হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি যথারীতি ভালো আছেন এবং জীবনের সময়গুলোকে উপভোগ্য রাখার চেষ্টা করছেন। আসলে উপভোগ্য রাকার সুন্দর একটা সুযোগ থাকে পুরো শীতকালজুড়ে। তবে আপনাদের কথা ঠিক ততোটা জোর দিয়ে হয়তো বলতে পারবো না কিন্তু আমরা কথা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, শীতকাল মানেই আমার জন্য উপভোগ্য সময়, যত দিন শীত থাকে ততোদিন অন্তত আমার ভালো থাকার কিংবা চিল চিল থাকার একটু সুযোগ থাকে। সত্যি বলতে আমি যেমন খুব বেশী গরম পছন্দ করি না, ঠিক তেমনি খুব বেশী বৃষ্টিপাতও পছন্দ করি না। কিন্তু শীত বা কুয়াশা দারুণ পছন্দ করি। আহ শীতের সকাল কিংবা বিকেলের পরিবেশ হৃদয় ও মনকে সতেজ রাখার, আবেগ ও অনুভূতিকে চঞ্চল রাখার দারুণ একটা আবহ তৈরী হয়ে থাকে।
আর শীতের মিষ্টি রোদ কিংবা রবি শষ্যের স্বাদের কথা নতুন করে আর কি বলবো, শীতের কুয়াশার কারনে রবি শষ্যের স্বাদটা মারাত্মক হয়ে থাকে। ছোটবেলায় সবচেয়ে বেশী উপভোগ করতাম যে বিষয়টি সেটা হলো ভোর সকালে খালি পায়ে কুয়াশা ভেজা গ্রামের মাটির সড়কের উপর দিয়ে হাঁটা, দারুণ একটা অনুভূতি কাজ করতো তখন। এখন অবশ্য বিশেষজ্ঞরা স্বীকার করছেন শীতের কুয়াশার উপর খালি পায়ে হাঁটলে নানা ধরনের মানসিক চাপ হতে মুক্ত থাকা যায়। সত্যি আগের দিনের মানুষগুলো আইডিয়া কিংবা অভিজ্ঞতা আর বর্তমান যুগের শিক্ষিত বিশেষজ্ঞদের অভিমত নিদারুণভাবে মিলে যাচ্ছে। শীতের সময় গ্রামের বাড়ীতে গেলেই আমার নানা বলতেন সকালে উঠেই যেন একটা চক্কর দিয়ে আসি বাহির হতে খালি পায়ে, আর বলতো শীতের কুয়াশা খালি পায়ে মাড়ানোর মাঝে অভূতপূর্ব উপকার নিহিত রয়েছে।
সত্যি বলছি তখন অতোটা গুরুত্ব না দিলেও, নানাকে খুশি রাখার জন্য ঠিক খালি পায়ে চক্কর দিয়ে আসতাম। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি, বেশ ভালো ভাবেই সেটা অনুভব করছি, তাদের কথায় কতটা জোর ছিলো এবং তা কতটা প্রয়োজন ছিলো আমাদের জন্য। এখন আবশ্য আমরা ঠিকই সেটা পালন করছি তবে বিশেষজ্ঞদের কথা শুনে, পার্থক্যটা এখানেই। যাইহোক বিশেষজ্ঞরা বলুক আর নাই বলুক প্রকৃতি আমাদের জন্য সব সময় উপকারী, তাই প্রকৃতির বিষয়গুলোতে যতবেশী প্রাধান্য দিবো আমরা ততোবেশী উপকার নিতে সক্ষম হবো। চলুন আজকে স্বাদের দারুণ একটা রেসিপি দেখি। অনেকেই ইতিমধ্যে আমড়ার আচার শেয়ার করেছেন, বোধহয় খালি আমিই বাকি ছিলাম। তাহলে সেটা আজ পূর্ণ করে ফেলি হি হি হি।
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- আমড়া
- হলুদ সরিষা
- পাঁচ ফোড়ন
- জোয়ান
- ধনিয়া
- জিরা
- মৌরি
- শুকনা মরিচ
- দারুচিনি
- তেজপাতা
- চিনি
- লবন
- সিরকা
- সরিষার তেল।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে আমড়াগুলোকে ছিলে পরিস্কার করে নিয়েছি তারপর একটা কড়াইতে নিয়ে পানি, লবন ও গুড়া হলুদ দিয়ে সিদ্ধ করার জন্য ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি।
তারপর একটা কড়াই গরম করে শুকনা মরিচ টেলে নিয়েছি এবং তার সাথে সকল মসলাগুলো দিয়ে হালকা ভেজে নিয়েছি।
তারপর মসলাগুলোকে ব্লেন্ডার মেশিনের মাধ্যমে ভালোভাবে গুড়া করে নিয়েছি, আপনারা চাইলে পাটায় বেটেও নিতে পারেন।
তারপর কড়াইতে তেল দিয়ে তেজপাতা, দারুচিনি এবং পাঁচফোড়নগুলোকে ভেজে নিয়েছি।
তারপর সিদ্ধ করে রাখা আমড়াগুলো দিয়ে মিক্স করে নিয়েছি।
এরপর পরিমান মতো চিনি, লবন এবং সিরকা দিয়েছি তারপর কিছু সময়ের জন্য পুনরায় ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি।
তারপর ব্লেন্ডার করে রাখা মসলাগুলোর গুড়া উপর দিয়ে দিয়ে মাখিয়ে নিয়েছি এবং কিছু সময়ে এভাবে রান্না করে নামিয়ে নিয়েছি।
ব্যস খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেলো আমাদের স্বাদের আমড়ার আচার, সত্যি খেতে বেশ স্বাদের হয়েছিলো এবং কিছুটা এখনো রয়েছে ফ্রিজে। বুঝেন না ক্যা, স্বাদের জিনিষ রেখে রেখে খেতে হয়, হি হি হি।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
সত্যি ভাইয়া আমরা অনেক সময় বড়দের কথার গুরুত্ব দেই না। হয়তোবা বকা খাওয়ার ভয়ে তাদের উপদেশগুলো মেনে চলার চেষ্টা করি। কিন্তু সকালবেলায় খালি পায়ে শিশির ভেজা ঘাসের উপর হাঁটলে সত্যি অনেক উপকার হয়। ছোটবেলায় দাদুর সাথে মাঝে মাঝেই সকাল বেলায় হাঁটতে যেতাম। কিন্তু এখন তো অলস হয়ে গেছি। আমি ঘুম থেকে উঠতে উঠতে মনে হয় রোদ সব শিশির গুলো বিলীন করে দেয় 🤪🤪। যাইহোক আচার দেখলেই তো খেতে ইচ্ছে করে। আর আপনি যেহেতু ফ্রিজে আচার রেখেই দিয়েছেন তাহলে বুঝতেই পারছি সেটা আমাদের জন্যই রেখেছেন। আমরাও সময় করে চলে যাব। কষ্ট করে আমাদেরকে দাওয়াত দিতে হবে না। আমরা নিজ দায়িত্বে চলে যাব ভাইয়া।😅😅
শৈশবে চলে গেছিলাম। আব্বা খুব সকাল সকাল ঘুম থেকে তুলে দিতো, বাড়ির পাশেই রাস্তা। খালি পায়ে কতক্ষণ হেটেঁ আবার চলে আসা। আবার মাঝে মাঝে ধানের উপরে জমে থাকা কুয়াশা দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলা, এতেও যেন ফ্রেশনেস কাজ করতো। এখন আর এসব করা হয়না! ঘুম থেকে এতো সকাল সকাল উঠতেই যে মন চায়না! যাক, আপনার আমড়ার রেসিপি দেখে লোভ সামলানো মুশকিল! এই সময়টা হচ্ছে আচার খাওয়ার উপযুক্ত সময়!
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া ঠিকই বলেছেন বর্ষা কিংবা গরম কোন টাতেই তেমন ভালো কিছু উপভোগ করা যায় না। যতটা শীতে উপভোগ করা যায়। রবিশস্য বলেন কিংবা খালি পায়ে হাঁটা বলেন স্বর্গীয় সুখ পাওয়া যায়। ছোটবেলা দেখতাম বাবা বলতো বেশিক্ষণ পায়ে জুতা পড়ে থাকা ভালো না, খালি পায়েও হাঁটতে হয়। আপনার আজকের আচারের রেসিপিটা বেশ দারুন লাগছে। টক মিষ্টি ঝাল, আচার খেতে বরাবরি খুব ভালো লাগে। আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটি আমড়ার আচার শেয়ার করার জন্য শুভকামনা রইল।
জ্বী এটা কিন্তু সত্য, বেশী ক্ষন জুতা পায়ে থাকলে মাটির স্পর্শ পাওয়া যায় না, মাটির শরীর মাটির সাথে সংযোগ না থাকলে সুস্থ্য থাকবো কিভাবে? ধন্যবাদ
শীতের সময় কখন বিকাল আর কখন যে সকাল সেটা বোঝাই কষ্ট। আর যদি সারাদিনে একটু কুয়াশার প্রভাব থাকে তাহলে তো আর রোদের দেখাই পাওয়া যায় না। মনে হয় সারাদিনটাই যেন সকাল। অনেকেই তো শেয়ার করেছে আর আপনিও শেয়ার করলেন কিন্তু কেউই ডেকে নিয়ে খেতে দিল না 🤦
আপনিও শেয়ার করলেন আর দেখে আমারও জিব্বায় জল চলে আসলো কিন্তু খেতে আর পারলাম না জিহ্বার জলটুকু রুমাল দিয়ে মুছেই চুপ করে থাকলাম 😔
আচ্ছা ঠিক আছে আমি ডাকলাম আপনাকে, আগে সিউর হয়ে নিন কখন বিকাল তারপর চলে আসুন আমাদের বাড়ীতে হি হি হি।
আগেকার দিনের মানুষের মধ্যে এত জটিল রোগ ছিল না ভাইয়া।তারা খুব সাদামাটা জীবন যাপন করত এবং প্রকৃতিকে ঘিরে বসবাস করতে অভ্যস্ত ছিল।শীতকালের কথা কি বলবো আর আপনি তো সব বলে দিছেন আমার মনের কথা।শীতকাল আসলে একদম সকাল বেলায় কুয়াশার মধ্যে হেঁটে পা ভিজাই ফেলতাম সে কথা খুব মনে পড়ে।আচারটা দেখতে খুব লোভনীয় হয়েছে ভাইয়া খেতে ইচ্ছে করতেছে।
ভা্ই কত বছর যে খালি পায়ে শিশির মেশানো ঘাসের উপর দিয়ে হাটিনা তার হিসেবে আর এখন আমার কাছে নেই। তবে খুব মিস করি এই ব্যাপারটা। আপনার কথাগুলো পড়ে আবারো ইচ্ছাটা মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো। আর আচারের কথা কি আর বলবো এককথায় অসাধারন।
আমরা তো ছোটবেলায় শিশির ভেজা ঘাসের উপরে খালি পায়ে হাঁটার সৌভাগ্য অর্জন করেছিলাম। কিন্তু বর্তমানে আমাদের ছেলে-মেয়ে শিশির ভেজা ঘাসের উপরে হেঁটে বেড়ানো এক ধরনের স্বপ্ন মনে করবে। কেননা এখনকার সময় ঘাসের উপর শিশির জমে থাকা রাস্তা কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। যদিওবা গ্রামে গেলে একটু আকটু এখনো সেই রাস্তা খুঁজে পাওয়া যাবে।কিন্তু তাদের গ্রামে নিয়ে যাওয়ার সময় কোথায়। যাই হোক ভাইয়া, টক মিষ্টি আমড়ার আচারের কালারটা দারুন এসেছে।খেতে পারলে বেশ ভালো লাগতো। স্বাদের আমড়ার আচার তৈরির প্রতিটি ধাপ দেখিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সত্যিই ভাইয়া শীতের সকালে শিশির ভেজা ঘাসে হাঁটতে অনেক ভালো লাগে।আমড়া আচার কিন্তু অনেক মজা। আমি ও কিছু দিন আগে বানিয়েছিলাম। যাইহোক ভাইয়া আপনার আমড়ার আচার দেখে লোভ লেগে গেল। আপনার ওখান থেকে কিছু নিয়ে যদি খেতে পারতাম -হা হা হা।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুস্বাদু আচারের রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.