দূর্গা পুজো ২০২৩ ( পর্ব ১০ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
আজকে আপনাদের সাথে দূর্গা পুজোর কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করবো। গত পর্বে বনগাঁর একটি ক্লাবের প্যান্ডেলের কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করেছিলাম। আজকে অন্য আরেকটি স্থানের বা ক্লাবের প্যান্ডেলের আলোকচিত্র তুলে ধরবো। এই ক্লাবের পুজোটাও আগেরটার মতো ছোটোখাটো, তবে অনেক আকর্ষণীয় কারুকার্য করেছে এইবার প্যান্ডেলগুলোতে। এই ক্লাবটার নাম হলো বনগাঁ স্পোর্টিং ক্লাব, এই ক্লাবে প্রতিবার মোটামুটি ভালোই করে থাকে। তবে এইবারের প্যান্ডেল সাজানোর বিষয়টা একটু অবাক লেগেছিলো, কারণ বাঁশ দিয়ে সাজিয়েছে।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
আসলে থিমের নামটাই একটু অবাক লেগেছিলো, তবে নামটা বেশ ইন্টারেষ্টিং ছিল। এইবারের থিম ছিল "বাঁশের ফুলে দুগ্গা সাজে"। এইবারের সমস্ত সাজ সজ্জা পুরোটাই বাঁশের মাধ্যমে করেছে। সম্পূর্ণ প্যান্ডেলটা সাজিয়েছে কঞ্চির মাধ্যমে অর্থাৎ বাইরে এবং ভিতরে। প্যান্ডেলের উপরে যে ঝুড়ির মতো করেছে, এই ডিজাইনগুলোকে অনেক ক্ষেত্রে ফুলঝুড়ি বলে। এইগুলোকে তবে যাই বলুক না কেন, ডিজাইনগুলোকে অসাধারণভাবে সাজিয়েছে। উপরের এইগুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে দূরের থেকে, ভিতরে লাইটিং করাও আছে, ফলে আরো দেখতে আকর্ষণীয় ছিল ব্যাপারটা।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
এছাড়া ভিতরে ঢোকার গেটটাও করেছে ছোট ছোট কঞ্চির সাহায্যে, কিন্তু সাইডে ফুলের মতো ডিজাইনগুলো ছড়িয়ে দেওয়ায় দেখতে আরো ভালো লাগছিলো। ভিতরে প্রবেশ করার পরে আরো কিছু সৌন্দর্য চোখের সামনে পড়লো,যেমন- এইযে ছোট ছোট বাঁশের আগার দিকে কেটে সুতো দিয়ে বেঁধে একধরনের ফুলের শেপের মতো দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে। এইগুলো ঝুলন্ত অবস্থায় একসাথে অনেকগুলো বেশ সৌন্দর্যপূর্ণ লাগছিলো সরাসরি।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
এছাড়া ভিতরে আরো কিছু ফুলের ডিজাইন করেছে, যেগুলো লাঠির মাথায় কঞ্চি পরপর সাজিয়ে তৈরি করেছে, এইগুলো আরো ভালো ফুটেছে, কারণ লাইটিংটা কালার দিয়েছিলো। মায়ের মণ্ডপের স্থানটা আরো ভালো ছিল, কারণ কঞ্চি দিয়ে সাজানোর সাথে সাথে কদম ফুলের মতো সবজায়গায় সাজিয়ে দিয়েছিলো। মায়ের মূর্তিটা সব থেকে আমার কাছে ভালো লেগেছিলো, খুবই সুন্দর ছিল প্রত্যেকটা মূর্তির প্রতিচ্ছবি। যাইহোক, এটাই ছিল বনগাঁর স্পোর্টিং ক্লাব এর কিছু আলোকচিত্র।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
ক্যামেরা | স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G |
---|---|
লোকেশন | বনগাঁ |
তারিখ | ২৩ অক্টোবর ২০২৩ |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
বাহ্! বনগাঁ স্পোর্টিং ক্লাবের থিমটা তো দারুণ "বাঁশের ফুলে দুগ্গা সাজে"। থিমের সাথে মিল রেখে তাদের আয়োজন একেবারে পারফেক্ট হয়েছে। বাঁশ দিয়ে কতো সুন্দর ভাবে প্যান্ডেল সাজানো হয়েছে। দেখে তো একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এতো নিখুঁতভাবে প্যান্ডেল তৈরি করেছে, যা দেখে প্রশংসা করার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। সবমিলিয়ে বেশ উপভোগ করলাম সম্পূর্ণ পোস্টটি। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
"বাঁশের ফুলে দুগ্গা সাজে" থিমটি যেমন দারুন তেমনি অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। সত্যি দাদা পুজো প্যান্ডেল যদি এত সুন্দর করে সাজানো হয় তাহলে দেখতে অনেক ভালো লাগে। দাদা আপনি এত সুন্দর করে এই পুজো প্যান্ডেলের ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। পুজো প্যান্ডেলের লাইটিং, কারুকার্য আর বিভিন্ন রকমের সৌন্দর্যগুলো দেখে অনেক মুগ্ধ হয়ে গেছি। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে দাদা। দারুন সব ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
দাদা,আপনার শেয়ার করা আজকের ফটোগ্রাফিগুলো দেখে তো আমি একদম অবাক হয়ে গেলাম। বাঁশের সাহায্যেও এভাবে থিম করে সাজানো যায়!অবাক করা বিষয় হলো ফুলঝুড়ির মত ডিজাইনগুলো কিভাবে এত সুন্দর করে সাজিয়েছে।প্রতিটা জায়গায় বাঁশের অসাধারণ শিল্পকর্ম করেছে। মন্ডপের জায়গাটা কত সুন্দর করে ডিজাইন করেছে।বাঁশের কঞ্চি দিয়ে করেছে একরকম তার সাথে আবার কদম ফুলের মত ডিজাইন করেছে।আমার মনে হয় কলকাতার কয়েকটা বাঁশঝাড় এখানেই লাগিয়েছে ডিজাইন করার জন্য।এককথায় অভিনব শিল্পীদের কাজ।
"বাঁশের ফুলে দুগ্গা সাজে।"সত্যি ই দাদা বাঁশের সাহায্যে এভাবে যে সাজানো যায় দেখে অবাক হলাম।আপনি চমৎকার ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করলেন।ভীষন ভালো লাগলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে।পুজো প্যান্ডেলের এতো চমৎকার লাইটিং ও কারুকাজ দেখে সত্যি ই মুগ্ধ হয়ে গেলাম।সুন্দর বর্ননা ও সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দাদা।
দাদা বনগাঁ স্পোর্টিং ক্লাব অন্য সবার থেকে একটু আলাদা কাজ করে প্যান্ডেল সাজিয়েছে। আমি লক্ষ করে দেখলাম তারা সব জাগায় বাশেঁর কঞ্চি ব্যবহার করেছে। যার ফলে এইবারের থিম ছিল "বাঁশের ফুলে দুগ্গা সাজে”। এখানে তারা বাশেঁর কঞ্চি আর সুতা দিয়ে যে ডিজাইনটা করেছে সেটা করতে ম্যানিমাম দুই থেকে তিন মাস সময় লেগেছে। গেইটের বাহিরে বাশেঁর কঞ্চি দিয়ে অনেক গুলো ফুল বানিয়েছে। আবার দেখলাম ভিতরে কঞ্চির উপরে ছোট ছোট কাগজের ফুল দেখা যায়। জায়গাটা অনেক সুন্দর হওয়ার কারনে মানুষ ও হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। আর সবাইকে দেখলাম সেলফি নিয়ে ব্যাস্ত। আপনার ফটোগ্রাফিতে অনেক মানুষ ধরা পড়েছে। সব মিলিয়ে আপনার ফটোগ্রাফি এবং উপস্থাপনা অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ।
বাঁশ এবং কঞ্চির সমন্বয়ে পুরো প্যান্ডেলের ডেকোরেশন দেখে কিছুটা অবাক হয়েছি দাদা। কেননা এই ডেকোরেশনটি আসলেই বেশ দারুন ছিল। ভালোই উপভোগ করলাম ছবিগুলো।
দাদা আপনি গত পর্বে আমাদের মাঝে বনগাঁর একটি স্থানের দুর্গাপুজোর আলোকচিত্র তুলে ধরেছিলেন। আর আজকে আপনি ভিন্ন একটা স্থানের কিছু আলোকচিত্র তুলে ধরেছেন, যেগুলো আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। বনগাঁ স্পোর্টিং ক্লাবে প্যান্ডেল দেখছি বেশ ভালোভাবেই সাজানো হয়েছে। দারুন দারুন নিখুঁত কারু কাজগুলো আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে এই প্যান্ডেলের। আমার কাছেও কিন্তু এই থিমটার নাম একেবারে ভিন্ন এবং ইন্টারেস্টিং লেগেছে। বাঁশের ফুলে দুগ্গা সাজে এই নামটা আসলেই ইন্টারেস্টিং ছিল দাদা। ভেতরে লাইটিং করার কারনে আকর্ষণীয় লাগারই কথা। মূর্তি গুলো ও ছিল একেবারে ভিন্ন রকমের। কদম ফুলের সাজে সব জায়গায় সাজানো হয়েছিল শুনেই ভালো লেগেছে। দাদা আপনার সবগুলো পর্বের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গার পুজোর প্যান্ডেলের আলোকচিত্র আমরা দেখতে পারতেছি। আর এত সব ফটোগ্রাফি দেখে সত্যি অনেক বেশি ভালো লেগেছে দাদা। আমার মনে হচ্ছে আরো অনেকগুলো পর্ব আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন। সেই পর্ব গুলো দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম দাদা।
দাদা দুর্গাপুজোর দেখতে দেখতে দশটা পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। আপনি আমাদের মাঝে একটি একটি করে পর্ব গুলো শেয়ার করেছেন, যেগুলোর মাধ্যমে অনেক সুন্দর সুন্দর প্যান্ডেলের আলোকচিত্র আমরা দেখতে পেলাম। আর আজকে তো দেখছি অন্য একটা স্থানের দুর্গা পুজোর প্যান্ডেলের আলোকচিত্র ভাগ করে নিলেন সবার মাঝে। বনগাঁ স্পোর্টিং ক্লাবে প্যান্ডেল কিন্তু অসাধারণ ছিল। এই প্যান্ডেলের সাজটা যতই দেখছিলাম আমি ততই মুগ্ধ হচ্ছিলাম। কারণ এই প্যান্ডেলটা সবথেকে ভিন্ন ভাবে সাজানো হয়েছে, তাও আবার অনেক বেশি নিখুঁতভাবে। আর দেখছি এবারের থিম ছিল বাঁশের ফুলের দুগ্গা সাজে। ফুলের সেপের মতো দিয়ে ঝুলিয়ে রাখাটা আমার কাছে সব থেকে বেশি দারুণ লেগেছে দাদা। এরকম দৃশ্য সরাসরি দেখলে তো আরো বেশি ভালো লাগবে। আপনি সরাসরি দেখে খুব ভালোই উপভোগ করেছিলেন। প্যান্ডেলটা বাঁশ দিয়ে সাজানো হয়েছে এই বিষয়টা সবথেকে ইউনিক ছিল দাদা। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা, প্রত্যেকগুলো পর্বের মতো এই পর্বটাও সবার মাঝে সুন্দরভাবে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
দাদা দুর্গাপুজোর অন্য সবগুলো পর্ব আমার না দেখা হলেও, এই দশম তম পর্ব টা দেখে কিন্তু অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আরো ৯ টা পোস্ট তাহলে আমি মিস করলাম দুর্গাপুজোর। তবে চেষ্টা করব একবার করে হলেও সেই পোস্টগুলো দেখে আসার। যদিও বনগাঁর একটি ক্লাবের আলোকচিত্র গুলো আমি দেখিনি, তবে আজকে আপনি ভিন্ন একটা স্থানের কিছু আলোকচিত্র তুলে ধরেছেন। আমার কাছে তো এই প্যান্ডেল টা দেখেই অনেক বেশি ভালো লেগেছে দাদা। তাই ভাবতেছি আগের প্যান্ডেল গুলোর সৌন্দর্য কি রকম ছিল? কিন্তু আমি চেষ্টা করব এই পর্বের পর থেকে সবগুলো পর্ব দেখার এবং পড়ার। এই ধরনের দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল আমি আগে কখনোই সরাসরি দেখিনি। তবে পোষ্টের মাধ্যমে কয়েকবার দেখেছিলাম। এই প্যান্ডেলের ডেকোরেশন দেখছি অনেক বেশি নিখুঁত ছিল দাদা। বাঁশ দিয়ে যে এরকম করে সাজানো যায়, এটা ধারণাই ছিল না কখনো আমার মধ্যে। আর পুরোটা বাঁশ দিয়ে সাজানোর কারণেই তো থিমের নাম দিয়েছিল বাঁশের ফুলে দুগ্গা সাজে। আপনাদের মায়ের এই মূর্তিটা আপনার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো দাদা। নিশ্চয়ই দুর্গাপূজার সময় অনেক জায়গায় গিয়েছিলেন আপনি?