আমার করা ৫টি হলিউড মুভির রিভিউ একসাথে (১০ ভাগ লাজুক খ্যাঁকের জন্য)
কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালো আছেন। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল সদস্যদের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার করা পাঁচটি হলিউড মুভি রিভিউ সম্পর্কে আলোচনা করব। আমরা সচরাচর সবাই সিনেমা দেখতে ভালোবাসি কেউ হলিউড ,কেউ বলিউড , ঢালিউড সহ বিভিন্ন দেশের মুভি দেখে অভ্যস্ত। তবে আমার সব সময় হলিউড মুভি দেখতে ভালো লাগে। এছাড়াও বলিউডের মুভিগুলো দারুন হয়ে থাকে বিশেষ করে ইন্ডিয়ান টিলার তুমি বল আমার বেশ পছন্দের। কিন্তু আমি সব সময় হলিউড মুভির রিভিউ গুলো করেছে এবং আমার করা মুভিগুলোর সাধারণত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত এবং আইএমডিবি রেটিংয়ে উপরের দিকে। আমার করে প্রতিটি মুভি বায়োগ্রাফিক্যাল, অ্যাডভেঞ্চার ও অনুপ্রেরণামূলক।সিনেমাকে সাধারণত আমাদের জীবনের দর্শন বলা হয় যদি ভালো মানের কোনো সিনেমা হয়ে থাকে । একটা সময় ছিল আমি প্রতিদিন একটি করে সিনেমা দেখতাম সিনেমা। না দেখলে আমার ঘুম হত না । এ যাবত পর্যন্ত আমি মোট পাঁচটি হলিউড মুভি রিভিউ দিয়েছি যা আজ আপনাদের সাথে একসাথে শেয়ার করব। আমি যে পাঁচটি মুভি রিভিউ করেছি তার নাম -
প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি প্রাপ্ত পোস্টার কলেজ ফ্রেম করে।
- দ্য রেভেন্যান্ট
- ১২৭ আওয়ার্স
- পারসুইট অব হ্যাপিনেস
- টুয়েলভ ইয়ারস স্ল্যাব
- দ্য জঙ্গল
প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি প্রাপ্ত পোস্টার
- আমার দেখা সেরা একটি অ্যাডভেঞ্চার মুভি। আপনারা যারা এই মুভি দেখেছেন তারা অবশ্যই বুঝতে পারবেন এই মুভিটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এতটাই উত্তেজনাকর যা আপনাকে এক মুহূর্তের জন্য স্ক্রিন থেকে চোখ সরাতে দেবেন। এই মুভিতে আমরা প্রতিকূল পরিবেশে কিভাবে বাঁচতে হয় তা উপলব্ধি করতে পারব। এই মুভিটি অস্কারজয়ী। অস্কারজয়ী প্রতিটি সিনেমা যে অসাধারণ তা আমরা সবাই জানি। সিনেমাটি এত নিখুঁত ভাবে তৈরি করা হয়েছে আপনারা দেখলে বুঝতে পারবেন। এই সিনেমার মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও। তার মৃত্যুর পথ থেকে বেঁচে আসার গল্প মূলত এই ছবিতে প্রধান আকর্ষণ।
লিংক
প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি প্রাপ্ত পোস্টার
- ১২৭ আওয়ার্স এটি একটি অ্যাডভেঞ্চার হলিউড সিনেমা। সত্য ঘটনা অবলম্বনে এই সিনেমাটি তৈরি করা হয়েছে। বাস্তব জীবনের দুর্বিষহ হাইকিং এর অভিজ্ঞতা নিয়ে তৈরি করা এই মুভিটি আপনাকে প্রতিটি মুহূর্ত মুগ্ধ করবে। এই সিনেমাটির মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন ড্যানিয়েল ফ্রানকো যাকে মুভি শুরুতেই একটি পাহাড়ের হাইকিং করতে দেখা যায়। কিন্তু একটা পর্যায়ে এসে পা পিছলে খাদের ভিতরে পড়ে যায় এবং তার হাতের উপর একটি বিশাল পাথর চাপা পড়ে। সেখান থেকে তার উদ্ধারের 127 ঘন্টা সময় অতিবাহিত হয়। এই সময় তাকে বিভিন্ন ধরনের প্রতিকূল পরিবেশের মধ্য দিয়ে পার হতে হয়। সেখান থেকে কিভাবে সে বেঁচে ফিরল সেই কাহিনী মূলত এই সিনেমাটিতে ফুটে উঠেছে।লিংক
প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি প্রাপ্ত পোস্টার
- আমার জীবনে দেখা সেরা কয়েকটি অ্যাডভেঞ্চার মুভির মধ্যে দ্য জঙ্গল একটি। কিশোর জীবনে আমরা যারা অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় তাদের এই মুভিটি অবশ্য দেখা উচিত। এই মুভিটি মূলত ব্রাজিলের আমাজন জঙ্গল কে কেন্দ্র করে একদল অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় তরুণদের গল্প। এই মুভিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন তার নাম ড্যানিয়েল রেডক্লিফ। ড্যানিয়েল রেডক্লিফ তার বন্ধুদের নিয়ে অ্যামাজন জঙ্গলে অ্যাডভেঞ্চার এ যান এক আদিবাসী অঞ্চল কে দেখার উদ্দেশ্যে।যেখানে ইতিপূর্বে কেউ কখনো যেতে পারেনি। সেই আদিবাসী জঙ্গল এ যাওয়ার সময় তারা নদী পথ বেছে নেয় সেই নদীতে যাওয়ার সময় পাহাড়ি ঢলের স্রোতে তারা সবাই হারিয়ে যায়। ড্যানিয়েল রেডক্লিফ তার বন্ধুদের হারিয়ে পথ ভুলে যায় এবং তারপরে শুরু হয় তার বেঁচে থাকার লড়াই। সেখান থেকে কিভাবে সে বেঁচে ফেরে সেই কাহিনী ফুটে উঠেছে দ্য জঙ্গল মুভিতে।লিংক
প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি প্রাপ্ত পোস্টার
- জীবন সংগ্রাম নিয়ে অসাধারন একটি মুভি দ্য পারসুইট অব হ্যাপিনেস। একজন পরিশ্রমি উদ্যমী মানুষ কিভাবে নিম্নবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত জীবন লাভ করে তা আমরা দেখতে পাব এই সিনেমাটি মধ্য দিয়ে। জীবন শিক্ষার জন্য এই মুভিটি আমাদের দেখা উচিত। জীবনে কোনো লক্ষ্য ঠিক করলে সে লক্ষ্য অর্জনের পেছনে লেগে থাকতে হয়, পরিশ্রম করতে হয়, ধৈর্য ধরতে হয় কখনো পিছু হঠার সুযোগ থাকেনা। তার সবটুকু করে দেখিয়েছেন এই মুভির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করা উইল স্মিথ। তার অসাধারন জীবন দর্শন মুভিটির সংলাপ আমাকে এখনো ভাবিয়ে তোলে। আপনি এই মুভিটা দেখলে জীবনের মানে বুঝতে পারবেন। আপনার জীবনে অর্থ বুঝতে পারবেন। আপনার জীবন কোন পথে আছে তখনও কি করতে পারবেন বা করা উচিত বুঝতে পারবেন। এটি একটা অনুপ্রেরণামূলক মুভি।লিংক
প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি প্রাপ্ত পোস্টার
- টুয়েলভ ইয়ারস অফ এটি একটি হলিউড মুভি এটি মূলত আমেরিকার দাস প্রথার ওপর নির্মিত একটি চলচ্চিত্র। সেই সময় শ্বেতাঙ্গ কৃষ্ণাঙ্গদের মাঝে যে বৈষম্য ছিল তার পুরোটাই ফুটে উঠেছে এই সিনেমাটিতে। যে সময় দাস প্রথা প্রচলন ছিল সেই সময়ে দাসদের যে কখন মানুষ মনে করা হতো না। পশুদের থেকেও নিকৃষ্ট মনে করা হতো যাএই মুভিটা দেখে আপনি বুঝতে পারবেন। সেই সময় দাসদের যেভাবে মূল্যায়ন করা হতো তার থেকে নিজের কুকুরকেও বেশি মূল্যায়ন করা হতো। এমন কোন কর্ম নেই যা দাসদের দ্বারা করানো হতো না। দাসদের নিজের একান্ত সম্পত্তি মনে করা হতো। এই মুভিতে সলমন নামে এক ব্যক্তির দাস হয়ে ওঠার গল্প এবং সেখান থেকে মুক্তি পাওয়ার গল্প ফুটে উঠেছে। সলোমন ছিলেন একজন মুক্তমনা শিল্পী কিন্তু কৃষ্ণাঙ্গ। অথচ ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে তাকে দাস হতে হয়। সেখান থেকে তাকে অনেক সংগ্রাম করে লড়াই করে বেচে ফিরতে হয় সেই কাহিনী দেখতে পারবেন আপনার যদি টুয়েলভ ইয়ারস স্ল্যাব মুভি দেখেন।লিংক
ধন্যবাদ
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
আপু আপনি খুবই সুন্দর ভাবে রিভিউ পোস্টটি উপস্থাপন করেছেন।যদিও আমি তেমন একটা হলিউড মুভি দেখি না।তবে মুভি গুলো অনেক ভালো হবে।সুন্দরভাবে রিভিউ পোস্ট করে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনাকেউ অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাহ এক সাথে ৫ টা মুভির রিভিউ। চমৎকার রিভিউ দিয়েছেন আপু। সময় পেলে মুভি গুলো নামিয়ে দেখবো। উপস্থাপনা অনেক ভালো ছিলো আপনার। শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে। অবশ্যই দেখবেন ভালো লাগবে।
কবে করলেন এতসব মুভি রিভিউ। আমি সম্ভবত আপনার দুইটি রিভিউ পোস্ট দেখেছি। বাকিগুলো হয়ত দেখিনি অথবা যখন করেছেন তখন আমি এই কমিউনিটিতে যোগদান করিনি। যাইহোক আপনার রিভিউ পোস্ট গুলো ভালো লাগে আমার কাছে। সবগুলো একসাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া ভালো লেগেছে শুনে ভালো লাগলো।
আপনার রিভিউ দেওয়া মুভি গুলো চমৎকার। মুভিগুলো আমার খুবই পছন্দের মুভি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ একসাথে ৫টা মুভির রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
দারুন সব মুভির রিভিউ দিয়েছেন। আপনার রিভিউ দেয়া মুভি গুলোর মধ্যে দুটি মুভি আমার অদেখা।সময় পেলে দেখে নেবো। ধন্যবাদ আপনাকে মুভি গুলোর রিভিউ দেয়ার জন্য।
অবশ্যই দেখবেন আপু।মুভিগুলো অসাধারণ।
আপনি যে সমস্ত মুভি পর্যালোচনা করেছেন তার মধ্যে উইল স্মিথকে আমি সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি। এই মুভিটি আমাকে দুবার কাঁদিয়েছে, এগুলি এমন মুভি যা কখনই ভোলা যাবে না কারণ তারা একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ জীবনের পাঠ শেখায় না যা আমাদের বিবেচনা করা এবং শিখতে হবে। এটা দেখায় যে এই জীবনে প্রতিকূলতা সত্ত্বেও সবকিছু হারিয়ে যায় না।
আপনি খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন আর আপনি মুভিটি দেখেছেন শুনে খুব ভালো লাগলো। মুভি সত্যি অসাধারণ। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।