এলোমেলো আলোকচিত্র ( পর্ব ২৯ )

in আমার বাংলা ব্লগ13 hours ago
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে কিছু এলোমেলো আলোকচিত্র শেয়ার করে নেবো। এই পর্বে দেখে নেওয়া যাক তাহলে কি কি আলোকচিত্র থাকছে।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এখানে কিছু পুজোর সামগ্রীর আলোকচিত্র আছে, যেগুলো তুলেছিলাম কালী পুজোর সময়ে। এখানে একটি ঝুড়ির মতো দেখতে পাচ্ছেন যেটা বাঁশের গায়ে ঝুলানো আছে এবং তার ভিতরে একটা বাল্ব দিয়ে ভিন্ন ধরণের লাইটিং এর মতো দেখতে কিছু করেছে, যেটা একধরনের ভিন্ন আঙ্গিকের সৌন্দর্যময়। এছাড়া আরো কিছু খড় দিয়ে একটা ছোট ঘরের আকারের ডিজাইন তৈরি করেছে, যেটাতে আবার একটি হাতের ডিজাইন করে তাতে জ্বলন্ত প্রদীপের মতো দেখতে তৈরি করেছে। এইগুলোর সৌন্দর্য আসলে খুবই সুন্দর লাগে দেখতে। এরপর একটি নাগরদোলার আলোকচিত্র দেখতে পাচ্ছেন, এখনকার নাগরদোলার ডিজাইনগুলো খুবই সুন্দর, না উঠলেও বাইরের থেকে দেখতে দারুন লাগে।


ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: কলকাতা
তারিখ: ১৩ নভেম্বর ২০২৩


Photo by @winkles

Photo by @winkles

এই আলোকচিত্র দুটি তুলেছিলাম গ্রামের দিকের থেকে। একদিন বিকেলে ঘুরতে গিয়ে হাঁটার ছলে ক্যাপচার করেছিলাম, আসলে এই দৃশ্য দেখতে খুবই ভালো লাগছিলো আমার কাছে। আমি যখন তুলেছিলাম, তখন মাঠভর্তি ধান গাছ লাগানো ছিল, ওই সময়ে ধান চাষ সহ অনেক কিছুই হয়ে থাকে। দেখতে কিন্তু দারুন লাগছে চিরসবুজের মাঝে। এইরকম চিরসবুজ মাঠ ভর্তি ফসল দেখলে মনটা অনেক ভালো লাগে। এছাড়া এখানে খালের মধ্যে বেশ রঙীন কালারের দুটি নৌকা দেখতেও দারুন লাগছে। এখানে আসলে অনেকে ঘুরতে এসে নৌকায় চড়তে চায়, কিন্তু টাকা নেয় বেশি সুযোগ বুঝে। এখানেও একধরণের ব্যবসা খুলে বসেছে বলা যায়।


ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: বেড়াবেড়িয়া
তারিখ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪


Photo by @winkles

Photo by @winkles

এইগুলো রাজা চন্দ্রকেতুর রাজমহলের অংশবিশেষের আলোকচিত্র। আগের একটি পোস্টে কিছু শেয়ার করেছিলাম, এখানে আসলে এখন একটা দর্শনার্থীর মতো স্থান তৈরি হয়ে গিয়েছে, প্রায় এখানে লোকজন আসে দেখতে, তবে এখানে আসলে দেখার মতো তেমন কিছুই বেঁচে নেই, পরপর অনেক কিছুই মাটির নিচে চলে গিয়েছে। শুধু উপরের দেওয়াল, সিঁড়ির কিছু অবশিষ্ট দেখা যায়, তাছাড়া বাকি সব, যেমন-গুপ্তদরোজা, সিংহাসনের সবকিছুই ধংস হয়ে গিয়েছে। এইগুলো যদিও ওখানকার লোকাল সংস্থার আন্ডারে রেখে প্রতিবছর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নর মাধ্যমে ধরে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে। পরের পর্বে আরো কিছু অংশ শেয়ার করবো এটার।


ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: বেড়াচাঁপা
তারিখ: ১ মার্চ ২০২৪


Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এই আলোকচিত্রগুলি তুলেছিলাম একটি মেলার থেকে। এখানে দেখতে পাচ্ছেন বাচ্চাদের কিছু খেলার সরন্জাম, বাচ্চারা এই ছোট ছোট কারে করে ঘুরতে বেশি ভালোবাসে। এইগুলোতে বসে থাকলেই হয় শুধু। তারপর আরো একটা গেম সিস্টেম এর খেলা, যেটাতে আসলে বড়রাও চায় উঠতে। এতে আসলে মাথা ঘুরায় খুব, কারণ কোথা দিয়ে কোথায় ঘুরলি পাক দিয়ে নিয়ে যাবে, তার ঠিক থাকে না আর সেটা খুবই দ্রুত অর্থাৎ সেকেন্ডে সেকেন্ডে। এরপর একজন বেলুন বিক্রি করছিলো, বেলুনগুলো বেশ রংগিন আকারের ছিল, এইসব বেলুনগুলো বাচ্চারা নেওয়ার জন্য খুবই উতলা হয়ে যায়। এরপর এখানে দেখতে পাচ্ছেন, কিছু কাঠের তৈরি জিনিসপত্র নিয়ে বসেছে বিক্রি করার জন্য। চেয়ার, টেবিল, টুল ইত্যাদি বিভিন্ন ধরণের জিনিস তারা নিয়ে এসেছিলো, তবে মেলায় এইগুলোর দামও কম না, অনেকটা বেশিই নিয়ে থাকে। তবে কাঠগুলো বেশ মজবুত।


ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: গোবরডাঙ্গা
তারিখ: ২০ এপ্রিল ২০২৪


Photo by @winkles

এই আলোকচিত্রটি তুলেছিলাম আমার পিসিমার বাড়ির থেকে। মাঝে অনেকদিন আগে একবার ঘুরতে গিয়েছিলাম, তখন দেখেছিলাম বাড়িতে অনেকগুলো কাঁঠাল ধরেছিলো। আমার পিসিমার বাড়িতে অনেকগুলো কাঁঠাল গাছ আছে, আর বেশ ভালোই কাঁঠাল ধরে থাকে প্রতিবার । এই কাঁঠাল দুটি একদম গোড়ার দিকে ধরেছিলো, আর সাইজেও বেশ ভালো কাঁঠাল। এই কাঁঠালগুলো আবার খাজা কাঁঠাল, এই গাছের থেকেই মাঝে দুটি নিয়ে এসেছিলাম আধা পাকা অবস্থায়, খেতে বেশ ভালো মিষ্টি ছিল।


ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: হাবড়া
তারিখ: ১৭ মে ২০২৪


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 12 hours ago 

খুবই সুন্দর সুন্দর এলোমেলো ফটোগ্রাফি করেছেন দাদা। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো। বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলের দৃশ্য এবং রঙ্গিন দুটি নৌকার ফটোগ্রাফিটি আমার কাছে সবচাইতে বেশি ভালো লেগেছে।

 8 hours ago 

কী দারুণ সব ছবির বিষয়বস্তুগুলো। ধানের গোলা এখন প্রায় দেখতেই পাওয়া যায় না৷ পশ্চিম মেদিনীপুরের কিছু কিছু ঘরবাড়িতে থেকে গেলেও বহুল প্রচলিত নয়৷

রাজা চন্দ্রকেতুর রাজমহলের ধ্বংসাবশেষের ছবিটি বেশ ভালো লেগেছে। আর ওই রঙ করা দারুণ দেখতে নৌকাদুটি খুবই অভিনব।

ভালো লাগল দাদা আপনার ছবিগুলো।

 6 hours ago 

আরে বাহ্ দাদা আপনার আজকের ফটোগ্রাফি গুলো ও কিন্তু জাস্ট অসাধারণ ছিল। আমার কাছে তো দেখতে খুবই ভালো লেগেছে এই ফটোগ্রাফি গুলো। বিশেষ করে প্রথম ফটোগ্রাফি গুলো একটু বেশি সুন্দর ছিল। সবকিছু এত সুন্দর করে সাজানো হয়েছে দেখে জাস্ট মুগ্ধ হলাম। গ্রামের দিক থেকে তোলা ফটোগ্রাফি গুলো ও দারুণ হয়েছে দাদা। নৌকা দুইটা কালারফুল হওয়াতে দেখতে বেশি ভালো লাগতেছে। আর মেলা থেকে তোলা ফটোগ্রাফি গুলো ও খুব ভালো লাগলো। সবগুলো ফটোগ্রাফির মাধ্যমে এগুলোর সৌন্দর্য অনেক বেশি সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে। যা দেখে চোখ ফেরাতে পারছিলাম না। গাছের মধ্যে থাকা দুইটা কাঁঠালের ও সুন্দর করে আপনি ফটোগ্রাফি করেছেন। অপরূপ সৌন্দর্যময় দৃশ্যের এত সুন্দর ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা। এরকম সুন্দর ফটোগ্রাফি প্রতিনিয়ত দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।

 5 hours ago 

দাদা বরাবরের মতো আজকেও দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে। পূজা সামগ্রীর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। আপনার ফটোগ্রাফির দক্ষতা খুবই ভালো। রঙিন নৌকা দুটি তো খুবই সুন্দর লাগছে দেখতে। তাছাড়া বাকি ফটোগ্রাফি গুলোও দারুণভাবে ক্যাপচার করেছেন দাদা। সব মিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 hours ago 

বাহ দাদা,দারুন দারুন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন তো। প্রথমেই যে ছবিগুলো শেয়ার করছেন সেখানে দুটি হাত বেরিয়ে তার মাঝে জ্বলন্ত প্রদীপ দেখা যাচ্ছে। আসলে এটা একদম দারুন একটা ক্রিয়েটিভিটি। আগেকার সময়ে এই মেলাগুলোতে যেতে খুব ভালো লাগতো।কিছু কিছু জিনিস খুবই সহজে পাওয়া যেত অল্প মূল্যে। কিন্তু বর্তমান সময়ের মেলাগুলো প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বেশি রাখে এজন্য মেলায় যেতে আর ইচ্ছে করেনা। মেলায় বেলুন, বিভিন্ন রকম খেলনা নিয়ে লোকজন চারপাশে সব সময় ঘোরাঘুরি করে যাতে বাচ্চারা বায়না ধরে তাদেরকে কিনে দেয়। তাছাড়া আপনার পিসি মায়ের গাছের কাঁঠাল গুলো দেখে বেশ পরিপক্ক মনে হচ্ছে। আর মনে হচ্ছে যে খেতেও ভালো হবে।খুব ভালো লাগলো দাদা, আপনার পোস্টের মাধ্যমে আজকে দারুন কিছু ফটোগ্রাফি দেখতে পারলাম।

 1 hour ago 

দাদা আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলোর প্রশংসা আর নতুন করে কি করবো। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আমি সবসময় খুব পছন্দ করি দেখতে। তেমনি আমার কাছে আজকের ফটোগ্রাফি গুলো ও দেখতে অনেক ভালো লেগেছে। আপনি ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে ভিন্ন ভিন্নভাবে এই এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন। এগুলোর প্রশংসা তো করাই লাগতেছে। আধা পাকা কাঁঠালগুলো খেতে কিন্তু আমার অনেক ভালো লাগে। গতকালকেও এরকম কাঁঠাল খাওয়া হয়েছিল আমার। দাদা আপনি পুজোর সামগ্রীর অনেক সুন্দর করে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। যেগুলো সৌন্দর্য দেখে এক নজরে তাকিয়ে ছিলাম। লাইটিং গুলো অনেক বেশী সুন্দরভাবে করা হয়েছে। যা মনোমুগ্ধকর ছিল একেবারে। অন্য সব ফটোগ্রাফি গুলো ও কম ছিল না। অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর ফটোগ্রাফি করে শেয়ার করার জন্য।

 38 minutes ago 

এলোমেলো আলোকচিত্র গুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগলো দাদা।আলাদা আলাদা বিষয়ের উপর আলাদা আলাদা আলোকচিত্র সত্যি ই ভালো লাগলো।গ্রামের দিকে গিয়ে নৌকার ফটোগ্রাফিটি অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে।নৌকা দেখলেই তাতে চড়তে ইচ্ছে করে। আপনার শেয়ার করা সবগুলো আলোকচিত্র খুবই ভালো লেগেছে।আপনার পিসির বাড়ির কাঁঠালের গাছের কাঁঠাল দেখে বেশ ভালো লাগলো।যে গাছে কাঁঠাল হয় সেই গাছে আগা থেকে গোড়া অব্দিই কাঁঠাল হতে দেখা যায়।ধন্যবাদ দাদা চমৎকার আলোকচিত্রের পাশাপাশি দারুন অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।

 11 minutes ago (edited)

খুবই সুন্দর সুন্দর এলোমেলো ফটোগ্রাফি করেছেন দাদা। আপনার ফটোগ্রাফি ও বণর্না পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো বিশেষ করে সবুজ প্রকৃতির দৃশ্য আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.13
JST 0.029
BTC 58625.96
ETH 3101.66
USDT 1.00
SBD 2.41