কালী পুজোর কিছু আলোকচিত্র ( পর্ব ১৫ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে কালী পুজোর কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করে নেবো। গত পর্বে একটি ছোট জায়গার থেকে কিছু আলোকচিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলাম। আজকের আলোকচিত্রগুলিও আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
Photo by @winkles
এই প্যান্ডেলটি দেখেছিলাম মধ্যমগ্রাম এর বসুনগর এর দিকে একটি জায়গা থেকে। এই প্যান্ডেলটি একদম রাস্তার পাশেই একটি জায়গায় করেছিল। তবে এই প্যান্ডেলের আলাদা করে তেমন কোনো স্পেস সেখানে আর ছিল না। প্যান্ডেলটি অনেক জাকজমকপূর্ণ ছিল দেখতে, যেন লাইটিং এর কারণে সবকিছু ঝিকমিক করছিলো। প্যান্ডেলটি সাজিয়েছে কিন্তু অনেকধরণের ডিজাইন দিয়ে, প্রতিটি পার্টে পার্টে ইউনিক ইউনিক ডিজাইন ফুটিয়ে তুলেছিল। এই প্যান্ডেলটিতে বেশিরভাগ স্থানগুলোতে জাল বুননের মতো দেখতে পাবেন, এইগুলো আসলে প্যান্ডেলটির মূল সৌন্দর্যে কাজে লাগিয়েছে। আসলে এটাও একটা থিমের অংশ হিসেবে করেছে, কিন্তু থিমটাই জানা ছিল না।
Photo by @winkles
এছাড়া এই প্যান্ডেলের প্রবেশ পথের ওখানে উপরে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন বিভিন্ন কালারের ফ্যানের মতো ডিজাইন করেছে। যদিও এইগুলো লাইটিং এর বিভিন্ন কালারের কারণে এইরকমটা দেখতে লাগছে। এরপর উপরে একটা পরীর মতো দেখতে একটা ডিজাইন সেট করে দিয়েছে। এটি বেশ আকর্ষণীয় একটা ব্যাপার ছিল এই প্যান্ডেলের। এছাড়া উপরের দিকে আরো নানাধরণের ডিজাইন এর মাধ্যমে বিষয়টা ফুটিয়ে তুলেছে, প্যান্ডেলটির উচ্চতাও মোটামুটি ভালোই ছিল।
Photo by @winkles
প্যান্ডেলের বাইরের দিকে মোটামুটি কিছুক্ষন দেখার পরে আমরা ভিতরের দিকে চলে গিয়েছিলাম এবং ভিতরেও দেখেছিলাম অনেক আকর্ষণীয় ডিজাইন ফুটিয়ে তুলেছিল। উপরে বড়ো চাকতির মতো দেখতে একটা ডিজাইন ছিল, যেটা অনেক সুন্দর লাগছিলো, বিশেষ করে যে বিষয়গুলো আর্টের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছে। মাঝখানে একটা সময়ের চক্রের মতো বিষয় উপস্থাপন করেছে অর্থাৎ থিমটাও এই ক্যাটাগরির কিছু একটা হবে বলে আমারও মনে হয়েছিল। আর তার চারিপাশ দিয়ে কিছু বাচ্চাদের মতো ডিজাইন তুলে ধরেছিলো। সবমিলিয়ে এই বিষয়টা অনেক ভালো লেগেছিলো।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
এরপরে একটা বিষয় দেখেছিলাম যে, আসলে আমরা অনেক সময় বাইরে রাস্তাঘাটে যেমন দেখিনা বা নার্সারিতে, এখানে ওই ধরণের ফরম্যাটের মাধ্যমে একটা ডিজাইন তৈরি করেছে, তবে এইটা সম্ভবত কঞ্চি আর দড়ি দিয়েই করা ছিল। তার গায়ে আবার একই ফরম্যাটের বিভিন্ন কালারের ডিজাইন দিয়ে বিষয়টা তুলে ধরেছিলো। এরপর যে ডিজাইনটা বা কারুকার্য দেখেছিলাম সেটা হলো একজন নর এবং একজন নারীকে একটা মাকড়সার জালের মতো দেখতে সেখানে আটকে দিয়েছে। এই ডিজাইনগুলো সবই কাপড় দিয়ে তৈরি করা ছিল। এছাড়া আবার দুটি বাচ্চা এবং যাদের ডানা আছে এইরকম দেখতে তাদেরও এই জালের ভিতরে সাজিয়েছিল। কারুকার্যগুলো বেশ সুন্দর ছিল।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
যাইহোক, এইবার শেষ মায়ের মূর্তির সামনে চলে গিয়েছিলাম। আসলে বাইরের থেকে দেখে যেমনটা মনে হয়েছিল একেবারে তা না, ভিতরে অনেককিছু দেখার মতো বিষয়গুলো তুলে ধরেছিলো। মায়ের মূর্তিটা আমার কাছে অনেক ইউনিক আর নতুনত্বের মাধ্যমে তৈরি করেছিল বলে মনে হয়েছে। আগের অন্যান্য মূর্তিগুলো একইরকম ক্যাটাগরির মতো মনে হলেও এটি সম্পূর্ণ আলাদা ছিল। অনেকগুলো মাথা আর হাতের সমন্বয়ে মাকে সাজিয়েছিল, অনেক মনোমুগ্ধকর ছিল বিষয়টা।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
ক্যামেরা | স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G |
---|---|
লোকেশন | মধ্যমগ্রাম |
তারিখ | ১৪ নভেম্বর ২০২৩ |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্যান্ডেলটি আসলেই বেশ জাঁক জমক পূর্ণ ছিল। কালী পূজা উপলক্ষে বেশ সুন্দর ভাবে সাজিয়েছে পুরো প্যান্ডেলটি। ডেকোরেশন টা সুন্দর ছিল। প্যান্ডেলের প্রতিটি ফটোগ্রাফি দেখে ভালো লাগলো। কারুকার্যগুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো। এই ধরনের কারুকার্য গুলো আমি এর আগে কখনো দেখিনি। দারুন ছিল আপনার ফটোগ্রাফি গুলো।
এই পুজো প্যান্ডেলটাও দেখতে কিন্তু বেশ আর্কষনীয় দাদা ৷ অনেক সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে সম্পূর্ণ পুজো প্যান্ডেল ৷ বিশেষ করে প্যান্ডেলের ভিতর ডিজাইন গুলো দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছে ৷ আর সবশেষে মায়ের মূর্তি দেখে তো অবাক হয়ে গেলাম ৷ অনেক সুন্দর ভাবে মায়ের মূর্তি তৈরি করা হয়েছে ৷ এই মূর্তির মাঝে আলাদা একটা সৌন্দর্য্য ফুটে উঠেছে ৷ বেশ ইউনিক এবং নতুনত্বও আছে বটে ৷ যাই হোক , অনেক ভালো লাগলো আপনার সুন্দর অনুভূতি এবং আলোকচিত্র গুলো দেখে ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা
ওয়াও! এই প্যান্ডেলটি একেবারে চোখ ধাঁধানো ছিলো দাদা। দেখে তো সত্যিই চোখ ফেরানো যাচ্ছে না। বিশেষ করে লাইটিংটা মারাত্মক সুন্দর ছিলো। বিভিন্ন কালারের ফ্যানের মতো ডিজাইন গুলোর জন্য প্যান্ডেলের সৌন্দর্য অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া পরীর ডিজাইনটা খুবই নিখুঁতভাবে করা হয়েছে। প্যান্ডেলের বাহিরের ডিজাইন যেমন সুন্দর, তেমনি প্যান্ডেলের ভিতরের ডিজাইনটাও এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে। কারুকার্য গুলো দেখে যে কেউ মুগ্ধ হয়ে যাবে দাদা। মাকড়সার জালের মতো তৈরি করে পুরুষ, নারী এবং দুটি বাচ্চাকে আটকে দেওয়া হয়েছে, এই ব্যাপারটা বেশ ইউনিক লেগেছে। প্রতিটি ফটোগ্রাফি চমৎকার ভাবে ক্যাপচার করেছেন দাদা। ফটোগ্রাফি গুলো সত্যিই বেশ উপভোগ করলাম। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দাদা আপনি আজকে আমাদের মাঝে কালীপুজোর ১৫ তম পর্ব শেয়ার করেছেন দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আপনি ১৫ তম পর্বের মাধ্যমে অনেক সুন্দর করে আরেকটা স্থানের সৌন্দর্য তুলে ধরেছেন। দাদা আমার তো মনে হচ্ছে এটা ইউনিক কোন কিছু থেকে করা হয়েছে। কারণ প্রত্যেকটা ডিজাইন ছিল একেবারে ইউনিক এমন কি অসাধারণ। আমি তো আপনার তোলা আলোকচিত্র গুলোর দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে ছিলাম দাদা। কারণ এই প্যান্ডেলের আলোকচিত্রগুলো ছিল খুবই চোখ ধাঁধানো। এরকম সুন্দর প্যান্ডেল খালি চোখে যেমন সুন্দর লাগে দেখতে, তেমনি ফটোগ্রাফির মাধ্যমেও খুব ভালো লাগে। লাইটিং টা অনেক সুন্দর ভাবে করেছে দাদা। মাকড়সার জালের মত করে তৈরি করে তার উপরে আবার দেখছি মূর্তি বসিয়েছে যেগুলো ও অনেক সুন্দর লাগছিল। আর আপনাদের মায়ের মূর্তিটা ও অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়েছে দাদা। বিশেষ করে আপনাদের মায়ের মূর্তির মধ্যে অনেকগুলো মাথা দেওয়া হয়েছে, যার কারণে মূর্তি টা অনেক সুন্দর লাগতেছে। আর অনেকগুলো হাতের ডিজাইনও দেখলাম। সবমিলিয়ে দাদা মূর্তিটার ফটোগ্রাফিও আমার কাছে জাস্ট অসাধারণ লেগেছে। দাদা আশা করছি ১৬ নাম্বার পর্বের মাধ্যমে বিভিন্ন আরেকটা স্থানের আলোকচিত্র আমরা দেখতে পাবো। ধন্যবাদ দাদা এই প্যান্ডেলের আলোকচিত্রগুলো সুন্দর করে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।
দাদা দেখতে দেখতে কালীপুজোর পনেরোটা পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। আর ১৫ টা পর্বের মধ্যে থেকে প্রত্যেকটা পর্ব আমি দেখেছি দাদা। প্রত্যেকটা পর্বের মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন স্থানের প্যান্ডেলের আলোকচিত্র দেখতে পেরে সত্যি খুব ভালো লেগেছে। দাদা আজকে আপনি মধ্যমগ্রামের বসুনগর এর দিকের একটা প্যান্ডেলের আলোকচিত্র শেয়ার করেছেন দেখে আমি তো জাস্ট মুগ্ধ হয়েছি। বিশেষ করে ডেকোরেশন টা এত সুন্দর করে সাজানো হয়েছে দেখেই তো আমি মুগ্ধ। এরকম সুন্দর ডেকোরেশন করলে দেখতে ভালো তো অবশ্যই লাগবে। লাইটিং টা জাস্ট অসাধারণ ছিল। প্রথম ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই তো আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। অন্য ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে ভেতরের আরো অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু দৃশ্য দেখলাম। বিশেষ করে মাকড়সার জালের মধ্যে কয়েকটা মূর্তি সাজানো হয়েছে এটা বেশি সুন্দর লেগেছে। সময়ের চক্রের যে উপস্থাপন টা করেছে এটাও খুব ভালো লেগেছে। দাদা মায়ের মূর্তির এরকম দৃশ্য আমি আজকে প্রথমবারের মতো দেখেছি বলে মনে হচ্ছে। কারণ আগে কখনো এতগুলো মাথাওয়ালা এবং এতগুলো হাতা ওয়ালা মায়ের মূর্তি আমি দেখিনি। এই দৃশ্যটা তো ছিল একেবারে দুর্দান্ত। সত্যি দাদা এই প্যান্ডেলের আলোকচিত্রগুলো আমি যত দেখছি আমার কাছে তত ভালো লাগতেছে। সুন্দর সুন্দর প্যান্ডেলের আলোকচিত্র পরবর্তীতেও দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম দাদা।
বসুনগর এর এই পূজা প্যান্ডেলটির ডেকোরেশন ও আলোকসজ্জা ছিল এক কথায় চোখ ধাঁধানো। দারুণ উপভোগ করলাম ছবিগুলো ভাই।
দাদা কালীপুজোর প্রত্যেকটা পর্বের মধ্য থেকে কয়েকটা দেখা হয়েছে আবার কয়েকটা দেখা হয়নি। আজকে আবার ১৫ পর্ব শেয়ার করেছেন আপনি। এই পর্ব টা দেখে তো ভালো লেগেছে। বুঝতেই পারতেছি দাদা আপনাদের ওই দিকের প্রত্যেকটা স্থানে সুন্দর করে কালীপুজোর প্যান্ডেলের আয়োজন করা হয়েছিল। আর আপনি একে একে প্রত্যেকটা স্থানে গিয়ে প্রত্যেকটা প্যান্ডেলের ফটোগ্রাফি করে পর্বের মাধ্যমে শেয়ার করছেন বিষয়টা সত্যি খুব ভালো লাগছে। আজকে দেখলাম আরেকটা স্থানের প্যান্ডেলের আলোচিত্র। মেন গেট এত সুন্দর করে সাজানো হয়েছে দেখেই তো প্রথমেই মুগ্ধ হয়েছি দাদা। এত সুন্দর লাইটিং এবং নিখুঁত নিখুঁত ডিজাইন মুগ্ধ হওয়ার মতোই তো ছিল। যদিও এই প্যান্ডেলের থিম টার সম্পর্কে আপনি জানেন নি, তবে যে থিমের উপরেই এটা করুক না কেন অনেক সুন্দর ছিল। মাকড়সার জালের ভেতর কয়েকটা মূর্তি দেখলাম যেগুলো তো আকর্ষণীয় লাগতেছে। আর ঘড়ির মতো করে সাজানো হয়েছে এই দৃশ্যটা অনেক ভালো ছিল। এই পর্বটা উপভোগ করলাম দাদা
বারাসতের কালীপূজা মানেই আলাদা বিষয়।জাকজমকপূর্ণ তো বটেই,সেইসঙ্গে অনেক আকর্ষণীয়।ফ্যানের মতো ডিজাইন এবং মাকড়সার দৃশ্য দেখে খুবই ভালো লাগলো।মায়ের মূর্তিটি একদম ভিন্ন তৈরি করেছে ,দেখে মনে হচ্ছে দেবী দুর্গার প্রতিচ্ছবি।অসাধারণ কারুকাজ ও শিল্পীদের দক্ষতা ফুটে উঠেছে।থিমের নাম জানা না গেলেও প্যান্ডেলটি এককথায় অসাধারণ হয়েছে দাদা।ধন্যবাদ দাদা।
দাদা কালীপুজোর আলোকচিত্র গুলো অনেক সুন্দর ছিল। আজকে আপনি যে প্যান্ডেলের আলোকচিত্র সবার মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন, এই প্যান্ডেলের সৌন্দর্য যত দেখছিলাম তত ভালো লাগছিল। আমার তো মনে হচ্ছে অনেক সুন্দর একটা থিমের উপরে এটা করা হয়েছে। যদিও আপনি এটার থিম কি ছিল এটা জানেন না, তবুও সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন এবং পুরোটার সৌন্দর্য তুলে ধরেছেন ফটোগ্রাফির মাধ্যমে। আজকে এটার ১৫ পর্ব দেখলাম দাদা। প্রথমেই আপনি যে দুটি ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, এগুলোর মাধ্যমে মূল গেটের দৃশ্য দেখলাম। অনেক নিখুঁত নিখুঁত ডিজাইন করা হয়েছে দেখলাম, এমনকি লাইটিং ছিল জাস্ট অসাধারণ। আমাদের এদিকে কখনো আমি এরকম প্যান্ডেল দেখিনি দাদা। সরাসরি দেখার যদিও সুযোগ হয়নি তবে, ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখেও কম ভালো লাগতেছে না। প্রত্যেকটা মূর্তির দৃশ্য ও সুন্দর করে তুলে ধরলেন। আপনাদের মায়ের মূর্তিটাকে সুন্দর করে সাজিয়েছে। অনেকগুলো হাত এবং অনেকগুলো মাথা ছিল এই মূর্তির মধ্যে। আজকের এই প্যান্ডেলটা পুরোটাই দেখতে আমার কাছে ভালো লেগেছে। এর পরবর্তী স্থানের প্যান্ডেলের আলোকচিত্র দেখার জন্য অধীর অপেক্ষায় থাকলাম দাদা।