এবছর প্রথম রোজা পালনের অভিজ্ঞতা।

in আমার বাংলা ব্লগ6 months ago

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


বছর ঘুরে আমাদের মাঝে আবার উপস্থিত হয়েছে মাহে রমজান। এ রমজান মাস শুধু যে আমাদের ধর্মীয় ব্যাপার তা নয়। এটা এখন আমাদের সংস্কৃতির ও একটা অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পুরো রমজান মাসে সমগ্র মুসলিম বিশ্বের মানুষের জীবনে একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এই সময় প্রতিটা মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বেশ কিছু পরিবর্তন আসে। তেমনি আমিও এর বাইরে নই। রমজান মাস আসার আগ থেকেই মনে মনে পরিকল্পনা করছিলাম এই রোজায় বেশি করে ধর্মীয় কাজে সময় দিতে হবে। আর আমি স্বাস্থ্যগতভাবেও এই রোজায় একটা লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। ইদানিং আমার ওজনটা বেশ বেড়ে গিয়েছে। তাই পরিকল্পনা করেছিলাম রমজান মাসকে কাজে লাগিয়ে ওজনটাও কমাতে হবে।

IMG_20240312_181050.jpg

তবে এই ব্যাপারে আমি কতোটা সফল হবো সেটা বলা মুশকিল। কারণ সারাদিন রোজা থাকার পর ইফতারের প্লেটে যে ভাজাপোড়া আইটেমগুলো থাকে সেগুলোর দিকে আমার আকর্ষণ থাকে সবচাইতে বেশি। আর এই তেলে ভাজা জিনিস গুলো খেলে ওজন কমানো কিছুতেই সম্ভব না। তাই রোজার মাসের আগে থেকেই মনে মনে ঠিক করে রেখেছি এই রোজার মাসে ইফতারের সময় চিনি দিয়ে তৈরি করা কোন শরবত খাবো না। আর তেলে ভাজা খাবারগুলো যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবো। যদি আমি এটা করতে পারি তাহলে আমার শারীরিক অবস্থার অনেকটা উন্নতি হবে আশা করি। যাইহোক গতকাল ছিল প্রথম রোজা। রোজাটা আমাকে ঢাকাতেই পালন করতে হয়েছে। কারন আমি গত কয়েকদিন যাবত ঢাকায় রয়েছি। অবশ্য রোজার মাসে আমার বাড়ির বাইরে থাকতে কখনোই ভালো লাগেনা। তার পরেও যেহেতু এসে পড়েছি এখন তো আর কিছু করার নেই।


আগের রাতে যে বিল্ডিং এ আমি রয়েছি সেখানকার ছাদেই বিল্ডিংয়ের লোকদের সাথে জামাতে তারাবির নামাজ পড়েছিলাম। তারাবির নামাজ পড়ে এসে বিভিন্ন রকম কাজকর্ম করতে করতে রাত দুটো বেজে গিয়েছিলো। রাত দুটোর সময় ঘুমিয়ে আবার সেহেরির জন্য সাড়ে চারটার দিকে উঠতে হয়েছিলো। আমার আম্মা এসে আমাদেরকে ডেকে তুলেছিলো। না হলে হয়তো সেহরি খাওয়া হোতো না। তারপরে সেহরি খেয়ে ফজরের নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ঘুম থেকে উঠে কমিউনিটির বিভিন্ন কাজ করতে করতে বেলা একটা বেজে গিয়েছিলো। তারপর গিয়েছিলাম আমার এক অসুস্থ আত্মীয়কে দেখতে। সেখান থেকে ফিরতে ফিরতে প্রায় চারটা বেজে গিয়েছিলো। সেখান থেকে ফিরে পোস্ট করে তারপর অন্যান্য কাজকর্ম শেষ করতে করতে ইফতারের সময় হয়ে গিয়েছিলো।


আসলে আপনি কর্মব্যস্ত থাকলে রোজার দিনটা কখন পার হয়ে যাবে বুঝতেই পারবেন না। যখন কাজকর্ম করতাম না তখন রোজা থাকতে বেশ কষ্ট হোতো। কিন্তু কর্মব্যস্ত থাকলে খুব সহজে রোজার সময়টা পার হয়ে যায়। যাই হোক সারাদিনে অনাহারে থাকার পর সামনে যখন ইফতারের প্লেট নিয়ে বসে ছিলাম তখন মনের ভেতর এক অন্যরকম অনুভূতি কাজ করছিলো। মসজিদের আজান শুনে যখন পানি মুখে দিলাম এক অদ্ভুত প্রশান্তিতে মনটা ছেয়ে গিয়েছিলো। আর এভাবেই প্রথম রোজাটা পালন করলাম।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসHONOR 90
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানবনশ্রী, ঢাকা

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 6 months ago 

জি ভাই রমজান মাস শুধু ধর্মীয় বিষয়ে না ৷ সত্যি বলতে প্রতি বছর এই রমজান মাস এলে বন্ধুদের সাথে ইফতার আড্ডা ৷পুরনো বন্ধুদের সাথে দেখা ৷
যা হোক আপনার রমজান মাস টা অনেক ভালো কাটুক ৷ সেই সাথে শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পান ৷ আসলে খাবার নিয়ন্ত্রণ রাখা ভীষন প্রয়োজন ৷ শুভকামনা রইল অবিরাম ভাই রমজান মাস ধর্মের সাথে থাকুন ৷

 6 months ago 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া ধর্মীয় উৎসবের পাশাপাশি এটি এখন সংস্কৃতির অংশও হয়ে গিয়েছে। রমজান মাস আসার আগে আমরা বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা করে থাকি। আপনি স্বাস্থ্য কমানোর পরিকল্পনা করেছেন জেনে ভালো লাগলো। কিন্তু তা কখনো সম্ভব নয় কারণ আমরা সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারিতে ভাজাপোড়া সহ প্রচুর পরিমাণে খাবার খেয়ে থাকি। এতে ওজন কমার পরিবর্তে বরং বেড়ে যায়। তবে কমবে যদি ইফতারিতে প্রতিদিন এক গ্লাস পানি আর হালকা কিছু ফল খেতে পারেন। এরপর আর কিছু খাওয়া যাবে না একবারে সেহেরি খাবেন তাহলেই ওজন কমাতে পারবেন। হ্যাঁ ভাইয়া কর্মব্যস্ত থাকলে সারাদিন রোজার সময়টা কিভাবে চলে যায় একদমই বুঝা যায় না। ইফতারিতে এক গ্লাস পানি খেলেই যেন সব ক্লান্তি শেষ হয়ে যায়। এক বছর পরে প্রথম রোজা পালনের খুব সুন্দর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন পড়ে ভালো লাগলো।

 6 months ago 

আমি এবার চিন্তা করেছি ভাজাপোড়া খাবার আর শরবত কোন কিছুই খাব না ইফতারিতে। রমজান মাসে ওজন কমার থেকে আরও বেড়ে যায় আমার। কারণ ঘুম এবং খাওয়া দাওয়া অনেকটাই বেশি হয়ে যায়। দেখা যাক আপনার ক্ষেত্রে কি হয় ভাইয়া। সত্যি ভাইয়া ব্যস্ততার মাঝে সময় কাটলে সারাদিন দ্রুতই কেটে যায়।

 6 months ago 

ভাই আমরা যতই প্ল্যান করি না কেনো, ইফতারের সময় ভাজাপোড়া দেখলে লোভ সামলানো যায় না। আর আপনি তো বরাবরই ভাজাপোড়া বেশ পছন্দ করেন খেতে। যাইহোক যতটা সম্ভব ভাজাপোড়া কম খাওয়ার চেষ্টা করবেন। কারণ স্বাস্থ্যের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। আসলেই কর্ম ব্যস্ততার মাঝে থাকলে রোজা রাখার পরেও, সময় কিভাবে কেটে যায় সেটা টেরই পাওয়া যায় না। যাইহোক পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

হুম রোজার মাস শুধু ধর্মিয় বিষয় তা নয়। এটা আমাদের সংস্কৃতিরও অংশ । রোজার মাসে রাতের দৃশ্য গুলো অসাধারন । মানুষে মানুষে আন্তরিকতার বন্ধন তৌরি হয়। একসাথে ইফতার করা । সেহরির সময় সবাই সবাইকে ডেকে দেওয়া । এই মুহুর্তগুলো অসাধারন । রোজার মাসে মানবিক কাজও বেড়ে যায়। সবার কাছ থেকে টাকা কালেকশন করে পথ শিশুদের জামা কাপর দেওয়া ইফতার করানো ইত্যাদি মানবিক কাজে নিজেকে সামিল করার এই অনুভুতি গুলাও অসাধারন।

 6 months ago 

পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ভাইয়া। রমজান আসার আগে আমরা কত রকমের পরিকল্পনা করে থাকি। ভাজাপোড়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতি কিন্তু লোভ সামলানো অনেক কঠিন হয়ে যায় কারণ এই খাবারগুলো রমজানে একটু বেশি স্বাদ লাগে মনে হয়।
ইফতারে এত পরিমান খাবার খাওয়া হয় যার কারণে ওজন কমানোর চেয়ে আরো বেড়ে যায়।
আপনি স্বাস্থ্য কমানোর পরিকল্পনা করেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। তবে এটা ঠিক ব্যস্ততায় থাকলে রোজার দিনটা কিভাবে চলে যায় বোঝাই যায় না। অনেক ধন্যবাদ দারুণ একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 6 months ago 

পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ভাইয়া।রমজান মাস সবার জীবনকে সঠিক ও সত্য পথে চলার তৌফিক দান করুক এটাই চাওয়া।এটা ঠিক বলেছেন কাজের মধ্যে থাকলে কোন কিছুই অনুভুত হয়না।মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি পেতে সবকিছু থেকে বিরত থাকা উচিত।আপনার প্রথম রমজান বেশ ভালো ভাবেই কেটেছে,ঢাকায় আছেন জানতে পারলাম।আসলে রোজার সময়টাতে ভাজা পোড়া খাবো না বললেও খাওয়া হয়ে যায়। তবে কম খাওয়াই উত্তম।আর স্বাস্থ্য বা ওজন কমাতে হলে খাওয়া কমানোর সাথে সাথে অবশ্যই প্রতিদিন হাঁটার অভ্যাসটা চালিয়ে যেতে হবে।

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 58211.91
ETH 2476.26
USDT 1.00
SBD 2.38