সরিষা বাটা দিয়ে বেলে মাছের সুস্বাদু রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করবো। এই রেসিপিটা করেছিলাম গত সপ্তাহের দিকে, কিন্তু দেব দেব করে আর সাজানো হয়নি। বর্তমানে কি যে একটা আবহাওয়া, শরীর সুস্থ রাখা মুশকিল হয়ে গিয়েছে। গতকাল থেকে হঠাৎ গলায় ব্যাথা শুরু হলো, আর এখন কথা বলতে গেলেই ব্যাথা করছে। গলা ব্যাথা একটা অসহ্য যন্ত্রনা দায়ক। আসলে এই ঠান্ডা লাগার কারণও আছে, এক তো গত পরশুদিন রাতে এদিকে হঠাৎ করে ঝড়, বৃষ্টি শুরু হলো আর তাতেই আধাঘন্টার উপরে বাইক চালিয়েছি আর ভিজেছি। আর তারপর ওইদিন ৪-৫ টা আইসক্রিম খেয়ে গলায় ভালোই ঠান্ডা বসে গিয়েছে। খুশখুশানি হতে হতে ভালোই বেগ দিলো, এখন কথাই বলা মুশকিল হয়েছে। যাইহোক, এই রেসিপিটা করা ছিল বেলে মাছের আর এইটা সরিষা বাটা দিয়ে তৈরি করেছিলাম। সরিষা বাটা দিয়ে বেলে মাছ হোক বা আর ছোট যেকোনো মাছই হোক না কেন, খেতেই অসাধারণ লাগে।
এই বেলে মাছগুলো দেশীয় দেখতে মনে হলেও কিন্তু দেশি না, চাষ করা মাছ, তবে এই বেলেগুলো সাইজে ছোট হলেও আবার পেটে কয়েকটার ডিমও হয়েছিল। ডিম খেতে ভালোই লাগে যেকোনো মাছের, অনেকের আবার এই ডিম থাকা মাছগুলো খেতে ভালো লাগে না, কিন্তু আমার কাছে মাছের সাথে সাথে এর ডিমটা বেশ মজার লাগে খেতে। যদিও এইসব মাছের ডিম দিয়ে আলাদা করে যদি কোনো ভাজাভুজি করেও খাওয়া যায়, তাহলেও অনেক মজার হয়ে থাকে। বেলে মাছ এর আগে আমি কয়েকবার সরিষা বাটা দিয়ে করলেও আলু দেইনি, সাধারণত সরিষা বাটার সাথে আলু দেওয়া লাগে না। তাও এই তারিখ একটু আলু দিয়ে দেখলাম, যদিও আলু আমি বর্তমানে বর্জন করেছি, কোনো কিছুতে আলু খাইনা ১-২ পিসের বেশি। যাইহোক, সরিষা বাটা আর বেলে মাছের রেসিপিটা অনেক মজাদার হয়েছিল খেতে। এখন রেসিপিটার মূল প্রস্তুতপ্রণালীর দিকে চলে যাবো।
☫প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:☫
✦এখন রেসিপিটা যেভাবে প্রস্তুত করলাম---
❂প্রস্তুত প্রণালী:❂
❖বেলে মাছগুলোকে প্রথমে ভালোভাবে কেটে ধুয়ে রাখা ছিল। এরপর আলুগুলোর খোসা ভালোভাবে ছালিয়ে নিয়ে কেটে পিস পিস করে ধুয়ে রেখেছিলাম।
❖পেঁয়াজ দুটির খোসা ছালিয়ে নিয়ে কুচি করে রেখেছিলাম। এরপর কাঁচা লঙ্কাগুলো কেটে ধুয়ে রেখেছিলাম।
❖সরিষাগুলো একটি মিক্সারের বাটিতে দিয়ে কাঁচা লঙ্কা আর লবন দেওয়ার পরে একটু জল দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖ভালো করে সরিষা পেস্ট তৈরি করে নিয়েছিলাম এবং পরে একটি পাত্রে সেটি ঢেলে রেখেছিলাম।
❖ধুয়ে রাখা বেলে মাছের পিসগুলোতে লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর প্রত্যেক পিসের গায়ে ভালোভাবে মিক্স করে নিয়েছিলাম।
❖মিক্স করার পরে কড়াইতে তেল দিয়ে বেলে মাছের পিসগুলো ছেড়ে দিয়েছিলাম। এরপর ভালো করে ভাজা মতো হয়ে আসলে সব তুলে নিয়েছিলাম পরপর।
❖কড়াইতে পুনরায় আরেকটু তেল দিয়ে আলুর পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম এবং ভালো করে ভেজে নিয়েছিলাম।
❖আলু ভাজা হয়ে গেলে কড়াইতে আরেকবার তেল দিয়ে তাতে গোটা জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖এরপর তাতে গোটা জিরা দিয়েছিলাম এবং ভালো করে ভাজা পেঁয়াজ এর সাথে মিক্স করে নিয়েছিলাম।
❖এরপর তাতে ভেজে রাখা আলুর পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম এবং পরে তাতে কেটে রাখা কাঁচা লঙ্কাগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖লঙ্কা দেওয়ার পরে তাতে স্বাদ মতো লবন, হলুদ আর লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম এবং পরে সব একসাথে মিক্স করে নিয়েছিলাম নেড়েচেড়ে।
❖মিক্স করার পরে তাতে সরিষা বাটা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর একটু জল দিয়ে কিছুক্ষন ফুটিয়ে নিয়েছিলাম।
❖ফুটিয়ে নেওয়ার পরে তাতে ভেজে রাখা বেলে মাছের পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারিটা ভালো মতো হয়ে আসার জন্য মিডিয়াম আঁচে আরো কিছুক্ষন জ্বাল দিয়ে নিয়েছিলাম।
❖তরকারিটা ভালোমতো হয়ে গেলে তাতে জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়েছিলাম এবং তরকারিটা পরিবেশনের জন্য একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমার কাছে ও মাছের ভিতরে ডিম থাকলে সেই মাছ খেতে বেশ সুস্বাদু লাগে।এই বেলে মাছের এমনি ঝোল আর ভুনা খেয়েছি তবে সরিষা বাটা কখনো খাইনি দাদা। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে বেলে মাছের সরিষা বাটা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে। রন্ধনের প্রতিটি ধাপ আমাদের সাথে সুন্দরভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দাদা।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দাদা বর্তমানে কি যে এক আবহাওয়া পড়লো কিছু বুঝতেছি না। ফ্যান ছাড়তে পারছি না আবার গরমে থাকতে পারছি না। আপনি তো বৃষ্টিতে ভিজে আর আইসক্রম খেয়ে গলায় ঠান্ডা লাগিয়েছেন আর আমি রাতের বেলা ফ্যান ছেড়ে ঘুমিয়েছিলাম সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আর কথা বলতে পারছি না। কি যে এক অসহ্য যন্ত্রনা বলে বুঝানো যাবে না। দাদা আদা আর গরম পানি খাওয়ার পরামর্শ রইলো। আর ডাক্তারের কাছে গেলে সোজা এন্টিবাইটিক লিখে দিবে। যায়হোক সরিষা বাটা দিয়ে বেলে মাছের সুস্বাদু রেসিপিটা দারুন হয়েছে। ছোট বেলা গোসল করার সময় পুকুর থেকে বেলে মাছ ধরতাম। তবে এখন আর সেই সুযোগ নেই। এখন চাষের মাছে বাজার সয়লাভ হয়ে গেছে। বেলে মাছ খাওয়ার একটি সুবিধা আছে। মাছ ছোট হলেও ডিম পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে বাল্য বিবাহের প্রচলন আছে মনে হয়,হা হা হা। তাইতো ছোট মাছে ডিম পাওয়া যায়। সরিষা বাটা দেওয়ার কারনে রেসিপিটা জাষ্ট অসাধারন হয়েছে। ধন্যবাদ দাদা।
দাদা আবহাওয়া খুব খারাপ এজন্য কম বেশি সবাই অসুস্থ হচ্ছে। আমার ও জ্বর এসেছে। আপনি অসুস্থ জেনে খারাপ লাগলো। দোয়া করি আল্লাহর রহমতে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন ইনশাআল্লাহ। সরিষা বাটা দিয়ে ইলিশ মাছ খাওয়া হয়েছে। তবে এভাবে কখনো খাইনি। নতুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেকদিন পর এই কয় বছর আমাদের পুকুরে বেলে মাছ দেখা যাচ্ছে ভাইয়া। এ মাছটা খুবই সুস্বাদু। ছোট মাছ হলেও এর দাঁতগুলো বেশ ভয়ানক বড় বড় হয়ে থাকে। তবে যাই হোক সরিষা বাটা দিয়েছে দারুন রেসিপি করেছেন বেলে মাছের। আশা করি অনেক টেস্ট হয়েছে।
দাদা বর্তমান সিজন পরিবর্তনের জন্য ম্যাক্সিমা মানুষী অসুস্থ হয়ে পড়ছে। যাইহহোক আপনার রেসিপি দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। তবে অনেক দিন হলো বেলে মাছ খাওয়া হয়নি। আপনি ঠিক বলেছেন সরিষা বাটা দিয়ে সব কিছুই মজা লাগে। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দাদা বর্তমান সিজন পরিবর্তনের জন্য ম্যাক্সিমা মানুষী অসুস্থ হয়ে পড়ছে। যাইহহোক আপনার রেসিপি দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। তবে অনেক দিন হলো বেলে মাছ খাওয়া হয়নি। আপনি ঠিক বলেছেন সরিষা বাটা দিয়ে সব কিছুই মজা লাগে। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে দাদা যেকোনো খাবারের মধ্যে যদি সরিষা বাটা দেয়া যায় তাহলে সে তরকারির স্বাদ আরো বেড়ে যায়। তবে দাদা আপনি দেখছি বেলেমাছে সরিষা বাটা দিয়ে খুব সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। দেখে মনে হচ্ছে খুবই স্বাদ হয়েছে ধন্যবাদ আপনাকে রেসিপিটি খুব সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে শেয়ার করার।
দাদা বৃষ্টিতে ভিজে বাইক চালিয়েছেন এবং এতগুলো আইসক্রিম খেয়েছিলেন বলেই গলা ব্যথা আপনার। আমার গলা ব্যথা হলেই, আমি হালকা লবণ মিক্সড করে একটু পরপরই গরম পানি পান করি। এতে করে গলা ব্যথা তাড়াতাড়ি কমে যায়। এই ওয়েদারে এমনিতেও অনেকেই ঠান্ডা সর্দিতে ভুগছে। যাইহোক সরিষা বাটা দিয়ে বেলে মাছের চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন দাদা। রেসিপিটা দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছে। বেলে মাছ আমার খুব পছন্দ। টমেটো এবং পেঁয়াজ দিয়ে বেলে মাছ ভুনা খেতে আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। যাইহোক সরিষা বাটা দিয়ে যেকোনো মাছ রান্না করলে খেতে দারুণ লাগে। বিশেষ করে সরিষা ইলিশ সবচেয়ে বেশি সুস্বাদু লাগে খেতে। তাছাড়া যেকোনো মাছের ডিম আমার পছন্দ। বিশেষ করে ইলিশ মাছ এবং শিং মাছের ডিম খেতে খুবই ইয়াম্মি লাগে। আমি তো বাজারে গেলে সবসময় ডিমওয়ালা মাছ কেনার চেষ্টা করি। সবমিলিয়ে রেসিপিটা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো দাদা। যাইহোক এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
এখন ওয়েদার চেঞ্জ হওয়ার কারণে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়তেছে। তবে হ্যাংআউটে আপনার অসুস্থতার খবর শুনে খুবই খারাপ লেগেছে। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি আপনি যেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন। আর রেসিপিটি আপনি দারুন করেছেন। বেলে মাছ খেতে খুবই মজার হয়। আর ডিম থাকলে আরও বেশি ভালো লাগে খেতে। অনেক সুস্বাদুভাবে রেসিপি তৈরি করে আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।