তিতা ছাড়া টিপস সহ করলা ভাজি রেসিপি - ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁককের জন্য
আমি ঢাকা, বাংলাদেশ থেকে @kawsar ।
আশা করি আমার বাংলা ব্লগের সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন, আর আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ। প্রতিদিনের মত আজও আমি আপনাদের মাঝে আরও একটি পোস্ট নিয়ে এসেছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি রেসিপি শেয়ার করব। আর এটা খুবই সিম্পল একটি রেসিপি কিন্তু খেতে অনেক বেশি মজা। আর আমার এই রেসিপিটি খেতে খুবই ভালো লাগে এবং আমার অনেক বেশি পছন্দের। আশাকরি আপনাদের এই রেসিপিটি পছন্দের। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব খুবই সহজ পদ্ধতিতে করলা ভাজি। আসলে আশা করি আমার এই রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
আলু | পরিমাণমতো |
কাঁচা মরিচ | ৭ টি |
হলুদের গুঁড়া | হাফ চা চামচ |
ধনিয়ার গুড়া | হাফ চা চামচ |
লবণ | পরিমাণমতো |
তেল | 2 টেবিল চামচ |
পিয়াজ | হাফ কাপ |
করলা | পরিমাণমতো |
রান্নার প্রসেসিং ধাপে ধাপে দেখানো হলো:
𒆜ধাপ ১:𒆜
এই রেসিপিটি তৈরি করার জন্য প্রথমে চুলায় আমি একটি কড়াই বসিয়ে দেব এবং এতে পরিমান মত তেল দিয়ে দেবো। যেহেতু ভাজি করতে একটু বেশি প্রয়োজন হয়েছে সেখানে ২ টেবিল চামচ পরিমাণ তেল দিয়ে দেব।
তেল গরম হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করব। যখন গরম হয়ে আসবে তখন আমি এর ভিতরে একটা পরিমাণ পিয়াজ ও ৭ থেকে ৮টি কাঁচামরিচ দিয়ে দেব।
পিয়াজ মরিচ তেলে কমপক্ষে পাঁচ মিনিট ভেজে নিতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই চুলার আঁচ মিডিয়ামে রাখতে হবে। পেঁয়াজ একটু তেলে ভেজে নেওয়া হয় তাহলে ভাজিটা খেতে বেশি মজার হবে।৷
𒆜ধাপ 2 :𒆜
যখন পেঁয়াজ এবং মরিচ ভেজে নেওয়া হয়ে যাবে। আমি এখানে আগে থেকে কেটে রাখা আলু দিয়ে দেবো। আমি এখানে করলার সাইজ করে আলু কেটেছি।
আলু দেওয়ার পরে এর ভিতরে আগে থেকে ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখা করলা দিয়ে দিতে হবে। অনেকেই আমরা করলা তিতা হয় এজন্যই এই ভাজিটা খেতে চাই না। এজন্য আপনাকে অবশ্যই করলা কেটে এরপরে লবণ মেখে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে। আনুমানিক ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে এরপরে আপনি খুবই ভালভাবে এগুলো পানি দিয়ে ধুয়ে নিবেন। এতে কিন্তু এর তিতা ভাব অনেকটাই শেষ হয়ে যাবে।
এরপরে আমি আলু এবং করলা দিয়ে দেওয়ার পরে এখানে আমি গুঁড়ো মশলা দিয়ে দেবো। গুঁড়ো মশলা ভিতরে আমি এখানে হলুদের গুঁড়া হাফ চা চামচ এবং হাফ চা চামচ ধনিয়ার গুড়া ও পরিমাণমতো লবণ দিয়েছি। এই ভাজিতে বেশি গুঁড়ো মসলা ব্যবহার না করাই ভালো। এতে কালার টা ঠিক থাকে আর খেতেও অনেক বেশি মজার হয়।
এরপরে যখন গুড়ো মসলা দেওয়া হয়ে যাবে। তখন গুঁড়ো মশলা সাথে আলু এবং করলা খুব ভালোভাবে মিক্স করে দিতে হবে।
𒆜শেষ ধাপ 𒆜
খুব ভালোভাবে সময় নিয়ে এরপরে যখন মিক্স করা হয়ে যাবে। তখন এটার উপরে একটি ঢাকনা দিয়ে অপেক্ষা করতে হবে। যতক্ষণ ভাজি করা হবে, ততক্ষণ চুলার আঁচ একেবারেই কমিয়ে রাখতে হবে।
এভাবে ঢাকনা দিয়ে ৫ মিনিট রান্না করতে হবে এরপর কালারটা এরকম আসবে এবং সে পর্যায়ে উল্টে পাল্টে দিতে হবে।
এভাবেই এই ভাজিটা ১৫থেকে ২০ মিনিট করে নিতে হবে এবং দুই মিনিট পর পরই নেড়ে দিতে হবে। যেন নিচে লেগে না যায় বা পুড়ে না যায় এভাবেই তৈরি হয়ে যাবে মজাদার এই করলা ভাজি রেসিপি। আমার কাছে এই ভাজি গরম ভাতের সাথে খেতে অনেক ভালো লাগে। আর সাথে সাথে লেবু থাকে তাহলে তো আর কথাই থাকে না।
আশা করি আমার এই রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভাল লেগেছে। আজ এই পর্যন্তই আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করে শেষ করেছে।
ফটোগ্রাফার | @kawsar |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং এ১০ |
লোকেশন | ঢাকা |
@kawsar
আপনার এই করলা ভাজির রেসিপিটি খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। আপনার দেওয়া টিপস অনেক কাজে আসবে। আর আপনার উপস্থাপনা যথেষ্ট ভালো ছিলো। তাই খুব ভালো লেগেছে। ধাপে ধাপে খুবই সুন্দর করে রেসিপিটি বানিয়েছেন। সব দিক থেকেই বেস্ট ছিলো। শুভেচ্ছা রইলো
খুশি সুন্দর মন্তব্য করেছেন ভাই। ধন্যবাদ
করোলা আমি তেমন একটা খাই না, তবে আজকে আপনি যেভাবে টিপস্ দিয়েছেন তিতা ছাড়া করোলার যে রেসিপি, এভাবে করলে অবশ্য খাওয়া যাবে মনে হচ্ছে। অসংখ্য ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি টিপস্ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন সব সময়।
জি ভাই এভাবে রান্না করে খেয়ে দেখবেন।
করলা ভাজি রেসিপি খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আজকে আপনি আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর ভাবে তিতা ছাড়া টিপস সহ করলা ভাজি রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার শেয়ার করা এই রেসিপিটি ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ প্রিয় ভাই আর শুভকামনা রইল
আমার আম্মু এইভাবে আলু দিয়ে করলা ভাজি করে। এভাবে ভাজি করলে তেতোটা ওতটা বোঝা যায় না।এবং খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। আমাদের মাঝে করলা ভাজির এত সুন্দর একটি উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
জি ভাইয়া একদম ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ আপনে
আমার আম্মুকেও দেখেছি এভাবেই করলা ভাজি করতে তেতো ভাব ছাড়িয়ে। তবে আমি একদমই করলা খাই না।তাই এই সম্পর্কে কোন ধারনাই রাখি না। তবে আপনি খুব সুন্দর করেই করলা ভাজি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। যাদের প্রিয় তাদের কাছে খুবই ভালো লাগবে।
খেয়ে দেখবেন আপু গরম ভাতের সাথে খেতে দারুন লাগে।
তিতা ছাড়া টিপস সহ করলা ভাজি রেসিপিটি অনেক ভালো লাগলো ।আমি তিতা খেতে খুবই পছন্দ করি। আপনি খুব সুন্দর করে করলা ভাজি রেসিপি তৈরি করেছেন ।যেটা আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে ।আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
তিতা খেতে পছন্দ করলে টিপসের প্রয়োজন হবে না ভাই। এটা খাওয়া খুবই উপকারী।
আপনি খুব সুন্দর ভাবে করলা ভাজি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ।আমার করলা ভাজি খেতে খুব ভালো লাগে। আপনি রেসিপিটি ধাপে ধাপে নিখুঁতভাবে বর্ণনা করেছেন এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
করলা ভাজি তিতা হওয়ার কারণে অনেকে খেতে চায় না।তিতা ছাড়া এই রেসিপি রান্না করার পদ্ধতি গুলো খুব ভালো ভাবে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
করলা ভাজির নাম শুনলেই আমি ১০০ হাত দূরে দিয়ে হাঁটি , কারণ করলা ভাজির তেতো ভাব টা আমার একদমই ভালো লাগে না। তবে আপনার মত তেতো ভাব ছাড়া যদি রান্না করা হয় তাহলে আমার মনে হয় আমি খেতে পারব। তিতা ছাড়া আপনার রান্না করা করলা ভাজি রেসিপি টা দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে ভাইয়া। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের উপহার দেয়ার জন্য। শুভকামনা রইল।
ভাই আমার এ টিপস ফলো করে ভাজি করলে খেতে পারবেন আশা করি।
করলা ভাজি আমার কাছে খেতে বেশ ভালোই লাগে। গরম গরম ভাতের সাথে করলা ভাজি খেতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। তার সাথে যদি হয় মসুরের ডাল তাহলে তো কোন কথাই নেই। আপনার তৈরি করলা ভাজি দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আপনার উপস্থাপনাটাও আমার কাছে ভালো লেগেছে। এত সুন্দর করলা ভাজি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপনার সাথে আমার মিল আছে ভাই খুবই ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।