কাঁচ কলা এবং সজনের ডাঁটা দিয়ে রুই মাছের সুস্বাদু রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটি রেসিপি শেয়ার করে নেবো। আজকে আমি কাঁচ কলা আর সজনের ডাঁটা দিয়ে রুই মাছ রান্না করেছি। সজনের ডাঁটা দিয়ে তরকারি অনেকদিন বাদে খেলাম, সজনের ডাঁটা দিয়ে তরকারি বেশ ভালো লাগে। আমার কাছে ডাঁটাটাই চাবাতে ভালো লাগে। এই সজনের ডাঁটাগুলো অতটা পক্ত না, বিচিগুলো নরম নরম থাকলে চাবিয়ে খেয়ে বেশ মজা পাওয়া যায়। আর এখন গরমের সময় কাঁচ কলা দিয়ে তরকারি খেতে অনেক ভালো লাগে। তাছাড়া কাঁচ কলায় অনেক উপকারী গুনাগুন থাকে, আর অনেক পুষ্টিগুণসম্পন্ন একটি কাঁচা সবজি । কাঁচ কলা শরিরের অনেক টক্সিক জাতীয় ক্ষতিকারক পদার্থগুলোর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া আমরা সবাই জানি যে কাঁচ কলায় ফাইবার থাকে প্রচুর, এই ফাইবার দিয়ে যেমন অনেক কিছু তৈরি করা যায় তেমন এই ফাইবারের ফলে আমাদের পেটের অনেক খারাপ প্রভাব থেকে রেহাই দিয়ে থাকে। যেমনটা গ্যাস এর ক্ষেত্রে অনেক কার্যকরী, এই কাঁচ কলা দিয়ে তরকারি করারও একটা কারণ হলো আমার রাতের দিক থেকে একটু গ্যাস এর সমস্যা করছে পেটে, যার ফলে এই কলার তরকারি করা। কাঁচ কলার মতো সবজি বা ফল যাই বলি না কেন, প্রায় সময় খেলে পেটের কোনো সমস্যা হয় না। কিন্তু আমাদের সবার একটা সমস্যা আছে যে বিপদে না পড়লে তাড়াতাড়ি এর ধারে কাছে ঘেঁষি না। যাইহোক, রুই মাছের সাথে এই কাঁচ কলার তরকারিটা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। এখন আমি এই রেসিপিটার মূল উপকরণসহ প্রস্তুতপ্রণালীর দিকে চলে যাবো।
☀প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:☀
დএখন রেসিপিটা যেভাবে প্রস্তুত করলাম---
☫প্রস্তুত প্রণালী:☫
❖রুই মাছের পিসগুলো আগে থেকে ধুয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে রাখা ছিল। এরপর আলুগুলোর খোসা ছালিয়ে কেটে পিস করে ধুয়ে নিয়েছিলাম।
❖সজনের ডাঁটাগুলোর হালকা উপরের ছাল ফেলে দিয়ে কেটে মাঝারি সাইজ করে নিয়েছিলাম এবং পরে ধুয়ে নিয়েছিলাম। এরপর কাঁচ কলাগুলোর খোসা ছালিয়ে নেওয়ার পরে কেটে ধুয়ে রেখে দিয়েছিলাম।
❖পেঁয়াজ এর খোসা ছালানোর পরে কুচি করে নিয়েছিলাম। এরপর লঙ্কাগুলোকে কেটে ধুয়ে রেখেছিলাম।
❖ধুয়ে রাখা রুই মাছের পিসগুলোতে ২ চামচ করে লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর মাছের পিসগুলোতে ভালোভাবে মাখিয়ে নিয়েছিলাম।
❖প্যানে সরিষার তেল দিয়ে গরম করে নিয়েছিলাম এবং পরে তাতে রুই মাছের পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। মাছের সব পিস ভালোভাবে ভাজা মতো হয়ে আসলে একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম।
❖মাছের পিস ভাজার পরে প্যানে আরেকটু তেল দিয়ে আলুর পিস দিয়ে দিয়েছিলাম এবং ভালো করে ভাজা হয়ে গেলে তুলে নিয়েছিলাম।
❖আলু ভাজার পরে প্যানে আরেকটু তেল দিয়ে কলার কেটে রাখা পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর ভালো করে ভেজে ওইভাবে রেখে দিয়েছিলাম।
❖অন্য আরেকটি কড়াইতে তেল দিয়ে জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম। একটু ভাজা করে নেওয়ার পরে তাতে ভেজে রাখা আলুর পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে ভেজে রাখা কলার পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম এবং পরে তাতে পেঁয়াজ কুচিটা দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖পেঁয়াজ কুচি দেওয়ার পরে তাতে কেটে রাখা লঙ্কা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর ৩ চামচ লবন, হলুদ এবং ১ চামচ লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖মশলা উপাদানের সাথে ভালো করে মিক্স করে নিয়েছিলাম এবং পরে তাতে পরিমাণমতো জল দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖জল দেওয়ার পরে ভালো করে ফুটিয়ে আলু এবং কলা সেদ্ধ করে নিয়েছিলাম। এরপর তাতে সজনের ডাঁটা দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖সজনের ডাঁটা দেওয়ার পরে আরো কিছুক্ষন জ্বাল দিয়ে ডাঁটা সেদ্ধ মতো করে নিয়েছিলাম এবং পরে তাতে ভেজে রাখা রুই মাছের পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারিতে একটু জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়ে আরো কিছুক্ষন দেরি করেছিলাম তরকারিটা ভালোভাবে হয়ে আসার জন্য।
❖তরকারির ঝোলটা গাঢ় হয়ে আসলে আর সাথে ঝোলটা কমিয়ে নেওয়ার পরে জ্বাল নিভিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারিতে আরো কিছুটা জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দেয়ার পরে একটি প্লেটে পরিবেশনের জন্য তুলে নিয়েছিলাম।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা আজকে আপনাকে রেসিপির পরিবেশন দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে, কাঁচ কলার উপকারিতা সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারলাম। আপনি কাঁচ কলা ও সাজনা ডাটা দিয়ে রুই মাছের সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করেছেন। এই মাছের রেসিপি আমি কিছুদিন আগে তৈরি করেছিলাম আলু বেগুন দিয়ে। তবে আজকে আপনার সাজনে ডাটা এবং কাঁচকলা দিয়ে তৈরি করা দেখে খুবই ভালো লাগলো। সাজনে ডাটা আমার খুবই প্রিয়। আর কাঁচ কলা খুবি উপকারী সবজি।তাই এই মজাদার রেসিপি আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। আপনার রেসিপি পরিবেশন দেখে খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ দাদা।
প্রিয় দাদা রুই মাছের সাথে কাঁচা কলা ও সজনে ডাটার দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আসলে রুই মাছের সাথে যে কোন সবজি রান্না করলে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। যাহোক প্রথমে রুই মাছের পিসগুলো ভাজার মতো করে নেওয়াটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। রুই মাছের হাতে রান্না করা কাঁচা কলা ও সজনে ডাটার তরকারি খেতে নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদ এবং মজাদার ছিল।
কাঁচ কলা এবং সজনের ডাঁটা দিয়ে রুই মাছের সুস্বাদু রেসিপি দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আপনার রেসিপি পরিবেশন আমার খুবি ভালো লেগেছে দাদা।এতো মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দাদা।
কাঁচ কলা এবং সজনের ডাঁটা দিয়ে রুই মাছের রেসিপি দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে দাদা। সজনে ডাঁটা এবং কাঁচ কলা আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী। আর রুই মাছ তো মাছের রাজা। সবমিলিয়ে দুর্দান্ত একটি রেসিপি তৈরি করেছেন দাদা। রেসিপির কালার দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছে। যাইহোক এত মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
এমন কিছু সবজি আছে যেগুলো খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। কাঁচ কলা খুবই উপকারী সবজি। বিশেষ করে পেটের সমস্যা হলে কাঁচ কলা খাওয়ার ভীষণ উপকারী। এছাড়া কাঁচ কলার ঝোল করলেও খেতে দারুন লাগে। গ্যাসের সমস্যা থাকলে মাঝে মাঝে যদি কাঁচ কলার তরকারি খাওয়া হয় তাহলে অনেক উপকার হয়। কাঁচ কলা এবং সজনে ডাঁটা একসাথে কখনো খাওয়া হয়নি। সজনে ডাঁটা একটু নরম থাকলে খেতে বেশ ভালো লাগে। সজনে ডাঁটা গুলো চিবিয়ে চিবিয়ে খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে দাদা। যদিও এখন কাঁচকলা এবং সজনে ডাঁটা বাজারে পাওয়া যাচ্ছে তাই একদিন দুটো একসাথে রান্না করে খেয়ে দেখব। আর সাথে যদি হয় রুই মাছ তাহলে খেতে আরো বেশি ভালো লাগবে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে রুই মাছের এই মজার রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
জি দাদা ঠিক বলেছেন কাঁচ কলা গরমে খেতে অনেক ভালো লাগে।আর এটার পুষ্টি গুণ তো বলে শেষ করা যাবেনা।সজনে গুলো বেশি পক্ত ভালো লাগেনা ঠিকই বলেছেন।আপনার রান্নার প্রক্রিয়া দেখে মনে হচ্ছে খেতে সুস্বাদু ছিল রেসিপিটি।এভাবে মাছ দিয়ে এতো রকমের সবজি রান্না করলে খেতে বেশ মজার এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ হয়ে থাকে।ধন্যবাদ দাদা সুন্দর রেসিপি পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দাদা আজকে ভিটামিন যুক্ত দুইটি ধারুন ধারুন সবজি দিয়ে রুই মাছ রান্না করেছেন। কাঁচ কলা এবং সজনের ডাঁটা শরীর স্বাস্থের জন্য খুবই উপকারি। সজনের ডাঁটা আমাদের দিকে ১০০ টাকা কেজি। চাইলেও সবসময় কিনে আনতে পারি না। তবে এগুলো খাওয়া শরীরের জন্য অনেক ভাল। আর কলার পুষ্টি গুণের কথা তো আপনিই বর্ণনা করলেন। সব মিলিয়ে ধারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ দাদা।
দাদা, ডাঁটা আপনার পছন্দ, আর আমি তো ডাঁটা একদমই পছন্দ করি না। কেন জানিনা আমার কাছে খেতে ভালো লাগে না। বিশেষ করে আমি যদি কোন শাক রান্না করি তাহলে তার ডাঁটা খেতেও আমি পছন্দ করি না। তবে আপনি রুই মাছ দিয়ে রান্না করেছেন বলে বেশি ভালো লেগেছে। কারণ আমি রুই মাছ খেতে খুবই পছন্দ করি। আর রুই মাছের যে কোন তরকারি অনেক বেশি সুস্বাদু হয়। আমি খেতেও খুবই পছন্দ করি। তার সাথে আবার কাঁচকলা দিয়েছেন দেখছি। কারণ আসলেই কাঁচকলা অনেক বেশি উপকার। আর আপনার পোস্টের মাধ্যমে কাঁচকলা সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারলাম। সব মিলিয়ে রেসিপিটা নিশ্চয়ই খেতে ভীষণ ভালো হয়েছে।
সজনে ডাঁটা আমার কাছেও ভীষণ ভালো লাগে খেতে। তবে সজনে ডাঁটা কিন্তু আমাদের এখানে একটু দাম বেশি। তাছাড়া কাঁচকলা দিয়ে সজনে ডাঁটা কখনো একসাথে রান্না করা হয়নি। তবে কাঁচকলার এত বেশি পুষ্টিগুণ এটা জানা ছিল না। আমার কাছে এমনি আপনার মত গরমের সময় কাঁচকলা রান্না করলে ভালোই লাগে। আবার দেখছি রুই মাছ দিয়ে রান্না করেছেন। রুই মাছ দিয়ে রান্না করলেও খেতে ভালোই লাগে। রুই মাছের সাথে যে কোন তরকারি ভীষণ মজা লাগে খেতে। আপনার আজকের রান্নার উপস্থাপনা দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু একটি তরকারি রান্না করেছেন। আপনার মত করে কখনো তৈরি করে দেখব।