কাজিনদের সাথে গ্রীন পার্ক ভ্রমণ || পর্ব - ৬
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে ভিন্ন ধরনের পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।
ঈদে এবার নানুর বাড়িতে গিয়েছিলাম। অর্থাৎ ঈদের পরের দিন গাজিপুর থেকে নোয়াখালী গিয়েছিলাম। যেহেতু ঈদের পরে গিয়েছিলাম তাই ঈদ উপলক্ষে সেভাবে কোন জায়গায় ভ্রমণ করা হয়নি। তাই আমরা কাজিনরা মিলে ভাবলাম একটা জায়গায় ঘুরতে যাব। তারপর সবাই মিলে এই গ্রীন পার্কে যাওয়ার প্ল্যান করলাম। এই পার্কের মুহূর্তগুলোই আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আজকে ৬ নম্বর পর্বটা শেয়ার করছি। যেহেতু পার্ক টা অনেক বড় তাই একটা বা দুইটা পোষ্টের মাধ্যমে শেষ করা সম্ভব নয়। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আমি আগের পর্বগুলোতেও বলেছিলাম পার্কের এরিয়াটা অনেক বড় ছিল। পার্কের শেষ দিকে এসে দেখলাম বড় বড় পাথরগুলোকে কালার করে সেগুলো দিয়ে ছোটখাটো একটা পাহাড়ের মত তৈরি করা হয়েছে। আর এর মাঝখানে বাচ্চাদের জন্য একটা স্লিপার রাখা হয়েছে। কালারফুল পাথরগুলো দেখতে অনেক ভালো লাগছিল। আর মাঝখানে স্লিপার দিয়ে বাচ্চারা বেশ ভালোই আনন্দ করছে। কিছুটা উঁচু ছিল এই পাহাড়টার। উপরে ছাতার মতো জিনিসটা দেখতেও ভালো লাগছিল।
পার্কের অন্য এক পাশে এই গরুর গাড়িটা তৈরি করা ছিল। গরুর গাড়িটা খুব সুন্দর ভাবে তৈরি করা হয়েছে আর এর ভিতরে উঠে সবাই খুব সুন্দর সুন্দর ছবি তুলছিল দেখলাম। মানুষের ভিড় একটু বেশি থাকার কারণে ভালোভাবে ছবিটা ক্যাপচার করতে পারিনি।
আমরা রাইডে ওঠা শেষ করে হাঁটতে হাঁটতে প্রথমে এই ডাইনোসর পার্ক টা দেখলাম। অনেক ধরনের ডাইনোসর তৈরি করা হয়েছে এখানে। যদিও সবগুলো ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করা হয়নি। কারণ প্রতিটা জিনিস বেশ বড় বড় ছিল। কাছাকাছি দাঁড়িয়ে পুরো জিনিসটা ক্যাপচার করা সম্ভব না। বাচ্চারা এই জিনিসগুলো বেশ ইনজয় করে।
ডাইনোসর পার্কের এরিয়া থেকে বের হয়ে দেখলাম একটা ভূত দাঁড়িয়ে আছে হাহাহা....। দূর থেকে ভালো করে বোঝাই যাচ্ছিল না যে এটা আর্টিফিশিয়াল। তবে বেশ সুন্দর লাগছিল দেখতে। এরপরে আরো একটা আর্টিফিশিয়াল পাহাড় এবং ঝর্ণা দেখলাম। এটা অবশ্য বেশি বড় না। তবে আগের পর্বে যে ঝরনার ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছিলাম সেটা একটু বড় ছিল। পুরো পার্কটাতেই বিভিন্ন ধরনের গাছ ছিল। অনেকটাই প্রকৃতির ছোঁয়া ছিল। যার কারণে আরো বেশি ভালো লেগেছে।
চলবে......
Location
এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল 💕💕
ধন্যবাদান্তে
@isratmim
কাজিনদের সঙ্গে পার্কে আপনি নিশ্চয় অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন।সত্যি আপু পার্কটি দেখতে অনেক বড়। আর গরুর গাড়িটা দেখতে অনেক ভালো লেগেছে। তবে ভূত দেখে ভয় লাগার মতো আপু।আপনারা সবাই বেশ ভালো আনন্দ করেছেন। ধন্যবাদ আপু সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ সবাই মিলে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছি। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
কাজিনদের সাথে গ্রীন পার্ক ভ্রমণের ষষ্ঠ পর্বটি পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে। সত্যি বলতে আমার গরুর গাড়ির ফটোগ্রাফ টা দেখে অনেক ভালো লাগলো যদিও ওখানে অনেক লোক ছিল তারপরেও আমার কাছে অনেক সুন্দর লেগেছে। দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন ওখানে। ধন্যবাদ এমন সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার পরবর্তী পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
আপনার মূল্যবান মন্তব্য প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
সবাই মিলে একত্রে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা। কাজিনদের সাথে গেছিলেন অনেক আনন্দ করলেন সবাই মিলে। আপনার ব্লগগুলোর মাধ্যমে বুঝতে পারছি পার্কটি দেখতে অনেক বড় ছিল। এত বড় ধরনের পার্কের মধ্যে ঘুরতে পারলে আলাদা আনন্দ পাওয়া যায়। বিশেষ করে যখন সবাই মিলে ঘুরা যায় আরো অনেক বেশি ভালো লাগে। সুন্দর মুহূর্ত আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন ধন্যবাদ।
সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনার পার্ক ভ্রমণে সুন্দর এই পোস্ট দেখে অনেক অনেক ভালো লাগলো আপু। আপনজনদের সাথে বেশ সুন্দর একটি ভ্রমণ করেছেন তা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। মাঝে মধ্যে আপনজনদের সাথে ভ্রমণ করতে জেতে আমারও ভালো লাগে। ভ্রমন সুন্দর এই পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
পরিবারের সবাই একসাথে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা।তবে আপনি আপনার কাজিনদের সাথে ঘুরতে গেছেন দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো।নিশ্চয়ই আপনারা অনেক সুন্দর একটি সময় উপভোগ করেছেন দেখে বোঝাই যাচ্ছে। পার্কটি দেখতে অনেক বড় ওঅনেক সুন্দর।আপনার ধারন করা ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
এটা ঠিক সবার সাথে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।