়ে যায়। আমি তো একেবারে কনফার্ম ছিলাম এই ফাইনাল ম্যাচে ভারত জয়ী হবে এবং এর সেলিব্রেশনটাও ভালো হবে। তবে যখন শুনতে পেয়েছিলাম ভারত ফাইনাল ম্যাচে জয়ী হয়নি, এটা শুনে আমার কাছে সত্যি অনেক বেশি খারাপ লেগেছিল। অস্ট্রেলিয়া এবং ইন্ডিয়া দুটো দল অনেক ভালো খেলে। যার কারণে এই ম্যাচটা একটু বেশি উত্তেজনা মূলক ছিল। যাইহোক খেলায় যেহেতু হারজিত আছে, তাই একজনকে তো হারতে হত। পুরো পোস্টটা অনেক সুন্দর ছিল দাদা।
দাদা আমার কাছে সত্যি অনেক বেশি খারাপ লেগেছে ভারতের পরাজয়ের কথা শুনে। এরকম একটা জায়গায় গিয়ে ফিরে এসেছে এটা ভাবতেই খারাপ লাগছে। ভেবেছিলাম এবারের বিশ্বকাপটা হয়তো ভারতের হাতে দেখতে পাবো। ভারত আর অস্ট্রেলিয়া দুই দলই অনেক শক্ত। আমি তো একেবারে ধরে নিয়েছিলাম ভারত এবার এই বিশ্বকাপটা পাবে। কিন্তু শেষ পর্যায়ে অস্ট্রেলিয়া পেয়ে গেল। ভেবেছিলাম আপনার পোষ্টের মাধ্যমে ভারতের জয়ী হওয়ার কথা জানবো, তবে পরাজয়ের কথা জানলাম। আপনি খেলা বিষয়ক পোস্টটা এত সুন্দর করে সবার মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন দেখেই খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। এই খেলা টার মধ্যে কিন্তু আসলেই একটা চ্যালেঞ্জিং বিষয় ছিল। যাইহোক দাদা আপনি সম্পূর্ণটা এত সুন্দর করে সবার মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন দেখে ভালো লেগেছে পড়তে, যদিও মনটা খারাপ হয়ে গেল। আপনার পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় থাকলাম।
গতকাল ম্যাচ দেখে মনে হচ্ছিল না এটা সেই ভারত যারা টানা দশ ম্যাচ জিতেছে। কাল না হয়েছে সাবলীল ব্যাটিং না হয়েছে ফিল্ডিং। আর ঐ রান বোলারদের জন্য ডিফেন্স করা সম্ভব না। সত্যি বলেছেন দাদা শেষ রক্ষা টা আর হলো না। অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল। কোহলির আউট একেবারে অনাকাঙ্খিত ছিল।
কালকের ম্যাচে টস হেরে ইন্ডিয়ার অনেক লস হয়ে গিয়েছে। নয়তো কে এল রাহুল এবং সূর্যকুমারকে এতো স্লো ব্যাটিং করতে কখনো দেখিনি আমি। তবে রোহিত শর্মার ধৈর্য্য অনেক কম। রোহিত শর্মা দুর্দান্ত ব্যাটিং করছিল, কিন্তু অধৈর্য হওয়ার কারণে সাজ ঘরে ফিরে যায়। রোহিত শর্মা আরও কিছুক্ষণ থাকলে সেঞ্চুরি পেয়ে যেতো এবং ইন্ডিয়া হয়তো ৩০০ রান ক্রস করতে পারতো। শুরুতে ভারত বেশ ভালোই বোলিং করেছিল। ৪৭ রানে অস্ট্রেলিয়ার ৩ উইকেট এর পতন হওয়ার পর, ভেবেছিলাম ভারত শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা জিতে যাবে। ট্রাভিস হেড এতো ভালো ব্যাট করবে, এটা ধারণার বাইরে ছিলো। অস্ট্রেলিয়ার ভাগ্য আসলেই ভালো। প্রথম দুই ম্যাচে শোচনীয় হারের পর, অস্ট্রেলিয়া এভাবে ঘুরে দাঁড়াবে, এটা কারোরই জানা ছিলো না। ভেবেছিলাম ভারত এবার নট আউট চ্যাম্পিয়ন হবে, কিন্তু ফাইনাল ম্যাচে ভারত হতাশ করলো। এতো এতো ভারতীয় দর্শকরা কান্না করে স্টেডিয়াম ছাড়লো। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
কোহলির আউটটাও আমার কাছেও আন এক্সপেকটেডেড ছিল! কোহলি থাকলে হয়তো স্কোরটা আরও বড় হতে পারতো। ৩০০+ রান করতে পারলে হয়তো খেলাটাও ফাইটিং হতো। তবে স্কোরটা কম হলেও ভালো বোলিং করতে পারলে ম্যাচটা ভারতের ফেভারে আসতো। ট্রাভিস হেড একাই ম্যাচটাকে ঘুরায় দিল! তবে এবারের বিশ্বকাপটা ভারত ডিজার্ভ করতো।