ভালোবাসা ও ইভটিজিং এক নয়!

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকে আমি আপনাদের সকলের সাথে এমন একটি ব্যাপার নিয়ে কথা বলতে এসেছি। যে ব্যাপারটি আসলে আমাদের টিনেজার সমাজে অনেক বেশি আলোচিত কিংবা সমালোচিত। তাই ভাবলাম যে এ বিষয়টা নিয়ে একটু লেখালেখি করা যাক। যেহেতু আমাদের এখানে অনেক টিনেজার রয়েছে এবং নতুন নতুন আমাদের সাথে কাজ করতে শুরু করেছে। আমার মনে হলো যে, আমার এই লেখাটি যদি একজনও পড়ে। তাহলে সে যদি উপকৃত হয়। তাহলে এতেই আমার লেখার সার্থকতা।

আমরা অনেক সময় অনেক মানুষকে হুট করেই নিজের অজান্তে ভালোবেসে ফেলি এবং তাকে ভালোবাসার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত আমাদের মনে আসে না যে আমরা সেই মানুষটাকে ভালোবাসি। অর্থাৎ ভালোবাসা ব্যাপারটাই আসলে এমন কখন কার প্রতি জন্ম নেয়।সেটা আমরা কেউ ভাবতেও পারি না এবং এটার কন্ট্রোল ও নিজের কাছে থাকে না। অর্থাৎ আমার কাকে ভালো লাগবে, কিন্তু আপনার কখন কাকে ভালো লেগে যাবে, সেটা কখনোই আমার,আপনার উপর ডিপেন্ড করে না। সেটা সম্পূর্ণ ই আমার,আপনার মনের উপর ডিপেন্ড করে।

কিন্তু ভালবাসার সাথে বর্তমান যুগে কিংবা বর্তমান জেনারেশনে যে ব্যাপারটি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পরেছে। সেটা হচ্ছে " ইভটিজিং "করা। আমাদের বর্তমানের ডিজিটাল যুগে আসলে একটা ব্যাপার খুব বেশি দেখা যায় যে যেই ছেলেগুলো বেশি ইভটিজিং করতে পারে। তারাই এখনকার জেনারেশনে অনেক বেশি কুল, অর্থাৎ অনেক বেশি জনপ্রিয়। অবাক হবেন জেনে যে, আমাদের জেনারেশনে এখন মোটামুটি অনেকটা প্রতিযোগিতা হয় যে। কে কতো বেশি অন্য মানুষকে উত্যক্ত করতে পারে! সেটা ছেলের দিক থেকেও হয়। আবার অনেক সময় মেয়ের দিক থেকেও হয়।

কিন্তু এই যে অন্যকে বিরক্ত করার অভ্যাসটা যে কতোটা ভয়ংকর এবং যাকে কেউ উত্ত্যক্ত করছে। তার জন্য ব্যাপারটা যে কতো বেশি বিরক্তিকর। সেটা আসলে মানুষ একটুও অনুভব করে না এবং যার কারণে আমাদের সমাজে ইভটিজিং এর মতোন অপরাধ অনেক বেশি বেড়ে গিয়েছে। কারণ বেশিরভাগ ছেলে-পেলে, মেয়েদের দেখবেন যে বর্তমান সময়ে তারা ইভটিজিং টাকে ভালোবাসা হিসেবে ধরে নিচ্ছে। কারণ তাদের কাছে ইভটিজিং মানে হলো অনেক বেশি অন্যায় কিছু নয়। কিন্তু এই যে একটা অন্য মানুষকে বিরক্ত করা। তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে তাকে উত্যক্ত করা। এসব কিন্তু ইভটিজিং এর শামিল।

তাই এটা আমাদের দায়িত্ব যে আমাদের জেনারেশন কে শেখানো কোনটা ভালোবাসা এবং কোনটা ইভটিজিং। কারণ এই দুইটা কিন্তু আকাশ পাতাল তফাত।আর যদি আমরা মানুষ হিসেবে আমাদের নতুন জেনারেশন কে এটি শিখাতেই না পারি। তাহলে কিন্তু আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের অবস্থা হবে খুব ভয়ের।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।