নেটওয়ার্কহীন সময়
খুবই সদ্য ঘটে যাওয়া ঘটনার কিছু তথ্য আজ আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। যা লিখছি তা মূলত নিজের অভিজ্ঞতা থেকে, হয়তো স্থানভেদে আমার অভিজ্ঞতার সঙ্গে অনেকের সামঞ্জস্য থাকতে পারে কিংবা নাও থাকতে পারে।
বর্তমান প্রযুক্তির যুগে নেটওয়ার্ক ছাড়া কোন কিছু চিন্তা করা একদম অসম্ভব। বলতে গেলে পুরো পৃথিবীটাই চলছে প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে। শুনতে অপ্রিয় হলেও একটা সত্য কথা হচ্ছে, এখন আর তেমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না, যে কিনা প্রযুক্তির সংস্পর্শে নেই।
তাছাড়া প্রযুক্তির ব্যবহার সর্বক্ষেত্রে সর্ব জায়গায় এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, প্রযুক্তির বাহিরে গিয়ে কোন কিছু চিন্তা করা আমার-আপনার পক্ষে যেন কোন ভাবেই সম্ভব হয়ে উঠছে না। প্রযুক্তির আসক্তিতে আমরা এতটাই নিমজ্জিত হয়ে গিয়েছে যে, প্রযুক্তিই যেন এখন আমাদেরকে প্রতিনিয়ত চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
খুব একটা বেশি নেটওয়ার্কের বাহিরে থাকতে হয় না , বলতে গেলে সর্বদাই নেটওয়ার্কের ভিতরে থাকি, কেননা জীবন জীবিকা সবকিছুই আমার নির্ভরশীল নেটওয়ার্কের উপরে।
আমার এখনো খুব ভালোভাবে মনে আছে, আজকে প্রায় তিন বছর হতে চলল, এরকম ঘটনার সম্মুখীন আমি এবার নিয়ে দুবার হয়েছিলাম। যদিও বিগত সময় মাত্র ১৪ ঘণ্টার ব্যবধান ছিল, তবে এবার ঝড়ের কারণে তা বেড়ে ২৪ ঘণ্টা অতিবাহিত করেছিল ।
সেকি অবস্থা, অনেকটা হাঁসফাঁস করার মত। প্রচুর অস্থিরতায় কাটছিল আমার সময় গুলো, কোন অবস্থাতেই আমি যুক্ত হতে পারছিলাম না সার্ভারে । একেকটা মিনিট যেন আমার কাছে, প্রচুর সময় সাপেক্ষ লাগছিল।
সত্যিকার অর্থে অপেক্ষার সময় স্বল্প হলেও, তা যেন খুব দীর্ঘায়িত মনে হয়। সবকিছুই আশেপাশে সাদৃশ্য আছে, শুধুমাত্র নেটওয়ার্ক নেই । বিরক্তি যেন বেড়েই যাচ্ছিল, মনে হচ্ছিল যেন কবরের ভিতরে ঢুকে আছি, কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলাম না, পারছিলাম না নিজের অবস্থার কথা অন্যকে জানাতে, সব মিলিয়ে বড্ড একঘেয়েমি হয়ে উঠেছিল সময়টা।
এই যে দীর্ঘ সময় নেটওয়ার্ক ছিল না, এতে যেন বেশ ভালোভাবে বুঝতে পেরেছি, নেটওয়ার্ক বিহীন জীবন যাপন করা বর্তমান সময়ে একদম ভীষণ কষ্টসাধ্য। মনে হচ্ছিল যেন আমাকে কেউ মুহূর্তেই অন্য কোন জায়গায় রেখে এসেছিল, যেখানে আমি সত্যিই আগন্তুকের মতো।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্রযুক্তি এখন মানুষকে এমন ভাবে বেধে ফেলেছে, এর থেকে বের হওয়ার উপায় নেই। বিশেষ করে মোবাইল,ল্যাপটপ আর ইন্টারনেট। এগুলো ছাড়া এক মুহুর্ত চিন্তা করা যায়না এখন। এবার ঘূর্ণিঝরে শুধু আপনি না ভাইয়া, আপনার মত অনেকেই নেটওয়ার্কের বাইরে ছিল। মোবাইল নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেটের নেটওয়ার্ক নিয়ে লেখা পোস্টটির সাথে দ্বিমত হওয়ার কোন সুযোগ নেই। নেটওয়ার্ক ছাড়া সব কিছুই এখন অর্থহীন। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু, আমার ব্যাপারটি বুঝতে পারার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া , কিছুদিন আগের এই ঘটনাটায় আমরা সবাই অনেক বেশি বিরক্তি অনুভব করেছি। আসলে আমরা প্রতিনিয়ত নেটওয়ার্কের মধ্যে আমাদের কাজগুলো করে থাকি। প্রতিনিয়ত এই অভ্যাস যদি একদিনের জন্য ত্যাগ করতে হয় তাহলে কিন্তু আমরা সেটা সহ্য করতে পারি না। প্রযুক্তি বর্তমানে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। তার জন্য আমরাও সেটাতেই আসক্ত। তবে এটা কেউ খারাপ ভাবে ব্যবহার করছে, আবার কেউ ভালোভাবে। আমি মনে করি প্রযুক্তির মাধ্যমে থাকলেও ভালো কাজ করলে সেটা কখনোই খারাপ হবে না।
সত্যি বলতে ভাই আপনার মত আমারও এই অবস্থা হয়েছিল। আমি তো মনে করছিলাম আমি মনে হয় পোস্ট করতেই পারবোনা। কিন্তু অবশেষে নিজের বাসা থেকে প্রায় খানিকটা দূরে অন্য একটি কারেন্টের লাইন ছিল। খোঁজ নিয়ে দেখলাম সেখানে কারেন্ট দিয়েছে তাই ফোন চার্জ করে নিয়ে পোস্ট করেছি। আমার কাছেও একদম একঘেয়েমি লাগছিল ভাইয়া এই নেটওয়ার্কের বাইরে থেকে। সত্যিই এখনকার সময়ে নেটওয়ার্কের বাইরে থাকা অসম্ভব। আশা করছি আপনাকে বা আমাদেরকে এরকম সমস্যার সম্মুখীন আর হতে হবে না। আপনার সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি ভাইয়া।
সত্যি ভাই, এখনকার সময়ে নেটওয়ার্কের বাইরে থাকা বড্ড কঠিন।
বিশেষ করে ভাই আপনি নেটওয়ার্ক ছাড়া আমার মনে হয় একটা মুহূর্ত চলতে পারবেন না।আমরাই চলতে পারতেছি না, কিছুদিন আগে যে ঘূর্ণিঝড় হল আমার তো মাথায় কাজ করছিল না। একটা দিন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছিলাম। মানুষ একবেলা না খেয়ে থাকতে পারবে কিন্তু নেটওয়ার্ক ছাড়া থাকতে পারবে না, এমন হয়ে গেছে। জীবন-জীবিকা সবকিছুই নেটওয়ার্কের উপর নির্ভরশীল। এর আগেও এরকম হয়েছিল আমি তো ঢোকার জন্য ব্যস্ত হয়ে গেছিলাম। নেটওয়ার্ক কোথায় আছে আমি মাঠে যাচ্ছিলাম নেটওয়ার্ক পাওয়ার জন্য তাও পাচ্ছিলাম না। নেটওয়ার্ক ছাড়া সত্য কথা বলতে যখন আসলো আমি আমার বাংলা ব্লগ ও ডিসকোড এ ফাস্ট ঢুকেছি।সব মিলিয়ে বেশ আপনার মুহূর্তটি শুনে খারাপ লাগলো। জীবনই এখন প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল।
আমি নিজেও ভাই অস্থিরতায় ছটফট করেছি, বলে বোঝাতে পারবো না, সেদিন কি সময় কঠিন কেটেছিল আমার ।
নেটওয়ার্ক ছাড়া ভালো থাকা সত্যি অনেক কঠিন। এই সময়ে এসে যদি এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় তাহলে সময়টা সত্যি অনেক খারাপ যায়। আর অপেক্ষার সময় গুলো অনেক বেশি দীর্ঘ হয়। আপনার পোস্ট পড়ে আপনার অবস্থার কথা বুঝতে পারছি ভাইয়া।
বড্ড কঠিন সময় গিয়েছিল আপু সেদিন।
আমরা এতই প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে উঠেছি নেটওয়ার্ক বিহীন আমাদের জীবনটাই অচল। বিদ্যুৎ না থাকলে নেটওয়ার্ক না থাকলে মনে হয় আমরা অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছি। এখন আমাদের সব যোগাযোগ মাধ্যম হচ্ছে বিদ্যুৎ নির্ভর এবং নেটওয়ার্ক নির্ভর। বিদ্যুৎ না থাকলে যেমন মোবাইল চলে না নেটওয়ার্ক না থাকলেও চলে না। বেশ খারাপ অবস্থা হলো ঘূর্ণিঝড়ের কারণে অনেক জায়গায়। যদিও আমাদের এখানে প্রচুর অবস্থা খারাপ ছিলো। তবে আমার নেটওয়ার্ক ঠিক ছিলো সে দিক থেকে একটু ভালো ছিলাম।
আপনি ভালো ছিলেন জেনে ভালো লাগলো, তবে আমার অবস্থা হয়ে গিয়েছিল একদম বড্ড বেগতিক।
আমরা সবসময় নেটওয়ার্কের আওতায় থাকতে থাকতে একেবারে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি। সেজন্য নেটওয়ার্ক ছাড়া চলতেই পারি না। তাছাড়া আমরা যেহেতু অনলাইনে কাজ করি,তাই নেটওয়ার্কের উপর আমরা পুরোপুরি নির্ভরশীল। যাইহোক ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় নেটওয়ার্ক ছিলো না। তবে আমাদের এখানে নেটওয়ার্ক মোটামুটি বেশ ভালোই ছিলো। তাই কমিউনিটির কাজ গুলো করতে পেরেছিলাম। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এ যাত্রায় আপনি বেঁচে গেছেন ভাই, তবে আমাকে বেশ অসুবিধায় পড়তে হয়েছিল। বেশ দুর্বিষহ সময় গিয়েছিল।
শুধু ঘুমানোর সময় ব্যতীত প্রায় সবসময় আমি অনলাইনে থাকি। ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক ছাড়া থাকা একেবারে দুঃসাধ্য একটা ব্যাপার হয়ে গিয়েছে। আপনার কথাটা শুনে অবস্থা টা আমি বুঝতে পারছি। এমন অবস্থায় যে আমি কখনও পড়িনি সেটা না। আমি নিজেও পড়েছি। মূহূর্তের জন্য মনে হয় আর থাকা সম্ভব হচ্ছে না।
এমন অবস্থা কারো সঙ্গে না হোক, বড্ড কষ্টসাধ্য বিষয় হয়ে যায় তখন।
এখন সবকিছুতেই প্রযুক্তি রয়েছে, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই দাদা। আমরা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি দিন দিন। তবে আপনি ২৪ ঘন্টা নেটওয়ার্ক ছাড়া ছিলেন, এটা অনেকটাই আশ্চর্যের ব্যাপার। আপনার জায়গায় আমি থাকলে হয়তো আরো বেশি অস্থির হয়ে যেতাম।
ভাই রে ভাই, কি অস্থিরতায় যে সময় কেটেছে, তা বলে বোঝাতে পারবো না।