আবোল-তাবোল জীবনের গল্প [ মানুষ ও মনুষ্যত্ব ]

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

হ্যালো বন্ধুরা,

আশা করছি সবাই ভালো আছেন অথবা ভালো থাকার প্রচেষ্টায় নিজেকে গতিশীল রাখার চেষ্টা করছেন। আসলে সব কিছু নির্ভর করছে আমাদের মানসিকতার উপর, আমি প্রায় এই কথাটি কথা প্রসঙ্গে বলে থাকি কারণ এটার উপরই আমাদের ব্যক্তিত্ব নির্ভর করে। দেখুন আমরা পরিবর্তন হচ্ছি, বেশ ভালোভাবে পরিবর্তন হচ্ছি কারন সমাজে মানুষ হিসেবে আমাদের অবস্থার উন্নতি ঘটছে কিন্তু প্রকৃত পক্ষে কি আমাদের উন্নতি ঘটছে? বিবেক বুদ্ধি কিংবা মানসিকতায় আমরা কি পরিবর্তন হতে পারছি? এটা একটা কঠিন প্রশ্ন কারন আমরা নিজেদের নিয়ে নিজেদের বিবেকের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে চাই না বা দাঁড়াতে ভয় পাই। একটা অজানা আশংকা হৃদয়ে কাজ করে, নিজেদেরকে ভীতকে করে দেয়। আসলে আমরা সত্যের সম্মুখে দাঁড়াতে ভয় পাই, সত্যের আয়নায় নিজেদের চেহারাটা খুঁজে পাই না। কারন আমাদের উপর হতে নীচ পর্যন্ত সব কিছুই মুখোশের চাদরে ঢাকা।

একটা বিষয় আজ সম্মুখে আনতে চাই, সামনে বড় একটা উৎসব রয়েছে আমাদের। আমরা যেটাকে ঈদ নামে ডেকে থাকি, যেটা ধনি-গরীব সবাই সমানভাবে উৎসব হিসেবে উপভোগ করার অধিকার রাখে। কিন্তু আমরা কি তাদের সেই অধিকার পূর্ণভাবে ভোগ করার সুযোগ দিচ্ছি? প্রশ্নটা আজ এখানে রেখে যাচ্ছি না, বরং চোখে আঙ্গুল দিয়ে কিছু উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি। আমরা হাজার হাজার টাকা খরচ করে নিজেদের জন্য, নিজেদের পরিবারের জন্য শপিং করছি, ঈদ উৎসবকে নানাভাবে উপভোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। কিন্তু আপনার আমার বাড়ীতে হাসিমুখে যে মানুষটা সারাদিন পরিশ্রম করে যায়, তাকে নিয়ে কি আমরা কখনো কিছু চিন্তা করেছি? তারও তো অধিকার রয়েছে আমাদের মতো নানা আয়োজনে উৎসবকে উপভোগ করার? আমরা হাজার হাজার টাকা খরচ করতে পারি নিজেদের জন্য, নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের জন্য কিন্তু যে মানুষটা দিনের পর দিন, বছরের পর বছর হাসিমুখে আমার বাড়ীর সবকিছু সযত্নে আগলে রেখেছেন, তাকে নিয়ে চিন্তা করার সুযোগ নেই আমাদের!

কেন নেই? এখানে আমাদের মানসিকতার এই অবস্থা কেন? কেন আমাদের বিবেক এখানে জাগ্রত হয় না? আমরা পরিবারের সবাইকে নিয়ে নামিদামী রেষ্টুরেন্ট এ পছন্দের খাবার উপভোগ করতে যাই, বেশ আনন্দ ও তৃপ্তি নিয়ে বাড়ীতে ফিরে আসি। কিন্তু কোনদিন কি এই কথা চিন্তা করেছি, আমাদের বাড়ীতে একজন মানুষ রয়েছে, যাকে আমরা কাজের মানুষ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করি, তার জন্য কিছু খাবার নিয়ে যাই? সত্যি আমরা বড় অদ্ভুত জাতি, নিজেদেরকে শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠিতে সবার উর্ধ্বে রাখার চেষ্টা করি কিন্তু দিন শেষে ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণী ভেদাভেদ তৈরী করার মাধ্যমে সুবিধা আদায় করার চেষ্টা করি। নিজেদের সুযোগকে ভিন্নভাবে কাজে লাগানোর মাধ্যমে, নির্দিষ্ট শ্রেণীর মানুষগুলোকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করি। ধিক সেই সমাজকে, যে সমাজে মানুষ হিসেবে না সব কিছুর মূল্যায়ন হয় ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণী ভেদাভেদ এর মাধ্যমে।

mental-g2c2d11486_1280.png

যদি আপনার বিবেককে একটু হলেও নাড়া দেয় আমার এই লেখা, যদি মানুষ হিসেবে আপনার ভেতরের সত্তাটিকে জাগ্রত করতে পারে প্রশ্নগুলো, তাহলে হয়তো আপনার মানসিকতার ক্ষেত্রে, কিছু বিষয়ের ক্ষেত্রে আপনার চিন্তাধারা পরিবর্তন হতে পারে। আমরা এই রকম লেখা অজস্র বার হয়তো পড়েছি, আরো পড়বো কারন এগুলো আমাদের পড়তে ভালো লাগে, অন্য রকম একটা অনুভূতি হৃদয়ে প্রভাব ফেলে। কিন্তু সত্যটা হলো দিন শেষে আমরা সব ভুলে যাই এবং পূর্বের মতো নিজেকে ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণী ভেদাভেদ এর মাঝে হারিয়ে ফেলি। একটু চিন্তা করুন, নিজের বিবেকটাকে একটু জাগ্রত রাখার চেষ্টা করুন, আপনি মানুষ, আপনার চারপাশে যারা রয়েছে ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণী হিসেবে না বরং মানুষ হিসেবে তাদেরও বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে, আপনার মতো হয়তো না কিন্তু তাদের মতো করে উৎসব উপভোগ করার অধিকার তাদেরও রয়েছে। আসুন ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণী ভেদাভেদ বাদ দিয়ে সবার উপর মানুষ সত্য, এই সত্যটাকে আকঁড়ে ধরার চেষ্টা করি।

যাইহোক, বেশ কিছু দিন পূর্বে আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা @rme দাদার বর্ণভেদ নামক দারুণ একটা আর্টিকেলে নিজের কিছু অনুভূতি ভাগ করে নিয়েছিলাম কবিতার মাধ্যমে, আজকের লেখার সাথে সেই কবিতাটি আপনাদের সম্মুখে পুনরায় উপস্থাপ করলাম। আসলে অনেক কিছুই খুব সহজেই কবিতার মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়, অনেক ভাবকেই ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা যায়, এটা আমি এখন বেশ বুঝতে পারছি। তাই মাঝে মাঝে নিজের আবেগ ও ভাবটিকে কবিতার মাধ্যমে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি।

mind-ged4febff1_1280.png


আমি মানুষ হিসেবে বাঁচতে চাই
আমি মনুষ্যত্বের মাঝে থাকতে চাই
ধর্ম-বর্ণ- শ্রেণীর ভেদাভেদ ছিন্ন করে
আমি মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে চাই।

আমি ভালোবাসার কাছে হার মানতে চাই
আমি বিবেকের মশালকে প্রজ্বলিত করতে চাই
মানবতা-সহমর্মিতায় মানুষ হিসেবে
শির উন্নত করে বাঁচতে চাই।

ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণী ভেদাভেদ
মানুষের মাঝে বাড়ায় দূরত্ব,
ভালোবাসা-সহমর্মিতা পরস্পরের তরে
সকলের উপরে মানুষ চিরন্তন সত্য।

ভালোবাসার বন্ধনে আবেগ থাকুক
হৃদয়ের বন্ধনে থাকুক সুখের পরশ
সীমানা হোক সকলের তরে অনাবৃত
পারস্পরিক বৈষম্য হোক অবারিত।

হৃদয়ের তরে হৃদয়ের উষ্ণতা
মুক্ত হোক মনের সকল মলিনতা,
দূর হোক বৈষম্যের যত পার্থক্য
ভালোবাসায় ফিরে আসুক সাম্য।


Image taken from Pixabay 1 and 2

ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah

break .png

Leader Banner-Final.png

break .png

আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

break .png

Banner.png

Sort:  
 2 years ago 

প্রকৃত পক্ষে কি আমাদের উন্নতি ঘটছে? বিবেক বুদ্ধি কিংবা মানসিকতায় আমরা কি পরিবর্তন হতে পারছি?

ভাইয়া আপনার লেখাগুলো পড়ে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো আবার নিজের প্রতি ঘৃণাও হল। কারণ আমরাই সেই জাতি যারা নিজের মনুষ্যত্বকে হারিয়ে ফেলেছি। সময়ের সাথে সাথে সবকিছু পরিবর্তন হলেও আমরা নিজের মানসিকতার পরিবর্তন করতে পারিনি। সবকিছু উন্নতি হয়েছে তবে মানসিকতার উন্নতি হয়নি। তাই আমাদের চারপাশের মানুষগুলোকে আমরা এখনো মানুষের চোখে দেখি না। তাদের মাঝে ভেদাভেদ তৈরি করেছি। আমাদের বাসায় যারা কাজ করে তারাও যে মানুষ তারাও যে আমাদের সাথে উৎসবে শামিল হওয়ার অধিকার রাখে সেটা আমরা মাঝে মাঝে ভুলে যাই। আপনার লিখা কবিতার লাইনগুলো পড়ে বারবার নিজের মনের মধ্যে আলাদা এক রকমের অনুভুতি হচ্ছিল। আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি অনেক সুন্দর ভাবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য এবং সকলের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য। সেই সাথে দাদার লেখা "বর্ণভেদ" নামক আর্টিকেলের উপর অনেক সুন্দর একটি কবিতা লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। ভাইয়া আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। ❤️❤️

 2 years ago 

আসলেই ভাই পরিবর্তন আসছে সব কিছুতে কিন্তু আমাদের বিবেক, মানবতা, মনুষ্যত্ব সেখানে কেন জানি পরিবর্তন আসছে না। মাঝে মাঝে মনে হয় মানুষগুলো আজ সবচেয়ে নিকৃষ্ট প্রাণীর কাতারে চলে যাচ্ছে, কারন মানুষ মানুষর রক্তচুশে খাওয়ার প্রতিযোগিতা হচ্ছে চারদিকে।

 2 years ago 

সমাজের দিকে যে লাইন গুলো ছুঁড়ে দিয়েছেন কবিতার লাইনের মাধ্যমে ।এক কথায় দারুন প্রত্যেকটা লাইন। আমার দুষ্টু মিষ্টি দাদা এভাবেই লিখতে থাকুক। ভালো থাকুন দাদা।

 2 years ago 

আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া আমরা আমাদের নিজেদের বিবেককে সামনে দাঁড়াতে ভয় পাই নিজেদের আর তোকে চিনতে চাই না। আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন যতদিন না হচ্ছে ততদিন আমরা জাতিগতভাবে হোক বা আমার ব্যক্তিগত ভাবে হোক কখনো উন্নতি করতে পারব না। আপনার আবোল তাবোল গল্পটি পড়ে খুব ভালো লাগলো সত্যিই সামনে আমাদের সবথেকে বড় উৎসব কিন্তু এই উৎসবে আনন্দে আত্মহারা হয়ে থাকে কেউ বা সে আনন্দ শুধু চেয়ে চেয়ে দেখে। আমাদের সমাজে এখনো যে পরিমাণ বৈষম্য রয়ে গেছে তা কখনোই কাম্য না অন্তত যাদের ন্যূনতম মনুষ্য আছে তারা তাদের কথা ভাববে। অথচ আমাদের এই উৎসবের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে ধনী-গরিব সবাই এক কাতারে আশা। আফসোসের বিষয় হল উৎসব থেকে পালন করা হয় কিন্তু এর মহত্ত্ব পালন করা হয় না।

একটা কথা বলি ভাইয়া গতকাল আমার এক বন্ধু পোস্ট করেছে সে টিউশন করায় , স্টুডেন্টের মা এসে বলতেছে স্যার আপনাকে এই মাসের টাকাটা দিতে পারলাম না কারণ এই মাসে আমাদের প্রায় দুই লাখ টাকার মতো ঈদের খরচ হয়ে গেছে আপনি কিছু মনে করেন না সামনে মাসে দিবে। আপনি জাস্ট একবার ভাবেন বিষয়টা।

এই হচ্ছে আমাদের সমাজের অবস্থা। আমার কখনোই মানবতার কথা ভাবি না গরিব অসহায় দুঃখের কথা ভাবি না আমরা সবাই সবসময় আত্মচিন্তা আত্মস্বার্থ নিয়ে মগ্ন থাকি । কোথায় আমার লাভ হবে কোথায় আমার সাধ্য আছে আমরা শুধু সেখানেই ধর্ণা ধরি । কিন্তু আমরা কখনই বুঝতে চাইনা আত্মতৃপ্তি আত্ম প্রশান্তি কখনো টাকা পয়সা দিয়ে কেনা যায় না যে আপনি একজন গরিবের 10 টাকা দিয়ে পাবেন। আসলে ভাইয়া এগুলো কখনো সমাজ বা সরকার শিক্ষা দিতে পারেনা যদি মন থেকে আত্মোপলব্ধি না আসে তার মনুষ্যত্ব জাগ্রত না হয়। বৈষম্য নিয়ে আপনার কবিতাটি পড়ে খুব ভালো লাগলো সত্যি আমরা মানুষ হিসেবে বাঁচতে চাই কোন ভেদাভেদ দেখতে চাই না।

 2 years ago 

একটা কথা বলি ভাইয়া গতকাল আমার এক বন্ধু পোস্ট করেছে সে টিউশন করায় , স্টুডেন্টের মা এসে বলতেছে স্যার আপনাকে এই মাসের টাকাটা দিতে পারলাম না কারণ এই মাসে আমাদের প্রায় দুই লাখ টাকার মতো ঈদের খরচ হয়ে গেছে আপনি কিছু মনে করেন না সামনে মাসে দিবে। আপনি জাস্ট একবার ভাবেন বিষয়টা।

এই হলো নির্মমতা, নিষ্ঠুর বাস্তবতা! বিবেক বলতে কিছুই নেই, মানবিকতার চরম বিপর্যয় এখানে। কি বলবো সত্যি আমি নির্বাক, ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। মানুষ দিন দিন কতটা নিচে নামছে, হায়রে মানুষ!

 2 years ago 

আসলেই আমরা কয়জনই বা চিন্তা করি, যারা আমাদের জন্য সারাদিন খেটে মরে,ঈদ তো দূরের কথা,রোজার সময় রোজা রেখে কি ইফতার করছে,তার খবরই নেই না।।অনেক কথা লিখার ছিলো।যাই হোক কবিতাটা ভালো ছিলো।

ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণী ভেদাভেদ
মানুষের মাঝে বাড়ায় দূরত্ব,
ভালোবাসা-সহমর্মিতা পরস্পরের তরে
সকলের উপরে মানুষ চিরন্তন সত্য।

ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে্

 2 years ago 

কেউ করি নাই ভাই, সত্যি মুখে মুখে সবাই বড় কথা বলি কিন্তু বাস্তবতা সত্যি ভিন্ন কিছু।

 2 years ago 

সত্যের আয়নার সামনে ভালো মানুষ কখনোই দাঁড়াতে ভয় পায় না। কিন্তু অসৎ মানুষ সবসময় সত্যের আয়নাযর সামনে দাঁড়াতে ভয় পায়।

আপনার গল্পের নিচের লাইন গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।

আমি ভালোবাসার কাছে হার মানতে চাই
আমি বিবেকের মশালকে প্রজ্বলিত করতে চাই
মানবতা-সহমর্মিতায় মানুষ হিসেবে
শির উন্নত করে বাঁচতে চাই।

 2 years ago 

কিন্তু আমাদের সমাজে কয়জন মানুষ আছে সত্যের উপরে, এটা কিন্তু প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে ভাই।

 2 years ago 

কথাগুলো একদম যথার্থ বলেছেন ভাইয়া, আমাদের মানসিকতায় সমস্যা রয়েছে। আমরা শুধু নিজেদের কথা চিন্তা করতেই ব্যস্ত, আমাদের আত্মীয়স্বজন এবং আশেপাশের মানুষের কথা চিন্তা করার সময় নাই। কিছু কিছু মানুষের অবস্থা দেখলে সত্যিই খুবই খারাপ লাগে। আমরা নিজেকে ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণী ভেদাভেদ এর মাঝে হারিয়ে ফেলি। কিন্তু আসলে আমাদের এগুলো থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। আর আপনার কবিতাটির মাজের কিছু কথা একদম যথার্থ ছিল। এই কথাগুলো এখন কয়জন ভাবে বলেন।

 2 years ago 

পরিবর্তন দরকার আমাদের মানসিকতার, মানুষ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার, তবে হয়তো মনুষ্যত্বের বিজয় আসবে।

 2 years ago 

আসলে মানুষের যতই পরিবর্তন হোক না কেন বিবেক-বুদ্ধি মন মানসিকতা সেই ছোট হয়ে থেকে যায়। এখনকার সময় জোর যার মুল্লুক তার। আসলে সত্যের সামনে দাঁড়াতে আমরা ঠিকই ভয় পায়। সবসময় মিথ্যা আড়াল খুঁজে বেড়ায়।সত্যি কথা বলতে ভাইয়া এমনও দেখা যায় মানুষজন ভালো খাওয়া-দাওয়া করে কিন্তু বাড়ির কাজের লোকের জন্য নিম্নমানের খাবার গুলো রেখে দেয় সকালে পান্তা ভাত থান্ডা ভাত কিন্তু কেন 🥺আমাদের মন-মানসিকতা আস্তে আস্তে এতো নিচে নেমে যাচ্ছে । আমরা দিনে দিনে উন্নতি করছি কিন্তু মনুষত্বের কোন উন্নতি ঘটাতে পারছি না। এটাই যে মানুষ যখন একটু ভালো অবস্থানে চলে যায় তখন আবার নিচু লোকদের মানুষ বলে গণ্য করে না। আপনি ঠিকই বলেছেন ধর্ম বর্ণ এসব দেখাতে ভেদাভেদ না করে মানুষ হিসাবে আমরা সকলেই মানুষ এবং আমাদের একে অপরের প্রতি ভালোবাসা বন্ধন গড়ে তুলতে হবে।

 2 years ago 

কারন হলো আমাদের পুরো বিবেকটা আর মিথ্যার চাদড়ে ঢাকা, তাই আমরা মুখোশের বাহিরে আসতে ভয় পাই। তবুও প্রত্যাশা করি মানবতার বিজয় হোক।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Please check my new project, STEEM.NFT. Thank you!
default.jpg

 2 years ago 

ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণী ভেদাভেদ
মানুষের মাঝে বাড়ায় দূরত্ব,
ভালোবাসা-সহমর্মিতা পরস্পরের তরে
সকলের উপরে মানুষ চিরন্তন সত্য।

ভাই আজকে আপনি পোষ্ট এর মাধ্যমে অনেক কিছু শিক্ষানীয় বিষয় আলোচনা করেছেন। আসলে আমাদের সমাজ ব্যবস্থার মানুষের চিন্তাধারা কতটা খারাপ সেটা ভাবা যায়না। মানুষ ধর্ম বর্ণ উপরে বেশি প্রাধান্য দেয়। গরিব মানুষদের মানুষ বলে মনে হয় না। আসলে কিছুদিন আগে আমাদের বড় দাদার পোস্টটি পড়ে কত ভালো লাগলো। ধর্ম-বর্ণ সকলের মধ্যে ভেদাভেদ নেই। কত সুন্দর চিন্তাধারা।সকলকে সমান চোখে দেখেছে।আসলে এরকম মানুষ সমাজের জন্য মঙ্গলকর। আপনার কবিতাটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আসলে সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই। মানুষ এর মূল্য দিতে হবে। ধর্ম-বর্ণের উপরে কখনোই বিচার করা ঠিক না।

 2 years ago 

ভাইয়া আজকে আপনার লেখাটি আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। কারণ কিছু কিছু লেখা পড়ে মনে হয় নিজেকে শুধরানো উচিত কিংবা হয়তো আমি এই লেখার সাথে যাচ্ছি কিংবা আমার মধ্যে খারাপ কাজটা রয়েছে। কিন্তু আজকের লিখাটি পড়ে সত্যিই ভাল লাগলো এবং কোন খারাপ লাগা কাজ করেনি। কারণ ইনশাল্লাহ আপনি আজকে যেই কথা গুলো উল্লেখ করেছেন পোস্টের উপর্র দিকে। সে প্রশ্নগুলোর প্রত্যেকটি আমরা ভীষণ ভালো ভাবে মেনে চলি এবং আমাদের যেই হেল্পিং হ্যান্ড রয়েছে তার জন্য নয় শুধু। তার পুরো পরিবারের জন্যই আমরা সব সময় শপিং করি।সব কেনার চেষ্টা করি এবং তাদেরকে সময়মতো তা পাঠানোর ব্যবস্থা করি। কারণ আমরা মনে করি আমাদের যেমন উৎসব রয়েছে তাদের ও তেমন উৎসব রয়েছে।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 56477.82
ETH 2390.38
USDT 1.00
SBD 2.33