ওয়েব সিরিজ রিভিউ: তাকদীর ( পর্ব ৭ )

in আমার বাংলা ব্লগ11 months ago (edited)
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে 'তাকদীর' ওয়েব সিরিজটির সপ্তম পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "প্রায়শ্চিত্ত"। গত পর্বে দেখেছিলাম যে মেয়ের কাছ থেকে পূর্বে কোনো স্টেটমেন্ট নিয়ে রেখেছিলো, সেটিকে পুনরায় তার কাছ থেকে বলিয়ে নেওয়ার জন্য থানায় যায় পুলিশের অনুমতি নেওয়ার জন্য। আজকে তার পরের কাহিনী কি হয় সেটা দেখবো।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠

সিরিজটির নাম
তাকদীর
প্লাটফর্ম
hoichoi
সিজন
পর্ব
প্রায়শ্চিত্ত
পরিচালকের নাম
সৈয়দ আহমদ শওকী
অভিনয়
চঞ্চল চৌধুরী, মনোজ কুমার প্রামাণিক, সানজিদা প্রীতি, সোহেল মন্ডল ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
১৮ ডিসেম্বর ২০২০ ( ইন্ডিয়া )
সময়
২২ মিনিট ( সপ্তম পর্ব )
মূল ভাষা
বাংলা
কান্ট্রি অফ অরিজিন
বাংলাদেশ


❂মূল কাহিনী:❂


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

তো বরফকলের ওখান থেকে তারা যখন থানায় যায়, তখন ওখানে আসলে যে অফিসার আগে কেসটা নিয়ে দেখাশুনা করছিলো, সে হঠাৎ করে সেখান থেকে ট্রান্সফার হয়ে যায়। এরপর যে অফিসার বর্তমানে আছে সে এই বিষয়ে মোটেও সহযোগিতা করতে রাজি হয় না, বরং আরো বেশি চেপে ধরে কেনো, কি বৃত্তান্ত এইসব নানান প্রশ্ন করতে থাকে। এরপর তারা মেয়েটার আত্মীয়ের পরিচয় দিয়ে বেরিয়ে আসে। এখানে পিছনের দিকে যদি একটু ঘুরে দেখা যায়, তাহলে আফসানার মৃত্যুর আগে শেষ বারের মতো চেয়ারম্যান এর বাড়িতে গিয়েছিলো ইন্টারভিউ এর জন্য। কারণ চেয়ারম্যান সেখানকার এলাকার জনগণদের কাছ থেকে বেয়ানিভাবে জমি দখল করে নেয় এবং সেখানে ঢুকতে একপ্রকার জোরজবরদস্তি মানা করে। ওখানে বেয়ানিভাবে কারখানা গড়ে তোলার একটা ধান্দা করেছিল আর এতে সাধারণ জনগণকে চাকরির ব্যবস্থা করে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়।


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

আর এইসব বিষয়ে তার কাছে প্রশ্ন করে কিন্তু চেয়ারম্যান সেই বিষয়টা এড়িয়ে গিয়ে আবোলতাবোল অন্য কথা বলে চলে যায়। এদিকে সেইসব লোকদের কাছ থেকে চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে সমস্ত কথা রেকর্ড করে রাখে আগের থেকে আফসানা। এখন চেয়ারম্যান এর বাড়ির থেকে বেরোনোর পরে তারা ঢাকায় যাওয়ার জন্য ফেরি ঘাটে যায়, কিন্তু চেয়ারম্যান ওখানে লোক পাঠিয়েছিল যেটা আগের পর্বে বলেছিলাম। এইবার মূল ঘটনায় এরপরে পুলিশ চেয়ারম্যান এর বাড়িতে যায় এবং জিজ্ঞাসাবাদ করে কিন্তু সব বিষয় না না জবাব দিয়ে কাটিয়ে দেয়, তার নিজের এলাকায় ফেরি দুই ঘন্টার উপরে যে বন্ধ ছিল সেটাও জানে না। পুলিশের সন্দেহের মধ্যে রেখে চলে যায় সেখান থেকে। এখন মন্টু থানার থেকে বেরিয়ে তাকদীরকে ফোন করে এইসব বললে রানার কাছ থেকে ওই মেয়ের এড্ড্রেস নিয়ে সোজা বাড়িতে চলে যেতে বলে, কিন্তু সেখানে গিয়েও তারা ব্যর্থ হয়, কারণ মেয়েটাও ওখানে আর নেই।


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

এদিকে চেয়ারম্যান এর একটা লোক মন্টু আর তাকদীর এর খোঁজ করতে করতে তাদের বাড়িতে গিয়ে গাড়ির খোঁজ পেয়ে যায় যেটা আগে বলেছিলাম কিন্তু সেখানে তার এক বন্ধুকেও রেখে এসেছিলো আর তাকে ধরে ফেলে। তাকে দিয়ে মন্টুকে ফোন করায়, যাতে সে জানতে পারে কোথায় আছে। মন্টুকে তার বন্ধু এইসব বললে রেগে গিয়ে খুবই মারধর করে রানাকে। এরপর মন্টু এই বরফকলের মধ্যে লাশটাকে নিয়ে থাকাটা ঠিক মনে করে না, আর তার জন্য সেখান থেকে যত দ্রুত সম্ভব বেরিয়ে যাওয়ার কথা বলে। এর জন্য সে চলে যায় গাড়িটি আনতে, কিন্তু গিয়ে দেখে গাড়ি নিয়ে গেছে আর তাদের বন্ধুকে উপরে দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে দিয়েছে। এখন কেঁচাল আরো বেশি করে বেধে গেছে, কারণ তারা যে বরফকল এর ওখানে আছে সেই কথাটা কেউ লিক করে দিয়েছে আর গাড়ি না পাওয়ায় তো আরো ঝামেলা বেশি হয়ে গেছে তাদের এই লাশ নিয়ে।


❂ব্যক্তিগত মতামত:❂

এখন এখানে ঘটনা যেটা দাঁড়িয়েছে, যে রানার সাথে সেই লোকটার একটা যোগাযোগ রয়েছে আর সে ওই লাশ কাটা লোকটার ফোন নিয়ে তার কাছে খবর দিয়ে দেয়। তবে এখানে এই বিষয়টা রানা এখন তাদের চাপে পড়ে এই কাজগুলো করতে পারে আবার সরাসরি কোনো লিঙ্কও থাকতে পারে। এর মধ্যে রানা সেই ফোন নিয়ে চুপিসারে সেখান থেকে পালিয়ে চলে যায় আর এইটা দেখে তাদের অবস্থাও আরো খারাপ এবং সন্দেহ আরো বেশি করে করে যে এই লোকটাই সবকিছু ঘটাচ্ছে পিঠপিছে। যে লোকটা এখন গাড়ি নিয়ে চলে এসেছিলো সে রানার সাথে দেখা করে আর রানাও তাকে তাদের জায়গার কথা বলে দিতে চায় অর্থাৎ লাশ কোথায় আছে। এদিকে তারা সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আগেই সেই গাড়ি নিয়ে বরফকলের ওখানে পৌঁছিয়ে যায়, এখন দেখার বিষয় যে ফাইটিং টা কি হচ্ছে এই লাশের ব্যাপারে তাদের সাথে।


❂ব্যক্তিগত রেটিং:❂
৮.৮/১০


❂ট্রেইলার লিঙ্ক:❂



শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 11 months ago 

দেখতে দেখতে তাকদীর' ওয়েব সিরিজটির সপ্তম পর্ব রিভিউ পড়ে ফেললাম। দাদা রানা লোকটাকে আমার আগেই সন্দেহ হয়েছে। তার লাশের সাথে কোন সম্পর্ক আছে। কারন সে লাশের ব্যাপারে অনেক কিছু জানে। আবার লাশের মোবাইল নিয়ে চুপিসারে কার সাথে কি কথা যেন বলেছে। আবার অন্য দিকে মন্টু এই বরফকলের মধ্যে লাশটাকে নিয়ে থাকাটা ঠিক মনে করে না, আর তার জন্য সেখান থেকে যত দ্রুত সম্ভব বেরিয়ে যাওয়ার কথা বলে। এর জন্য সে চলে যায় গাড়িটি আনতে, কিন্তু গিয়ে দেখে গাড়ি নিয়ে গেছে আর তাদের বন্ধুকে উপরে দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে দিয়েছে। এখন কেঁচাল আরো বেশি করে বেধে গেছে, কারণ তারা যে বরফকল এর ওখানে আছে সেই কথাটা কেউ লিক করে দিয়েছে। এখন দেখা যাক ঘটনা কোন দিক থেকে কোন দিকে মোড় নেয়। ধন্যবাদ।

 11 months ago 

দাদা আজকে আপনি তাকদীর ওয়েব সিরিজটির সপ্তম পর্ব শেয়ার করেছেন দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। আসলে এই কয়েকদিন পর্যন্ত এই ওয়েব সিরিজের এই পর্বটা পড়ার অপেক্ষায় ছিলাম। আসলে এই ওয়েব সিরিজটার পর্বগুলো যত এগোচ্ছে ততই অনেক রকম রহস্যের মধ্যে জড়িয়ে যাচ্ছে। এখন তো দেখছি তাদের বন্ধুকে মেরে সেই গাড়িটাও নিয়ে গিয়েছে। আর তাদের বন্ধুকে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমি তো ভাবছি তারা যে বরফ কলের ওখানে রয়েছে, এটা আবার কে জানতে পারল এবং কে তাদের লিক দিয়ে দিয়েছে। আর পরবর্তীতে কিন্তু আরো অনেক কিছু ঘটতে চলেছে। দাদা আশা করছি আপনি এই ওয়েব সিরিজের পরবর্তী পর্ব টা আমাদের মাঝে খুব শীঘ্রই শেয়ার করবেন। অধির আগ্রহে থাকলাম এই ওয়েব সিরিজের পরবর্তী পর্ব টা দেখার জন্য। অসম্ভব দাম ছিল সম্পূর্ণটা এটাই বলতে হয় সবশেষে।

 11 months ago 

দাদা আপনি প্রতিনিয়ত আমাদের মাঝে ওয়েব সিরিজের রিভিউ পোস্ট শেয়ার করে থাকেন। আমার কাছে সবসময় আপনার ওয়েব সিরিজের রিভিউ গুলো খুবই ভালো লাগে। তাকদীর ওয়েব সিরিজটার প্রত্যেকটা পর্ব আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দরভাবে শেয়ার করে আসছেন। দেখতে দেখতে এই ওয়েব সিরিজের সপ্তম পর্ব ও শেষ হয়ে গিয়েছে। আর যত বেশি পর্ব বাড়ছে ততই রহস্যের মধ্যে জড়িত হচ্ছে । আবার তারা সেই রহস্য গুলো বাইরে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। আর তারা তো গাড়ি নিয়ে আসতে গিয়ে দেখে, তাদের বন্ধুকে দড়ি দিয়ে বেঁধে ঝুলিয়ে রেখেছে এবং গাড়িটা ওই লোক নিয়ে গিয়েছে। আর এখানে তো আবার গাড়ি ছাড়া লাশ নিয়ে যাওয়া যাবে না। আর তারা এখনো পর্যন্ত কোনো রকম তথ্য জোগাড় করতে পারেনি। তারা যে বরফ কলের এখানে আছে এটা আবার কে লিক দিয়েছে? যাই হোক আশা করছি এগুলো আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসবে এবং মেয়েটার আসল খুনি শাস্তি পাবে। শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই দাদা।

 11 months ago 

'তাকদীর' ওয়েব সিরিজটির সপ্তম পর্ব রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো দাদা। নতুন নতুন তথ্য জানতে পারলাম। যদিও বেশ কয়েকদিন আগে এই পোস্ট শেয়ার করেছিলেন। তবে ব্যস্ততার কারণে সেভাবে পড়ার সুযোগ হয়নি। গত পর্বে আমরা জানতে পেরেছিলাম চেয়ারম্যানের লোকজন তাদেরকে খুঁজছে। এমনকি তাদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজাখুঁজি করছে। আর তাদের বন্ধুর মাধ্যমে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করেছে। মন্টু এবং তকদিরের খোঁজ করার জন্য তারা রানাকে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে। যেহেতু আড়াল থেকে কেউ সব তথ্য ফাঁস করে দিচ্ছে তাই তো তারা বরফ কলের পাশে থাকা নিরাপদ মনে করছে না। কিন্তু তারা সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আগেই লোকজন সেখানে চলে আসে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম দাদা। অনেক সুন্দর ভাবে এই ওয়েব সিরিজের সপ্তম পর্ব রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59887.64
ETH 2670.13
USDT 1.00
SBD 2.47