ছোট গল্প - "ছায়ার আলো"(পর্ব-১) || ( ১০%লাজুক খ্যাকের জন্য) by ripon40 by ripon40

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আসসালামু আলাইকুম


হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক


  • ছায়ার আলো
  • ২৯, অক্টোবর ,২০২২
  • শনিবার


আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি "ছায়ার আলো" গল্প শেয়ার করছি । আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।



আমি মনে করি গল্প মানেই কোন বাস্তব চরিত্র বা ঘটনার সাথে পরিচিত হওয়া।জীবনের ইতি হয়ে যাবে কিন্তু থেকে যাবে স্মৃতি বিজরিত অতীত বা জীবনের গল্প। বেশিরভাগ মানুষ জীবনের বাস্তবতা উপলব্ধি করার চেষ্টা করে নাহ।আমি গল্প পড়তে পছন্দ করি কারণ বাস্তবতার সাথে নিজেকে বিলিয়ে দিতে পারি।জীবনে লুকিয়ে থাকা ঐতিহাসিক বড় ঘটনা গুলোই হলো অনেক বড় গল্প।বাস্তব জীবনের সাথে জড়িত জীবন চিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরা হলো।

rain-275317__480.jpg

Source

গল্প -ছায়ার আলো



তাহলে চলুন গল্পটি শুরু করি


আজ সারাদিন হলো একাধারে বৃষ্টি পড়ছে। শ্রাবণ মাসের শেষ দিকটার আকাশের সমস্ত বিষন্নতা অঝোর ধারায় ধরণীতে আছড়ে পড়ছে। বড় বাড়িটার ঝুল বারান্দায় আনমনে বসে চোখের কোণে প্রতিটি বৃষ্টির ফোঁটার জন্য অব্যক্ত অভিমান ছুঁয়েছে আলাল সাহেবের। আজ শ্রাবণের শেষ সপ্তাহের শেষ রবিবার। দিনটি । আলাল সাহেবের অনেক অভিমানের, অনেক চাপা ক্ষোভ, রাগ জমানো আছে। কিন্তু তিনি নিজের কাছে খুবই অসহায়। নালিশ করার মত কাউকে খুঁজে পান না তিনি। আছে একজন, কিন্তু অভিমান শোনার জন্য, আর অভিমানের সমস্ত আবদারটুকু পেশ করার দায়িত্বটা তার। আজ পর্যন্ত কোন কিছুর আবদার অপূরণ রাখতে পারেননি তিনি। স্বভাব তার যেমন অভিমানী, তার নামটাও তেমনি। অধরা। অনেক কিছু চাওয়া পাওয়ার ভিড়ে একটি অপূর্ণতাতেই হয়ত নামের অর্থ প্রকাশ পেয়েছে আলাল সাহেবের মেয়ে অধরার। ছোট একটা মেয়ে, চোখের পলকে বড়দের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিতে শিখেছে।

sunset-979705__480.jpg

Source

বয়স আর কত হবে, ৯ বছরের অনেকটা কাছাকাছি। আলাল সাহেবের কোন চিন্তাই নেই অধরাকে নিয়ে। নিজের কাজ নিজেই করতে শিখে গেছে। এমনকি বাবারও খেয়াল রাখতে জানে। অফিসে যাওয়ার সময় গাড়ীর চাবি বাসায় রেখে আসত, পড়ে যখন গাড়ী চালু করতে যাবে তখন মেয়েটি বলে এই নাও চাবি। গাড়। কি এমনি এমনি চালাবে নাকি? এমনি হাজারো খুনসুটি চলে বাপ মেয়ের সংসারে। আর হাজারো আবদার পূরণ করতে হয় আলাল সাহেব কে। আবদারগুলো খুবই অপূরণীয় মনে হলেও বেলা শেষে পূরণ করতেই হয়। সে দিনের কথাই বলা যাক, রাত তখন প্রায় শেষ। ফজরের আযানের কিছুটা আগে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায় আলাল সাহেবের। অধরা ঘুম থেকে উঠে কান্নাস্বরে বাবা কে বলছে 'ফুল কুঁড়াতে যাব'। আলাল সাহেব মেয়েকে বোঝালেন সকাল এর অপেক্ষায় থাকতে, কিন্তু অভিমানী মেয়ে নারাজ। আজকের মত এখানেই শেষ আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকুন।



আশাকরি গল্পটি আপনারা পড়বেন। গল্প পড়তে আমি খুবই পছন্দ করি। যেটা প্রায়ই পড়া হয়ে থাকে ভালো লাগে পড়তে।গল্প পড়া মানেই নতুন কোন কিছু ঘটছে তার সাথে পরিচিত হওয়া। আমার লেখা গল্প পড়ে ভালো লাগলে নিশ্চয় মতামতের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন নাহ।



আমার অন্যান্য গল্পের লিংক সমূহ

প্রথম গল্প:-গোয়েন্দা রহস্য গল্প - "এলাচির উইল"( শেষ পর্ব)
source
দ্বিতীয় গল্প:-ছোট গল্প - "অশ্রুর তির্থস্থানে একদিন"( শেষ পর্ব)
source
তৃতীয় গল্প:-ছোট গল্প - "শোনার পাহাড়ের পাখি"( পর্ব নেই )
source
চতুর্থ গল্প:-ছোট গল্প - "ছায়া"( পর্ব নেই )
source
পঞ্চম গল্প:-ছোট গল্প - "তীর্থ"( পর্ব নেই )
source
চাইলে আপনারা এখানে ক্লিক করে গল্প গুলো পড়ে আসতে পারেন, আগের গল্প গুলো পড়লে আপনারা কিছু উপলব্ধি করতে পারবেন।



আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আমি আশা করছি আপনারা সবাই আমার পোষ্ট উপভোগ করবেন এবং আপনারা সবাই আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন

বিবরণ
বিভাগছোট গল্প ।
বিষয়ছোট গল্প - "ছায়ার আলো ")@ripon40
গল্প তৈরি করার অবস্থানলিংক

ধন্যবাদ সবাইকে



20211112_012926-01.jpeg

আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।



standard_Discord_Zip.gif

>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

gPCasciUWmEwHnsXKML7xF4NE4zxEVyvENsPKp9LmDaFuzVwHnY92rponrLLcEknitVG5yvYaPTExVtjfc6Bi4cvC9ppuyLmaATGbhg8UF4suiCxVfuw2YuSWJftJo9C74dQUN2WE1yNJmdtXp.png

💞 আল্লাহ হাফেজ 💞

k75bsZMwYNtze9xHvT6xWCdz7q3QGD35ZKdaPpVrFksWkDGMy52wVotParwf9eYo99FhcDG9yRVNaQxotVf91vSjAbxytemWEpH4UCMBVKo32iMz6Mc3c23ZDcBfZ1ESGR5dcG9hmK3xvsmcahC4GSPabbvtjdepn.png

Sort:  
 2 years ago 

আমারও তাই মনে হয়, গল্প বাস্তব চরিত্র থেকেই নেওয়া। আপনার এ ধরনের ছোট গল্পগুলো পড়তে খুব ভালো লাগে। অভিমানী মেয়ের "অধরা" নামটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। ছোট একটা মেয়ে খুব তাড়াতাড়ি দায়িত্ব নিতে শিখেছে। তবে এই পর্বে শুধুমাত্র বাবা মেয়ের পরিচয়টা খুব ভালোভাবে পেলাম। ফুল কুড়াতে যাওয়ার আবদার টার পর কি হলো সেটা জানার অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া

 2 years ago 

হ্যাঁ প্রতিটা গল্পের মধ্যেই বাস্তব জীবনের সার্থকতা যেটা আপনার কাছে ভালো লেগেছে।

 2 years ago 

গল্পটি পড়েই বোঝা যাচ্ছে যে, ওরা বাবা মেয়ে খুন সুটিতে ওদের দিন কাটে,। দুজন মিলে হাসি আনন্দেতে ওদের জীবন কাটাচ্ছে। প্রতিদিন বাবাকে গাড়ির চাবি এগিয়ে দেওয়াতে বুঝা যায় মেয়েটির দায়িত্ব বোধের কথা। আপনার পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া।

 2 years ago 

বাবা মেয়ের সম্পর্কটা ভালোবাসাটা সবচেয়ে বেশি থাকে গল্পটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

গল্পের শুরুটা পড়ে ভাল লেগেছে। বাবা আর মেয়ের খুনসুটি অনেক পরিবারেই দেখা যায়। আলাল সাহেবের মেয়ের বয়স মাত্র ৯ বছর হলেও বেশ ভাল দায়িত্ব নিতে শিখেছে তা না হলে বাবার গাড়ির চাবির কথা এত ছোট বাচ্চা কীভাবে খেয়াল রাখে? অভিমানী মেয়েদের জেদ থাকে অনেক। আমার মনে হচ্ছে আলাল সাহেব আজানের আগেই মেয়েকে নিয়ে যাবে ফুল কুড়াতে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া।

 2 years ago 

এরকম অনেক পরিবার রয়েছে তারা দায়িত্ববান হয়ে উঠতে হয় সত্যি সেটা ভাবায়।

 2 years ago 

ছোট একটা মেয়ে, চোখের পলকে বড়দের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিতে শিখেছে।

আপনার এই ছোট গল্পের মেয়েটি অর্থাৎ অধরার সাথে আমার একটা ফুফাতো বোনের অনেকটাই মিল রয়েছে। তার বয়স মাত্র ১১ বছর কিন্তু সে এই বয়সেই তাদের পরিবারের সব দায়িত্ব কাধে নিতে চায়। মাঝে মাঝে আমার ফুফুর সাথে সেই পিচ্চিটা ঝগড়া করে আমরা দেখে অবাক হয়ে যাই যে এতোটুকু পিচ্চি মেয়ে এমন পাকা পাকা কথা কিভাবে বলে??
আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া চেষ্টা করতে থাকুন ভবিষ্যতে আরো ভালো কিছু করতে পারবেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

ওয়াও আপনি আমার গল্প পড়ে সুন্দর মতামত প্রকাশ করেছেন ভালো লাগলো ভাই।

 2 years ago 

আপনার গল্পটি পড়ে আমার কাছে অনেক ভালই লাগলো। নয় বছরের ছোট বাচ্চা অধরা নামটি অনেক সুন্দর। ছোট বাচ্চা মেয়েটি তার বাবার গাড়ির চাবি কথা খেয়াল রাখে এবং এগিয়ে এনেদে। বাবা এবং মেয়ের খুব মধুর সম্পর্ক। এমন সম্পর্ক মেয়ের বাবার জন্য থাকলে বাবাকে অনেক ভাগ্যবান মনে হয়। মেয়ের বাবা মনে হয় মেয়েকে নিয়ে ফুল কুড়াতে যাবে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় আছি। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

হ্যাঁ মেয়েরা এই দিক দিয়ে সে সব সময় কেয়ার করে বাবা মায়ের কখনোই কষ্ট দিতে চায় না।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.034
BTC 64116.01
ETH 2758.41
USDT 1.00
SBD 2.65