আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আমার কাজ করার অনুভূতি/১০% প্রিয় 💞 @shy-fox
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন ? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভাল আছেন । আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি ।
প্রিয় , আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম।
প্রথমে আপনাদের সকলকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আমার বাংলা ব্লগের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাই।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আমার কাজ করার অনুভূতি প্রকাশ করতে পেরে খুব ভালো লাগছে। প্রথমে প্রিয় সিয়াম ভাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই এই সুন্দর প্রতিযোগিতা আয়োজন করা জন্য। আমি শ্রদ্ধেয় দাদা @rme প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এবং তাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। তার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি তার সাথে সাথে তাদের পরিবারের বিশেষ করে শ্রদ্ধেয় ছোট দাদা, প্রিয় বৌদি, স্নেহের টিনটিন বাবু সহ সকল সদস্যদের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। সৃষ্টিকর্তার কাছে তাদের জন্য প্রার্থনা করছি তারা যেন সব সময় সুখে-শান্তিতে সমৃদ্ধির সাথে জীবন অতিবাহিত করতে পারে। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল এডমিন মডারেটরসহ সকলের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা রইলো।সবাই সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। যার যার অবস্থান থেকে সবাই যেন ভালো থাকে সেই প্রত্যাশা করছি।
আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। এইটি আমার প্রাণের কমিউনিটি। এই কমিউনিটি আমার রক্তের সাথে মিশে গেছে। একজন মানুষ যেমন রক্ত ছাড়া বাঁচতে পারে না ঠিক, তেমনি এই কমিউনিটি ছাড়া আমার পথ চলা অন্ধকার।
আজ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আমি শ্রদ্ধাভরে অত্যন্ত কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসার সঙ্গে স্মরণ করছি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার শ্রদ্ধেয়, @rme দাদাকে। যার চৌকস দক্ষতা, সাহসিকতা, দূরদর্শিতা, সহযোগিতামূলক মননশীলতা, সময় উপযোগী পরিকল্পনার মাধ্যমে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে এই পর্যায় পর্যন্ত এনেছেন। আমি আজ এই মাহেন্দ্রক্ষণ সময়ে শ্রদ্ধাভরে অত্যন্ত কৃতজ্ঞতা সঙ্গে স্মরণ করছি প্রিয় তনুজা দিদিকে যিনি শ্রদ্ধেয় দাদার পাশে থেকে দাদাকে সবসময় সহযোগিতা করে কমিউনিটির উন্নয়নে অংশীদারিত্ব করেছেন। আমি অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা সঙ্গে স্মরণ করছি শ্রদ্ধেয় ছোট দাদাকে যিনি কমিউনিটির মান উন্নয়নে সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণে শ্রদ্ধেয় দাদা কে সবসময় সহযোগিতা করছেন। আমি আরও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সকল প্রিয় এডমিন, মডারেটরদের কে যারা চৌকস কর্মদক্ষতা, আন্তরিকতা এবং সহমর্মিতার মাধ্যমে কমিউনিটির দাপ্তরিক কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। সকলের প্রতি আমার শ্রদ্ধা, সম্মান, ভালোবাসা বিরাজমান। আজ এই শুভ ক্ষণে আমি আরো আন্তরিকতায় স্মরণ করছি আমার প্রিয় সহযোদ্ধাদের যারা নিজের দক্ষতা, সৃজনশীল, প্রতিভার মাধ্যমে কমিউনিটির সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে। দীর্ঘ পথ চলায় সবাই আমাকে যেভাবে আন্তরিকতা, ভালোবাসা, সহযোগিতা এবং সহমর্মিতা দেখিয়েছে সকলের প্রতি আমি আবারো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি হচ্ছে আমার একটি ভালবাসার পরিবার। সকল ইউজার হচ্ছে পরিবারের সদস্য। সবাই আমরা এখানে মিলেমিশে আমাদের মনের আবেগ, অনুভূতি, ভালোবাসা, ভালোলাগা নিজের প্রিয় মাতৃভাষার মাধ্যমে প্রকাশ করি । গান, কবিতা, গল্প, ভ্রমণ কাহিনী, চিত্রাংকন, পেইন্টিং, রেসিপি ফটোগ্রাফি ইত্যাদি বিষয়গুলোর একে অন্যের মাঝে শেয়ার করে থাকি। আমরা এমন একটি পরিবার অবস্থান করছি যেখানে সকলে একে অন্যেকে সহযোগিতা এবং আন্তরিকতার মাধ্যমে নিজ নিজ কর্ম দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারছি। যিনি এই পরিবারকে গড়ে তুলেছেন,পরিবারের বটবৃক্ষ হিসেবে সবার মাথার উপরে ছায়া দিচ্ছেন তিনি আমাদের সবার শ্রদ্ধেয় @rme দাদা। যিনি পরিবারের সকল সদস্যের আপদে-বিপদে মুহূর্তের মধ্যে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন তিনি আমাদের শ্রদ্ধেয় দাদা। আসলে দাদার সহযোগিতায়, সহমর্মিতা, আন্তরিকতা দেখে সত্যিই আমি খুবই মুগ্ধ এবং বিস্মিত । দাদাকে কি বলে ধন্যবাদ দেবো হয়তো সে ভাষা আমার জানা নেই। শুধু এইটুকু বলা যেতে পারে হৃদয়ের সবটুকু জায়গা জুড়ে দাদার জন্য শ্রদ্ধা এবং সম্মান রয়েছে। পরিবারের সকল সদস্য একে অপরের মাঝের সম্পর্কে আরো সুদৃঢ় সুসংগঠিত মাধ্যমে সকালে খুব উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে এক বছর পদার্পণ করতে যাচ্ছে। পরিবারের মাঝে আমিও একজন সদস্য হতে পেরে খুব আনন্দিত। আজ দাদা যদি না থাকতো তাহলে এমন একটি পরিবার পেতাম না।
আজকে খুব সুন্দর ভাবে মনের অনুভূতিগুলো নিজের মাতৃভাষা বাংলাতে প্রকাশ করতে পেরে সত্যিই খুব ভালো লাগছে । আসলে শ্রদ্ধেয় দাদা যদি এই কমিউনিটি বাংলা ভাষাতে না খুলতেন তাহলে নিজের মনের ভাব এত সুন্দর ভাবে ভাবে উপস্থাপন করতে পারতাম না। শ্রদ্ধেয় প্রিয় দাদা বাংলা ভাষাকে ভালোবেসে আমাদেরকে বাংলাতে মনের ভাব প্রকাশের সুযোগ করে দিয়েছেন। এতে করে আমরা মায়ের ভাষাতে আমাদের শিক্ষা, সাহিত্য-সংস্কৃতি সুন্দরভাবে মতামতের সুযোগ পেয়েছি। মায়ের ভাষাতে অনুভূতিগুলো প্রকাশ করতে পারছি তা কি- যে আনন্দ এবং শান্তির বলে বোঝানো সম্ভব নয়। তাইতো দাদাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই বাংলা ভাষাতে এত সুন্দর কমিউনিটি আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আমার পথ চলা। ❣️💙:-
আজ থেকে প্রায় ৮ মাস পূর্বে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আমার পথ চলা শুরু হলো। গুটি গুটি পায়ে হেঁটে আজ এই পর্যন্ত এসে দাঁড়িয়েছি। আমি ১৯-১০- ২০২১ তারিখে প্রথম আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে পরিচিতিমূলক পোস্ট করি। প্রথম পোস্টে আমার লেখাগুলো খুবই অগোছালো ছিলো। পোস্ট করার সাথে সাথে প্রিয়, হাফিজ ভাই কমিউনিটির গাইডলাইন সম্পর্কে আমাকে কমেন্ট করেছেন। কমিউনিটির নিয়ম-কানুন সম্পর্কিত কমেন্ট দেখে আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। আমি এর আগে আরো অন্যান্য কমিউনিটিতে পরিচিতিমূলক পোস্ট করেছিলাম। কোন কমিউনিটি তাদের কমিউনিটির নিয়মকানুন সম্পর্কে তথ্য প্রদান করেনি। যদি পরিচিতি মূলক পোষ্টের লেখা সঠিক হয় । তাহলে তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আপনাকে কমিউনিটি সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হলো। আর যদি পোস্টে লেখা কোনভাবে ভুল হয় তাহলে বলা হয় যে আপনার পোস্টটি ভুল হয়েছে। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি প্রথম পোস্ট করার সাথে সাথে কমিউনিটির নিয়ম কানুন সম্পর্কে সকল তথ্য সরবরাহ করে থাকে। এতে করে একজন নতুন ইউজার কমিউনিটির সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারে। কমিউনিটিতে কি করা যাবে? কি করা যাবেনা? কিভাবে পোস্ট করতে হবে? এই প্রশ্নগুলোর সম্পর্কে তথ্য সমূহ প্রথমে দেওয়া হয়। এতে করে কমিউনিটিতে কাজ করার উৎসাহ এবং উদ্দীপনা অনেক গুণে বেড়ে যায় এবং সুন্দর ভাবে পোস্ট করতে পারে।
প্রথম অবস্থায় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি যেভাবে কমিউনিটি সম্পর্কে গাইড লাইনের তথ্য দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলো তা অত্যন্ত প্রশংসনীয় । সেখান থেকে কমিউনিটির প্রতি আমার আস্থা এবং ভালোবাসা সৃষ্টি হতে লাগলো ।
এবিবি স্কুলের সেই সোনালী দিনগুলো💙💜:-
আমি তিন থেকে চারটি পোস্ট করার পরে কমিউনিটির নতুন সিদ্ধান্ত আসলো যারা নিউ মেম্বার আছে তাদেরকে এবিবি স্কুলে মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয় শিখানো হবে। এই জন্য আবার নতুন করে পরিচিতিমূলক পোস্ট সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে। আমি আবার পরিচিতমূলক পোস্ট শেয়ার করি
এবিবি স্কুলের প্রথম ব্যাচের ছাত্র ছিলাম আমি। এবিবি স্কুলের কথা আসলে প্রথমে যাদের কথা খুব মনে পড়ে তারা হলো এবিবি স্কুলের সম্মানিত প্রফেসর এবং সহকারি প্রফেসর বিন্দু। যারা তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে আন্তরিক সহযোগিতায় খুব সুন্দর সুশৃংখল ভাবে প্রতিটি লেভেলে পাঠদান দিয়েছেন। আসলে প্রফেসর গণ যেভাবে একটি বিষয় বুঝার জন্য বার বার উপস্থাপন করেছেন তা সত্যিই অত্যান্ত অসাধারণ। কোন বিষয়ে তারা কখনো বিরক্ত বোধ করেননি। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে আমরা এবিবি স্কুল থেকে গ্রাজুয়েশন অর্জন করতে পেরেছি। তখন ভেরিফাইড মেম্বার ট্যাগ পেয়েছি তখন মনে বাধভাঙ্গা আনন্দে বইছে। আজ এই বর্ষপূর্তিতে এবিবি স্কুলের সকল সম্মানিত প্রফেসর এবং সহকারি প্রফেসরদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি আরো আন্তরিকতা সাথে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যিনি এই মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন শ্রদ্ধেয় @rme দাদা প্রতি। আমি বিশেষভাবে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি @alsarzilsiam , @shuvo35 , @engrsayful , @rex-sumon , @winkles, @hafizullah , @moh.arif , @rupok , @kingporos ভাইদেরকে তাদের চমৎকার পাঠদান, আন্তরিক সহযোগিতায়, উদ্দীপনা এবং প্রেরণার মাধ্যমে সফলভাবে এবিবি স্কুলে লেবেলসমূহ উত্তীর্ণ হতে পেরেছি। প্রিয় @engrsayful ভাইয়ের প্রতি অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো। তার টিউটরিয়াল গুলো পড়ে অনেক উপকৃত হয়েছি অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছি। তাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আসলে আমরা এত চমৎকার পাঠদানের মাধ্যমে এত জ্ঞান আহরণ করতে পারতাম না যদি শ্রদ্ধেয় দাদা এবিবি স্কুল খোলার উদ্যোগ গ্রহণ না করেন। এবিবি স্কুল এর মাধ্যমে অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে জানতে পারলাম বিশেষ করে পোস্ট যাবতীয় নিয়ম বলি, পোস্টে কিভাবে মার্ক ডাউন ব্যবহার করতে হয়, যাবতীয় 'কী' এর ব্যবহার এবং গুরুত্ব, কিউরেশন কিভাবে বন্টন হয়, ওয়ালেট সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয় ইত্যাদি। স্টিমিট প্লাটফর্মে অনেক কমিউনিটি আসলো সামনে অনেক কমিউনিটি আসবে। কোন কমিউনিটি তাদের সাধারণ ইউজারদের কথা চিন্তা করে এত মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করে নি বা, করবে না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পূর্ণ নিঃস্বার্থভাবে সাধারণ ইউজারদের কথা চিন্তা করে এবিবি স্কুল করার মাধ্যমে মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তাইতো তাদের ভালবাসার প্রতিদান দিতে তাদের সামনে মাথা নত করতে পিছপা হবো না।
পোস্ট করার অনুভূতি। 🖤💚
এটি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রথম ডাই পোস্ট ছিলো। আমি দুদিন ধরে খুব কষ্ট করে কাগজ দিয়ে ফুলের ওয়ালমেট তৈরি করেছি। প্রথমে আমি কমিউনিটি বিভিন্ন কাগজ দিয়ে তৈরি করা ডাই পোস্ট গুলো দেখেছি । আসলে আমি কখনো রঙ্গিন কাগজ দিয়ে এই ধরনের ওয়ালমেট তৈরি করেনি। আমি কখনো কল্পনা করতে পারিনি যে কাগজ দিয়ে এত সুন্দরভাবে ওয়ালমেট তৈরি করতে পারবো। সুন্দরভাবে পোস্টটি আমি কমিউনিটিতে উপস্থাপন করতে পেরে খুব ভালো লাগলো। আসলে পোস্ট করার অনুভূতি গুলো বলে বোঝানো সম্ভব নয়।
আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে চার পাঁচ টি পোস্ট করার পর প্রথম এই পোস্টে সাপোর্ট পেয়েছি। যখন আমি চার ডলারের সাপোর্ট পেয়েছি তখন আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। তখন আমাদের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিলো। আমরা তিন সদস্যের পরিবার। আমার বাবা- মা আর আমি। বাবা একটি দুর্ঘটনায় শিকার হয়ে কয় বছর যাবত অসুস্থ ।আম্মাও ২০২০ সাল থেকে খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েন। আম্মাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ করে চিকিৎসা করায়। তখন আমাদের ফ্যামিলি আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। তখন আমি আমার বাংলা ব্লগ থেকে যা কিছু আয় করতে করতাম তা দিয়ে কোনরকম পরিবারের খরচ চালাতাম। এবিবি স্কুল থেকে গ্রাজুয়েশন পাস করে ভেরিফিকেশন ট্যাগ পেতে প্রায় দুই মাস সময় লেগেছে। ঐ দু'মাসের মধ্যে আমি প্রতিদিন ভাবতাম কখন যে ভেরিফিকেশন হবো আর কখন ফ্যামিলির সচ্ছলতা ফিরে আসবে। ঐ দুঃসময়ে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি আমার পাশে ছিলো তাই আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
আমি কমিউনিটিতে কাজ করার কিছুদিন পর দেখতেছি সবাই জল রং দিয়ে খুব সুন্দর সুন্দর পেইন্টিং উপস্থাপন করতেছে। বর্তমানে এখন তো সবাই ভিজিটার আর্ট নিয়ে নিয়ে বেশ ব্যস্ত । সবার উপস্থাপন করা জলরং দিয়ে পেইন্টিং গুলো আমার কাছে খুব ভালো লাগে। তো আমারও আর্ট করার আগ্রহ জাগলো। আমি বাজার থেকে রং-তুলি কিনে আনলাম আর্ট করার জন্য খুব চেষ্টা করছি । চার-পাঁচদিন আর্ট করার পরও কিছুতে আট গুলো সুন্দর হচ্ছে না। অনেক চেষ্টার এবং কষ্ট করার পর এই পেইন্টিং আমি সম্পূর্ণ করলাম । তখন আমার কাছে অনেক অনেক আনন্দ লাগলো। খুশিতে আমার মন ভরে গেলো। আসলে কি যে ভালো লাগলো তাই ভাষা লিখে প্রকাশ করা যাবে না।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রথম মুরগির মাংস রেসিপি দিলাম। আম্মু সব সময় অসুস্থ থাকায় প্রায় সময় আমি নিজে রান্না করতাম। তাই আমি রান্না করতে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি আমি সুন্দর ভাবে রেসিপি টি রান্না করি এবং উপস্থাপন করতে সক্ষম হয় ।আমার রেসিপি দেখে আমার সহযোদ্ধারা যখন খুব সুন্দর সুন্দর কমেন্ট করলো তখন আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। সত্যি আমি খুব আনন্দিত হলাম। আসলে আমাদের ফ্যামিলিতে আর্থিক কারণে ভালো মানের খাবার তৈরি করতে পারি না। মাঝে মধ্যে তৈরি করলে চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে।
ফটোগ্রাফি করতে ভালো ক্যামেরার প্রয়োজন হয়। কমিউনিটিতে অনেকে অত্যন্ত অসাধারণ ফটোগ্রাফি করে থাকে। তাদের দুর্দান্ত ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার ফটোগ্রাফি করতে খুব ইচ্ছে হয়। আমার ভালো মানের মোবাইল না থাকার কারণে ফটোগ্রাফি করতে আমার খুবই অসুবিধা হয়। তবুও আমি মাঝে মধ্যে মোবাইল (রেডমি নোট ৭) দিয়ে ফটোগ্রাফী পোস্ট করে থাকি। আপনারা সবাই দোয়া করবেন যেন ভালো একটি মোবাইল কিনতে পারি এবং আপনাদের মাঝে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে পারি।
শ্রদ্ধেয় দাদা@rme খুব অসাধারণ কবিতা এবং অনুকাব্য লিখে থাকেন। আসলে আমি দাদার প্রতিটি কবিতা এবং অনুকবিতা পড়ে থাকি। দাদার কবিতার প্রতিটি লাইন আমার মন ছুঁয়ে যায়। আমি শুধু ভাবি দাদা কিভাবে এত অসাধারণ কবিতা লিখে থাকেন। ছোট দাদা অত্যান্ত দুর্দান্ত কবিতা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করে থাকেন। আসলে কবিতা গুলো পরে এতোটা আনন্দিত হয় যে অনেক সময় কমেন্ট করার ভাষা হারিয়ে ফেলি। কবিতা গুলো অনেক সময় জীবনের বাস্তবতার সাথে খুব মিল পাওয়া যায়। তখন ভাবি দাদা মনে হয় জীবনের সাদৃশ্য দেখে দেখে কবিতা লিখে। আসলে শ্রদ্ধেয় দাদা এবং ছোট দাদার কবিতার পড়ে মনে হয় কবিতার প্রতিটি লাইন হৃদয়ের গভীর থেকে লেখা। তাছাড়া কমিউনিটিতে প্রিয় হাফিজ ভাই সহ আরো অন্যান্যরা খুব সুন্দর কবিতা লিখে থাকে। সবার কবিতা পড়ে আমার খুব কবিতা লিখতে ইচ্ছে হয়। আমি কখনো কবিতা লিখিনি। আমি ধীরে ধীরে কবিতা লিখতে চেষ্টা করতে লাগলাম। অনেকদিন চেষ্টা করার পর এই কবিতাটি লিখতে সক্ষম হয়। যদিও কবিতাটির ছন্দ ঠিক ছিল না। তবুও অনেকে আমার কবিতাটি খুব পছন্দ করেছেন। সকলের কমেন্টের খুব সুন্দর সুন্দর অনুভূতি গুলো পড়ে সত্যি আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। আমার লেখা কবিতা টি সবার ভালো লেগেছে জেনে অত্যন্ত আনন্দিত হলাম।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আমি প্রায় ১০ থেকে ১২ টি কৃষি ভিত্তিক পোস্ট করেছি। আমার মত এই ধরনের কৃষিভিত্তিক পোস্ট আর কেউ করতে দেখিনি। আমি যখন প্রথম কৃষিভিত্তিক পোস্টটি করছি তখন খুব দ্বিধাদ্বন্দ্বে মধ্যে ছিলাম যে আমার পোস্ট হবে কিনা ? পোস্টটি করার পরবর্তী সময়ে সবাই দেখি আমার পোস্টে সম্পর্কে খুব সুন্দর মন্তব্য করেছে। আসলে কৃষিভিত্তিক পোষ্টের ভাষা অন্য রকম হয়ে থাকে। অনেক সময় দেখা যাচ্ছে কিছু কিছু ভাষা একেবারে শুদ্ধ ভাবে লেখা যাচ্ছে না, আবার অনেক সময় দেখা যায় কিছু ভাষা আঞ্চলিক ভাষায় লিখতে হয়। শ্রদ্ধেয় দাদা যদি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি বাংলা ভাষার জন্য না খুলতেন তাহলে হয়তো আমি এধরনের পোস্ট কখনো করতে পারতাম না। বাংলাতে পোস্ট লিখছি বিধায় এই ধরনের কৃষিভিত্তিক পোস্ট আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে। এজন্য আমি শ্রদ্ধেয় @rmeদাদাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আসলে একটি পোষ্টের জন্য দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করাটা খুবই আনন্দের ব্যাপার।
কনটেস্টে অংশগ্রহণের রোমাঞ্চকর মুহূর্ত গুলো💚🖤:-
আপনারা জেনে অত্যন্ত আনন্দিত হবেন যে আপনাদের দোয়া এবং ভালোবাসা আমি সাতটি প্রতিযোগিতার কনটেস্ট অংশগ্রহণ করি। তারমধ্যে ছয় টিতে আমি বিজয়ী হয়েছি। প্রতিযোগিতা মানে নিজের মনের মধ্যে অন্যরকম অনুভূতি কাজ করা। সবসময় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করে থাকে। বিশেষ করে যখন প্রতিযোগিতার ফলাফল দেওয়া সময় হয় তখন অত্যান্ত রোমাঞ্চকর টানটান উত্তেজনা মুহূর্ত বিরাজ করে। বুকের হার্ট বিট বেড়ে যায়। নিজেকে স্বাভাবিক পর্যায়ে কন্ট্রোল করতে খুবই কষ্ট হয়। প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের নাম গুলো যখন বলতে থাকে তখন নিজের নামটি শোনার খুব অধীর আগ্রহে থাকি। কখন যে আমার নাম বলবে আর কখন মাইক ওপেন করে সবাই নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবো । এই আশায় মনের মধ্যে অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে। আসলে প্রতিযোগিতার পোস্ট গুলো খুবই অন্যরকম হয়ে থাকে। প্রতিযোগিতার পোস্ট গুলো তৈরি করতে অনেক সময় দেখা যায় দুই দিন লেগে গেছে। নিজের অনুভূতিগুলো প্রকাশ করতে, সুন্দরভাবে পোস্টটি সাজাতে অনেক সময় ব্যয় করতে হয়। প্রতিযোগিতা মানে নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করা। আর আমি যতটুকু সম্ভব আপনাদের ভালোবাসায় নিজের সর্বোচ্চ দিতে চেষ্টা করি। যখন ৪০ থেকে ৪৫ জন অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে নিজের নাম উল্লেখ করা হয় তখন কি যে ভালো লাগে তা বলে বুঝাতে পারবো না আপনাদের। এতো সুন্দর সুন্দর প্রতিযোগিতার আয়োজন করায় শ্রদ্ধেয় দাদা@rme সহ সকল এডমিন মডারেটরদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আশা করছি সামনের দিনগুলোতে আরো সুন্দর সুন্দর প্রতিযোগিতা শ্রদ্ধেয় দাদা এবং এডমিন মডারেটরদের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হবে।
ভালোবাসার পাওয়ার আপ প্রতিযোগিতা ❣️💛 :-
প্রথমেই প্রিয়, সুমন ভাইয়ের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। এত সুন্দর পাওয়ার আপ প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করার জন্য। আসলে আমরা এমন একটি কমিউনিটি তে কাজ করি যেখানে নিজের ভবিষ্যতের ভালোর জন্য যদি পাওয়ার আপ করা হয় তার জন্যও পুরস্কার দেওয়া হয় । আসলে ভাবতে খুব অবাক লাগে। এতো সুন্দর প্রতিযোগিতার কারণে প্রতি সাপ্তাহে চেষ্টা করি অংশগ্রহণ করার জন্য। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার পর যখন প্রিয়, সুমন ভাই নাম প্রকাশ করে তখন খুব ভালো লাগে। আরো বেশি বেশি পাওয়ার আপ করতে খুব ইচ্ছে হয়। আসলে পাওয়ার আপ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে, পাওয়ার আপ করতে আমাদের খুব উৎসাহ উদ্দীপনা জাগে। এত সুন্দর ব্যবস্থা করার জন্য অবশ্যই প্রিয়, সুমন ভাই সবার নিকট প্রশংসনীয়।
মানবতার বাতিঘর 💓💜💙:-
আমি আকাশের বিশালতা দেখেছি
কিন্তু দাদার মনে বিশালতা দেখিনি।
আমি সমুদ্রের গভীরতা শুনেছি
তবে দাদা হৃদয়ের গভীরতা কখনো শুনিনি।
আমি কখনো মানবতার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারেনি।
তবে আমি দাদা কাছ থেকে দেখেছি মানবতার জন্য কিভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হয়।
হয়তো আমি কখনো স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে
মানবতাকে ভালবাসতে পারিনি।
তবে আমি স্বার্থ ছাড়াই কীভাবে ভালবাসতে হয় তা দাদার মাঝে নিজের চোখে দেখেছি।
মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য এই সত্যকে বাস্তবে রূপান্তর করতে শ্রদ্ধেয় দাদা এবিবি চ্যারিটি ফান্ড খুলেছেন। আসলে মানুষের জীবন সম্পর্কে বলা যায় না । কখন কে কোন দুর্ঘটনার শিকার হয়। যে কেউ যেকোনো কারণে আর্থিকভাবে খুবই সমস্যার মধ্যে পড়তে পারে। যারাই আর্থিকভাবে খুব সমস্যার মধ্যে পড়ে তাদেরকে এই এবিবি চ্যারিটি ফান্ড থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়। মানবতার সেবায় ক্ষুদ্র অংশীদার হওয়ার জন্য প্রতি সাপ্তাহে চেষ্টা করি এই এবিবি চ্যারিটি ফান্ডে কিছু দেওয়ার জন্য। আমাদের সকলের উচিত যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী এবিবি চ্যারিটি ফান্ডে দান করা। আসলে অন্যের বিপদে এগিয়ে আসাটা নিজের কাছে প্রকৃত সুখ মনে হয়।
ভালোবাসা দেওয়ার এবং ভালোবাসা নেওয়ার শেষ আশ্রয়স্থল হ্যাংআউট ।💗💜💕
আসলে আমি মনে করি আমাদের সবকিছুর মূল কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে হাংআউট। কারণ হ্যাং আউট এর মাধ্যমে দাদার গুরুত্বপূর্ণ কথা গুলো শুনতে পায়। প্রিয় এডমিন মডারেটর ভাই ও বোনেরা কমিউনিটির সকল সিদ্ধান্ত এবং সকলের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে আমাদের অবগত করে থাকেন। আমাদের ভালো-মন্দ সকল বিষয় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয় হাংআউট এর মাধ্যমে। যোগাযোগ স্থাপন করার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো হাংআউট। প্রতি সপ্তাহে একবার হ্যাংআউট অনুষ্ঠিত হয়। এই হ্যাংআউটে জন্য অনেক আগ্রহে আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হয়। হাংআউটে অনেকগুলো সেগমেন্ট থাকে। কুইজ প্রতিযোগিতা, অ্যাক্টিভ লিস্ট প্রকাশ করা, (গান, কবিতা, কৌতুক) ইত্যাদির রোমাঞ্চকর মুহূর্ত, এবং প্রশ্ন-উত্তর পর্ব। প্রতিটি পর্ব আমার কাছে খুব ভালো লাগে।আমাদের হ্যাংআউটের হাফ সেঞ্চুরি পূর্তি হলো।এটা সত্যিই আমাদের পরিবারের জন্য খুব গর্বের ভালোলাগার ও ভালোবাসার বিষয়। কিছু কিছু হ্যাংআউট আমার জীবনে অনেকটাই অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। হ্যাংআউট আমাদের জন্য অন্যতম বিনোদনের মাধ্যম । এখানে সবাই খুব সুন্দর ভাবে গান, কবিতা, কৌতুক ইত্যাদি উপস্থাপন করে থাকেন।কুইজ পর্ব খুবই অসাধারণ হয়ে থাকে। শ্রদ্ধেয় দাদা সহ সকলেই কুইজে অংশগ্রহণ করে থাকে। সব মিলিয়ে বলা যায় যে, এখানে ভালোবাসা দেওয়া এবং নেওয়া অন্যতম মাধ্যম।
কাজ করার প্রতিচ্ছবি অ্যাক্টিভ লিস্ট💜💙
প্রতি সাপ্তাহে কাজের কোয়ালিটি,কাজের সৃজনশীলতা ও দক্ষতা, ডিসকোড় অ্যাক্টিভিটি, সব বিষয়ে সঠিক মূল্যায়নের মাধ্যমে অ্যাক্টিভ লিস্ট প্রকাশ করা হয়। যার কাজের দক্ষতা এবং অন্যান্য অ্যাক্টিভিটি যতো ভালো সে ততো অ্যাক্টিভ লিষ্টের উপরের স্থান দখল করতে পারে। অ্যাক্টিভ লিস্টের জন্য সবাই খুব অধীর আগ্রহে পুরো সপ্তাহ জুড়ে অপেক্ষা করে। অ্যাক্টিভ লিস্টে যখন নিজের নাম আসে তখন খুবই অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে মনের মধ্যে। অ্যাক্টিভ লিস্ট আমাদের কাজ করার অনুপ্রেরণা। প্রতি সাপ্তাহে কাজের সঠিক মূল্যায়নের মাধ্যমে অ্যাক্টিভ লিস্ট প্রকাশ করা করা সত্যিই আমার বাংলা ব্লগ সবার নিকট প্রশংসনীয়।
কবিতার দেশে দুই মহাকবি🙏🙏💜💙💓💛♥️
আসলে আমি অনুমতি ছাড়াই শ্রদ্ধেয় দাদা এবং ছোট দাদার কবিতা পোষ্টের ইমেজ দিয়েছি দয়া করে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
আমার হয়তো বাংলা সাহিত্যের ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, জসীমউদ্দীন, বেগম রোকেয়া, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, দীনবন্ধু মিত্র সহ প্রিয় কবিদের সাথে দেখা হওয়ার সৌভাগ্য হয় নি। তবে আমার বাংলা ব্লগ এসে সৌভাগ্য হয়েছে শ্রদ্ধেয় দাদা এবং প্রিয় ছোট দাদাকে দেখতে। আসলে দাদাদের কবিতা সম্পর্কে বলা বা লেখার যোগ্যতা আমার নেই। তবে এটুকু বলতে পারি প্রিয় দাদাদের কবিতা বা, অনুকবিতার প্রতিটি লাইন আমার হৃদয়কে নাড়া দেয়। আসলে আমি যখন কবিতা গুলো পড়ি তখন আমি আর আমার মধ্যে থাকি না তখন আমি সাহিত্যের এক অন্য জগতে হারিয়ে যায়। যতবার পড়ি ততবারই পড়তে খুব মন চায়। খুবই রোমাঞ্চকর জীবনকে নিয়ে বাস্তবসম্মত কবিতা গুলো পড়ে খুব ভালো লাগে।
সম্পর্ক এবং ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে মাধ্যম ♥️💛💓
আমার বাংলা ব্লগ কমিটি অন্যান্য কমিউনিটির মতোন নয়। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির নিজস্ব সবকিছু রয়েছে। যোগাযোগের সকল মাধ্যমে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি অনুসরণ করে। আমরা ডিসকোর্ড, ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম সহ যে কোন মাধ্যমে একে অন্যের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারি। এতে করে আমাদের সকলের সাথে সুন্দর ভাতৃত্ববোধ এবং সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আমাদের সমস্যার জন্য যেকোনো তথ্য যে কোন মাধ্যমে খুব সহজে অন্যের নিকট থেকে জানতে পারি। এখন আমরা যোগাযোগের এমন পর্যায়ে পৌঁছেছি যে, সকলে আমাদের রক্তের সাথে মিশে গেছে । সকলকে আমাদের নিজের ভাই এবং বোনের মতো মনে হয়। এই সার্ভার গুলো শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয় বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম বটে। আমরা চাইলে যেকোনো গল্প, কবিতা, উপন্যাস, কৌতুক, যেকোনো হাস্যকর বিষয় শেয়ার করতে পারি। আমাদের আবেগ-অনুভূতি ভালোলাগার যেকোনো বিষয় খুব সহজে একে অন্যের নিকট শেয়ার করতে পারি। ফ্রি থাকলে যোগাযোগের এইসব মাধ্যমগুলোতে প্রিয় ভাই বোনদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করি। আসলে তাদের সাথে কথা বলার মুহূর্তগুলো খুবই ভালো লাগে। আমার নিজের কাছে খুব অন্যরকম মনে হয়। কোন কারণে যদি কোনদিন প্রিয় ভাই বোনদের সাথে কথা বলতে না পারি সেদিন নিজের কাছে কেমন যেন শূন্যতা মনে হয়। তখন তাদেরকে খুব বেশি মিস করি।
পরিশেষে বলতে চাই--
ভালবাসি শ্রদ্ধেয় দাদা আপনাকে
ভালবাসি দাদা আপনার পরিবারকে।
ভালোবাসি আমার প্রিয়, আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে।
ভালোবাসি সকল প্রিয় এডমিন,মডারেটর
ভাই বোনদের।
ভালোবাসি সকল প্রিয় সহযোদ্ধাদের
ভালো বাসি সকল শুভাকাঙ্খীদের।
স্টিম প্লাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে সাফল্যের উচ্চতম চূড়ায় যেই দিন উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো জ্বলতে দেখবো
সেদিনই শেষ হাসিটা হাসবো।
শেষ হাসিটার অপেক্ষায় থাকলাম।
ভালোবাসা অবিরাম বাংলা ব্লগ কমিউনিটি প্রতি।
ভালোবাসা অবিরাম।
সবাইকে শুভ দুপুর
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে অভিনন্দন এবং ধন্যবাদ জানাই ।
ভালবাসি দাদা আপনার পরিবারকে।
ভালোবাসি আমার প্রিয়, আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে।
ভালোবাসি সকল প্রিয় এডমিন,মডারেটর
ভাই বোনদের।
ভালোবাসি সকল প্রিয় সহযোদ্ধাদের
ভালো বাসি সকল শুভাকাঙ্খীদের।
স্টিম প্লাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে সাফল্যের উচ্চতম চূড়ায় যেই দিন উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো জ্বলতে দেখবো
সেদিনই শেষ হাসিটা হাসবো।
শেষ হাসিটার অপেক্ষায় থাকলাম।
ভালোবাসা অবিরাম বাংলা ব্লগ কমিউনিটি প্রতি।
ভালোবাসা অবিরাম।
ভাই আমার বাংলা ব্লগ এর বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আপনি আপনার চমৎকার অনুভূতি প্রকাশ করেছেন আমাদের মাঝে। ভালো লাগলো এত লম্বা একটি লেখা দেখে আপনার। আপনি পুরাই সাকসেস। সাতটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ছয়টিতে বিজয়ী হয়েছেন। ভালো লাগলো আপনার এই সাফল্য গাঁথা। আশা করি এ প্রতিযোগিতা ও আপনি বিজয়ী হবেন।
পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর অনুভূতি জানানোর জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
আপনার প্রতিযোগিতা টা ক্ষুদ্র না ভাই অনেক বড়। নিজের ভালোবাসার জিনিসগুলো সম্পর্কে লিখে শেষ করা যায় না। কিন্তু করতে হয়। সত্যি বলতে আপনার লেখাগুলো পড়তে পড়তে আমি হাপিয়ে গেছি। নিজের আবেগ ধরে রাখা সত্যি সম্ভব না। কত স্মৃতি এর সঙ্গে। সবমিলিয়ে এককথায় দারুণ। ধন্যবাদ আপনাকে।।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে এত সুন্দর অনুভূতি জানানোর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনি খুবই চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি তে কাজ করার অনুভূতি শেয়ার করেছেন আপনি বৃহদাকারে আপনার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনি রেকর্ড করলেন প্রতিযোগিতায় ০৮ বার অংশগ্রহন করে ০৭ বার পুরস্কার পেলেন, এর রহস্য কি ভাই? পরবর্তীতে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করার পূর্বে আপনার নিকট থেকে টিপস নিব।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। সৃজনশীল কাজের দক্ষতা, ধৈর্য এবং সময় দিয়ে নিজের মতন করে সুন্দরভাবে পোষ্ট উপস্থাপন করাই হলো রহস্য। ভালো থাকবেন ভাই।