দিল্লীর বিপক্ষে সুনীল নারিনের বিধ্বংসী ব্যাটিং
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল আইপিএল এর একপ্রকার সেরা ম্যাচ ছিল, কলকাতা আর দিল্লির মধ্যে। যদিও এইরকম আরো দুই-একটি ম্যাচেও হয়েছে, তবে দেখা হয়নি সেগুলো। গতকাল কলকাতার আর দিল্লির যে ম্যাচটা হয়েছে সেটি বিশাখাপত্তনম এর মাঠে। এই মাঠের পিচ একপ্রকার রান তোলার জন্য সেরা আর এমনিতেও অন্যান্য মাঠের তুলনায় বাউন্ডারি একটু ছোটই আছে। যাইহোক, গতকাল কলকাতা টসে জিতে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আর এই পিচে ভুল কিছুই নেয়নি, আগে ব্যাট করাটা পারফেক্ট ছিল। তবে একটা বিষয় বলতেই হয় যে, কলকাতা শুরুর থেকে এখনো পর্যন্ত তেমন খারাপ খেলেনি, ভালোই তাদের ব্যাটিং পজিশন। বিশেষ করে ওপেনিং পজিশন খুবই কড়া আছে। নারিন আর সল্ট নামের এই দুইজন ভালোই খেলছে পাওয়ারপ্লে পর্যন্ত, তবে নারিন এর ব্যাটিং মারাত্মক হচ্ছে।
আসলে গতকাল যা খেললো তা বলার মতো না, যারা দেখেছেন তারা বলতে পারবেন আসলে কি ধরণের খেলা হয়েছে গতকাল। মানে নারিন ব্যাটে গেলেই ৪ আর ৬ ছাড়া কোনো কথাই হচ্ছে না, বেধড়ক পিটিয়েছে সব বোলারদের। পন্থ আসলে বোলারদেরই মানাতে পারছে না, যাকেই দিচ্ছে তাকেই পিটিয়ে দিচ্ছে। প্রতি ওভারেই ম্যাক্সিমাম ১৫-১৬ রান করে চলে যাচ্ছে আর এটা ক্রমাগত চলতেই থাকে। পাওয়ারপ্লে ওভারেই ৮০ ক্রস করে দিলো। নারিন মোটামুটি ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স এর তালিকায় ভালোই জায়গা করে নিয়েছে কয়েকটা ম্যাচে। তবে যেভাবে খেলছিল তাতে সেঞ্চুরি করার চান্স ছিল। আর করতেও পারতো, ৮৫ রানের কোটায় যখন এসেছিলো তখন এটাই ভাবা গিয়েছিলো, তবে ৬ মারতে গিয়ে ক্যাচ উঠে যায়, আর নারিন আসলে ডিফেন্স কোনো বলেই খেলে না, সব বলেই মোটামুটি টান দেয়।
এরপর একজন নতুন ব্যাটসম্যান নামায় রঘুবংসী নামের, তবে সে কিন্তু এইবার একদম নতুন প্লেয়ার আর প্রথম নেমেই হাফ সেঞ্চুরি সাথে দারুন ব্যাটিং করে গিয়েছে। তবে উইকেট পরে বেশ কয়েকটা পড়ে গেলেও রানের যে পজিশন ছিল তা অনেকটা করে দিয়েছিলো নারিন আর পরে রাসেল। ফলে এই রান যে ৩০০ পর্যন্তও হতে পারতো সেটা ধারণা করেছিলাম আর হতোও যদি না রাসেল টিকে থাকতো, কিন্তু ইশান্ত এমন এক ইয়র্কার বল করেছে যে খেলার কোনো পজিশন ছিল না, বেস্ট বলের মধ্যে একটা বলা যায়। তবে রান যা করেছিল তাতে ২০ ওভারে এই রান চেজ করা একপ্রকার অসম্ভব ব্যাপার বিপক্ষ টিমের কাছে, অতিরিক্ত যেটা হয় সেটাই হয়েছে। ২৭২ রান ২০ ওভারে আসলে ভাবাই যায় না, আরেকটু হলে রেকর্ড হয়ে যেত এই ম্যাচে কারণ এর আগের টিম সম্ভবত হায়দ্রাবাদ ২৭৫ না ৭৭ যেন করেছিল।
যাইহোক, খেলায় আসলে এইরকম ৪ আর ৬ এর মার না দেখলে মজাই আসে না। মাঝে মাঝে আমি ভাবছিলাম যে নারিন করছে টা কি এদের সাথে, বোলারদের তো কাঁদিয়ে ছাড়বে হা হা। সে যাইহোক, এই রানের চেজ করার ব্যাপারে আমি কেন, সবাই নিঃসন্দেহে ভেবে নিয়েছে যে কলকাতা অনেক রানে জিতবে। দিল্লি তবে চেষ্টা কিন্তু কম করেনি, ভালোই খেলছিল, যদিও পাওয়ারপ্লে ওভারে অনেকটা উইকেট পড়ে যায়, প্রায় ৪ টার মতো। তবে পন্থ আর ত্রিস্তান নামের এক ব্যাটসম্যান মিলে মোটামুটি ভালোই পার্টনারশীপ গড়েছিল।
রান রেট পরে টেনে ১০ নিয়ে গেলেও আসলে উপায় ছিল না, কারণ যে রানের টার্গেট তাতে রান রেট ১৭-২০ করে লাগবে জিততে গেলে। যতই ব্যাটিং পিচ হোক না কেন যদি লিমিটের বাইরে কিছু হয়ে যায় তাহলে অনেক চেষ্টা করেও সেটা চেজ করা যায় না। যদিও ২২০-২২ রান আগে চেজ করতে দেখা গিয়েছে, তবে ২৫০+ রান অসম্ভব একটা ব্যাপার আসলে। ১০০ এর বেশি রানে জিতেছে, মানে পয়েন্ট তালিকায় এটা একটা বোনাস পয়েন্ট হিসেবে অ্যাড হবে। নারিন এই ম্যাচেও প্লেয়ার অফ দ্যা ম্যাচের এর শিরোপা জিতে নিয়েছে। যাইহোক, ম্যাচটা ভালোই উপভোগ করা গিয়েছে শেষ পর্যন্ত ।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কালকের আইপিএল খেলাটি খুবই সুন্দর ভাবে উপভোগ করছি।তবে আমি ভাবতেই পারি নাই যে কলকাতা এতো গুলো রান টার্গেট দিবে।সবার থেকে কিন্তু সুনীল নারিনের খেলাটা খুবই ভালো লেগেছে। তবে আর কয়টা রান নিলেই হায়দ্রাবাদের রিকোর্ড ভাঙতো।যাইহোক আপনি বেশ সুন্দর ভাবে খেলাটি রিভিউ করছেন।আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
আসলেই, দুর্দান্ত একটা ম্যাচ ছিল। আমিও ভেবেছিলাম রান ২০০ হবে, তবে ২৩০ এইরকম কিছু একটা হতে পারে। তবে এটা যে ৩০০ ছুঁই ছুঁই হবে ভাবা যায়নি। এর আগেও ২ টি ম্যাচে এইরকম হয়েছে।
জ্বি দাদা,এইরকম কিছু ম্যাচ দেখলে খুবই ভালো লাগে। মনে হয় সরাসরি হাইলাইট দেখতেছি।
কলকাতা নাইট রাইডার্স এর এবারের যে টিমটা হয়েছে সত্যি বলতে গেলে দুর্দান্ত একটি টিম। আশা করি এবারের আইপিএলে কলকাতা ভালো কিছু করবে। গতকালকের আইপিএল ম্যাচ টা বিদ্যুৎ না থাকার কারণে দেখতে পারিনি তবে মোবাইলে স্কোর কার্ড দেখছিলাম মাঝেমধ্যেই। সুনীল নারিন যে খেলাটা দেখিয়েছে সত্যিই অসাধারণ। এই ম্যাচটা আপনি বেশ দারুণ উপভোগ করেছেন জেনে ভালো লাগলো দাদা। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
কলকাতা টিম প্রতিবারই ভালো খেলে সেটা খুব ভালো প্লেয়ার নিয়ে হোক আর খারাপ প্লেয়ার নিয়েই হোক। তবে এইবার টিমটা আগের থেকে অনেক স্ট্রং আছে দেখলাম। অস্ট্রেলিয়ার কিছু নিয়েছে, তবে আগের পুরোনো যারা ছিল তারা বেশ ভালো খেলছে।
কথায় আছে পুরনো চাউল ভাতে বাড়ে। আসলে দাদা অভিজ্ঞতার একটা দাম আছে। আইপিএলের মত বড় টুর্নামেন্টে ভালো খেলতে সবাই পারেনা। এখানে অভিজ্ঞতাটা বেশ জরুরী। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা আপনাকে।
ক্রিকেট খেলা সবসময় দেখা হয়না, তবে আলোচিত ম্যাচ গুলোর হাইলাইট দেখি। নারিন বোলার হলেও, বেশ কিছুদিন ধরে ব্যাটিংয়ে পারদর্শীতা দেখাচ্ছে। বলা চলে অলরাউন্ডার। গতকালের নারিনের ব্যাটিং এর হাইলাইট দেখে আমি মুগ্ধ। সুনীল নারিন নিজেজে ছাড়িয়ে যাচ্ছে দিন দিন। কোলকাতা ও দিল্লি ম্যাচের অসাধারণ রিভিউ করেছেন দাদা। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।
হ্যা, নারীন আগে একজন প্রকৃত বলারই ছিল। বর্তমানে কয়েক বছর ধরে আইপিএল খেলার সময় থেকে তার ব্যাটিংও সুন্দর পজিশন এ চলে আসে। এখন সে একজন অল রাউন্ডর হিসেবে খ্যাত।
সুনীল নারিন যেদিন খেলে এইরকমই খেলে। কোন বলার কেই সে ছাড় দেয় না। গতকাল যখন কলকাতার স্কোর দেখি ১৩ ওভারে ১৭০ তখন বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। ২৭২ রানের বিশাল এক সংগ্রহ পাই কলকাতা। এবং এই রান টি টুয়েন্টিতে চেজ করা এককথায় অসম্ভব। যার ফলস্বরুপ দিল্লিও পারে নাই। তবে গতকালের ম্যাচটা বেশ উপভোগ করেছি।
এই ম্যাচে বোলারদের পুরো ধুয়ে দিয়েছিলো বলতে গেলে। শেষে বলার পাচ্ছিল না যে, কাকে দেবে। কারো বলেই কাজ হচ্ছে না, যেটা দেয় সেটাতেই ৪ না হয় ৬ যাচ্ছে। এতো হাই স্কোর এর মূল বিষয় হলো, পাওয়ার প্লে ওভার এ ১০০ এর কাছে নিয়ে যাওয়া।
২০ ওভারে ২৭২ রান করে ফেলে কিভাবে, সেটা আমার বোধগম্য হয় না। কারণ হাই স্কোরিং ম্যাচেও সাধারণত টি-টোয়েন্টি তে ১৮০-২০০ রান হয়ে থাকে। ওয়ানডে ম্যাচে সাধারণত এমন স্কোর দেখা যায়। যাইহোক এই ম্যাচটি আমি দেখেছিলাম দাদা। যদিও পুরোটা দেখা হয়নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এর সুনীল নারিন এর খেলা আমি অনেক আগে থেকেই দেখতাম। তবে নারিন আগে এতোটা ভালো ব্যাট করতে পারতো না। যদিও আগে মিডল অর্ডারে নামানো হতো তাকে। তবে ওপেনিংয়ে নামার পর থেকেই নারিন এর ব্যাটিং স্টাইল পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। মাঝেমধ্যে নারিন এমনভাবে ব্যাটিং করে যে,কোনো বোলার ই পাত্তা পায় না। এবারের আইপিএল টুর্নামেন্টে এর আগেও বড় স্কোর দেখা গিয়েছে। হায়দ্রাবাদ ২৭৭ রান করেছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস এর বিপক্ষে। যাইহোক আন্দ্রে রাসেল এর ব্যাটিং সবসময়ই উপভোগ করি। কলকাতার এবারের ব্যাটসম্যান গুলো দারুণ। আশা করা যায় এবারের আসরে কলকাতা অনেক ভালো অবস্থানে থাকবে। যাইহোক এতো চমৎকার ভাবে এই ম্যাচের রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
২৭২ রান আর কি, এই ম্যাচে তো ৩০০ রান হয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরী হয়েছিল। যদি না নারীন আর রাসেল পড়ে যেতো। তবে নারীন পড়লেও রাসেল যদি লাস্ট ২ ওভার খেলতে পারতো, তাহলেও পসিবল ছিল।