আবোল তাবোল জীবনের গল্প [ প্রাকৃতিক চিকিৎসা ]
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, নাকের কল বন্ধ না হলেও এখন একটু ভালো আছি আগের তুলনায়। তবে সত্যি বলতে এখন পর্যন্ত এলোপ্যাথিক ঔষধ মানে আপনারা যাকে কার্যকর হিসেবে বিবেচনা করেন সেটা হতে দূরে আছি। অবশ্য এর জন্য বেশ পরিমানে প্যানপ্যানানি হজম করতে হয়েছে আমাকে, কারন ঐ চা বানাতে তার বেশ কষ্ট হয় হা হা হা। এই একটা সমস্যা এখন প্রতিটি ঘরে ঘরে, একটু পরিশ্রম করতে চায় না, বরং সব কিছুই শর্টকাটে করতে চায়, সময় বাঁচানোর দোহায় দিয়ে আমাদের প্যাচে ফেলে দেয়। তবে আমিও কম কিসে, প্যানপ্যানাতিতে পর্যুদস্ত হওয়ার পাবলিক না, যত খুশি করুক হা হা হা।
আসলে আমি চা খুব একটা খাই না, এটা আমার সেই ছোটবেলা হতেই অভ্যেস যতটা সম্ভব গরম জাতীয় জিনিষ এরিয়ে চলি। খাবারও খুব একটা গরম খাই না, ঠান্ডা হওয়ার পর খাওয়ার চেষ্টা করি। তবে ঠাণ্ডা লাগলে আদা চা খাওয়ার চেষ্টা করি বেশ পরিমাণে। তবে শুধু আদা থাকে না তাতে তার সাথে বেশ পরিমানে থাকে তুলসি পাতা আর তালমিছরি। তবে মাঝে মাঝে বাসক পাতার রস চলে বেশ পরিমানে। আমার শাশুড়ি আবার এই বাসক পাতার সিরাপ বানাতে পারে দারুণভাবে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন আমার জন্য সেটা আরো ভালো কিছু হয়েছে কিন্তু সমস্যা হয়েছে আপনাদের ভাবির জন্য হা হা হা। চরম ফাঁকিবাজ যাকে বলে হি হি হি।
তো ঠাণ্ডা লাগার পর হতে সকাল বিকেল নিয়ম করে দুই মগ এই বিশেষ মসলা চা চলে দারুণ ভাবে। অবশ্য তার সাথে খালি মুড়িও খাওয়া হয়। এখানে একটা কথা বলে রাখি, খালি মুড়ি কিন্তু আমাদের গলা ব্যথা দূর করার ক্ষেত্রে দারুণ কার্যকর। গলা ব্যথা হলে এই টুটকাটা আপনারা চেক করে দেখতে পারেন। আমি বেশ অভ্যস্ত এই ক্ষেত্রে। তাহলেই বুঝতে পারছেন রং চা এর সাথে খালি মুড়ি বেশ খাওয়া হয় এই সময়টায়। আর এই কারনে আপনাদের ভাবির কত কথা যে আমার সহ্য করতে হয় সেটা হয়তো বললেও বিশ্বাস করবেন না, কারন আপনারা সবাই চিরাচরিতভাবে ভাবির পক্ষের লোক সেটা আমি বহুবারই প্রমান পেয়েছি হি হি হি।
তবে আজকে আমার পোষ্টের মূল পয়েন্ট এগুলো না, জাস্ট একটু মজা করে বিষয়টিকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি আমি যাতে পোষ্টের লেখাগুলোর প্রতি আপনাদের আকর্ষণটা ধরে রাখতে পারি। অবশ্য আমিও একটু মজা করে পোষ্ট উপস্থাপন করি বরাবরের মতো। তবে এটা কিন্তু সত্য যে, আমরা অতিমাত্রা এলোপ্যাথিক ঔষধের উপর নির্ভরশীল হয়ে গেছি, সামান্য হতে সামান্য কিছু হলেই আমরা ডাক্তারের কাছে দৌড়ে যাই, ভালো মন্দ বিচার বিবেচনা না করেই আমরা আশেপাশের দোকানগুলো হতে কাংখিত ডাক্তারের পরামর্শ না দিয়ে অনেক মারাত্মক জাতীয় ঔষধ খেয়ে ফেলি, যা পরবর্তীতে আমাদের জন্য আরো বেশী ক্ষতির কারণ হয়ে যাচ্ছে। আমি কিন্তু এলোপ্যাথিক ঔষধ খেতে একদমই নিষেধ করছি না বরং আমরা এলোপ্যাথিক ঔষধ খাওয়ার ব্যাপারে যে প্রাকটিস টা করছি সেটা ভুল।
প্রাকৃতিক অনেক উপাদান আছে যেগুলোর ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারি এবং খুব সহজেই সমস্যা হতে বের হয়ে আসতে পারি। কিছু সমস্যা আছে যেগুলোর জন্য আমাদের মাঝে মাঝে একটু অপেক্ষা করতে হয় তাৎক্ষনিকভাবে ঔষধ সেবন আমাদের জন্য ক্ষতিকর কিছু হয়ে যেতে পারে। দেখুন আমি কখনোই ঔষধ থেকে দূরে থাকতে বলছি না বরং সঠিক নিয়মে কাংখিতভাবে প্রতিষেধক গ্রহণ করার বিষয়টিকে প্রাধান্য দেয়ার কথা বলছি। যাইহোক, আমি ঠাণ্ডায় আক্রান্ত হলে কি করি এবং সেখান হতে কিভাবে সুস্থতা নিশ্চিত করি সেটা হয়তো আজকে সবাই ক্লিয়ার হয়ে গেছেন। প্রকৃতি কখনোই আমাদের ক্ষতি করে না বরং নানাভাবে আমাদের অনেক ক্ষতিকর কিছু হতে দূরে রাখে।
Image taken from Pixabay 1
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
গলা ব্যথায় সাদা মুড়ি
ভীষণ কার্যকরী,
বলে দিলেন হাফিজ ভাই
একটু তড়িঘড়ি।
বাসক পাতার সিরাপ নাকি
শাশুড়ি বানান ভালো,
তৈরি করতে বউয়ের মুখ
হয় যে ভীষণ কালো।
আদা দিয়ে তুলসী পাতার
লাল রংয়ের চা,
নাকের কল বন্ধ করতেই
হাফিজ ভাইয়ের হা।
বলছি আমি সেলিনা সাথি
মন দিয়ে শোনো,
পঞ্চ তুলসী সেবন করলে
স্বস্তি পাবে জেনো।
💞
হা হা হা,
আপনি পারেনও আপু, লাইনগুলো পড়ে বেশ হাসলাম আজকে, বেশ দারুণ লিখেছেন সত্যি। আপনার তুলনা শুধুই আপনি কবিতার ক্ষেত্রে। অনেক ধন্যবাদ
আপনাকে হাসাতে পেরে আমি যেমন অভিভূত তেমনি আপ্লুত। খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য💞
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্রাকৃতিক উপাদান কিন্তু এসব ক্ষেত্রে খুবই উপকারী।আমার কাশি হলে সবসময় লবণ দিয়ে আদা খাই,আর আদা দিয়ে রং চা। আর নাহলে সরিষার তেলে রসুন দিয়ে গরম করে সেটা পিঠে মাখলে আরাম লাগে।প্রাকৃতিক বা ঘরোয়া টোটকা গুলো আসলেই কিন্তু আমাদের জন্য খুবই ভালো। তবে এটা ঠিক ভাইয়া , কষ্ট কমাতে এখনই সবাই এক দৌড়ে ফার্মেসিতে গিয়ে ওষুধ নিয়ে খেয়ে ফেলে। আর আপনি যে ভাবির কথা শুনছেন না এটা তো বিরাট বিষয়। ভাবী কবে আবার আপনার খাবারই বন্ধ করে দেয় সেটাই ভাবছি।
একটা কথা না বললেই নয়,আপনার পোস্টে মজা আছে বিধায় চোখের সামনে এলেই কিন্তু পড়তে চলে আসি। বরাবরের মতই মজা পাই আপনার পোস্ট পড়ে।
একদমই, আমি সেই ছোট বেলা হতেই তুলসি পাতা এবং বাসক পাতার ভক্ত। অনেক ধন্যবাদ আপু
ভাই আপনার সাথে এদিক দিয়ে আমার অনেক মিল আছে। আমিও ছোটবেলা থেকেই গরম জিনিস খেতে পছন্দ করি না। বেশিরভাগ জিনিস ঠান্ডা করে খেতেই পছন্দ করি। চা তো শীতকালে বেশি খাওয়া হয় এবং সর্দি ঠান্ডা লাগলে। যাইহোক আমি সহজে এলোপ্যাথিক ঔষধ খাই না। ঠান্ডা, জ্বর এবং মাথা ব্যথা যা-ই হোক না কেনো,প্রাকৃতিক জিনিস খেয়ে দূর করার চেষ্টা করি। তাই সবসময় বাসায় মধু এবং কালোজিরা রেখে দেই। তাছাড়া সর্দি বেশি লাগলে বাসক পাতার সিরাপ খেয়ে থাকি। আমার শ্বাশুড়িও বাসক পাতার সিরাপ খুব ভালো বানায়। যাইহোক আগের দিনে কিন্তু মানুষজন প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করার মাধ্যমে অসুখ বিসুখ দূর করতো। কিন্তু আমরা এলোপ্যাথিক ঔষধের উপর প্রচুর পরিমাণে নির্ভরশীল হয়ে গিয়েছি। যাইহোক এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
হুম, একই অঞ্চলে বেড়ে উঠেছি বলে কথা মিল না থেকে উপায় আছে হি হি হি। আপনাকেও ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাই সেজন্যই মিল আছে 😂। বেশ ভালো লাগলো আপনার কাছ থেকে এমন মজার ফিডব্যাক পেয়ে।
আমি কিন্তু একটু ভিন্ন এই ব্যাপারে।আমি চা কিংবা আইসক্রিম খুব তাড়াতাড়ি খেয়ে ফেলি।চা গরম না হলে আমার আর খাওয়া হয়না।চা একদমই ঠান্ডা খেতে পারিনা।সর্দি-কাশিতে মাসালা চা ভীষণ উপকারী।আমি তো করোনার সময় সব মসলা গুলো একসাথে ব্লেন্ড করে রেখে দিয়েছিলাম।রঙ চা করে চায়ের কাপে হাফ চামচ করে মসলা দিয়ে চা দিয়ে সবাইকে খাওয়াতাম।একটু কষ্ট করলে যদি ভালো থাকা যায়।তবে,কষ্টই ভালো। আমি কোন ঔষধ ই খাই না। সব সময় প্রাকৃতিক উপায়ে চেষ্টা করি সুস্থ হতে।আর আল্লাহর রহমতে আল্লাহ ভীষণ সুস্থই রেখেছেন।দোয়া করি আপনি সুস্থ হয়ে যাবেন।আপনার মঙ্গল কামনার এখানেই ইতি টানছি।
হুম, খুব বেশী দেরী তাহলে আপনার মোটা হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে হা হা হা। হুম করোনার সময় সত্যি প্রচুর খেতাম এই মসলা চা। ধন্যবাদ