এঁচোড়-চিংড়ির কষা কষা রেসিপি ।। বাঙালি রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজকে আপনাদের সাথে একটা রেসিপি শেয়ার করে নেবো। আজকে আমি এঁচোড় রান্না করেছি। এঁচোড়টি চিংড়ি দিয়ে কষা কষা ভাবে রান্না করেছি। এঁচোড় আমাদের সবারই পরিচিত আর আমরা সবাই বেশ তৃপ্তি করেও খাই। এঁচোড় গরম এর সময় খেতে দারুন লাগে চিংড়ির সাথে আর তা যদি হয় কষা কষা। এঁচোড় একটু ছোট হলে খেতে আরো বেশি মজাদার হয়ে থাকে। এঁচোড় সাধারণত বিভিন্ন ভাবে রান্না করে খাওয়া যায়। আমার কাছে এঁচোড় সব থেকে বেশি ভালো লাগে কষা কষা , স্বাদের দিক থেকে একদম মাংসের থেকে কোনো অংশে কম লাগে না। যাইহোক এখন আমি এই সুস্বাদু রেসিপিটির মূল পর্বের দিকে চলে যাবো।
♨প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:♨
❦এখন রেসিপিটি যেভাবে তৈরি করলাম--
✠প্রস্তুত প্রণালী:✠
➤সব চিংড়িগুলোকে প্রথমে ভালো করে কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে ( এই কাজটা আগেই করা ছিল )। এরপর আমি এঁচোড়টির খোসা ফেলে কেটে ছোট ছোট পিচ করে নিয়েছিলাম।
➤আলু দুটির খোসা ফেলে দিয়ে কেটে পিচ পিচ করে নিয়েছিলাম এবং পরে জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছিলাম। এরপর পেঁয়াজগুলোর খোসা ফেলে দিয়ে কুচি কুচি করে নিয়েছিলাম। কাঁচা লঙ্কাগুলো কেটে নিয়েছিলাম।
➤চিংড়িগুলোর গায়ে লবন, হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর হাত দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিয়েছিলাম।
➤চিংড়িগুলো ভালো করে ভেজে নিয়েছিলাম। এরপর আলুগুলোও ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।
➤কেটে রাখা এঁচোড়ের পিচগুলো একটি কড়াইতে দিয়ে তাতে অল্প লবন আর হলুদ দিয়েছিলাম এবং পরে তাতে একটু জল দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤জলটা দেওয়ার পরে কিছুক্ষন ধরে সেদ্ধ করে নিয়েছিলাম। সেদ্ধ হয়ে গেলে তুলে নিয়ে ভালো করে তেলে ভেজে নিয়েছিলাম।
➤কড়াইতে তেল দিয়ে তাতে পাঁচফোড়ন, তেজ পাতা এবং শুকনো লঙ্কা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে পেঁয়াজ কুচি সব ঢেলে দিয়েছিলাম।
➤পেঁয়াজ কুচির সাথে সব ভালো করে ভাজা মতো করে নিয়েছিলাম। ভাজার পরে তাতে জিরা গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো এবং কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর সব একসাথে মিশিয়ে অল্প কিছু সময় জ্বাল দিয়ে নিয়েছিলাম।
➤সব মশলা মিশিয়ে হালকা ভাজার পরে তাতে ভেজে রাখা আলুর পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে ভাজা এঁচোড়ের পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤এঁচোড় দেওয়ার পরে তাতে ভাজা চিংড়িগুলো সব দিয়ে দিয়েছিলাম এবং সাথে কাঁচা লঙ্কা। এরপর স্বাদ মতো লবন আর হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম। সব একসাথে ভালোভাবে খুন্তি দিয়ে উল্টেপাল্টে মিশিয়ে নিয়েছিলাম।
➤মেশানোর পরে তাতে জল ঢেলে দিয়েছিলাম এবং কষা কষা মতো হয়ে আসা পর্যন্ত দেরি করেছিলাম।
➤বেশ কিছু সময় দেরি করার পরে এঁচোড় চিংড়ির কষা কষা রান্না হয়ে গেছিলো। আর এখন এই মজাদার এঁচোড় রেসিপিটি পরিবেশন করে খাওয়ার জন্য প্রস্তুত। দারুন একটা সুগন্ধ বের হচ্ছিলো রান্নার শেষে, খেতেও সেইরকম মজাদার হয়েছিল। এঁচোড়ের একটা পিচ খাওয়ার সময় মনে হচ্ছিলো যেন চিকেন খাচ্ছি, যাইহোক এইটা চিকেন না কিন্তু খাওয়ার সময় এইরকম অনুভূতি হবে।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
এঁচোড়কে আমাদের দেশে কাঁচা কাঁঠাল বলে। প্রথমে নামটা দেখে একটু কনফিউশনে ছিলাম পরে বুঝলাম এটা কাঁচা কাঁঠাল। যাইহোক, এঁচোড় আর চিংড়ির রেসিপি অনেক মজার একটি রেসিপি। বিশেষ করে ঝড়ের সময় ছোট ছোট কাঠাল পড়ে যায় তখন এইগুলো দিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর রেসিপি তৈরি করা হয়। এই কাঠাল দিয়ে কাঁঠালের পিঠালীও খেয়েছি। আর চিংড়ি মাছ দিয়ে এই রেসিপি আগে খাওয়া হয়েছে আমার। অনেক মজার একটি রেসিপি।
রেসিপি সত্যি অনেক লোভনীয় হয়েছে। এইতো আর কিছু দিন তাহলেই গাছে কাঁঠাল পাওয়া যাবে যদিও এখন অনেক গাছে কাঁঠাল মোটামুটি সাইজ হইছে। দেখি কিছু দিন পর গ্রামে যাবো তখন এই রেসিপি টি তৈরি করার চেষ্টা করবো। আজকের রেসিপিটি অনেক সুন্দর হয়েছে। বিশেষ করা যারা এই রেসিপিটি খেয়ে দেখে নাই তাদের জন্য উপকার হবে। দাদা, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ অসাধারণ একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
দাদা আজকে আপনি এত লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরি করেছে যে মনে হচ্ছে আপনার বাসায় চলে যাই। এই দুপুর বেলায় এত মজার একটি রেসিপি দেখে লোভ সামলানো মুশকিল হয়ে পড়েছে। একদিকে যেমন এঁচোড়ের তরকারি অন্যদিকে আমার প্রিয় চিংড়ি মাছ। সবকিছু মিলে মিশে লোভ আরো বেড়ে গেছে। আসলে এঁচোড় দিয়ে চিংড়ি মাছ কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার তৈরি করা রেসিপি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই ভালো লাগবে। এঁচোড় ভুনা খেতে খুবই ভালো লাগে। আর সাথে যদি হয় চিংড়ি মাছ তাহলে নিশ্চয়ই আরো ভালো হয়েছে খেতে। আমার কাছে আপনার তৈরি করা এই রেসিপি এতটাই ভালো লেগেছে যে বলে বুঝানোর মতো নয়। আর এছাড়াও আপনার প্রতিটি রেসিপি আমার ভালো লাগে। কারণ আপনি অনেক সুন্দর করে আপনার রেসিপি তৈরি করেন। আপনার প্রত্যেকটি রেসিপি সব সময় সুন্দর করে উপস্থাপন করেন। আমি একটি জিনিস খেয়াল করে দেখেছি আপনার রেসিপি গুলো এত সুন্দর করে তৈরি করেন আর এত মজার করে তৈরি করেন যে দেখে খেতে ইচ্ছে করে। আপনার তৈরি করা আজকের এঁচোড় চিংড়ি রেসিপি আমার কাছে দারুণ লেগেছে। সাথে আবার আলু দিয়েছেন দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে আরো বেশি মজাদার হয়েছে। আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে আপনি এঁচোড়, চিংড়ি মাছ ও আলুর টুকরোগুলো সুন্দর করে ভেজে নিয়ে এরপর রান্না করেছেন। এভাবে ভেজে নিয়ে রান্না করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। আমি অবশ্য মাছ ভেজে নিয়ে তারপর রান্না করি। তরকারি ভেজে এর আগে কখনো রান্না করা হয়নি। আপনার রেসিপিগুলো যখন আমি দেখি তখন চেষ্টা করি আপনার মত করে রেসিপি তৈরি করার। আর আপনার তৈরি করা রেসিপিগুলো দেখে দেখে আমি অনেক রেসিপি তৈরি শিখছি দাদা। কারণ আপনার তৈরি করা রেসিপিগুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আসলে পছন্দের মানুষের কাছ থেকে শেখা রেসিপি সব সময়ই অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার রেসিপিগুলো যখন আমি দেখি তখন খুবই মনোযোগ দিয়ে দেখি। কারণ আমি আপনার তৈরি করা রেসিপিগুলো দেখে দেখে শিখতে চাই এবং শিখে নিছি। সেজন্য আপনাকে সবসময় ধন্যবাদ জানাই। আর আপনি এত সুন্দর করে মজার সব রেসিপি তৈরি করেন যে রেসিপিগুলো দেখে লোভ সামলানো একেবারেই মুশকিল হয়ে পড়ে। আসলে আপনার রন্ধনশিল্পের নিপুণতা আমাকে মুগ্ধ করে। আপনি আপনার রন্ধনশিল্পের দক্ষতায় এত সুন্দরভাবে রেসিপি তৈরি করেন যে দেখেই বোঝা যায় পাকা রাঁধুনির রেসিপি। রন্ধনশিল্পের নিপুণতা ও দক্ষতা আপনার কাছে শেখা উচিত দাদা। আপনার রন্ধনশিল্পের নিপুণতা দেখলে আমি মুগ্ধ হয়ে যাই। আপনি আপনার ব্যস্ততার মাঝেও এত সুন্দর করে আপনার রন্ধনশিল্পের নিপুণতা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেন খুবই ভালো লাগে। আসলে দাদা আমি যখন আপনার রেসিপিগুলো দেখি ও আপনার রন্ধনশিল্পের নিপুণতা দেখি তখন বারবার নিজেকে আপনার মতো করে তৈরি করার ইচ্ছে হয়। কারণ আপনি খুবই ধৈর্য সহকারে ও সুন্দরভাবে আপনার রেসিপিগুলো উপস্থাপন করেন। হয়তো আমার এত ধৈর্য নেই। তবে মজার মজার রেসিপি খেতে কিন্তু ভালবাসি দাদা। খাবার বেলায় ঠিকই মজার খাবার খেতে মন চায়। সত্যি দাদা আপনার বাসার পাশাপাশি যদি আমার বাসা হতো তাহলে খুবই ভালো হতো। ছুটে চলে যেতাম দাদার বাড়িতে মজার মজার রেসিপি খাওয়ার জন্য। দাদার হাতের মজার রেসিপি হয়তো খাওয়া হবে না তবে দাদার কাছ থেকে এই রেসিপি গুলো শিখে শিখে আমিও চেষ্টা করব এই রেসিপি তৈরি করার জন্য। খুবই মজাদার রেসিপি সকলের মধ্যে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা। সেই সাথে আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো দাদা। 💗💗💗💗💗
ভাই আমার কাছে মনে হয় এতো বড় কমেন্ট কোন দিন গঠন মূলক কমেন্ট হতে পারে না। একটি সুন্দর কমেন্ট করাটাই জরুরি। আমার ভুল হলে মাফ করে দিবেন। একটা রেসিপি পোস্টে এতো বড় কমেন্ট৷ মনে হচ্ছে দাদার পোস্টে আপনার এটি আরেকটা পোস্ট। সত্যি ভুল বলে থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
আপনার সাথে আমি একমত ভাই। অনেকে পোস্ট ও এর থেকে ছোট করে।
এঁচোড়-চিংড়ির কষা যে বাঙালির কতটা প্রিয় খাবার সেটি শহরে থাকাকালীন সময়ে উপলব্ধি করতে পেরেছিলাম।যদিও প্রথম প্রথম এটি খেতে ভালো লাগতো না ,তবে এখন বেশ ভালো লাগে খেতে।আমি যখন প্রথম এর নাম শুনেছিলাম এক মাসীদের বাড়িতে গিয়ে।তখন অনেক অবাক হয়েছিলাম।মাসি আমাকে বলেছিল ----
আজ গাছপাঠার মাংস রান্না করেছি।আমি বললাম আমি তো মাংসই খাইনা এটি আবার কি!তাহলে নিশ্চয়ই গাছে ধরে এমন কিছু।তারপর শুনি এই কচি কাঁঠালের এঁচোড়-চিংড়ি দিয়ে কষা ।
বেশ ভালো লাগে খেতে,সবাই বলে কিছুটা মাংসের মতো তাই এমন নাম।আপনার রেসিপিটা দেখে মনে পড়ে গেল।আপনার রেসিপিটা ও সুন্দর ও লোভনীয় হয়েছে।আসলে এর কালারটি সত্যিই মাংসের মতো হয়, আপনার রেসিপির কালারটি অসাধারণ হয়েছে দাদা।👌👌
আসলে পাকা অবস্থায় এটি খাওয়া হতো আগে,গ্রামাঞ্চলে এটি কম খাই সবাই।শহরেই বেশি চলে, কাঁঠাল মনে হয় সকলের প্রিয় একটি ফল।কাঁচা কাঁঠালের ভক্ত না হলে ও খাজা কাঁঠালের ভক্ত অনেকেই আছেন😊😊।চিংড়ি দিয়েই এটি বেশি ভালো লাগে খেতে।দেখেই বোঝা যাচ্ছে রেসিপিটা কতটা সুস্বাদু হয়েছে।ধাপগুলো ভালো ছিল বরাবরের মতোই।ধন্যবাদ দাদা,ভালো থাকবেন।শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ওয়াও ভাইয়া আপনি খুবই সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আজকে এঁচোড় চিংড়ির কষা কষা সুস্বাদু রেসিপি দেখে আর লোভ সামলাতে পারছিনা। সত্যি ভাইয়া আপনি খুব মজার মজার রান্না করেন। দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করে। আমি আগে ভাবতাম এঁচোড় চিংড়িটা কি? সত্যি বলতে কাঁচা কাঁঠালকে যে এঁচোড় বলে এটা আমার জানা ছিল না। আপনার আজকের পোস্টটা দেখে আমি জানতে পারলাম যে কাঁচা কাঁঠালকে এঁচোড় বলে আর চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করার কারণে একে এঁচোড় চিংড়ি বলে এটা আমি আজকে বুঝতে পারলাম। আপনার রেসিপিটা সত্যিই খুব লোভনীয় হয়েছে ভাইয়া। আমি অনেকবার কাঁচা কাঁঠাল রান্না করে খেয়েছি একটি খেতে সত্যি খুব সুস্বাদু। কিন্তু এইভাবে চিংড়ি দিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি। দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিয়েছি আমি অবশ্যই এভাবে রান্না করে খেয়ে দেখব। এত সুন্দর রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
এঁচোড়-চিংড়ির কষা রেসিপি এতটাই লোভনীয় হয়েছে যে দেখে জিভে জল চলে আসলো দাদা। আমরা বাঙালিরা খাবার খেতে ভালোবাসি। তাই মজার মজার রেসিপি তৈরি করতেও ভালোবাসি এবং শিখতেও ভালোবাসি। আর আপনি হচ্ছেন আমাদের পথপ্রদর্শক। কারণ আপনার কাছ থেকে মজার রেসিপি গুলো শিখছি। এঁচোড় চিংড়ির কষা রেসিপি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। দাদা আপনি একদম ঠিক কথাই বলেছেন এঁচোড় ভুনা করলে চিকেনের মতই লাগে। এঁচোড় ভুনা একজন বাঙ্গালীর খুবই প্রিয় একটি খাবার। আসলে এঁচোড় খেতে পছন্দ করেন না এমন বাঙালি খুবই কম রয়েছে। সবাই কমবেশি এঁচোড় খেতে পছন্দ করেন। আর যদি সাথে হয় চিংড়ি মাছ তাহলে এঁচোড়ের তরকারির স্বাদ আরও বেশি ভালো লাগে। আর আপনি এত সুন্দর করে এঁচোড় চিংড়ি কষা ভুনা করেছেন দেখে মনে হচ্ছে যেন এখনি খেয়ে ফেলি। এঁচোড় ভুনার সাথে আবার আলু দিয়েছেন। আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে আপনি সব সময় সবার পছন্দনীয় রেসিপি গুলো তৈরি করেন। আসলে আমাদের পছন্দগুলোর সাথে অনেক মিল রয়েছে। তাই তো আপনার খাবারের সাথে আমাদের খাবারের অনেক মিল আছে। পছন্দের রেসিপিগুলো সবার মাঝে উপস্থাপন করলে অনেক ভালো লাগে। দাদা আপনার রেসিপি তৈরির দক্ষতা দেখলে মাঝে মাঝে অবাক হয়ে যাই। কারণ আপনি এই দুই হাতে সৃষ্টিকর্তার প্রদত্ত জাদুকরী শক্তি পেয়েছেন। আসলে সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত সেই জাদুকরী শক্তি না থাকলে আপনি এতো সুন্দর করে আপনার রেসিপি গুলো তৈরি করতে পারতেননা। আপনি যে শুধু ভালো রেসিপি তৈরি করেন তা কিন্তু নয় দাদা। আপনার আর্ট গুলো দেখলে তো আমি একেবারে মুগ্ধ হয়ে যাই। বিশেষ করে আপনি এতো সুন্দর করে আর্ট করেন যেগুলো দেখে মুগ্ধতা বেড়ে যায়। আর আপনার রেসিপি গুলোর কথা নতুন করে হয়তো বলার মতো কিছু নেই। কারণ আপনি সবসময়ই বাঙালির প্রিয় রেসিপি গুলো তৈরি করেন। আসলে বাঙালি রেসিপি গুলো খেতে খুবই ভালো লাগে। সত্যি কথা বলতে বিভিন্ন বিদেশি খাবারের মাঝে যদি বাঙালি রেসিপি গুলো উপস্থাপন করা হয় আমার মনে হয় এগুলো সব সময় এবং সর্বকালের সেরা রেসিপি হয়ে থাকবে। আর এঁচোড় কষা ভুনা রেসিপি আমার কাছে এতটাই ভালো লেগেছে যে মন চাচ্ছে এখন এই তৈরি করে ফেলি। আসলে আপনি এত ভালো রেসিপি তৈরি করেন দাদা যেগুলো হয়তো বলে শেষ করার মত নয়। কারণ আপনি খুবই দক্ষ হাতে ও সেরা রাধুনির মত করে রান্না গুলো করেন। আপনি আমাদের দেখা জন সেরা রাঁধুনি। হয়তো আমিও রেসিপি তৈরি করি কিন্তু আপনার মত এত সেরা রাঁধুনি হতে পারিনি। আপনি একজন ব্যস্ত মানুষ হয়েও এত সুন্দর করে আপনার কাজগুলো করেন দেখলে নিজের প্রতি নিজের অপমান বোধ হয়। কারণ আমি যখন কাজ করি হয়তো কোনোটার মাঝে কমতি থেকে যায়। কিন্তু আপনার তৈরি করা রেসিপি গুলো যখন বার বার দেখি তখন দেখেই বোঝা যায় আপনি কত সময় নিয়ে কাজগুলো করেন। তেমনি আপনার রেসিপিগুলো আমি যখন দেখি বারবার মুগ্ধ হয়ে যাই। আমার মনে হয় আপনার বাসার সকলেই আপনার হাতের রান্না খেতে পছন্দ করেন। আর পছন্দ না করার কোনো কারনই দেখিনা। কারণ আপনি সেরা রাঁধুনি। সত্যি দাদা আমাদের হবু বৌদি কিন্তু অনেক ভাগ্যবতী। আমাদের হবু বৌদি আপনার হাতের রান্না খেয়ে মুগ্ধ হয়ে যাবেন। সত্যি কথা বলতে প্রিয় মানুষের হাতের রান্না খাওয়া অনেক ভাগ্যের ব্যাপার। আমি আশা করছি আপনার পরিবারের সকলে আপনার রেসিপির খুবই প্রশংসা করেন। তবে যাই হোক দাদা সর্বশেষে একটি কথাই বলতে চাই অনেক মজার একটি রেসিপি ও লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।
এই রেসিপির কথা অনেকদিন আগে থেকেই শুনে আসছি। কিন্তু কখনো খাওয়া হয়নি। চিংড়ি মাছ দিয়ে আপনি খুবই মজা করে এঁচোড় রান্না করেছেন। এটা খেতে মনে হয় খুবই মজার হবে দাদা। আর আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে এই এঁচোড় রান্নার পদ্ধতিটি উপস্থাপন করেছেন অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
এঁচোড়-চিংড়ির কষা কষা রেসিপি দেখে মুখে জল চলে এসেছে দাদা।রেসিপির ছবি দেখেই মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে।আপনার প্রত্যেকটা রেসিপি পোষ্ট দাদা অসাধারণ হয়।ঠিক আজকেও এই চিংড়ি মাছের রেসিপি পোস্টটি ছিল অসাধারণ। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে দাদা।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে চিংড়ি মাছের এত সুন্দর একটি রেসিপি তুলে ধরার জন্য।
দাদা আপনি আজকে চমৎকার ভাবে এঁচোড়-চিংড়ির কষা কষা রেসিপি তৈরি করেছেন। এভাবে কখনো খাইনি। তবে আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে
এঁচোড় রান্নাটা শিখা আমার অনেক দিনে শক ছিলো।অনেকের মুূখে শুনেছি এটা খেতে বেশ দারুন,যদিও আমি কখনো খাই নি।আমার মা একদিন রান্না করেছে, রেসিপির কালার দেখে খেতে ইচ্ছে করছিলো না।এমনে শুনেছিলাম মজা হয় নি।আজকে দাদা আপনার রেসিপিটা দেখলাম।একদিন আমি বাসায় রান্না করে জানাবো খেতে কেমন।ধন্যবাদ আপনাকে মজার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
চিংড়ি ভীষণ পছন্দের একটা খাবার আমার। আমার আম্মুর অনেক পছন্দের চিংড়ি। এঁচোড় চিংড়ির সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যা দেখে বোঝাই যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনি খুব সুন্দর করে প্রতিটি ধাপের বর্ণনা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এই রকম সুন্দর একটি চিংড়ি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা আপনার জন্য।