ছোট গল্প - "বিরিয়ানি "(পর্ব-১) || ( ১০%লাজুক খ্যাকের জন্য)
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক
- বিরিয়ানি
- ২৬, জুলাই ,২০২২
- মঙ্গলবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি " বিরিয়ানি " গল্প শেয়ার করছি । আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আমি মনে করি গল্প মানেই কোন বাস্তব চরিত্র বা ঘটনার সাথে পরিচিত হওয়া।জীবনের ইতি হয়ে যাবে কিন্তু থেকে যাবে স্মৃতি বিজরিত অতীত বা জীবনের গল্প। বেশিরভাগ মানুষ জীবনের বাস্তবতা উপলব্ধি করার চেষ্টা করে নাহ।আমি গল্প পড়তে পছন্দ করি কারণ বাস্তবতার সাথে নিজেকে বিলিয়ে দিতে পারি।জীবনে লুকিয়ে থাকা ঐতিহাসিক বড় ঘটনা গুলোই হলো অনেক বড় গল্প।বাস্তব জীবনের সাথে জড়িত জীবন চিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরা হলো।
গল্প - বিরিয়ানি
' অই পিচ্চি , চালু কইরা টেবিলটা পরিষ্কার কইরা গেলাসে পানি দে , ব্যাটা । ' দিতাছি উস্তাদ । ' ' আমার নাম লাভলু । থাকতাম পুরান ঢাকার শহীদ নগরে এক বস্তিতে । বাপ মইরা গেছে গা । মায়ে আরেক ব্যাটার লগে বিয়া বইছে । আমারে খেদায় দিছে । কইছে নিজের কাম নিজে কইরা লিতে । আমি কি পারি ? মায়ে কইছিল গতবছর থেইকা আমি কোলাস টু তে ভর্তি হমু । কিন্তু অখনে নতুন বাপে তো খেদায় দিল । ' দুই দিন রাস্তায় - রাস্তায় ঘুরছি । প্রথমদিন খানা পাই নাইকা । রাইতের বেলায় আজিমপুর গোরস্থানের সামনে একজন তোবারক দিছিল , তাই খাইছি । সকালে ভাবছি ভিক্ষা না করলে খাওন হইবে না । মাগার ভিক্ষা দিব কেডায় আমারে ? রাস্তার ওই মোড়ে ভাজা - পোড়ার গিয়া ওই দুকানে লোকগুলোর থোন চাইয়া একটু আলুচপ খাইছি । আর কেউ কিছু দেয় নাইক্কা । এরপরে ফুটপাথে এক বুড়া চাচার লগে ঘুমাইছি ।
যেই ঠান্ডা ! ভালাই তো চাচায় হের ছেড়া ল্যাপটার নিচে আমারে ঘুমাইতে দিছিল । নাইলে তো মইরা যাইতাম গা । ' " বুড়ায় কইছে , আমার কাম কইড়া খাওন উচিত । ভিক্ষা করলে হের মতো বুড়া বয়সে আরেক পিচ্চির লগে রাস্তায় থাকোন লাগবো । হেরে জিগাইয়া গিয়া একটা হোটেলে কাম লিছি অখন । কাম সোজা । খালি টেবিল মুছুম আর পানি দিমু । রাইতে আর দুপুরে যেই বড় ডেগচী আছে , হেডি ধুমু । আর একদম রাইতে পুরা হোটেল ঝাড় দেওন । হেরা কোনও ট্যাকা দিব না । খালি খাইতে দিব , আর রাইতে ওই ছোট পাকের ঘরে ঘুমামু । '
' কাইলকার থোন কামে লাগাছ । সকালে নাস্তা দেয় নাইক্কা । সকালেই কামে লাগছিতো , তাই । বিকালের দিকে সকালের নানরুটি আর ঠান্ডা ডাইল দিছে খাইতে । পাথরের লাহান শক্ত । পানি না থাকলে খাইতেই পারতাম না । আর রাইতে দিছে ভাত আর সন্ধ্যায় পুরির লগে যেই ঝোল দেয় হেই ঝোল , আর একটু ডাইল । ' ' আইজকা সকালে নাস্তা বেচনের লাইগা ৬ টার থোন কামে লাগছি ।
বড়রা দেহি ৮ টার দিকে চা খাইল । আমারে দিল না । হেড খানসামারে কইছিলাম ... ‘ মামু , আমি তো চা পাই নাইকা -'মারছে ! তুইও চা পাবি ? ' .... বাইরে থাকতে তো খাইতাম ' " তো , যা না শালা হারামজাদা । বাইতে বাইয়া খা আমার কাছে কা কেপা ? ” - ' বুঝা গেছি , আমার কপালে চা নাইকা ' সকালে আজকাও নাস্তা দেয় নাই । ৬ ট্যাকা দিছিল । পাশের টং দুকান থে একটা চিনি দেওয়া বিস্কুট কিন্না খাইছি , ৪ টাকা দাম দুই ট্যাকা ফেরৎ দেয় নাই । কইছে পরে পিতে । হেইডা দেইখা হেড খানসামা ই খুন । ' তয় সকালে একটা মজার খানা খাইছি । নেহারী ( লেহারী ) না কিজানি বেচে হেরা । গরুর পাউ দিয়া বানাইয়া । এক লোক হেইটা পইছে নাস্তার পাইগা । যহন দেয় যাইব গা , দেহি হের বাড়িতে কতটুকু ঝোল রইয়া গেছেগা । চানে দিয়া চুমুক মারছি । কেউ দেহে নাইক্কা । খুব মজা । পাতলা ব্যুপের লাহান , তয় একটু টক টক । বাসি নি কে জানে ? তয় মজা আছিল । '
ক্রমশ চলবে..........
আশাকরি গল্পটি আপনারা পড়বেন। গল্প পড়তে আমি খুবই পছন্দ করি। যেটা প্রায়ই পড়া হয়ে থাকে ভালো লাগে পড়তে।গল্প পড়া মানেই নতুন কোন কিছু ঘটছে তার সাথে পরিচিত হওয়া। আমার লেখা গল্প পড়ে ভালো লাগলে নিশ্চয় মতামতের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন নাহ।
প্রথম গল্প:-গোয়েন্দা রহস্য গল্প - "এলাচির উইল"( শেষ পর্ব) |
source |
দ্বিতীয় গল্প:-ছোট গল্প - "অশ্রুর তির্থস্থানে একদিন"( শেষ পর্ব) |
source |
তৃতীয় গল্প:-ছোট গল্প - "শোনার পাহাড়ের পাখি"( পর্ব নেই ) |
source |
চতুর্থ গল্প:-ছোট গল্প - "ছায়া"( পর্ব নেই ) |
source |
পঞ্চম গল্প:-ছোট গল্প - "তীর্থ"( পর্ব নেই ) |
source |
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আমি আশা করছি আপনারা সবাই আমার পোষ্ট উপভোগ করবেন এবং আপনারা সবাই আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন
বিভাগ | ছোট গল্প । | |
---|---|---|
বিষয় | ছোট গল্প - "বিরিয়ানি") | @ripon40 |
গল্প তৈরি করার অবস্থান | লিংক |
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।
আপনার এই ক্ষুদ্রতম সাপোর্ট সবার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ যেটা প্রতিনিয়ত দিয়ে চলেছেন।
দারুন একটি গল্প লিখেছেন আপনি আসলে আপনি প্রতিনিয়তই খুবই সুন্দর সুন্দর ছোট গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করে থাকেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
চেষ্টা করি ভালো কিছু লিখে আপনাদের মাঝে তুলে ধরার যেটা আপনার উপভোগ করতে পারেন কিছু জানতে পারেন।