চিংড়ি দিয়ে জ্বালি কুমড়ো এবং আলুর রসা রসা রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। এই রেসিপিটা বেশ কিছুদিন আগে করা ছিল আর এটি করেছিলাম কুমড়ো-আলু দিয়ে চিংড়ির রসা রসা রেসিপি। এই কুমড়োটা জালি, তবে এই কুমড়োটি কিনেছিলাম অনলাইন থেকে। কোনো কিছু খাওয়ার ইচ্ছা হলে আর সেটা লোকাল বাজারে না পেলেও অনলাইন মার্কেটে খুব সহজে পেয়ে যাই। আর আগে একবার বলেছিলাম আমাদের এখানে রাত ১২ টা অব্দি অনলাইন ডেলিভারি চলে তাই যখন খুশি দিলে ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে বাড়িতে দিয়ে যায়। আমি আসলে মাঝে মাঝে বাজারে না যেতে পারলে অনলাইনে অর্ডার করে দেই, কিছু সিজনাল সবজি অর্ডার করতে গিয়ে এই কুমড়োটা সামনে আসলো, ভাবলাম অনেকদিন খাওয়া হয় না, কিনে নেই। কুমড়োটা বেশ ভালো ছিল আর খাওয়ার সময় স্বাদেরও ছিল। চিংড়ি বর্তমানে আমাদের বাড়িতে তরকারিতে তেমন রান্না না হলেও অন্যান্য পদ্ধতিতে প্রতিদিনই প্রায় খাওয়া চলছে, আসলে আমি চিংড়ি রান্না করার জন্য না রেখেই ভর্তা, পকোড়া, চপ এইসব যেমন তেমন করে খেয়ে ফেলছি। যদিও এইসব থেকে আমি অনেক দিন কন্ট্রোলে আছি, কিন্তু এখন ঠান্ডার সময়ে এইসবের কথা ভাবলে মনটা আর বাধা মানে না। যাইহোক, এই জ্বালি কুমড়ো দিয়ে কিন্তু রসা রসা তরকারি খেতে বেশ মজাদার লাগে, আমার কাছে এইভাবে একটু বেশিই ভালো লাগে যেন খেতে সেটা চিংড়ির সাথে হোক বা কাঁকড়ার সাথে হোক। যাইহোক, এখন রেসিপিটার প্রস্তুত প্রণালীর দিকে চলে যাবো।
❂প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:❂
✔এখন রেসিপিটা যেভাবে প্রস্তুত করলাম---
✠প্রস্তুত প্রণালী:✠
➤জ্বালি কুমড়োটিকে প্রথমে কেটে পিচ পিচ করে নিয়েছিলাম এবং পরে জল দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছিলাম। এরপর আলুগুলোর খোসা ছালিয়ে নিয়ে কেটে ধুয়ে রেখেছিলাম।
➤রসুনের কোয়াগুলো আলাদা করে নেওয়ার পরে তার থেকে খোসা ছালিয়ে নিয়েছিলাম। এরপর কাঁচা লঙ্কাগুলো কেটে ধুয়ে নিয়েছিলাম।
➤চিংড়িগুলোকে একবার ধুয়ে নেওয়ার পরে তাতে লবন আর হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর ভালোভাবে মিক্স করে নিয়েছিলাম একসাথে।
➤কড়াইতে অল্প তেল দিয়ে তাতে চিংড়ি দিয়ে দিয়েছিলাম এবং ভালোভাবে ভাজা করে তুলে নিয়েছিলাম।
➤চিংড়ি ভাজার পরে কড়াইতে আরেকটু তেল দিয়ে আলুর পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর আলু ভাজা হয়ে আসলে তুলে নিয়েছিলাম।
➤আলু ভাজার পরে একইভাবে কুমড়োর পিচগুলো ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।
➤সব ভেজে নেওয়ার পরে কড়াইতে আরেকবার তেল দিয়ে পাঁচফোড়ন দিয়ে দিয়েছিলাম এবং তাতে রসুনের কোয়াগুলো ছেড়ে দিয়েছিলাম।
➤এরপর একসাথে ভেজে নেওয়ার পরে তাতে আগে থেকে ভেজে রাখা কুমড়ো আর আলুর পিচগুলো পর পর দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤এরপর তাতে কাঁচা লঙ্কা আর ভাজা চিংড়ি দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে স্বাদমতো লবন আর হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤লবন আর হলুদ দেওয়ার পরে তাতে পরিমাণমতো জল দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর সবজিগুলো সেদ্ধ করে নেওয়ার জন্য কিছুক্ষন ঢেকে জ্বাল দিয়ে নিয়েছিলাম।
➤সবজিগুলো ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে আসলে ঢাকনা সরিয়ে নিয়েছিলাম এবং তরকারির ঝোলটা একদম কমিয়ে নেওয়ার জন্য আরো কিছুক্ষন মিডিয়াম আঁচে জ্বাল দিয়ে নিয়েছিলাম।
➤তরকারির ঝোলটা একদম কমিয়ে নিয়ে রসা রসা ভাব চলে আসলে নামিয়ে নিয়েছিলাম এবং জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে পরিবেশনের জন্য একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আসলেই দাদা কিছু কিছু জিনিস লোকাল মার্কেটে না পাওয়া গেলেও, অনলাইনে ঠিকই পাওয়া যায়। কালকে বিকেলে সবজি কিনতে গিয়ে এমন জ্বালি কুমড়ো পেয়েছিলাম। তবে আমি ভেবেছিলাম এমন জ্বালি কুমড়ো খেতে মনে হয় ততোটা স্বাদ লাগে না, তাই কেনা হয়নি আমার। তবে এখন তো মনে হচ্ছে না কিনে ভুল করেছি। যদিও এমন জ্বালি কুমড়ো দক্ষিণ কোরিয়াতে থাকা অবস্থায় অনেক খেয়েছি। কিন্তু বাংলাদেশে কখনো খাওয়া হয়নি এমন জ্বালি কুমড়ো। শীতকালে পাকোড়া বা ভাজাপোড়া যেকোনো আইটেম খেতে দারুণ লাগে। যাইহোক চিংড়ি মাছ দিয়ে জ্বালি কুমড়ো এবং আলুর ঝোল ঝোল রেসিপি দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে দাদা। গরম গরম ভাতের সাথে এই রেসিপিটা খেতে দারুণ লাগবে। রেসিপির কালারটাও চমৎকার এসেছে। আসলে চিংড়ি মাছের যেকোনো রেসিপি আমার খুব পছন্দ। সবমিলিয়ে রেসিপিটা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো দাদা। যাইহোক এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
দাদা অনলাইনে এরকম সবজি অর্ডার করার বিষয়টা কিন্তু বেশ ভালোই। আপনি মাঝে মাঝে অনলাইন থেকে সবজি কিনে থাকেন জেনে ভালোই লাগলো। কখনো যদি বাজারে যেতে না পারা হয়, তাহলে কিন্তু অনলাইন থেকে কিনলে ভালোই হয়। আমাদের এদিকে যদিও এরকম কোন সিস্টেম নেই, তবে আপনাদের ওই দিকের এই সিস্টেমটা খুব ভালো লেগেছে। আপনি আজকে চিংড়ি মাছ দিয়ে জালি কুমড়ো এবং আলুর রসা রসা রেসিপি তৈরি করেছেন, যেটা দেখেই খুব লোভ লেগে গিয়েছে। আপনি কিন্তু আজকে খুবই স্বাস্থ্যসম্মত একটা রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন। যেটা খেলে আমাদের শরীরের জন্য ও অনেক বেশি উপকারিতা হবে। চিংড়ি মাছ এমনিতেই আমার অনেক বেশি পছন্দের। আর চিংড়ি মাছ দিয়ে কোন কিছু তৈরি করলে এমনিতেই সুস্বাদু হয়। সেই সাথে জালি কুমড়ো এবং আলু আরও বেশি পছন্দের। অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা, মজাদার এই রেসিপি টা সবার মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
বাহ ভালই তো অনলাইনে অর্ডার করেছিলেন। চিংড়ি মাছ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। যাইহোক আমি কখনো কুমড়ো দিয়ে আলু একসাথে রান্না করিনি। বলা যায় নতুন একটি রেসিপি শিখলাম। জালি কুমড়া এমনি খেতে খুবই টেস্টি। রেসিপিটি দেখতে খুবই লোভনীয় হয়েছে ভাইয়া।
দাদা আজকে খুবই ভিটামিন যুক্ত একটি সবজির রেসিপি শেয়ার করেছেন। কুমড়ো-আলু দিয়ে চিংড়ির রসা রসা রেসিপি। আপনাদের দিকে এটাকে জ্বালি কুমড়ো বললেও আমাদের দিকে বলা হয় মিষ্টি কুমড়ো। এই সবজিটা আমারও খুব প্রিয়। আমি প্রায় সময় বাজার থেকে কিনে থাকি। আপনি তো বাজারে না পেলে অনলাইন থেকে অর্ডার করে নেন। আমি অনলাইনে এখন পর্যন্ত কোন কিছু অর্ডার করিনি। কারন আমাদের অনলাইন মার্কেট গুলো হলো চুরের রাজা। তারা কোন দিন ভালো জিনিষ অনলাইনে সেল করে না। মানুষকে কিভাবে ঠকিয়ে টাকা উপার্জন করা যায়,তারা শুধু সেই চিন্তা করে। যায়হোক নিজের দেশের মানুষের বিরুদ্ধে বলতে খারাপ লাগে,তারপরও মনের দুঃখে বলতে হয়। এটি আবার সিজন ছাড়া পাওয়া যায় না। এই কুমড়োর সাথে চিংড়ি মাছটা হেব্বি জমে। আমি অনেক বার চিংড়ির সাথে এটি খেয়েছে। এই সবজিটি অনেক ভাবে রান্না করে খাওয়া যায়। আবার ভর্তা করেও খাওয়া যায়। আপনাদে দেখলাম কুমড়োর বাকল গুলো নো ফেলে রান্না করেছেন। এটি একটি বুদ্ধিমানের কাজ করেছেন। বাকল গুলোতে অনেক উপকার রয়েছে। রেসিপিটা দারুন ছিল। ধন্যবাদ দাদা।
খুব সুন্দর একটি রান্নার রেসিপি শেয়ার করেছেন। দেখতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে।এই রেসিপিটি ব্যক্তিগতভাবে আমার অনেক প্রিয়। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রান্না রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বাহ! দাদা রাত বারোটা অবধি ডেলিভারি চলে আপনাদের দিকে তাহলে। আমাদের এখনও এমন ব্যবস্থা চালু হয়নি। আর অনলাইনে সবজি কেনাটা ভালো নাকি খারাপ বুঝাও মুশকিল ্গ্রামের হাটেঁর টাটকা সবজিই খেতে মজা! যাক, অনেকদিন পরে জালি কুমড়া দিয়ে চিংড়ির কম্বিনেশন এ মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। খেতেও নিশ্চয় মজা হয়েছিল দাদা!
দাদা অনলাইন কিন্তু অনেক সুবিধা জনক একটা বিষয়। যেহেতু আপনি অর্ডার করার ১০-১৫ মিনিটের মধ্যেই চলে আসে। এরকম সময়ের মধ্যে চলে আসলে কিন্তু বেশ ভালোই লাগে। আপনি অনলাইনে মাঝে মাঝে সবজি অর্ডার করে থাকেন, এটা আপনার আরো কয়েকটা পোস্টেও জেনেছি দাদা। জ্বালি কুমড়ো দেখার পর জ্বালি কুমড়ো অর্ডার করেছিলেন এবং খুবই মজাদার পদ্ধতিতে রান্না করেছেন। এরকম ভাবে যেকোনো রেসিপি তৈরি করলে কিন্তু সেগুলো অনেক সুস্বাদু হয়, আর খেতেও অনেক ভালো লাগে। আমি নিজেও রসা রসা করে মাঝে মাঝে রেসিপি তৈরি করে থাকি, যা খেতে অনেক ভালো লাগে। জ্বালি কুমড়ো কিন্তু আমার অনেক বেশি পছন্দের একটা সবজি। আর এটা যেভাবে ই রান্না করা হোক না কেন, খেতে এত বেশি সুস্বাদু হয় যার স্বাদ মুখে লেগে থাকে। আপনি যেভাবে এই রেসিপিটা তৈরি করেছেন এভাবে যদিও কখনো তৈরি করা হয়নি, তবে পরবর্তীতে কখনো এভাবে তৈরি করার চেষ্টা করব।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
যদিও আমি জ্বালি কুমড়ার মানে বুঝিনি।তবে কুমড়োর ছবিটি দেখে তো আমার নরমাল কুমড়ো ই মনে হলো।এই রেসিপিটা আমাদের বাসায় শীতে খুব হয়,খেতে ভালোই লাগে।
জ্বালি কুমড়ো মানে হলো কচি কুমড়ো, যেগুলো ছোট অবস্থায় থাকে। বিভিন্ন নামে এক একজন ডাকে আর কি। আর এইগুলো খেতে বেশি ভালো লাগে সাধারণ ভাবে রান্না করলেও।
চিংড়ি মাছের সুন্দর একটি রেসিপি আজকে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দাদা। আমি প্রায় লক্ষ্য করি আপনি যখনই রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেন তখন রিসিভের উপস্থাপনাটা খুব সুন্দর করে সাজিয়ে থাকেন। বেশ ভালো লাগে আপনার সুন্দর সুন্দর ব্লগ গুলো। অনেক ভালো লাগলো আপনার এই পোস্ট দেখে।