আমার শেয়ার করা শেষ পাঁচটি রেসিপি পোস্ট এর রিভিউ - ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁককের জন্য
আমি ঢাকা, বাংলাদেশ থেকে @kawsar ।
আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন ,আর আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ। আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি ব্যতিক্রমী পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার শেয়ার করা শেষ পাঁচটি রেসিপি পোস্ট এর রিভিউ। আসলে আমরা যদি এই রিভিউগুলো দিয়ে রাখি , তাহলে অনেক সময় এই পোস্ট দরকার হলে খুঁজতে অনেক সময় লেগে যায় কেননা আমাদের এই পোস্টগুলো পিছনে পড়ে যায়। সেজন্য যদি প্রয়োজন হয় তাহলে খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল হয়ে যায়। আর যদি এভাবে আমরা একসাথে সব পোস্টে রিভিউ পোস্ট দেই তাহলে খুব সহজে এই পোস্টগুলো খুঁজে পাবো।
সেই জন্যই এই রেসিপি পোস্ট এর রিভিউ আমি আজকে পোস্ট করব। আসলে এই রেসিপি করতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আর আমি যে আজকের রেসিপি পোস্টার রিভিউ দেব সেই রেসিপি গুলো খেতে খুবই মজার হয়েছিল। আর সবগুলোই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আশা করি আমার এই আজকের রেসিপি পোস্ট গুলো আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে। অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন কোনটি আপনাদের কাছে বেশি ভালো লেগেছে। আর আমি আমার প্রত্যেকটা পোস্টের লিঙ্ক এই পোস্টে দিয়ে দেবো। যদি আপনাদের কাছে ভাল লাগে তাহলে আপনারা সেই পোস্টে গিয়ে রেসিপি গুলো দেখে আসতে পারবেন। আর কথা না বলে চলুন শুরু করা যাক।
𒆜 রিভিউ ১:𒆜
আমি আজকে প্রথমেই যে রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করব সেটি হল তিতা ছাড়া টিপস সহ করোলা ভাজি রেসিপি। আমার কাছে করলা ভাজি খুব ভালো লাগে। যদি এভাবে আলু দিয়ে করলা ভাজি করে গরম ভাতের সাথে খাওয়া যায় সেটা খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়। তার সাথে লেবু হয় তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। এখন আপনাদের প্রশ্ন আসতে পারে যে করোলা আবার তিতা ছাড়া হয় নাকি ?
আসলে করলা তিতা লাগে কিন্তু কমবেশি আছে। যদি আমি যেভাবে টিপস দিয়েছিলাম সেভাবে আপনারা ট্রাই করেন তাহলে আশা করি অনেকটাই কম তিতা লাগবে। করলা কেটে তারপরে লবণ দিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখতে পারেন এরপর খুব ভালোভাবে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে এবং ভাজিতে আলু এবং বেশি পিয়াজ ব্যবহার করতে হবে। চুলার আঁচ কমিয়ে সময় নিয়ে ব্রাউন কালার আসা পর্যন্ত ভাজি করতে পারেন তবে আমি আশাকরি অনেকটাই কম তিতা লাগবে। এভাবে খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। আর এটা আমার অনেক বেশি পছন্দের। আশা করি আপনাদের কাছেও ভাল লেগেছে।
𒆜 রিভিউ ২:𒆜
এরপরে আমি যে রেসিপিটি আপনাদের সাথে তুলে ধরব সেটি হল সুস্বাদু টমেটো ভর্তা রেসিপি। আসলে এই গরমে আমাদের মুখের রুচি চলে যায়, খেতে ইচ্ছে করে না , অসহ্য লাগে। তখন যদি এ রকম ভর্তা দিয়ে গরম ভাত খাওয়া যায় তাহলে কিন্তু আমি মনে করি যে আমাদের মুখে রুচি চলে আসে। আর টমেটো আমার খুবই পছন্দের। এ টমেটো যে কোন রান্নায় ব্যবহার করলে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আমি যখন এই টমেটো ভর্তা রেসিপি তৈরি করেছিলাম এই ভর্তাটা আমার কাছে অনেক সুস্বাদু লেগেছিল।
আমি যে পদ্ধতিতে টমেটো ভর্তা করেছিলাম ,সেই পদ্ধতিতে আসলে টমেটো ভর্তা খেতে অনেক বেশি মজার হয়। তবে অনেক ভাবে টমেটো ভর্তা করা যায়। কিন্তু যদি এভাবে করেন তাহলে খেতে আলাদা মজা হবে। আসলে আমি জানি যে ভর্তার সবার মুখে পানি চলে আসে যেমনটা আমার। আসলে এই ভর্তাটা মুখে পানি চলে আসার মত একটা ভর্তা। খেতে যে কতটা মজার হয়েছিল সেটা আসলে না খেলে বুঝতে পারবেন না. আশাকরি আপনারা বাসায় এই রেসিপিটি তৈরি করে খাবেন।
𒆜 রিভিউ ৩:𒆜
এবার আমি যে রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আসলে সেই রেসিপিটি আমার খুবই প্রিয়। আর এই সবজিটা খেতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। যখন আমি এই চিংড়ি মাছ দিয়ে মিষ্টি কুমড়া ভাজি করেছিলাম আমার কাছে এটা খেতে এত বেশি সুস্বাদু হয়েছিল। সেটা আমি আসলে বলে বুঝাতে পারব না। আসলে মিষ্টিকুমড়া আমার এমনিতেই অনেক পছন্দের। মিষ্টি কুমড়া অন্য মাছ কিংবা ডিম দিয়ে ভাজি করা যায়। কিন্তু যদি আপনি চিংড়ি মাছ দিয়ে আমার দেখানো পদ্ধতিতে ভাজি করেন তাহলে সেটা খেতে সবথেকে বেশি সুস্বাদু হবে।
আমরা অনেকেই হয়তো মিষ্টি কুমড়া পছন্দ করি না। কিন্তু যদি আপনারা এইভাবে মিষ্টি কুমড়া চিংড়ি মাছ দিয়ে ভাজি করেন তাহলে খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়। আরেকটি টিপ শিখেছি যেটা আপনাদেরকে আমি বলব সেটা হলো মিষ্টি কুমড়া রান্না কিংবা ভাজি করার সময় অবশ্যই এতে সামান্য পরিমাণ একটু চিনি দিয়ে দেবেন। এতে এই রান্না খেতে অনেক বেশি মজা হবে। এর কারণ হলো মিষ্টি কুমড়া যেহেতু মিষ্টি জাতীয় একটি সবজি কিন্তু কিছু কিছু কুমড়া বেশি মিষ্টি না সেজন্য যদি চিনি দেওয়া হয় তাহলে এটার স্বাদ অনেকগুণ বেড়ে যায়। তাই সবসময় চেষ্টা করবেন মিষ্টি কুমড়া রান্না করার সময় সামান্য পরিমাণ চিনি ব্যবহার করতে। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই রেসিপিটি ভালো লেগেছে।
𒆜 রিভিউ ৪:𒆜
এবার আমি আপনাদের সাথে এই সময় উপযোগী একটি রেসিপি শেয়ার করব-সেটি হচ্ছে তরমুজের জুস। আসলে প্রচণ্ড গরমে আমাদের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। আর এখনতো অনেক বেশি গরম পড়তেছে ও সামনে রমজান আসতেছে এই রমজানে যদি এরকম ১ গ্লাস ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা তরমুজের জুস দিয়ে ইফতার করা যায় তাহলে কিন্তু খুবই ভালো লাগবে। আসলে গরমের ভিতর আমাদের কিছুই খেতে ভালো লাগে না আমাদের বারবার গলা শুকিয়ে যায়। সেজন্যই যদি আমরা কোন কিছু ঠান্ডা জুস খেতে পারি তাহলে কিন্তু আমাদের শরীর ঠান্ডা হয়ে যায়। আর আমাদের অনেক ভালো লাগে।
যেদিন বাইরে গিয়েছিলাম শপিং করতে ,সেইদিন আমার স্ত্রী কয়েকবার ঠান্ডা শরবত খেয়েছে এ ছাড়া কিছুই খাইনি। কারণ ওর প্রচন্ড গলা শুকিয়ে গিয়েছিল। আসলেই এই প্রচণ্ড গরমে আমাদের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যায়। সেজন্য যদি এরকম এক গ্লাস তরমুজের জুস খাওয়া যায় তাহলে কিন্তু খুবই ভালো লাগে। আর আমি আপনাদের মাঝে খুবই সহজ ভাবে এই তরমুজের জুস তৈরি করার পদ্ধতি উপস্থাপন করেছি। আশাকরি আপনাদের কাছে সেটি ভালো লেগেছিল। আর এটা যখন তৈরী করেছিলাম খেতে খুবই ভালো লেগেছিলো। তবে এটা তৈরি করার সময় অবশ্যই পরিমানমতো লবন ও চিনি দিতে হবে। তাহলে এটাকে আরো বেশি সুস্বাদু হবে। আরেকটি কথা হলো এটা তৈরি করার সময় অবশ্যই লেবু দিবেন এতে কিন্তু আরও বেশি মজার হয়।
𒆜 রিভিউ ৫:𒆜
সবার শেষে আমি যে রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করব সেটা হল মজাদার রামচোষ মাছ দিয়ে আলু ভুনা রেসিপি। আসলে আমি যখন এই রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম তখন আপনারা অনেকেই বলেছিলেন যে মাছটা আসলে আপনারা চিনেন না বা কোনদিন দেখেননি। আসলে অনেক কিছুর নাম অঞ্চলভেদে পরিবর্তন হয়। আমাদের অঞ্চলে এটাকে রামচোষ মাছ বলে। আর এটা খেতে অনেক মজা। তবে আমি সঠিক বলতে পারি না যে এটা নদী নাকি সাগরের মাছ। এই দুটা একটা হবে আরকি। কিন্তু এটা খেতে অনেক মজা।
এই মাছে তেমন একটা কাঁটা থাকে না। আর খেতেও অনেক বেশি সুস্বাদু। সেজন্য এই মাছটা আমার খুবই প্রিয়। তবে এই মাত্র দিয়ে শুধু পেঁয়াজ দিয়ে ভুনা করা হয় তাহলে আরো বেশি সুস্বাদু হয়। তবে আপনি যদি এভাবে আমার পদ্ধতিতে আলু দিয়ে ভুনা করেন তাহলে এটা খেতে অনেক বেশি মজা হবে। এমনিতেই আমার সামুদ্রিক মাছ খুবই পছন্দের। আমি যখন এটা আলু দিয়ে রান্না করেছিলাম আমার কাছে খেতে খুবই ভালো লেগেছিল। আশা করি আপনাদের কাছেও আমার এই রেসিপিটি ভালো লেগেছে।
এই ছিল আমার আজকের রেসিপি পোস্ট এর রিভিউ। আশা করি আমার এই রেসিপি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আজ এই পর্যন্তই আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করছি এবং রমজানের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। সবাই ভাল থাকবেন।
@kawsar
আপনার প্রত্যেকটা রেসিপি বেশ সুন্দর বেশ সুন্দর এবং লোভনীয় দেখতে। সহজেই একজনের দৃষ্টিগোচর হবে। এর কারণ আপনার আকর্ষণীয় পরিবেশনা। আপনার তৈরি প্রতিটা রেসিপি বেশ ইউনিক ছিল। তবে আমার কাছে তরমুজের শরবত এবং টমেটো ভর্তাটা সবচেয়ে ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ প্রিয় ভাই। শুভকামনা রইল
ভাইয়া আপনার করা সেরা পাঁচটি রেসিপি রিভিউ পুনরায় আবার দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনার প্রত্যেকটা রেসিপি ছিল অসাধারণ। সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার মাধ্যমে শেয়ার করেছিলেন আমাদের সাথে। শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইল অবিরাম।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার জন্য ও ভালোবাসা রইল
আপনার শেয়ার করা শেষ পাঁচটি রেসিপি পোস্ট এর রিভিউ বেশ সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন যা সত্যি অনেক সুন্দর ছিল আর তাই আপনাকে আমার পক্ষ থেকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আপনার রেসিপি গুলো বরাবরই অনেক ভালো হয় এবং আকর্ষণীয় হয়। আমি একেবারে প্রথম থেকেই আপনার রেসিপি গুলো ফলো করি সত্যি আমার কাছে অনেক ভালো লাগে ভাইয়া। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য। আশা করছি এভাবেই ভালো ভালো মানের রেসিপি আমাদের সাথে আরও শেয়ার করবেন।
আসলে আপনার প্রতিটি পোস্টে ছিল দেখার মতো। রেসিপিগুলো গুলা ভালো লাগছে এবং সবথেকে ভালো লাগলো এখন রমজান মাস তাই ওই তরমুজের জুস টা বেশ উপকারী হবে আমাদের জন্য। সর্বোপরি অনেক ভাল ছিল আপনার জন্য শুভকামনা রইল
একত্রিত করা পোস্টগুলো দেখতে আমার ভালোই লাগে । কারণ একসঙ্গে সবগুলো পোস্টের লিংক পাওয়া যায় এবং প্রয়োজনমতো দেখে নেওয়া যায় । বেশ ভালই ছিল আপনার উপস্থাপনা । আর্কাইভটি ভালো লেগেছে ।
আমারও তাই মনে হয় ভাই একত্রে এই পোস্টগুলো করে রাখলে যে কোনো প্রয়োজনে এই এগুলো খুঁজে পাওয়া যায়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
খাবার মানেই হলো লোভনীয় ব্যাপার। 🥰🥰
প্রতিটা রেসিপিই মনে হচ্ছে অনেক বেশি লোভনীয় ছিল।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই রেসিপি গুলো শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ওয়াও অসাধারণ একটি রেসিপি রিভিউ পোস্ট করেছেন ভাইয়া। আপনার তৈরি করা রেসিপি গুলো দেখে ভিষণ খেতে ইচ্ছা করতেছে। প্রতিটি রেসিপি আমার কাছে খুবেই ভালো লেগেছে। সব মিলিয়ে আপনার পোস্টটি অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। আপনার জন্য শুভকামনা রইল
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
খাবারের রেসিপি গুলো এর আগেও আমি দেখেছি খুবই সুন্দর এবং আমার কাছে বেশ ভালো। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছিল তরমুজের জুস। সে যাই হোক রেসিপি গুলো পুনরায় সুন্দরভাবে আমাদের সামনে তুলে ধরার জন্য বিশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে।
তরমুজের জুস আসলেই খুবই মজা হয়েছিল আশা করি বাসায় ট্রাই করে দেখবেন অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি বরাবরই অনেক সুন্দর রেসিপি পোস্ট শেয়ার করেন। আমার কাছে মিষ্টি কুমড়া রেসিপি গুলো অনেক ভালো লাগে তবে তরমুজের জুস আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে কারণ এটি একটি ভিন্ন ধরনের রেসিপি ।
চিংড়ি মাছ দিয়ে মিষ্টি কুমড়া রেসিপি আসলেই অনেক বেশি সুস্বাদু ছিল. ট্রাই করে দেখবেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।