বেগুন দিয়ে মৌরলা মাছের রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটা রেসিপি শেয়ার করে নেবো। রেসিপিটা করেছিলাম গতকাল, আর এটি হলো মৌরলা মাছের রেসিপি। মৌরলা মাছ ছোট হলেও খেতে ভারী মজা। এই মাছগুলো বেশিরভাগই ভাজাতেই আমার বেশি পছন্দ, এইরকম ছোট মাছগুলো তরকারিতে যতটা ভালো লাগে, তার থেকে ভাজা করে খেতে বেশি টেস্ট লাগে। আমি এইরকম ছোটোখাটো মাছগুলো সবসময় ভাজা করে খাই, এইটা তরকারিতে রান্না করলেও আমি ভাজা আলাদা ভাবে করে রাখি। আর এই মাছগুলো একদম ঝুরঝুরে ভাজা করলে আর ভাতের সাথে না খেয়েও শুধু খাওয়া যায়। মৌরলা মাছ এখন এদিকে তেমন একটা আসে না, যা আসে মাঝে মাঝে বাড়ির পাশ দিয়ে বিক্রি করতে করতে যায় তখন কেনা হয়ে থাকে। এই মাছের স্বাদের সাথে সাথে পুষ্টিগুণও আছে বেশ। শুধু মৌরলা মাছ বললে ভুল হবে, এইরকম সব ধরণের ছোট মাছের উপকারিতা আছে বিভিন্ন ধরণের। মৌরলা মাছের উপকারিতার কথা বলতে গেলে কিন্তু এটি আমাদের শরীরের রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক কাজ করে থাকে। এ ছাড়া এই মাছে ভিটামিন পরিমান হিসেবে বেশি থাকে। এইরকম আরো নানাবিধ আয়রন, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি আছে যা এইসব মৌরলার মতো ছোট ছোট মাছের থেকে পাওয়া যায় এবং এইগুলো আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারি। যাইহোক, এই মৌরলা মাছের তরকারিটা বেগুন দিয়ে তৈরি করেছিলাম। আর বেগুন দিয়ে খেতেও তরকারিটা বেশ ভালো স্বাদের ছিল। এখন এই রেসিপিটার মূল উপকরণের দিকে চলে যাবো।
☫প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:☫
❣এখন রেসিপিটির ধাপসমূহ নিচের দিকে তুলে ধরবো---
☀প্রস্তুত প্রণালী:☀
❖মৌরলা মাছগুলো আগে থেকে কেটে রাখা ছিল এবং আমি পরে একবার ভালোভাবে ধুয়ে নিয়েছিলাম। এরপর বেগুন তিনটিকে কেটে মাঝারি পিস পিস করে নেওয়ার পরে ধুয়ে রেখেছিলাম।
❖আলু তিনটির খোসা ভালোভাবে ছালিয়ে নেওয়ার পরে কেটে ছোট পিস করে ধুয়ে নিয়েছিলাম। এরপর পেঁয়াজটির খোসা ছালিয়ে নিয়ে কেটে নিয়েছিলাম এবং সেই সাথে লঙ্কাগুলোও কেটে ধুয়ে রেখেছিলাম।
❖মৌরলা মাছের পিসগুলোতে লবন এবং হলুদ দিয়ে ভালোভাবে মিক্স করে নিয়েছিলাম।
❖কড়াইতে তেল দিয়ে তাতে মৌরলা মাছের পিসগুলো সব ছেড়ে দিয়েছিলাম। এবং ভালোভাবে ভাজা মতো হয়ে আসলে পরে তুলে নিয়েছিলাম।
❖মাছ ভাজা হয়ে গেলে কড়াইতে আরেকটু তেল দিয়ে আলুর পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর আলু ভালোভাবে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।
❖আলু ভাজা হয়ে গেলে পরে কড়াইতে বেগুনের পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম এবং সাথে অল্প তেল। এরপর কিছু সময় ধরে বেগুনের পিসগুলো ভাজা হয়ে গেলে তুলে নিয়েছিলাম।
❖বেগুন ভেজে তুলে নেওয়ার পরে কড়াইতে শেষবারের মতো তেল দিয়ে গোটা জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর জিরা ভেজে নিয়ে তাতে বেগুনের পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম এবং সেই সাথে পরে আলুর পিসগুলোও দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖আলুর পিস দেওয়ার পরে তাতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিয়েছিলাম এবং পরে তাতে কেটে রাখা লঙ্কা দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖লঙ্কা দেওয়ার পরে তাতে স্বাদ মতো লবন এবং হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর মশলাগুলো সব উপাদানের সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছিলাম।
❖মেশানো হয়ে গেলে তাতে পরিমাণমতো জল দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর কিছুসময় ধরে ফুটিয়ে নিয়েছিলাম আলুর পিসগুলো ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে আসার জন্য।
❖আলু সেদ্ধ হয়ে আসলে পরে তাতে ভেজে রাখা মৌরলা মাছের পিসগুলো সব দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর সেটি তরকারির সাথে মিশিয়ে দিয়ে এবং তাতে অল্প জিরা গুঁড়ো দিয়ে আরো কিছুক্ষন জ্বাল দিয়ে নিয়েছিলাম ভালোভাবে হয়ে আসার জন্য।
❖মৌরলা মাছের তরকারিটা হয়ে আসলে ঝোলটা আরো কমিয়ে নিয়েছিলাম এবং পরে নামিয়ে নিয়ে তাতে আরেকটু জিরা গুঁড়ো দিয়ে পরিবেশনের জন্য কিছুটা তুলে নিয়েছিলাম।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
এই মাছটিকে আমরা মলা মাছ বলে থাকি দাদা। মলা মাছ চোখের জ্যোতি বাড়াতে সাহায্য করে। পুকুরের মলা মাছের চচ্চড়ি খেতে দারুণ লাগে। যদিও এখন মলা মাছও চাষ করা হয়ে থাকে। তাই মলা মাছ খেতে আগের মতো সেই স্বাদ পাওয়া যায় না। যাইহোক বেগুন দিয়ে মলা মাছের রেসিপিটা দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। খেতেও মনে হচ্ছে খুব সুস্বাদু হয়েছে। রেসিপির উপস্থাপনা এবং পরিবেশনাও এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে দাদা। আপনি বরাবরই আমাদের সাথে খুব মজার মজার রেসিপি শেয়ার করে থাকেন দাদা। আপনার রেসিপি গুলো দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগে। এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। ভালো থাকবেন সবসময়।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার রেসিপিটা দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি দাদা। এই ধরনের রেসিপি আমাদের স্বার্থের জন্য অনেক উপকারী।বেগুন দিয়ে মৌরলা মাছের রেসিপি এই মোরলা মাছ কখনো খাওয়া হয়নি। কিন্তু দেখেই মনে হচ্ছে অনেক লোভনীয় এই মাছগুলো খেতে। এই ছোট মাছগুলো আমাদের চোখের জন্য অনেক উপকারী। আপনার রেসিপির প্রতিটি ধাপ অসাধারণ ছিল দাদা। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি লোভনীয় পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দাদা মৌরলা মাছকে আমরা মলা মাছ বলে থাকি।এই মাছের পুষ্টিগুন অনেক। আপনি যেভাবে মুচমুচে করে ভেজে নিলেন তাতেই তো আমার খেতে ইচ্ছে করছে।মুচমুচে ভাজা মাছ খেতে দারুন মজা।আপনি আলু, বেগুন ও ভেজে নিলেন।এরপর রান্না করার পর এর টেস্ট আরো বেড়ে গেলো।আপনার রেসিপি আমার খুব ভালো লাগলো। এই মাছ আমি আলু, টমেটো দিয়ে ঝোল করেছি।কখনও ভেজে রান্না করা হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে দাদা।আপনি রেসিপির ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
দাদা সত্যি কথা বলতে মৌরলা মাছ আমারও অনেক বেশি পছন্দের। আমিও ভাজা করে খেতে খুবই পছন্দ করি এই মাছগুলো। যেহেতু এই মাছগুলো একদম ঝুরঝুরে সেজন্য আমি ভাতের সাথে খুব কম খেয়ে থাকি। এমনিতে কিন্তু রান্না করে খেতেও খুবই মজাদার হয়। ছোট মাছ খেতে পছন্দ করে না এরকম মানুষ খুব কম রয়েছে। বিশেষ করে আমি একটু বেশি পছন্দ করি ছোট মাছ খেতে। যখন বাজারে এরকম ছোট ছোট মাছগুলো দেখি তখন কিনে নিয়ে আসি খাওয়ার জন্য। আর খুবই মজা করে খাওয়া হয়। নিশ্চয়ই খুব সুস্বাদু এবং ইয়াম্মি হয়েছিল দাদা আপনার এই রেসিপিটা। মজাদার রেসিপি নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন দেখে ভালো লেগেছে।
ছোট মাছ আমাদের শরীরের জন্য সত্যিই অনেক উপকারী। বিশেষ করে মৌরলা মাছ খেতে আমি অনেক পছন্দ করি। মৌরলা মাছের চচ্চড়ি করলে খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি মৌরলা মাছ ভাজি করলেও খেতে বেশ মজার হয়। আলু বেগুন দিয়ে এই মাছ রান্না করে খাওয়ার সময় যদি কিছু মাছ ভাজি করি তাহলে রান্না করার আগেই কিছুটা মাছ ভাজা পেটে চলে যায়🤭। ছোট মাছের মচমচে ভাজা খেতে আমার বেশি ভালো লাগে। তবে এভাবে বড় বড় করে আলু বেগুন কেটে দিয়ে রান্না করলেও খেতে বেশ মজা হয়। আসলে এই মাছগুলো বাজারে কম পাওয়া যায়। তবে এই মাছগুলো পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ মাছ। আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের সবার মাঝে উপস্থাপন করেছেন এবং আমাদেরকে দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।
আজকে তো দেখছি মোরলা মাছের রেসিপিটা অসাধারণ করেছেন। আসলেই মোরলা মাছে অনেক বেশি ভিটামিন রয়েছে। আসলেই এই মাছগুলো কিন্তু সব সময় খুঁজে পাওয়া যায় না। আর আমার কাছেও মুচমুচে করে ভাজা করলে খেতে বেশি ভালো লাগে। তবে আপনার মত করে বেগুন দিয়ে আমিও মোরোলা মাছ রান্না করেছিলাম অনেক আগে। এ রেসিপিটা খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আবার শুধু খালি খালি ভুনা করলেও খেতে ভালো লাগে। তাছাড়া আপনার আজকের রেসিপিটাও বেশ সুস্বাদু হয়েছে।
দাদা আপনি আমার খুবই পছন্দের একটা রেসিপি তৈরি করেছেন। মৌরলা মাছ ঝুরঝুরে হওয়ার কারণে খেতে খুবই ভালো লাগে আমার কাছেও। আর যদি এভাবে বেগুন দিয়ে রান্না করা হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই। যদিও আমি মৌরলা মাছ বেশিরভাগ সময় ভাজা করে খেয়ে থাকি। তবে মাঝেমধ্যে এরকম রেসিপি তৈরি করলে কিন্তু অনেক মজা করে খাওয়া যায়। ছোট মাছ যে কেউই পছন্দ করে খেতে। এরকম মজাদার এবং সুস্বাদু একটা রেসিপি নিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছেন দেখে খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। দাদা এরকম মজাদার একটা রেসিপি তৈরি করার উপস্থাপনা কিন্তু অনেক সুন্দর ভাবে শেয়ার করলেন। আপনার উপস্থাপনা দেখে খুব সহজে এই রেসিপিটি তৈরি করা যাবে।
দাদা ছোটবেলা থেকে আমার বাবা বলতো, ছোট মাছের চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর ক্ষমতা থাকে। এমনকি চোখের জন্য খুবই উপকারী এই ছোট মাছগুলো। তার মধ্যে মোরলা মাছটা আবশ্যক। আর তাই জন্য আমিও এই মাছটা খেতে খুবই পছন্দ করি। তবে এই মাছগুলো ছোট হওয়ার কারণে ভাজা করলেই ভালো লাগে। আবার আমার কাছে ভুনা করলেও অনেক মজা লাগে। আপনার মত করে বেগুন দিয়ে আমার স্ত্রীও একদিন রান্না করেছিল। তখন আমার কাছে খেতে খুবই মজা লেগেছিল। আজকে আপনার রেসিপি টা দেখে মনে পড়ল।
ঠিকই বলেছ দাদা, সব ছোট মাছই অনেক উপকারী আর সেগুলো তরকারির থেকে ভাজা খেতেই অনেক বেশি ভালো লাগে। বেগুন দিয়ে মৌরালা মাছের রেসিপিটি অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছে খেতে মনে হচ্ছে। আমিও বাড়িতে এইভাবে মাঝেমধ্যে বেগুন দিয়ে মৌরালা মাছ রান্না করে খাই।