ছোট গল্প - "অজানা কথা"(পর্ব- ২)|| ( ১০%লাজুক খ্যাকের জন্য) by ripon40 by ripon40
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক
- অজানা কথা
- ২২, ডিসেম্বর ,২০২২
- বৃহস্পতিবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি "অজানা কথা" গল্প শেয়ার করছি । আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আমি মনে করি গল্প মানেই কোন বাস্তব চরিত্র বা ঘটনার সাথে পরিচিত হওয়া।জীবনের ইতি হয়ে যাবে কিন্তু থেকে যাবে স্মৃতি বিজরিত অতীত বা জীবনের গল্প। বেশিরভাগ মানুষ জীবনের বাস্তবতা উপলব্ধি করার চেষ্টা করে নাহ।আমি গল্প পড়তে পছন্দ করি কারণ বাস্তবতার সাথে নিজেকে বিলিয়ে দিতে পারি।জীবনে লুকিয়ে থাকা ঐতিহাসিক বড় ঘটনা গুলোই হলো অনেক বড় গল্প।
গল্প - অজানা কথা
অফিস রুম থেকে বের হয়েই দেখলাম এক বৃদ্ধা আমার অপেক্ষায় বসে আছেন । আমাকে দেখেই মাথা ঝুকিয়ে সম্মান জানালেন । খুব অবাক লাগলো । বৃদ্ধার আসার কারণটা মনে হয় আন্দাজ করতে পেরেছি । কিন্তু বর্তমানে এ কারণে আমার কাছে কেউ আসে না । আগে আসতো । বৃদ্ধা নিজের পরিচয় জানিয়ে আমার কিছু সময় চাইলেন । অফিস রুমে এসে বসলাম আমরা । বৃদ্ধার নাম মিসেস হেম । মিসেস হেম শহরের অন্যতম ধনী ব্যবসায়ী মি . আজমান সাহেবের বাড়ির কেয়ারটেকার । প্রায় ১০-১৫ বছর ধরেই তার সাথেই ছিলেন । তাই আজমান সাহেব ও তাকেপরিবারের সদস্যই হিসেবে দেখতেন । এক সপ্তাহ আগে আজমান সাহেব ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান । শহরের অন্যতম ধনী ব্যবসায়ী হওয়ার কারণে মৃত্যুর খবর খুব দ্রুতই ছড়িয়ে পড়েছিল । এখন তার বিশাল সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হিসেবে অনেক দুরসম্পর্কের শত্রুও নিজেকে তার স্বজন বলে দাবি করছে । বৃদ্ধার আসার কারণটা সম্ভবত এই বিষয় সম্পর্কিত । তারমানে ঠিক আন্দাজ করতে পেরেছিলাম । পেশা ডাক্তরি হলেও অনেক আগে থেকেই নেশা হিসেবে গোয়েন্দাগিরিটা ভালো লাগতো । কতগুলো কেস সলভও করেছি । তাও অনেক বছর আগের কথা , এরপর তো কাজের চাপে সব ছুটে যায়।
মিসেস হেম আমার ঠিকানা জানলো কি করে , তাকে একটু অবাক লাগছে । জিজ্ঞেস করতেই বললেন- আজমান সাহেব সম্পত্তির কোনো উইল করে যাননি ; কিন্তু তার যাওয়ার পর এসব অচেনা উত্তরাধিকারী নিজেদের উত্তরাধিকার বলে দাবি করছে । এসব উত্তরাধিকারীর থেকে বাঁচতে তিনি এসেছেন । মিসেস হেম আজমান সাহেবের রুম খুঁজে একটি খাম পেলেন । খাম খুলে শুধু একটি শব্দ এবং চিঠির নিচে একটি ঠিকানা পেলেন । ঠিকানাটা ছিল আমার । আর শব্দটি ছিল “ এলাচি ” । কিন্তু বুঝে উঠতে পারছি না এলাচির নামে উইল ? তবে কি মারা যাওয়ার পর সমস্ত সম্পত্তি এলাচির ব্যবসায়ীদের দিতে চান তিনি ?
মিসেস হেম আমাকে খামটি দিয়েই উঠে দাঁড়ালেন । চলে যেতে যেতে এলাচির রহস্যের সমাধান খুঁজে বের করতে তাগাদা দিলেন আমাকে । এরপর মাথা নিচু করে রুম থেকে বেড়িয়ে গেলেন । আমি চেয়ারে বসে চিঠিটা দেখতে লাগলাম । হঠাৎ করে দরজার কড়া নড়লো । চেয়ে দেখলাম , মিসেস হেম অপরাধীসূচক চোখে তাকিয়ে আছেন । কিছু প্রশ্ন করার আগেই বলে উঠলেন , “ আপনার পারিশ্রমিকটা ... ? ” আমি কিছুটা মুচকি হেসে বললাম “ তা নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে না । ” শুনে মনে হলো তিনি কিছুটা স্বস্তি পেলেন । মিসেস হেম যাওয়ার পর ভাবতে লাগলাম কেসটা কোথা থেকে শুরু করা উচিত!
আশাকরি গল্পটি আপনারা পড়বেন। গল্প পড়তে আমি খুবই পছন্দ করি। যেটা প্রায়ই পড়া হয়ে থাকে ভালো লাগে পড়তে।গল্প পড়া মানেই নতুন কোন কিছু ঘটছে তার সাথে পরিচিত হওয়া। আমার লেখা গল্প পড়ে ভালো লাগলে নিশ্চয় মতামতের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন নাহ।
প্রথম গল্প:-গোয়েন্দা রহস্য গল্প - "এলাচির উইল"( শেষ পর্ব) |
source |
দ্বিতীয় গল্প:-ছোট গল্প - "অশ্রুর তির্থস্থানে একদিন"( শেষ পর্ব) |
source |
তৃতীয় গল্প:-ছোট গল্প - "শোনার পাহাড়ের পাখি"( পর্ব নেই ) |
source |
চতুর্থ গল্প:-ছোট গল্প - "ছায়া"( পর্ব নেই ) |
source |
পঞ্চম গল্প:-ছোট গল্প - "তীর্থ"( পর্ব নেই ) |
source |
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আমি আশা করছি আপনারা সবাই আমার পোষ্ট উপভোগ করবেন এবং আপনারা সবাই আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন
বিভাগ | ছোট গল্প । | |
---|---|---|
বিষয় | ছোট গল্প - "অজানা কথা") | @ripon40 |
গল্প তৈরি করার অবস্থান | লিংক |
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।
আসলে ক্যান্সার এমন একটা রোগ যেটার কোন অ্যানসার নেই। শহরের অন্যান্য ধনী আজমান সাহেব ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। সে যেহেতু ধনী ছিল তাই তার শত্রুরাও তার সম্পত্তির দাবিদার হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে চাইবে আর এই জন্যই হয়তো মিসেস হেম সেখানে তদন্ত করতে এসেছে। তবে পেশার ডাক্তার হওয়া সত্ত্বেও গোয়েন্দাগিরি করা বিষয়টি মজার লেগেছে। সবশেষে খামের মধ্যে আপনার ঠিকানা পাওয়ার বিষয়টি এখনো আমার কাছে রহস্যময় রয়ে গেল।
একদম ঠিক বলেছেন কিছু কিছু রোগ যেটা নিরাময় করা সম্ভব নয় আপনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করলেও তার হাত থেকে বাঁচা অসম্ভব।
একটা রহস্য থেকেই গেল এই গল্পটিতে। আসলেই ক্যান্সার এরকম একটা রোগ হয়ে গিয়েছে যার থেকে মানুষ বাঁচার আশা ছেড়ে দেয়। যারা ধনী তাদের অনেক শত্রু থাকে সে হিসেবে তারা মারা যাওয়ার পর তাদের শত্রুরাও সম্পত্তির জন্য চলে আসে আত্মীয় বলে। যাইহোক এত সুন্দর একটি গল্প আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনার কাছে আমার লেখা গল্পটি খুবই ভালো লেগেছে সেটাই কাম্য ছিল গল্পটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আমাদের সবার মধ্যেই অনেক গুণ রয়েছে যদি আমরা একটি প্রকাশ করি তাহলে অন্য একটি আমাদের ভেতরেই থেকে যায়। যেমন আপনি প্রকাশ্যে একটা কিছু হলেও ভেতরে কিন্তু গোয়েন্দা। সত্যি বড়লোকরা যদি মারা যায় তাহলে তাদের শত্রুরাও সুযোগ বুঝে চলে আসে সম্পত্তির দাবিদার হিসেবে। আমাদের সমাজে তো এরকম অহরহ ঘটনাগুলো থাকে। হয়তো বেঁচে থাকতে সেই মানুষের সাথে অনেক ঝগড়া ছিল। কিন্তু মারা যাওয়ার পর তার সম্পত্তির দাবিদার হিসেবে চলে আসে। আসলেই গোয়েন্দার বিষয়টি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ সম্পত্তির লোভে অনেকেই এই ধরনের শত্রুতা অপকর্মের সাথে লিপ্ত হয়ে যায় যেটা তার শেষ পরিণতি ডেকে আনে।