জনদুর্ভোগের কারন ময়লা আবর্জনার ভাগাড়।
যারা আমার পোস্ট পড়েন তারা জানেন ঢাকা শহর আমার খুবই অপছন্দের একটি জায়গা। আমি পারতপক্ষে এই শহরে থাকতে চায় না। তবুও বিভিন্ন সময় নানা কারণে আমাকে এই শহরে এসে থাকতে হয়। ঢাকা শহরের বৈচিত্রময় খাবার এবং বিনোদনের মাধ্যম ছাড়া আর কোন কিছুই আমার কাছে পছন্দ হয় না। তবে যে সমস্ত কারণে এই শহর আমার কাছে খুবই অপছন্দের তার ভেতরে অন্যতম হচ্ছে ভাগাড়ের ময়লা আবর্জনার যত্রতত্র ছড়াছড়ি।
আমার এখনো মনে পড়ে কিছুদিন আগ পর্যন্ত যখন আমি ফরিদপুর থেকে ঢাকায় আসতাম গাবতলী হয়ে। তখন সাভারে আসার পর থেকেই ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসতো। আমার কাছে একটি বিষয় খুবই অবাক লাগতো। একটি দেশের রাজধানী কিভাবে এতটা নোংরা হতে পারে। কিন্তু যতই অবাক লাগুক এটাই বাস্তবতা এবং এই বাস্তবতাকে মেনে নিয়েই ঢাকা শহরের প্রায় দু কোটির বেশি মানুষ বসবাস করছে। এর ভিতরে দু একটি অভিজাত এলাকা ছাড়া বাদবাকি সব এলাকার মানুষকেই ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধ কে সঙ্গী করে চলাফেরা করতে হয়।
অবশ্য অভিজাত এলাকার লোকজনকে যে এই দুর্গন্ধ মোকাবেলা করতে হয় না ব্যাপারটা তেমন নয়। কারণ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যস্ত রাস্তার পাশেও আপনি ময়লা আবর্জনার খোলা ভাগাড় দেখতে পাবেন। এছাড়াও এখন বিভিন্ন ফ্লাইওভারের নিচে নিত্যনতুন ময়লা আবর্জনার স্তুপ দেখতে পাবেন। আমরা সরকারি বিভিন্ন মহল থেকে নানা রকম গালভরা বুলি শুনতে পাই। বাংলাদেশ নাকি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। দেশের নাকি ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। কিন্তু ঢাকা শহরের রাস্তাঘাটে চলাফেরা করার সময় যখন লোকজনকে দেখি রুমাল দিয়ে নাক মুখ চেপে চলাফেরা করছে। তখন আর এই কথাগুলো মোটেই বিশ্বাস হয়না।
আমার মতে একটি দেশের রাজধানীর ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হওয়া উচিত টপ ক্লাসের। কিন্তু আমাদের দেশের ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম খুবই খারাপ। দেশের মানুষের এটা নিয়ে ভোগান্তির শেষ নেই। দেশের জনসংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। সে কারণে মানুষের ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন রকমের ময়লা আবর্জনও পরিমানও বাড়ছে। কিন্তু বর্ধিত এই ময়লা আবর্জনা নিয়ে তেমন কোন পরিকল্পনা দেখতে পাচ্ছি না। এখনো বাংলাদেশের ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম মান্ধাতা আমলের। বাসা বাড়ি থেকে যখন ময়লা আবর্জনা সংগ্রহ করা হয় সেখান থেকেই সমস্যার শুরু। যে সমস্ত দেশের ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম অনেক উন্নত মানের। সেখানে খেয়াল করলে দেখা যাবে তারা বাসা বাড়ি থেকে যখন ময়লা আবর্জনা সংগ্রহ করে। সেখানে এক ধরনের ব্যাগ ব্যবহার করে। যেটাকে তারা ট্রাশ ব্যাগ বলে। এটি এক ধরনের মোটা পলিথিনের ব্যাগ। এই ব্যাগে ভরে ময়লা আবর্জনা সংগ্রহ করলে রান্না ঘরের দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানি কোথাও ছড়িয়ে পড়ে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি করতো না।
কিন্তু আমাদের দেশে ঠিক এর উল্টোটা করা হয়। যার ফলে যখন বাসাবাড়ি থেকে ময়লা আবর্জনা সংগ্রহ করা হয় তখন সেই দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা আবর্জনা রাস্তাঘাটে ছড়িয়ে পড়ে এবং সেগুলো থেকে ব্যাপক দুর্গন্ধ তৈরি হয়। বাসা বাড়ি থেকে ভ্যানের মাধ্যমে আবর্জনা গুলো সংগ্রহ করা হয়। তারপর সেগুলো একটি নির্ধারিত জায়গায় গিয়ে স্তূপ করা হয়। এই স্তুপ করার জায়গাটিও একেবারেই খোলামেলা এবং সবগুলো জায়গা মূল রাস্তার পাশে। যার ফলে এই সমস্ত জায়গা থেকে প্রচন্ড দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের এলাকায়। তারপর সেখান থেকে ময়লা আবর্জনা বহন করার ট্রাক এ করে ময়লা আবর্জনা গুলি নিয়ে যেখানে ডাম্প করার জায়গা সেখানে নিয়ে ফেলা হয়।
কিন্তু উচিত ছিল বাসা বাড়ি থেকে ময়লা সংগ্রহ করে সেগুলো এমন একটি জায়গায় নিয়ে রাখা। যেখান থেকে কোনো দুর্গন্ধ বের হবে না। কিন্তু সরকারের কর্তা ব্যক্তিরা তো সবসময় শীততাপ নিয়ন্ত্রিত দামি গাড়িতে চলাফেরা করেন। যার ফলে তার ভেতরের থেকে এই গন্ধ তারা বুঝতে পারেন না। এজন্য হয়তো এটা নিয়ে তাদের খুব একটা মাথা ব্যথা নেই। কিভাবে আমরা একটা চমৎকার ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম গড়ে তুলতে পারি এটা শেখার জন্য খুব বেশি দূরে যাওয়ার দরকার নেই। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের ইন্দরে গেলেই সেখান থেকে শেখার অনেক কিছু আছে। তাদের ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম একদম টপ লেভেলের। আবার এদিকে যদি জার্মানির কথা চিন্তা করি। তাহলে তারা তাদের ব্যবহৃত পণ্যের ৭০ ভাগ রিসাইকেল করে। যেটা বিশ্বের ভিতর সর্বাধিক। এটাও কিন্তু তাদের চমৎকার ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের সাফল্য।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এই দুর্গন্ধযুক্ত পরিবেশকে একটি সমস্যা হিসেবে দেখা এবং সেটি সমাধানের চেষ্টা করা। এই চিন্তাটাই তো কারো মাথায় নেই। যার ফলে দেশের জনগণের ভোগান্তিরও শেষ নেই। এই ভোগান্তি মাথায় নিয়ে দেশের জনগণকে হয়তো আরো দীর্ঘদিন চলতে হবে। ঢাকা শহরের রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করার সময় মাঝেমাঝে কিছু জায়গায় দেখা যায় মানুষজন দ্রুত সেই জায়গাটা পার হওয়ার চেষ্টা করছে। অথবা নাকে রুমাল চেপে ধরে সেই জায়গাটা পার হচ্ছে। আবার অনেক সময় দেখা যায় ট্রাফিক জ্যামে আপনার গাড়িটা অথবা রিক্সা এমন জায়গায় এসে আটকে যাবে ঠিক তার পাশেই প্রচন্ড দুর্গন্ধযুক্ত ময়লার ভাগাড়। তখন একটা মানুষের অবস্থা কি হতে পারে এটা সহজেই আপনারা অনুমান করতে পারছেন। তবে কোনো পরিবর্তনই মানুষের জীবনে সহজে আসে না। মানুষকে তার অধিকার আদায় করে নিতে হয়। সেজন্যই দেশের মানুষজন যতক্ষণ পর্যন্ত এই বাজে ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের বিরুদ্ধে নিজেদের আওয়াজ না তুলবে ততদিন পর্যন্ত হয়তো পরিস্থিতিটা এমনই রয়ে যাবে। এখন দেখা যাক দেশের মানুষের টনক কত সময় লাগে।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | মালীবাগ |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ভাই আপনি টপ ক্লাসের চিন্তা করছেন ময়লা আবর্জনা নিয়ে, যেখানে আজও পানি নিঃস্কাশনের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করতে পারলো না, যেখানে ওয়াসা আজও পরিস্কার ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে পারলো না?
কি বলবেন দুঃখের কথা, সাভার আসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো লাগতো আমিন বাজার হতে হেমায়েতপুর পর্যন্ত কারন সড়কের দুইপাশের সুন্দর প্রকৃতি এবং নিরিবিলি পরিবেশের কারনে কিন্তু বিগত কয়েক বছরে সড়কের দুইপাশের সৌন্দর্য বিলীন হয়ে গেছে শুধুমাত্র ময়লা আবর্জনার স্তুপের কারনে। কে দেখে না এগুলো? আর যারা দেখে তারা টাকার মায়ায় বাকরুদ্ধ হয়েগেছে!
আপনি ঠিকই বলেছেন ভাই। যেখানে পরিষ্কার মানসম্মত খাবার পানির যোগান দিতে পারছে না। সেখানে টপ ক্লাস ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম আশা করাটা একটু বেশি হয়ে যায়। কিন্তু চারপাশের বাজে পরিস্থিতি দেখে আর কোন কিছুই ভালো লাগেনা। এ জন্যই আশা করি যাতে এই অবস্থার কিছুটা হলেও উন্নতি হয়। আর সাভারের ওই রাস্তাটা অনেকদিন ধরেই দুর্গন্ধযুক্ত হয়ে রয়েছে। অবশ্য এখন কি অবস্থায় আছে সেটা জানিনা। কারণ বেশ কিছুদিন হল অধিক তাতে আর যাওয়া হয় না।
খুবই সুন্দর এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আজ আমাদের মাঝে আলোচনা করেছেন আপনি। আপনার কথার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত জনদুর্ভোগের কারণ রাস্তার ধারে অপরিকল্পিতভাবে রাখা ময়লার স্তূপ ।।
এই ঢাকার মধ্যে সবথেকে ময়লা আবর্জনায় ঘেরা এবং পঁচা এলাকা বলা হয় গাজীপুরকে আর সেখানে আছি আজ এক বছর ধরে। বললে বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা জীবনটা মাঝে মাঝে অতিষ্ট হয়ে যায় ।মনে হয় যে এই গাজীপুর শহরটা ছেড়ে চলে যায়।।
আসলে এখন শহরে থেকে গ্রামের মায়াটা বুঝতে পারছি গ্রামের আবহাওয়া গ্রামের বিশুদ্ধ অক্সিজেন এবং গ্রামের ভালো পরিবেশ খুবই মিস করি।।
শহরে আভিজাত্য থাকলেও বেশিরভাগ জায়গায় নোংরা দিয়ে ঘেরা।।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য।।
একদম ঠিক বলেছেন। শহরে আভিজাত্য থাকলেও বেশিরভাগ জায়গা নোংরা দিয়ে ঘেরা।
ভাইয়া আপনার মতো আমারও ঢাকা শহর একদম ভালো লাগেনা, আমার মনে বসবাস করার জন্য ঢাকা শহর মোটেও উপযোগী নয়, দীর্ঘ ১৫ টা এই দুর্গন্ধময় শহরে বসবাস করেছি এখন ইচ্ছেও করে না ঢাকা শহরে যাই। আমাদের উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকা যাওয়ার সময় যেই টাঙ্গাইল পার হয়ে গাজীপুর ঢুকি তারপর থেকে শুরু হয় নাকে একটা দুর্গন্ধ লাগা যত রাস্তা পার হয় ততই বাড়তে থাকে। রাস্তার দুপাশে শুধু ময়লার স্তুপ, কিন্তু কি আর করা তারপরও মানুষ দিনের পর দিন এভাবেই জীবনযাপন করে চলছে। উপর মহলের কারো কোন ভ্রুক্ষেপ নেই সাধারণ মানুষ কে নিয়ে তাদের জীবনযাত্রার মান নিয়ে, তারা চাইলেই কিন্তু এই সমস্যার কিছুটা হলেই সমাধান করতে পারেন। ভাইয়া আপনি আপনার খারাপ লাগা থেকেই কথা গুলো লিখেছেন কিন্তু তাতে কার কিবা আসে যায় কে আপনার খারাপ লাগার মূল্যায়ন করবে বলেন যেমন চলছে তেমনি সবকিছু চলবে এটাই হোলো আমাদের দেশের বাস্তব চিত্র যা খুবই দুঃখজনক। সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
হতাশ হওয়া চলবে না। যদি হতাশ হয়ে আমরা সবাই হাল ছেড়ে দিই তাহলে সত্যিই এই অবস্থার কোনদিন পরিবর্তন হবে না।
আমাদের দেশের অন্যান্য শহরের তুলনায় ঢাকা শহরের পরিবেশ সত্যিই আমার কাছে খুবই খারাপ লাগে। চারপাশের দুর্গন্ধ, ময়লার স্তুপ দেখে মনে হয় যেন এটা রাজধানী নয় এটা নোংরা কোন শহর। আসলে যারা দামি গাড়িতে চড়ে ঘুরে বেড়ায় তারা হয়তো জনগণের এই কষ্টগুলো কিংবা দুর্ভোগগুলো অনুমান করতে পারেনা। কিন্তু সাধারণ মানুষগুলো দিনের পর দিন এই পরিবেশেই জীবন যাপন করছে। নিজের কর্মের তাগিদে কিংবা পরিবারের মুখে দু মুঠো খাবার তুলে দিতে এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই হাজার হাজার মানুষ জীবন যাপন করছে। কবে যে সবকিছু ঠিক হবে তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। আসলে পুরনো সেই সিস্টেমগুলো আপডেট হওয়া উচিত। আশা করছি এতে করে সাধারণ জনগণ একটু হলেও ভালো থাকতে পারবে। ভাইয়া আপনি আপনার বাস্তবিক চিন্তাধারা থেকে সুন্দর করে প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা তুলে ধরেছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
পুরনো সিস্টেমগুলো আপডেট করতে হলে আমাকে আপনাকে সবাইকে আওয়াজ তুলতে হবে। না হলে এই বধির সিস্টেমে কোন পরিবর্তন আসবে না।
আমারও এই নোংরা শহরে একেবারেই থাকতে ইচ্ছা করে না।
ভাই ধানমন্ডিতে একদম রাস্তার পাশে এমন একটা আবর্জনার স্তুপ আছে, সব ময়লা এনে ওখানে জমা করে,, এত বাজে দুর্গন্ধ ছড়ায় বলে বোঝাতে পারবো না। ওখানে সব সময় জ্যাম লেগেই থাকে। আর একবার যারা জ্যামে আটকে যায় ওখানে অবস্থা একদম শেষ হয়ে যায়। আমার মাথায় আসেনা, একটা রাজধানীর প্রধান সড়কের পাশে কিভাবে একটা ময়লা পরিশোধনাগার নির্মাণ করা হয়! কোন আজব দেশে আমরা যে বসবাস করি এটা ভাবতে গেলেই পাগল পাগল লাগে ভাই। ঢাকায় মানুষ গুলো এক ধরনের জিম্মি হয়ে বাস করে ভাই। আর এই দেশের ম্যানেজমেন্ট কখনো ঠিক হবে না। বংশপরম্পরায় এটাই চলতে থাকবে। আমার তো তাই মনে হয়।
ময়লার স্তূপের পাশে ট্রাফিক জ্যামে আটকে থাকার অনেক অভিজ্ঞতা আমার আছে। আমি জানি সেই সময়টা কি দুঃসহ সময়। তারপরও এই শহরে কিভাবে লোকজন টিকে আছে সেটা দেখেই আমি অবাক হয়ে যায়।
ভাই আপনি আজকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হয়েছেন। ময়লা আবর্জনার খোলা ভাগাড়ের কথা আর কিছুই বলার নেই। এটা জায়গায় জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। রাস্তার পাশে, মানুষের বাড়ির পাশে, ছোট ছোট পানির পুসকুনি গুলোতে ময়লা আবর্জনা ভরা থাকে। মোটকথা শহরের আবহাওয়া এখন দূষিত😖
অব্যবস্থাপনা এবং ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে আজকে দেশের এই অবস্থা।
ঢাকা শহরের ময়লার কথাটা মানুষের মুখ থেকে শুনেছিলাম তবে আজকে নিজের চোখে দেখেও নিলাম, বাপরে বাপ কি বড় ময়লা স্তুপ, আসলে শহরে এমন ময়লা আবর্জনা থাকলে সবাই অপছন্দ করবে শহরকে, আমি আজও কখনো ঢাকায় যাইনি তবে ঢাকার ময়লা সম্পর্কে অনেক শুনেছি 😗,, আপনার আলোচনাটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে অনেক যুক্তিশীল কথা বলেছেন এই বিষয়টি নিয়ে। ♥️
এই নোংরা শহরে এখনো আপনার আসতে হয়নি। এজন্য আপনি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করতে পারেন।
জি আপনি যে ঢাকা শহর সহজে পছন্দ করেন না সেটা জানি৷ কিন্তু এখানে কিছু করার নেই কর্মসংস্থান এবং জীবন জীবিকার তাগিতে না থেকে কি উপায় আছে৷ এখন গ্রামে প্রায় অনেক মানুষেরই ঢাকায় যাচ্ছে৷ আসলেই এখন ঢাকা শহর যে হারে জনবসতি এবং জনসংখ্যা বাড়ছে৷ তাতে আসলে সবার আগে হুমকি উপর আছে ঢাকা শহর৷ যেখানে পরিবেশগত দিক দিয়ে একদম খারাপ ৷
আসলে ভাই এখানে যতই রাজধানী হোক না কেন৷ এই ঢাকা শহরটা কানায় কানায় ভরে গেছে৷ আসলে কোন জায়গায় এ আবর্জনা বা গিয়ে ফেলবে সেটাই বড় বিষয়৷ সবার সাবধানতার অভাব৷
আজকের এই অবস্থার পেছনে দায়ী নিতি নির্ধারক মহলের অদূরদর্শিতা।
আর প্রথমবার যেবার ঢাকা যায় সত্যি কথা ভাই সাভারে যেতেই ঐ ময়লার গন্ধ যখন আমার নাকে আসে আমার তো অবস্থা খারাপ। আর আমাদের দেশের আমলা নেতাদের যদি ঐ ময়লার ভাগাড়ে নিয়ে গিয়ে রেখে আসা যায় তবে যদি এর প্রভাব বুঝে। কিছুদিন আগে আমি একটা অধ্যায় পড়েছিলাম আমাদের বইয়ে। যেটার নাম ছিল ওয়েস্ট টু এনার্জী যেটা উন্নত বিশ্বে ব্যবহার হচ্ছে। আমাদের দেশে এইরকম কিছু করতে পারলে আবর্জনার উওম ব্যবহার হবে এবং পরিবেশ পরিষ্কার হবে।
আমলা এবং নেতাদের এই ময়লার ভাগাড়ের পাশে রাখতে পারলে ভালো হতো। তাহলে হয়তো পরিস্থিতির উন্নতি হতো।