মুভি রিভিউ: ব্রহ্মদৈত্য
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটি মুভি রিভিউ শেয়ার করে নেবো। এই মুভিটির নাম হলো "ব্রহ্মদৈত্য"। এই মুভিটি হরর এবং রহস্যময় একটি কাহিনী অবলম্বনে তৈরি করেছে। তাহলে দেখা যাক কাহিনীটা কিভাবে শুরু হয়।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
❂মূল কাহিনী:❂
কাহিনীর শুরুতে অনিন্দ নামের একজন গাড়িতে করে আর তার পিছনে ডিকিতে করে একটি ট্যাঙ্ক নিয়ে যেতে লাগে,কিন্তু তাকে ফোনে বারবার বিরক্ত করতে লাগে যে, সে যেদিকে যাচ্ছে তার জন্য ফল ভালো হবে না। ফলে সে শেষমেশ ফোনটাই বাইরে ফেলে দেয় , কিন্তু তাও নিস্তার নেই, গাড়ির রেডিওতেও তাকে সতর্ক করছে। এখন সে চিন্তা করে যে ট্যাঙ্কটা আছে ওটা পুড়িয়ে ফেলবে, তাহলে সমস্ত সমস্যার ঝাড় একবারে মিটে যাবে। অনিন্দ সেই হিসেবে একটি পেট্রল পাম্প এর থেকে একটি বড়ো টবে করে পেট্রল ফুল করে নেয়। কিন্তু ওই মুহূর্তে গাড়ির পিছনে ধাক্কাধাক্কি করতে লাগে আর ওখানে যে লোকটা তাকে পেট্রল দিচ্ছিলো সে দেখে ফেলে। ওই লোকটা সাধারণত মনে করেছিল কোনো লাশ বা কাউকে গাড়িতে আটকে রেখে জোরজবরদস্তি করে নিয়ে যাচ্ছে। এখন লোকটার মুখ বন্ধ করার জন্য আরো কিছু এক্সট্রা পয়সা দিয়ে দেয়।
এরপর অনিন্দ রাস্তার পাশে একটি ফাঁকা জায়গায় ট্যাঙ্ক নিয়ে গিয়ে তাতে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। তবে ওই মুহূর্তে তার সামনে একটা ব্রহ্মদৈত্য এর মতো প্রেত্মা তাকে ধরে মেরে ফেলে। এইবার এই কাহিনীরই প্রথম পর্ব এর দিয়ে শেষ হলে, তার সূত্রপাত হয় আরেকজনের থেকে অর্থাৎ সায়ানি নামের একটি মেয়ের কাছে অনলাইন শপিং এর একটা লিঙ্ক আসে আর তার নামটাও অদ্ভুত। এই সাইট দিয়ে সাধারণত বিভিন্ন ধরণের ভৌতিক বই, মুখোশ ইত্যাদি নানা ধরণের জিনিস পাওয়া যায়। এখন তাকে শৌভিক নামের এক বন্ধু বুদ্ধি দেয় যে, এই সাইট দিয়ে কোনো সুপার ন্যাচারাল ব্রহ্মদৈত্যকে অর্ডার করতে। আর সায়ানি তার কথা শুনে অফারে অর্ডার দিয়ে দেয়। পরেরদিন বাড়িতে অর্ডার দিয়ে যেতেও আসে। আর এই প্রেত্মা বা ব্রহ্মদৈত্যর সাথে কিভাবে কথা বলতে হবে বা ব্যবহার করতে হবে তা একটি সাংস্কৃতিক ভাষায় লেখা বই দিয়ে যায়।
কিন্তু সে সাংস্কৃতিক ভাষা বুঝবে না বলে, বাংলা ভাষায় রেকর্ড করে একটি ক্যাসেটও দিয়ে যায় পার্ট ভিত্তিক। সেই ইন্সট্রাকশন অনুযায়ী সবকিছু করে, কিন্তু তার বাড়িতে ব্রহ্মদৈত্য উপস্থিত হওয়ায় নানা ধরণের অদ্ভুত অদ্ভুত ঘটনা ঘটতে থাকে। অর্থাৎ রুম বরফের মতো ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, দরজা ইচ্ছামতো খোলামেলা এইসব ঘটনা হঠাৎ হঠাৎ ঘটতে থাকে। এইসব নিয়ে অনেক ঝামেলায় পড়ে যায়। একদিন তার বাড়িতে কাজের মাসির সাথে এইরকম ঘটনা ঘটে আর তাকে মেরেও দেয় বিশ্রীভাবে। এরপর পুলিশ আসে এবং ফরেনসিক ডিপার্টমেন্ট এর লোকজনও আসে, কিন্তু এইরকম অদ্ভুত মৃত্যু দেখে সবাই অবাক। আর এই বাড়িতে কোনো সুপার ন্যাচারাল পাওয়ার আছে সেটাও অনুমান করেছে। এই ব্রহ্মদৈত্য আউট অফ কন্ট্রোল হয়ে গেলে কাউকেই ছাড়ে না আর পরে তাকে এবং তার আশেপাশের সমস্ত লোকজনকেও মেরে ফেলে। এইসব দেখে আর কোনো উপায় না খুঁজে পেয়ে একজন জোতিষী ডাকে আর তার উপরেও হামলা করে।
মানে তাকে সেখানে থাকতে দেবেই না এক মুহূর্তের জন্য, তবে এর থেকে বাঁচার কোনো উপায় নেই বলে জানায়, যেটা আছে সেটা খুব কঠিন অর্থাৎ তাকে সবসময়ের জন্য পালিয়ে পালিয়ে থাকতে হবে। আর এটাও সম্ভব না, তাই তার একমাত্র উপায় হচ্ছে তাকে বশে আনা। জোতিষী তাকে একটা কালো পাথর দিয়েছিলো যে, ব্রহ্মদৈত্য যদি খুবই মারাত্মক হয়ে ওঠে, তখন এই পাথর রক্ষা করবে অর্থাৎ যতক্ষণ এটি তোমার কাছে থাকবে ততক্ষন তাকে কেউ কিছু করতে পারবে না। এরপর সায়ানি একাই সেই ব্রহ্মদৈত্যর সাথে লড়াই করে আর তাকে সেই কালো পাথরটা দেখিয়ে বশে আনে আর সেখান থেকে তাকে যখন যেটা বলে এই ব্রহ্মদৈত্যটা তাইই করে, কারণ তাকে এটা বুঝিয়ে দিয়েছে যে তোকে আমি কিনেছি তাই তুই আমার হুকুম মেনে চলতে বাধ্য, আমি নই।
❂ব্যক্তিগত মতামত:❂
এই কাহিনীর প্রথম পর্বে অনিন্দ ঠিকই এইরকম ফাঁদে পড়েছিল অর্থাৎ এইরকম ওয়েবসাইটে তাকেও এই ব্রহ্মদৈত্য কিনতে বাধ্য করে আর সেই প্রথম কাস্টমার ছিল। কিন্তু অনিন্দ এই ব্রহ্মদৈত্যকে কন্ট্রোল করতে পারেনি, ফলে তার জীবন বিপন্ন হয়ে ওঠে আর সে মারা যায় একসময় ওইসব করতে গিয়ে। এখানে সায়ানিও এই ওয়েবসাইট থেকে নিজের স্বার্থের জন্যই এই ব্রহ্মদৈত্য অর্ডার করেছিল, কারণ তার ধারণা ছিল যে, এই ব্রহ্মদৈত্য তাকে জীবনে সারা খুশি, টাকা, সবকিছুই এনে দেবে। এই লোভে পড়ে এইসব করেছিল। তবে তাদের এই ইন্সট্রাকশনে এটাও উল্লেখ করা ছিল যে, যদি ব্রহ্মদৈত্য কন্ট্রোলে না থাকে, তাহলে সে যেকোনো মুহূর্তে যেকোনো কাউকে মেরে ফেলতে পারে। তবে সায়ানিই আবার প্রথম কাস্টমার ছিল যে, এই ব্রহ্মদৈত্যকে বশ করতে পেরেছিলো।
❂ব্যক্তিগত রেটিং:❂
৭.৮/১০
❂ট্রেইলার লিঙ্ক:❂
ফাইনালি এটা জেনে ভালো লাগলো যে সায়ানি ব্রক্ষ্মদৈত্যকে বশে আনতে পেরেছে! মুভির গল্পটাও দাদা আমার কাছে ইন্টারেস্টিং লেগেছে! অনিন্দ যেখানে ব্যর্থ হয়েছিল সেখানে সায়ানি সফল হয়েছে!
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন
@rahimakhatun এটা কি ধরণের কমেন্ট হলো, ঠিক বুঝলাম না?
সেজন্যই বলা হয় যে, লোভে পাপ পাপে মৃত্যু। অনিন্দ লোভে পড়ে নিজের মৃত্যু ডেকে এনেছে। তবে সায়ানি ঠিকই ব্রহ্মদৈত্যকে কন্ট্রোল করতে পেরেছে খুব ভালোভাবে। আসলে এসব জিনিস বশে আনা খুবই কঠিন ব্যাপার। মুভি রিভিউ পড়ে সত্যিই খুব ভালো লাগলো দাদা। আমার কাছে হরর মুভি দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। মুভি দেখা কালীন সময়ে প্রতিটি মুহূর্ত মনের মধ্যে কেমন যেন ভয় ভয় কাজ করে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি মুভির রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
বেশ ভালই লাগলো মুভি রিভিউ পড়ে। অনলাইন থেকে ব্রাহ্মদৈত্য কিনে বিপদে পড়ে গেল প্রথম কাস্টমার সে তো মারা গেল।দ্বিতীয়তঃ সায়ানি বশ করতে পারলো ওই ব্রহ্মদৈত্যকে। পুরো মুভি রিভিউ দেখলাম দাদা পড়ে খুব ভালো লাগলো। এই ধরনের হরর মুভি গুলো দেখলে যেমন ভালো লাগে তেমনি আবার ভয় লাগা কাজ করে। প্রতিনিয়ত আপনার মুভি রিভিউ গুলো দেখি খুব ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ দাদা বিস্তারিত পড়েছি।
বাহ দারুন ইন্টারেস্টিং মুভি তো। অনলাইন সাইটের মাধ্যমে অর্ডার করে সুপার ন্যাচারাল ব্রহ্মদৈত্য পাওয়া যায়। যে দৈত্য মানুষের সব কথা শুনবে। আর যদি সেই দৈত্যকে কন্ট্রোল না করতে পারে তাহলে জীবন শেষ। যেমন অনিন্দ নামের মেয়েটি তার নিজের ভুলের ফল ভোগ করেছে। তবে অনিন্দ নামের মেয়ের দুষ বলার আগে তার বন্ধুর দুষ ধরতে হবে। কারন এই সাইটের লিংক তার বন্ধু তাকে সেন্ড করেছে। অনিন্দ নামের মেয়েটি আবার কিছু ভুল করেছে,তার মোবাইলে বার বার সতর্ক বার্তা আসার পরেও সে থামে নি, বরয় মোবাইলটা ফেলে দিয়েছে। আবার গাড়ির রেডিওতে সতর্ক বার্তা আসার পরেও থামেনি। যার ফলে নিজের জীবন দিতে হয়েছে। এখানে সায়ানি মেয়েটি জীবনের রিক্স নিয়ে এই দৈত্য কিনেছিল। প্রথম দিক দিয়ে সেও কন্ট্রোল করতে না পেরে বিপদে পড়েছিল। পরে জোতিষীর মাধ্যমে কালো পাথর দিয়ে সেই দৈত্যকে কন্ট্রোল করে। আর সায়ানিই প্রথম কাস্টমার ছিল যে, এই ব্রহ্মদৈত্যকে বশ করতে পেরেছিলো। মুভিটি আমি না দেখলেও আপনার রিভিউ পড়ে খুব সুন্দর ভাবেই বুঝতে পেরেছি। ধন্যবাদ দাদা।
দাদা আজকেও আপনি অনেক সুন্দর একটা মুভির রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। মুভিটার রিভিউ পড়তে পেরে আমার কাছে সত্যি খুব ভালো লাগলো। এই মুভিটি হরর এবং রহস্যময় একটি কাহিনী অবলম্বনে তৈরি করেছে দেখে আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। অনিন্দ এরকম ফাঁদে পড়েছিল ঠিকই সে ওই ব্রহ্মদৈত্যকে কন্ট্রোল করতে পারেনি। যার জন্য এসব করতে গিয়ে সে মারা গিয়েছিল। আর দেখছি সায়ানী পেরেছে ওই ব্রহ্মদৈত্যকে কন্ট্রোল করতে। এরকম টাইপের মুভি গুলো দেখলে সত্যি খুব ভালো লাগে। পুরো মুভিটার রিভিউ বেশ ভালোই উপভোগ করে পড়েছি। এই মুভিটার রিভিউ খুব ভালো লেগেছে। তাই ভাবছি সময় পেলে মুভিটা দেখব। আশা করছি রিভিউ পড়তে যেমন ভালো লেগেছে তেমনি মুভিটা দেখতেও ভালো লাগবে ধন্যবাদ দাদা পুরো মুভির রিভিউ সুন্দর করে লিখে, সবার মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
দাদা আপনি তো আমার মনের মত একটা মুভির রিভিউ পোস্ট করেছেন। এই মুভিটির নাম ছিল দেখছি ব্রহ্মদৈত্য। এই মুভিটা যদিও আমার এখনো পর্যন্ত দেখা হয়নি। তবে আপনার রিভিউ পোস্টের মাধ্যমে সর্বপ্রথম দেখতে পেয়ে সত্যি খুব ভালো লাগলো। দাদা আপনি রিভিউ গুলো অনেক সুন্দর করে লিখে থাকেন, যার কারণে সম্পূর্ণ কাহিনীটা জানা যায়। আর আপনার মুভি গুলোর রিভিউ পড়লে তো মুভি আর দেখাই লাগেনা। কারণ পুরো কাহিনীটা রিভিউর মাধ্যমেই জেনে যাই। তবে যাই হোক এই মুভিটার কাহিনী কিন্তু আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। অনিন্দ ওই ব্রহ্মদৈত্যকে কন্ট্রোল করতে পারেনি, এজন্যই তার জীবন বিপন্ন হয়ে উঠেছিল। আর এই কাজের জন্য মারা গিয়েছিল। সায়ানিও দেখছি ওয়েবসাইট থেকে নিজের স্বার্থের জন্য ওই ব্রহ্মদৈত্যটা অর্ডার করেছিল। সেই সবকিছু জানত, তবুও সে অর্ডার করেছিল। তবে দেখছি সে কন্ট্রোল করতে পেরেছিল ওই ব্রহ্মদৈত্যটাকে। আর সায়ানি সেই প্রথম কাস্টমার, যে ব্রহ্মদৈত্য টাকে নিজের কন্ট্রোলে আনতে পেরেছে। এতে কিন্তু তার প্রাণেরও ঝুঁকি ছিল। কিন্তু সে পেরেছে ওই ব্রহ্মদৈত্যকে কন্ট্রোল করতে। যাই হোক দাদা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে। সবার মাঝে পুরো রিভিউটা ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।