মুভি রিভিউ: নিশি তৃষ্ণা
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই সুস্থ, স্বাভাবিক আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজকে আপনাদের সাথে একটা বাংলা মুভি রিভিউ শেয়ার করে নেবো। আজকে যে মুভিটি রিভিউ দেবো সেটির নাম হলো "নিশি তৃষ্ণা"। এই নিশি তৃষ্ণা মুভিটির কাহিনী হরর কেন্দ্রিক। এই মুভিটি আমি আগে কখনো দেখিনি, মূলত বাংলা ভাষায় বা বাঙালি অভিনেতাদের হরর কাহিনী আমার তেমন দেখা হয় না। আর এমনিতেও বেশি এইধরণের বাংলা ভাষায় দেখা যায় না। এর কাহিনীটি বাংলা ভাষায় হলেও আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আশা করি কাহিনীটি পড়ে আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।
☫কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:☫
✔মূল কাহিনী:
মুভির শুরুতে দেখা যায় যে একটা মেয়ে মডেলিং এর শুটিং এর জন্য ফটো তুলছে বিভিন্ন ভাবে। এখানে এই মেয়েটির স্বামী নিজেই মডেলিং এর যাবতীয় কাজ করতো তাই তার স্ত্রীকেও মডেলিং এ কাজ করাতে চায়। কিন্তু সে যখন কোনো ফটো শুট করতে যায় তখন মেয়েটি বিভিন্ন ধরণের আওয়াজ শুনতে পায় যেমন ঘোড়ার খুরের শব্দ, বিড়ালের ডাকের শব্দ আর এইসব শব্দে তার একটু বিরক্ত বোধ হয়। এরপর লোকটি কফি বানাতে রান্না ঘরে চলে যায় আর মেয়েটিও ফ্রেশ হতে ওয়াশরুমে চলে যায়। এরপর বাইরে দুইজন চকিদার পাহারা দেওয়ার সময় ঘোড়ার খুরের শব্দ শুনে সামনের দিকে যায় এবং একটা লোককে দেখতে পায় যার আবার একটি চোখ অন্ধ। এরপর তারা লোকটিকে জিজ্ঞাসা করে এতো রাতে কোথায় যাচ্ছ তখন লোকটি মিসকি হাসি দিতে লাগে কোনো কথা না বলে। এরপর সেই মেয়েটি ওয়াশরুমে একটি লোকের ছায়া দেখতে পায় আর এতে ঘাবড়িয়ে যায় তখন হঠাৎ চিৎকার করে ওঠে আর তার স্বামী কিচেন থেকে দ্রুত সেখানে গিয়ে দেখে সে মারা যায়। এরপর সেই মেয়েটির মৃত দেহটিকে ফাদার একটি বাক্সে বন্ধ করে মাটিতে পুঁতে দিয়ে দেয়, তবে ফাদার মেয়েটির মধ্যে মৃত অবস্থাতেও ভয়ানক কিছু অনুভব করে আর সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সেখানকার একজন টনি নামক লোকটিকে সাবধানে থাকতে বলে। এরপর সেই লোক রাতে প্রসেনজিৎ এর অফিসে একজন লোকের সাথে দেখা করতে যায় কিন্তু তাকে পিছন দিক থেকে টনি টনি বলে ফিস ফিস করে ডাকছে যেটা তার মনের মধ্যে একটা ভয় হিসেবে গেঁথে গেছে। যাইহোক এরপর প্রসেনজিত অফিসে আসলে সেখানে সে একটা রাজ প্রাসাদে যাওয়ার কথা বলে কিন্তু একজন বলে ওখানে যাওয়াটা নিরাপদ নয় একপ্রকার কারণ এর আগে সেখানে যারা গিয়েছে তারা কেউ বেরিয়ে আসতে পারিনি।
প্রসেনজিৎ সবকিছু শোনার পরেও রাজি হয় যেতে সেখানে কারণ সে এইসব কুসংস্কারে বিশ্বাস করে না। আর অফিস থেকে বেরিয়ে টনি নামক লোকটি একটি ফোটোগ্রাফি করার অর্ডার পেয়ে রাস্তা দিয়ে বনবিশ্রাম নামক একটি বাড়িতে যেতে লাগে কিন্তু রাস্তায় ফের তাকে সেই নাম ধরে ফিস ফিস করে ডাকতে লাগে আর তার তো ভয়ে একপ্রকার গলা শুকিয়ে যায়। এরপর সে ভয়ে ভয়ে কোনোমতে বাড়িতে গিয়ে পৌঁছায় এবং সেখানে একটা বাচ্চা মেয়ের কিছু ফটো তুলে দিতে হবে বলে। টনি বাবু বলে পরের দিন তুলে দেবো আর এইটা বলে সেখান থেকে বেরোতেই তাকে আরো জোরে জোরে ঘন ঘন ডাকতে লাগে আর সে সেখান থেকে পাগলের মতো হোঁচট খেতে খেতে চলে যায়। এদিকে প্রসেনজিৎ আর তার বন্ধুরা মিলে গাড়িতে করে সেই প্রাসাদের দিকে রওনা হয় আর মাঝখানে হঠাৎ তাদের গাড়ি খারাপ হয়ে যায়। এরপর সেখানে নেই কোনো মেকানিক তাই একজন গাড়ির কাছে থাকলো আর অন্যরা একটি ঘোড়ার গাড়ি সামনে দেখতে পেয়ে সেটিতে করে রওনা হলো। কিন্তু ওই জায়গার নাম শুনে প্রথমে যেতে রাজি হচ্ছিলো না, পরে টাকা বেশি দেওয়ার কথা বললে রাজি হয়। এরপর তারা যেতে লাগে সেই রাতে এবং অবশেষে সেখানে পৌঁছায় কিন্তু সেখানে তারা দেখে একটা আদিবাসী মেয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। যাইহোক এরপর সেখান থেকে পায়ে অল্প একটু হেঁটে পুরানো সেই কুটির বা প্রাসাদে পৌঁছায় এবং জন নামক একজন লোক সেখানে থাকতো। এরপর সে সবাইকে আহবান জানিয়ে ভিতরে নিয়ে যায়।
প্রাসাদের ভিতরে যাওয়ার পরে সবাই যার যার রুমে বিশ্রামে চলে যায় আর রাতে হঠাৎ বাইরে থেকে নিশি তৃষ্ণা নাম দিয়ে গান গাইতে থাকে যার সুর প্রসেনজিৎ কে আর বিশ্রাম নিতে দেয় না, সে বাইরে বেরিয়ে দেখে একজন মেয়ে এই গানটি গাইছে আর কিছুক্ষন পরে সে অদৃশ্য হয়ে যায়। প্রসেনজিৎ সেই মুহূর্তে কিছুই বুঝে উঠতে পারে না। এদিকে তার একজন যে বন্ধু গাড়ির ধারে কাছে ছিল আর সে যখন গাড়ি ঠিক করে প্রাসাদ এর ধারে কাছে এসে পৌঁছায় তখন একটি মেয়েকে মানে অতৃপ্ত আত্মা কে দেখতে পায় কিন্তু লোকটি বুঝতে পারে না যে সে আত্মা। এরপর লোকটি মেয়েটির কাছে যেতেই রূপ পরিবর্তন হয়ে যায় আর লোকটি ভয়ে দ্রুত গাড়িতে এসে বসে কিন্তু গাড়ি স্টার্ট নিতে চায় না। এরপর সেই আত্মাটি তার গাড়ির ধারে এসে তার শক্তির দ্বারা গাড়ির দরজা খুলে দেয়। এরপর লোকটির ঘাড়ে কামড় বসিয়ে রক্ত চুষে খায় আর তাকে মেরে ফেলে। এরপর সকাল হলে প্রসেনজিৎ আর তার বন্ধুরা চা খেতে খেতে বলে তার সেই বন্ধু তাপস গাড়ি নিয়ে দুপুরের মধ্যে পৌঁছে যাবে কিন্তু সেখানে তাদের সাথে যে শিমলি নামক মেয়েটি এসেছিলো সে বললো যে গেটের সামনে কাল একটা গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি এবং হেড লাইটও জ্বলছিল। তবে এই কথা শুনে তারা তেমন গুরুত্ব দেইনি কারণ তারা ভেবেছে যে তাপস আসবে আর আমাদের কাউকে ডাকবে তাই হয় নাকি। এরপর প্রসেনজিৎ এর সাথে ধীরে ধীরে শিমলির একটা বন্ধুত্ব তৈরি হয়ে যায়। আর শিমলির যমজ বোনটিকে জন নামক সেই লোকটি এক জায়গায় বন্দি করে রেখেছে এবং সে তাকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে কিন্তু জন এর চালাকিতে সে এখনো ছাড়িয়ে উঠতে পারিনি।
শিমলিকে জন একটি ঘরে আটকিয়ে রাখে এবং জনকে দেখাশুনা করে রাখার জন্য একটা কাজের লোক রেখে দেয় তাও আবার সে কথা বলতে পারে না। সেই বোবা লোকটি বুদ্ধি করে দরোজার সিটকিনি খুলে দিয়ে শিমলিকে পালাতে সাহায্য করে। জন জেনে গেলে বোবা লোকটির উপর চাবুক মারতে লাগে একভাবে। এরপর ওই প্রাসাদে পিশাচ এর মতো দেখতে একটা লোক ছিল যা রক্ত খেয়ে মেরে ফেলতো। আর এটাও জন এর সৃষ্ট একটি পিশাচ যা সময় এলে কাজে লাগাতে পারে। শিমলির যমজ বোনকে যেখানে আটকিয়ে রেখেছিলো সেখানে গিয়ে রক্ত চুষে মেরে ফেলে। এরপর সেখানে পরে শিমলি যায় এবং দেখে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে । এরপর ওই রক্ত চোষা পিশাচটি যখন ফিরে আসছিলো তখন প্রসেন এর এক বন্ধুকে দেখে ফেলে আর তাকে বসে এনে রক্ত চুষে মেরে ফেলতে যায় কিন্তু সেখানে সময় মতো শিমলি চলে আসে ফলে আর তেমন ক্ষতি করতে পারে না। এরপর শিমলি প্রসেনজিৎ ওদের সবকিছু বলে আর সেখান থেকে রাতের মধ্যে পালানোর জন্য তৈরি হয়। এরপর তারা গোপন রাস্তা খুঁজে সেখান থেকে সবাই বেরিয়ে আসে আর ভালোভাবে তারা পৌঁছিয়ে যায় তাদের বাড়িতে। এরপর প্রসেন অফিসে আসার পরে রাতের দিকে ট্রাক ভর্তি মাল আসে আর ম্যানেজারকে বলে গোডাউনে রেখে দেওয়ার কথা।
রক্ত চোষা সেই পিশাচটি রাতের আঁধারে সেই প্রাসাদ থেকে বেরিয়ে শহরের দিকে চলে আসে আর প্রসেন এর এক পরিচিত মেয়ের বাড়িতে হানা দেয়। এরপর সে চোখের দৃষ্টির দ্বারা আকর্ষিত করে মেয়েটিকে অবস বা বশীভূত করে ফেলে একপ্রকার। আর মেয়েটির রক্ত চুষে সেখান থেকে চলে যায়। প্রসেন সেখানে সময় মতো পৌঁছিয়ে তাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলে সেখানে ক্ষতটা ঢেকে দিয়ে ঔষধ দিয়ে দেয়। এরপর তারা সেই পিশাচের কথাটা ডক্টরের সাথে আলোচনা করে এবং সেও কিছুটা আন্দাজ করতে পারছে কামড়ের স্থানটা দেখে। এরপর ডক্টরের চোখে দেখাও এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে তাদের সাথে। এই ডাক্তার অনেক বছর আগে যাকে ভালোবাসতো সে এইসব প্রেতাত্মা এর বিষয় নিয়ে পড়তো আর একদিন হঠাৎ তার জানতে ইচ্ছা হয় যে মানুষ মারা যাওয়ার পরেও কি তার মধ্যে কোনো আত্মা প্রবেশ করতে পারে। এরপর সে একজন মন্ত্র জ্ঞান পাঠ করা লোকের কাছে গিয়ে এইরকম একটা অলৌকিক ঘটনা ঘটাতে বলে আর সে একটা মৃত ব্যক্তিকে যখন বাঁচিয়ে তোলে তখন এই ডাক্তার সেখানে গিয়ে উপস্থিত হয় আর সব দেখে ফেলে আর এই হলো সেই পিশাচ যা সবার রক্ত খেয়ে বেড়াচ্ছে। যাইহোক এরপর সেই মেয়েটিকে আবারো সেই ক্ষত স্থান থেকে রক্ত পান করে আর শেষে সবাইকেই মেরে ফেলে ওই বাড়ির। প্রসেন সেখানে উপস্থিত হলে ডাক্তারকে ফোন করে সব বলে আর পিশাচটিকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় সবাই মিলে। এরপর ডাক্তারকে সাথে নিয়ে সবাই সূর্য ডোবার আগেই সেই প্রাসাদে পৌঁছিয়ে পিশাচটিকে মেরে ফেলে।
✔ব্যক্তিগত মতামত:
এই মুভির কাহিনীটি আমার কাছে জাস্ট অসাধারণ লেগেছে। বাংলা মুভিতে যে হরর জাতীয় কাহিনী এতো ভালো ফুটিয়ে তোলা যায় সেটা এই মুভির কাহিনী দেখে প্রমাণিত। আসলে ওই সময়ের কাহিনীগুলো আর অভিনয়ের ধারণাটাও ভালো ছিল সাদা কালো পর্দায়। এই কাহিনীতে প্রথমে যে মহিলাটিকে মেরে ফেলেছিলো সেইটা এই পিশাচীই ছিল আর ওই মহিলার মরার পরেও তার মধ্যে পিশাচের কিছু বৈশিষ্ঠ্য লক্ষণ পায় যেটা ফাদার দেখেছিলো। আর এই টনি লোকটিই ছিল ওই মহিলার স্বামী, যাকে বার বার ভয় দেখাচ্ছিল। এরপর এই পিশাচ তো একপ্রকার খারাপ আত্মার ন্যায় তৈরি করা ছিল যা দিনের বেলা ঘুমিয়ে থাকে আর রাত হলেই রক্ত পিপাশায় উন্মাদ হয়ে যায় আর তাদের ওইসময় এতো শক্তি বাড়ে যে কোনোভাবেই কোনো কিছু দিয়ে আঘাত করে মারা যায় না। তাই এইসব পিশাচের মৃত্যুর জন্য দিনের বেলায় উত্তম সময় হয়ে থাকে কারণ ওই সময় তারা শক্তিহীন থাকে। যাইহোক এই ছিল এই মুভিটির কাহিনী আর যথেষ্ট ইন্টারেষ্টিং ছিল লাস্ট পার্টের দিকে।
ব্যক্তিগত রেটিং:
০৮/১০
✔মুভির লিঙ্ক:
আমি হরর মুভি অনেক পছন্দ করি। বাংলা হরর মুভিগুলোও আমার ভালোই লাগে। এই মুভিট দেখে মনে হচ্ছে এটা প্রসেনজিৎ এর অনেক আগের মুভি। আমার মতে প্রসেনজিৎ এর আগে আর কোনো হরর মুভিতে অভিনয় করে নাই। আমার কাছে প্রসেনজিৎ এর অভিনয় অনেক ভালো লাগগে। মৃত্যুর পরও মুক্তি না পাওয়া অতৃপ্ত আত্মার কাহিনীগুলো আমার কাছে বেশ ভালো লাগে।
দাদা আপনি নিশি তৃষ্ণা মুভির রিভিউ করেছেন। পুরো মুভির কাহিনী পড়ে আমার কাছে অসাধারণ লাগছে। এই টাইপের হরর মুভিগুলো খুব ভালো লাগে রাতে একা একা দেখতে। মুভিতে বোবা লোকের কাজটা আমার খুব ভালো লেগেছে সে যখন শিমুলিকে পালাতে সাহায্য করে। মুভির শেষের দিকে বেশ টান টান উত্তেজনা ছিলো পড়তে ভালো লাগছিলো। আমি অবশ্যই এই মুভিটি দেখবো।
দাদ, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই অসাধারণ মুভিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার প্রতিটি মুভি-রিভিউ আমার খুব ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে খুঁটিনাটি বিষয়াদি তুলে ধরেন। দাদা আপনার পরবর্টী আকর্ষনের অপেক্ষায় রইলাম। শুভকামনা রইলো দাদা। 💓💓
প্রসেনজিৎ এর মুভি গুলো দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে। তবে প্রসেনজিৎ যে এরকম হরর মুভি করেছে সেটা আমার জানা ছিল না। আপনার মুভি রিভিউ থেকে আজকে জানলাম। আজকের এই মুভি রিভিউর কথা আর কি বলব আপনি সবসময় খুব ভালো মুভি রিভিউ করেন। আজকের এটাও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আজকেরে মুভি রিভিউ টা পড়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আর আমার কাছে হরর মুভি গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে আবার একটা একটু ভয়ও লাগে তারপরও দেখি। তাই আমি সময় করে অবশ্যই এই মুভিটি দেখব। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর করে হরর মুভি রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
হরর মুভি দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে রাতের বেলায় হরর মুভি দেখলে আলাদা রকমের অনুভূতি হয়। একদিকে যেমন মনের মাঝে অজানা ভয় কাজ করে অন্যদিকে এক অন্যরকম অনুভূতি তৈরি হয়। দাদা আমি যখন আপনার লিখা হরর মুভি রিভিউ পড়ছিলাম তখন খুবই মনোযোগ দিয়ে পড়ছিলাম। শ্রদ্ধেয় স্যার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় আমার খুবই প্রিয় একজন অভিনয়শিল্পী। তিনি নিজের অভিনয়ের দক্ষতায় সকলের মাঝে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। এক ভয়ঙ্কর পিশাচের ভয়াবহতার কথা এই মুভিতে সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। অবশেষে সকলে মিলে সেই রক্তচোষা পিশাচকে মেরে ফেলতে সক্ষম হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। আশা করছি এরকম দারুন দারুন হরর মুভি আবার আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন। দারুন এই মুভি রিভিউ শেয়ার করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইল দাদা। 💗💗
নিশি তৃষ্ণা মুভি আপনি খুবই সুন্দরভাবে রিভিউ করেছেন দাদা। আসলে প্রসেনজিতের এই মুভিটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।বাংলা সাদাকালো মুভি এত সুন্দরভাবে হরর গল্প তৈরি করেছিল যা সত্যিই অসাধারণ।এই মুভি দুই বার দেখেছি এই মুভিটি মধ্যে এত সুন্দর ভাবে হরর গল্প ফুটিয়ে তুলেছে যা বাংলা অন্য মুভিতে আমি খুঁজে পাইনি। তবে সাদা-কালো এই মুভির কাহিনী গুলো খুবই ভালো, এগুলো পরিবার নিয়ে কত সুন্দর ভাবে দেখা যেত। আসলে প্রসেনজিৎ আমার খুব ফেভারিট একজন নায়ক। তার মুভি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে, বিশেষ করে এই মুভিটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আসলে রাতের বেলা পিশাচ বেশি শক্তিশালী হয়। আর তাকে মারা রাতের বেলা খুবই কষ্টকর। তাই এদেরকে মারার জন্য দিনের বেলাই উত্তম সময়। আসলেই মুভির কাহিনীটা আমার খুবই ভালো লেগেছে,মুভির গল্প বর্তমানের মতো, যাইহোক দাদা আপনি খুবই সুন্দরভাবে মুভি রিভিউ করেছেন। আপনার রিভিউ পড়ে মুভিটি আমার আবারো দেখার ইচ্ছা জাগল।
দাদা ভূতের গল্প পড়তে বা ভূতের সিনেমা দেখতে আমার বরাবরই ভীষণ ভালো লাগে। সেই ছোটবেলা থেকে কত যে ভূতের সিনেমা আর বই পড়েছি তার হিসেব নেই। তবে দুঃখের বিষয় বাংলা সাহিত্যে অনেক ভৌতিক গল্প লেখা হলেও ভৌতিক সিনেমা তৈরি হয়েছে খুবই কম। এই সিনেমাটি আমার এখনো দেখা হয়নি। তবে আপনার কাহিনী পড়ে মনে হল এটা অনেকটা ব্রাম স্টোকার এর ড্রাকুলা উপন্যাস এর ছায়া অবলম্বনে তৈরি হয়েছে। যেখানে একজন রক্ত পান করা পিশাচ থাকে, রাত হলেই যে মানুষের রক্ত পান করার জন্য শিকার খুঁজে বেড়ায়। আর দিনের বেলা তার প্রাসাদের মাটির নিচের কক্ষে মরার মত ঘুমিয়ে থাকে। সত্যি বলতে বাংলা সিনেমাতে হলিউডের সিনেমার মতো এমন স্পেশাল ইফেক্ট বা মেকআপ না থাকলেও নিজের ভাষায় ছবিগুলো দেখতে আসলেই অনেক ভালো লাগে। সময় পেলে অবশ্যই সিনেমাটি আমি দেখব। ধন্যবাদ।
দাদা এই মুভিটি আমার জীবনের প্রথম দেখা হরর মুভি। মুভিটি আমি দেখেছিলাম আমার এক দাদার বাসায়। সেদিন আমরা বেশ কয়েকজন মুভিটি দেখেছিলাম চারিদিকে জানলা দরজা বন্ধ করে রুমটাকে অন্ধকার করে। এখনো সেই কথা মনে আছ। তখন মুভিগুলোর ক্যাসেট ভাড়া পাওয়া যেত। যেটা ভিসিপি মানে ভিডিও ক্যাসেট প্লেয়ার নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু বাড়িতে হরর মুভি এনে দেখার সাহস পেতাম ন। আমাদের বাড়িতেও সেই ভিসিপি ছিল এখন যেটি পরিত্যক্ত অবস্থায় এখন পড়ে আছে। আমার সামান্য সামান্য কিছু কাহিনী মনে আছে। তবে নিশি তৃষ্ণা মুভির যে রিভিউটি আজকে আপনি দিলেন সেটি পড়ে আমার মুভির সিন গুলো মনে পড়ছে। আমার কাছে এখনো মনে হয় এই মুভিটি বাংলা ভাষার সেরা হরর মুভি। আপনার মুভি রিভিউ রেটিং টি ঠিকঠাক আছে আমার কাছে মনে হয়। এই মুভিটি দেখে ভয় পাবে না এমন লোক খুব কম পাওয়া যাবে। যাহোক দাদা খুব সুন্দর একটি মুভি রিভিউ দিয়েছেন। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। পুরনো স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল। ভালো থাকবেন শুভেচ্ছা রইল।
প্রথমে বলি প্রসেনজিতের অভিনয় গুলো আমার অনেক ভালো লাগে। আর প্রসেনজিৎ এতো আগে থেকে মুভি করতো তা আমি জানতাম না তাও আবার সাদা কালো পর্দায়। তার অভিনয়ের প্রসংশা করে শেষ করার মতো নয়। হরর মুভিগুলো আমার অনেক অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে রাতের বেলায় লাইট অফ করে দেখতে ভালো লাগে আবার ভয়ও লাগে😆।
যদিও হরর মুভি গুলো দেখতে হলে হিন্দি অথবা ইংলিশ মুভি গুলোই দেখতে হয়। কারণ বাংলাতে হরর মুভি নেই বললেই চলে। তবে সনিআটে আহট গুলো দেখি।
যাইহোক আপনার এই মুভির রিভিউ পড়ে বেশ ভালো লাগলো বাংলা এত সুন্দর হরর মুভি আছে তা আমি আসলে আগে জানতাম না ভালো লাগলো এটি।
শুভকামনা রইলো ভাইয়া
ছবিটি রিভিউ কাজ খুব সুন্দরভাবে সম্পন্ন করেছেন দাদা। ছবিটি এত সুন্দর ভাবে রিভিউ করেছেন দেখে আমার খুবই ভাল লাগল, তাই সাথে সাথেই আমি শেয়ার বা রিস্টীম করে দিলাম। আশা করি আরও সুন্দর সুন্দর ছবি এভাবেই রিভিউ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন আপনি।
দাদা মুভি রিভিউ গুলো দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।অনেক সময় অনেক মুভির নাম না জানার কারণে দেখা হয়ে উঠেনা।হরর মুভি গুলো খুবই উপভোগ করি আমি।মুভিটির শুরুতেই একটি মেয়ে যে শব্দগুলো শুনছিল তা শুনেই আমার ভেতরে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়ে গেছে। একটি মহিলা মারা যাওয়ার পরে ও যখন তার মধ্যে পিশাচের লক্ষণ পাওয়া যায় তার চেয়ে ভয়ের কি হতে পারে। একটা ব্যাপার জানা গেল এই পিশাচ গুলোকে দিনের বেলায় আঘাত করা যায় আর রাতের বেলায় এরা শক্তি শালী হয়ে হয়ে ওঠে।দাদা মুভিটি সম্পর্কে জেনে আমার ইচ্ছে করছে মুভিটি এখনই দেখি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দাদা এই মুভিটি সম্পর্কে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
আমি সাউথের হরর মুভি হিন্দি ভাষায় বেশি দেখি।বাংলা হরর মুভি তেমন একটা দেখি না, তবে আপনার রিভিউ এর মাধ্যমে কিছু কিছু পড়তে পারছি।আমি দেখি না কারন অধিকাংশ যেকোনো ধরনের বাংলা মুভি নকল করা থাকে এবং ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারে না।কিন্তু আপনি যেহেতু বলছেন তাহলে নিশ্চয়ই মুভিটা সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছে।কাহিনী পড়ে খুবই ভালো লাগলো।আসলে আত্মাগুলির আশা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা অত্যাচার করতেই থাকে।সাদা-কালো মুভিগুলো ভালোই দেখতে লাগে।
প্রসেনজিৎ এর মুভি মানেই ইন্টারেস্টিং হবে ও অভিনয় দক্ষতা দিয়ে দারুণ ফুটিয়ে তুলবে।মুভিটা একদিন দেখতে হবে।সুন্দর রিভিউ করেছেন দাদা,ধন্যবাদ আপনাকে।ভালো থাকবেন।