একটি অসাধারণ হলিউড মুভি রিভিউ 🖥️The Persuit Of Happiness🎞️
কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভাল আছেন। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল সদস্যদের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজ আমি অনেক দিন পর আপনাদের সাথে একটি হলিউড মুভি রিভিউ শেয়ার করব। আমি আজ যে মুভিটি শেয়ার করব তা একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত মোটিভেশনাল মুভি। এই মুভি দেখলে আপনি আপনার জীবনের সত্তিকারের সুখ খুঁজে পাবেন। জীবনে সফলতা অর্জন করতে গেলে একজন মানুষকে শত শত বাধা মোকাবিলা করে কিভাবে লক্ষ্য অর্জন করতে হয় তা এই মাধ্যমে আপনারা দেখতে পাবেন। সিনেমার প্রতিটি পরতে পরতে রয়েছে বাধা এবং সে বাধা কে ডিঙিয়ে কিভাবে ধীরে ধীরে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় তা অসাধারণ ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
মুভির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
হলিউড মুভি | The persuit of Happiness |
---|---|
পরিচালক | Gabriele Muccino |
প্রকাশকাল | ২০০৬ |
ভাষা | ইংরেজি |
দেশ | আমেরিকা |
ধরণ | Biographical drama |
সময়কাল | ১১৭ মিনিট |
IMDB | ৮/১০ |
বাজেট | ৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার |
বক্স অফিস | ৩০৭.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার |
মুভির কাহিনী
দ্যা পারসুইট অব হ্যাপিনেস একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত বায়োপিক মুভি। এই সিনেমায় আমরা প্রধান চরিত্রে ক্রিস গার্ডনার হিসাবে আমরা উইল স্মিথকে দেখতে পাই। যেকিনা তার স্বপ্ন পূরনের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যায়। এখানে স্মিথ নিজেকে এক স্বপ্নবাজ হিসাবে ফুটে তুলেছেন। স্মিথের সন্তান হিসাবে আমরা জাডেন স্মিথ কে পাব যে কিনা স্মিথের নিজের সন্তান। এই সিনেমায় আমরা স্মিথের স্ত্রী হিসাবে গার্ডানার নামে অভিনয় করেছেন কুইন্সি ট্রপি। এছাড়াও এই মুভিতে শ্রেষ্ঠ অভিনয়ের জন্য স্মিথ অস্কার জেতেন।তবে চলুন কি আছে এই মুভিতে দেখি। |
---|
সিনেমার প্রথম দৃশ্য দেখা যায় ক্রিস গার্ডনার তার ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যাচ্ছেন। ক্রিস আর পাঁচটা মানুষের মতো হয়ে উঠেনি সে সব সময় অসাধারণ কারণ তিনি প্রচুর পরিশ্রম করতে পারেন এবং পিতা হিসেবে তিনি তার সন্তানের কাছে একজন আদর্শ। এই মুভিতে আমরা ক্রিসকে একজন সেলসম্যান হিসেবে দেখতে পাবো অর্থাৎ তার পেশা হচ্ছে সেলসম্যান। তিনি সারাদিন ঘুরে বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে মেডিকেল ডিভাইসগুলো বিক্রি করে বেড়ান। কিন্তু সারাদিন ঘোরাঘুরি করে যখন একটি ডিভাইস বিক্রি করতে পারেন না । এদিকে তার সংসারে অভাব-অনটনে শেষ নাই। যার ফলে তার স্ত্রী লিন্ডা ডাবল শিফটে কাজ করে সংসারের ব্যয় ভার বহন করার জন্য। যারফলে সংসারের সব সময় ঝগড়া অশান্তি লেগে থাকে। একদিন ক্রিস রাস্তা দিয়ে হাঁটছিল সে দেখে এক ভদ্রলোক দামী গাড়ী থেকে নামছে । তখন ক্রিস খুব উৎসাহের সাথে ভদ্র লোককে জিজ্ঞেস করেন আপনি কি করেন? আর কি করেই বা আপনি এত কিছু করলেন তখন ভদ্রলোক উত্তর করেন আমি একজন স্টক ব্রোকার। তখন ক্রিস অবাক হয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলেন স্টক ব্রোকার হতে গেলে কি কলেজে পড়াশোনা করতে হয়? সেই ভদ্রলোক তখন বললেন না এসবের কোনো প্রয়োজন নেই, মানুষের সাথে কথা ভালো আলাপচারিতা ও কথা বলার ভালো স্কিল থাকলেই হবে। ক্রিস সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে অনুভব করেন এই অফিসের প্রত্যেকটা মানুষই খুব হ্যাপি এবং সবাই অনেক আনন্দে আছে।
তখন সে নিজে নিজে প্রশ্ন করল কিন্তু কেন সে খুশি নয়? তখন ক্রিস বাড়িতে এসে তার স্ত্রীকে বলে সেই স্টক ব্রোকার হতে চাই । স্ত্রী তার কথা শুনে তাকে ছোট বড় অনেক কথা বলে। পরের দিন সকালবেলা ক্রিস আবার তার মেডিকেল ডিভাইস গুলো বিক্রি করার জন্য বের হয়ে পড়েন। ক্রিস যখন সেই অফিসের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তিনি লক্ষ্য করেন অফিসে ট্রেনিংয়ের জন্য লোক নেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। তার জন্য এপ্লিকেশন ফরম জমা নেওয়া হচ্ছে। তখন তিনি অফিসের ভেতরে ঢুকবেন ভাবছিল কিন্তু ঢুকতে পারছিল না। কেননা তাঁর কাছে তাঁর মেডিকেল ডিভাইসের বড় বক্স ছিল। তখন তিনি দেখলেন রাস্তার পাশে একজন মেয়েকে দেখেন যে গান করছে তিনি তার পাশে বক্সটি রেখে চলে গেলেন। ক্রিস ভিতরে গিয়ে একটি ফর্ম নেয় তখন সে ভেতর থেকে দেখতে পাই মেয়েটা ডিভাইসটি নিয়ে দৌড়ে পালাচ্ছে। অনেক চেষ্টা করেও ক্রিস সেই মেয়েকে ধরতে না পেরে মন খারাপ করে বাড়িতে চলে আসে। এরপর ক্রিস পরের দিন সেই অফিসে গিয়ে অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম টি এক টুইসেল নামে ভদ্রলোকের কাছে জমা দিয়ে আসে। এর ঠিক কয়েক মাস পর একদিন ক্রিস অফিসের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন টুইসেল নামে ভদ্রলোকের সাথে দেখা হয় । ক্রিস সেই লোকটিকে তার জমা দেওয়া অ্যাপ্লিকেশন এর ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেন। কিন্তু ভদ্রলোকটি ব্যস্ত থাকায় ক্রিসের প্রশ্নের জবাব ঠিকমতো দিতে পারছিলেন না। তখন কথা বলার জন্য ক্রিস তার ট্যাক্সিতে উঠে পড়ে। এরপর তাদের মাঝে কথা বলার শেষ হওয়ার পর লোকটি ট্যাক্সি থেকে নামিয়ে পড়েন এবং ক্রিস ভাড়া দিতে গিয়ে দেখেন তার কাছে টাকা নেই তখন তিনি ট্যাক্সি থেকে বের হয়ে এক দৌড় দেন। সে দৌড়াতে দৌড়াতে মেট্রোরেলে এসে তার মেডিকেল ডিভাইসটি ফেলে দিয়ে মেট্রোরেলে ভিতরে প্রবেশ করে এরপর সে বাসায় এসে দেখে লিন্ডা ক্রিস্টোফার কে নিয়ে বাড়ি চলে গেছে।
পরেরদিন ক্রিস লিন্ডার কাছে গিয়ে তার ছেলেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে এবং চুক্তি করে যে ক্রিস্টোফার আমার কাছেই থাকবে। এইদিকে ক্রিসের বাড়ির ভাড়া অনেক বাকি পড়ে রয়েছে তখন বাড়ির মালিক তাকে ছোট-বড় অনেক কথা শুনাই এবং বাড়ির খালি করে যেতে বলেসএ বাড়ি রং করবে এবং নতুন ভাড়া দিয়ে দেবে তখন ক্রিস অনেক অনুরোধ করে তাকে বলে আমি এই ঘর রং করব যাতে তাকে এক মাসের ভাড়া দিতে না হয়। ক্রিস যখন তার বাড়ি রং করতে ছিল তখন তার বাড়িতে পুলিশ আসে কারন বেশ কিছুদিন আগে ক্রিস তার গাড়িতে ভুল জায়গায় পাকিং করেছিল।তাতে তার ফাইন হয় । কিন্তু ফাইন এর টাকা তার কাছে না থাকায় তাকে জেলে যেতে হবে তখন ক্রিস খুব চিন্তায় পড়ে যায় কেননা সে জেলে গেলে ক্রিস্টোফারকে কে স্কুল থেকে নিয়ে আসবে। অন্যদিকে পরদিন তার সেই স্টক ব্রোকার অফিসে ইন্টারভিউ আছে। তখন সে খুব চিন্তায় পড়ে যাই। তখন উপায় না পেয়ে ক্রিস অসহায়ের মতো লিন্ডা কে ফোন করে বলে ক্রিস্টোফার কে একদিনের জন্য তার কাছে রাখতে। পরের দিন জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ক্রিস সোজা ইন্টারভিউ দিতে চলে যায় সবচেয়ে মজার বিষয় হলো ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় সে বাড়ি রং করার সময় যে ড্রেস পড়েছিল সেই ড্রেস পরেই এবং তার পুরো শরীর রং লেগেছিল। ক্রিস যখন ইন্টারভিউ দিতে রুমে ঢুকে যায় তখন ইন্টারভিউয়েরা তাকে দেখে অবাক হয়ে যায় তখন এই অবস্থা কেন জানার জন্য প্রশ্ন করে তখন তাদের প্রশ্নের উত্তর খুব সুন্দর ভাবে দেওয়াতে তারা সবাই তাকে ইন্টার্নশিপের জন্য মনোনীত করে ।
ক্রিসের এই ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামটি ছয় মাসের জন্য কিন্তু এই ছয় মাসে তাকে কোন ধরনের বেতন দেওয়া হবে না। বিনা বেতনে তাকে কাজ করতে হবে এবং কাজ শেষে যে সে চাকরি পাবে সে নিশ্চয়তাও নেই। ছয় মাস পর যদি পরীক্ষায় পাস করে তাহলে কোম্পানি তাকে সিলেক্ট করবে কিন্তু এত জনের মধ্যে মাত্র একজন কেই কোম্পানি সিলেক্ট করবে। অন্যদিকে এভাবে বেশ কিছুদিন পার হয়ে যায় ক্রিস কে বাড়ি মালিকের শর্ত অনুযায়ী বাসা ছেড়ে দিতে হয়। সে সব জায়গায় বাসা দেখে কিন্তু তা থাকার একটু জায়গা হয় না তখন সে নিরুপায় হয়ে খুব কষ্টের একটি জায়গা পায়। এদিকে ক্রিসকে সব সময় ৯ ঘন্টার কাজ ৬ ঘন্টায় করতে হয়। কেননা তার ছেলেকে দেখতে হতো আবার তার মেডিকেল ডিভাইসগুলো বিক্রি করার তাঁকে টাইম বের করতে হয়। সে অফিস শেষে তার মেডিকেল ডিভাইসগুলো বিক্রি করার জন্য বিভিন্ন ডাক্তারদের চেম্বার এ ঘোরাফেরা করে কিন্তু তার একটি ডিভাইস বিক্রি হচ্ছে না অনেকদিন ধরে। ক্রিস সময়ের প্রতি এতটাই সচেতন ছিল যে সে যখন অফিসে কাজ করতো তখন জল পর্যন্ত খেত না কেননা সে যদি জল খেতে যেত তাহলে তার সময় অপচয় হত। এর বেশ কিছুদিন পরে ক্রিসের জীবনে সবথেকে দুর্দিন নেমে আসে । সরকার থেকে ক্রিসের কাছে একটি চিঠি আসে। যে, সে অনেকদিন ধরে ট্যাক্স দেয় না। তখন তার সমস্ত ব্যাংক একাউন্ট সরকার জব্দ করে নেয় । ক্রিস এই সময় তার ভেতর থেকে পুরোটা ভেঙ্গে পড়েছিলেন । একইসঙ্গে নতুন বাড়ির মালিক তাকে বাড়ি ভাড়া দেওয়ার জন্য তাগিদ দেওয়া শুরু করছিল। একদিকে ক্রিসের চাকরির কোন নিশ্চয়তা নেই ,খাবার পয়সা টুকু তার কাছে নেই। তার এসব কষ্ট তার ছোট্ট ছেলেকে তার সাথে সাথে সহ্য করতে হচ্ছে এটা ভেবে সে খুব কষ্ট পায় যে। সে তার সন্তানের জন্য কিছুই করতে পারছ না তাকে উন্নত জীবনের ছোঁয়া দিতে পারছে না। পরের দিন ক্রিস যখন অফিস থেকে বাড়ি ফেরে তখন দেখে তার সমস্ত জিনিসপত্র বাইরে বের করে রাখে বাড়ি মালিক তার রুমে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। তখন ক্রিস একপ্রকার বাধ্য হয়ে থাকার কোনো জায়গা না পেয়ে হাটতে হাটতে মেট্রো স্টেশনে চলে আসে। কোন উপায় না পেয়ে ক্রিস্টোফার কে নিয়ে সে মেট্রোরেলের এক বাথরুমে রাত কাটায় এবং সেখানেই ক্রিস্টোফার ঘুমিয়ে পড়ে।
সব দিক থেকে যখন ক্রিসের জীবনে বিপদ নেমে আসছিল ।তখন সামনে থাকার জন্য পাশে একটি চার্চ ছিল এবং সেখানে থাকার জন্য বিশাল সিরিয়াল দিতে হতো এবং সেখানে মাত্র একদিন থাকা যাবে কেননা পরদিন থাকার জন্য তাকে আবারো সিরিয়াল দিয়ে রুম নিতে হবে । সেখানে প্রচুর লোকজন থাকতে আসে ক্রিসের মত যাদের থাকার কোনো জায়গা নেই। তাই তাকে সময় মতো সেখানে আসতে হতো না হলে সেই থাকার জায়গা টুকুর তাকে হারাতে হবে এই ভেবে সে অফিসের কাজ গুলোকে আরো দ্রুত করার চেষ্টা করে যাতে সে এসে সিরিয়াল দিতে পারে। ক্রিস তার ছেলেকে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে সে নিজে সারারাত জেগে জেগে বিভিন্ন কাজ করত তার খারাপ হয়ে যাওয়া একটি মেডিকেল ডিভাইস ঠিক করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করত কেননা এই একমাত্র ডিভাইসটি এখন সম্বল।
সাথে তাকে ইন্টার্নশিপ পরীক্ষার জন্য প্রচুর পড়াশোনা করতে হতো। ক্রিসের যেহেতু থাকার নির্দিষ্ট কোন জায়গা ছিল না তাই প্রতিদিন তাকে তার জিনিস পত্রগুলো অফিসে নিয়ে যেতে হতো। আর এই ভাবেই পিতা-পুত্রের দিন যেতে থাকে। এদিকে ক্রিসের কাছে জমানো সব টাকা শেষ হয়ে যায় আবার তার টাকার ভীষণ প্রয়োজন । তখন ক্রিস তার নিজের রক্ত বিক্রি করা টাকা দিয়ে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে যেটি তার মেডিকেল ডিভাইসটি ঠিক করার জন্য প্রয়োজন ছিল। রাতে মেডিকেল ডিভাইস ঠিক করার জন্য ছেলেকে ঘুম পাড়িয়ে কাজে লেগে যায়। এক পর্যায়ে সে মেডিকেল ডিভাইস ঠিক করে । পরের দিন সে মেডিকেল ডিভাইসটি 250 ডলারে বিক্রি করতে সক্ষম হয়। ক্রিস ডিভাইস বিক্রি করার পরে তার ছেলেকে নিয়ে বিচে ঘুরতে যায় ।সেদিন তারা খুব খুশি ছিল সে ভাবে যে তাদের কয়েকটি দিন ভালো ভাবে কেটে যাবে । সবকিছুর পর সেই মাহেন্দ্রক্ষন এসে যায় তাই ইন্টার্নশিপের ভাইভা। যে দিনের জন্য ক্রিস এতদিন ধরে অপেক্ষা করছিল। সেভাবে যদি সে পরীক্ষায় পাশ করে তাহলে তার জীবন বদলে যাবে আর না হলে তাকে আবার গতানুগতিক জীবনে ফিরে যেতে হবে। পরের দিন ভাইভাতে তার সিনিয়র তাকে প্রশ্ন করে আজ তুমি এত সেজে এসেছ কেন তখন তিনি বলে আজ আমার এই অফিসের শেষ দিন তাই। তখন তার অফিসার বলে কালকে থেকেও তোমাকে এই ড্রেস পরেই অফিসে আসতে হবে। কথাটি শোনার পড় ক্রিসের চোখের জল চলে আসে। এই ভেবে যে তার কষ্টের দিন শেষ হতে চলেছে।
তাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে বেরিয়ে যায় সে ।তখন সে ভাবে নিঃস্বার্থভাবে পরিশ্রম করলে একদিন সফলতা পাওয়া যায় । তখন ক্রিস বাড়ি ফিরে তার ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরে। সিনেমা চলাকালে ক্রিস একপর্যায়ে তার ছেলেকে বলে মানুষ যা নিজে করতে পারেনা তোমাকেও বলবে তুমি তা করতে পারবে না। বাট ইউ হ্যাভ টু ডু। তোমার যদি কোনো স্বপ্ন থাকে তা অর্জন করো। নেভার সে দ্যাট ইউ ক্যান নট ডু ইট। ইউ হ্যাব টু ইট। |
---|
ব্যাক্তিগত মতামত
এই মুভিটি আপনাকে আপনার বাস্তব জীবনের এমন কিছু শিক্ষা দেবে যা আপনি কখনো ভুলবেন না। কষ্টের মধ্যে জীবনকে কিভাবে লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় তা আপনি এই মুভি না দেখলে বুঝতে পারবেন না। একজন মানুষ তার জীবনের সবকিছু শেষ হওয়ার পরেও নিজের ছেলেকে উন্নত জীবন দেওয়ার জন্য অদম্য লড়াই করে। এই মুভিতে ক্রিস ততক্ষণ পর্যন্ত পরিশ্রম করে যায় যতক্ষণ পর্যন্ত সে তার সফলতা না পায়। আমরা কি দেখি যখন কোন কাজ করতে চাই লক্ষ্য অর্জন করতে চাই সেই লক্ষ্য অর্জনের পথে যদি ছোট ছোট বাধা আসে আমরা হাল ছেড়ে দেই কিন্তু ক্রিস তার জীবনে শত শত বাধা আসা সত্ত্বেও এক বিন্দুর জন্য হাল ছেড়ে দেয় নি। আপনি যদি জীবনে লক্ষ্য অর্জন করতে চান তাহলে আপনাকে একাগ্রতার সহিত পরিশ্রম করতে হবে ।হাল ছেড়ে দেওয়া যাবে না ।ধৈর্য ধরতে হবে। এছাড়াও এই মুভিতে আমরা পিতা-পুত্রের মাঝে এক ধরনের অসাধারণ ভালোবাসা দেখতে পায় যেখানে পিতা তার পুত্রের কাছে এক মহান আদর্শের নাম।
মুভি | The persuit of happiness |
---|---|
Review | @abidatasnimora |
Photo | ল্যাপটপ থেকে ক্রিনশটের মাধ্যমে |
ব্যাক্তিগত রেটিং | ৮.৫/১০ |
![banner-abb23.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmb8iudwDiWcPoEeCL9ghCV5egjvdDiK7MicfoDPjaNLg4/banner-abb23.png)
![break.png](https://steemitimages.com/640x0/https://images.hive.blog/DQma7eDsaUxzt7EVhxxHm2ePVexWhgcEsgXRUqWRygQYFjW/break.png)
![standard_Discord_Zip.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/standard_Discord_Zip.gif)
আপু আমি এই মুভিটা দেখিনি তবে আপনার রিভিউ পড়ে দেখা হয়ে গেলো। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন রিভিউ অনেক সুন্দর হয়েছে। এভাবেই এগিয়ে যান আপনার জন্য শুভকামনা রইল
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
এই মুভিটা আমি আগে কখনো দেখিনি তবে আপনি যেভাবে উপস্থাপন করেছেন মনে হচ্ছে মুভিটা অনেক বেশি ইন্টারেস্টিং হবে। এমন হলিউড মুভি দেখতে আমি অনেক ভালোবাসি আমার অবসর সময়ে আমি প্রায়ই এমন হলিউড মুভি গুলো দেখতে থাকি। আপনি এই মুভিটা চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে রিভিউ করেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি রিভিউ পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মুভি টা দেখবেন অনেক ভালো লাগবে।
আপু এই মুভিটির নাম আমি বহুবার শুনেছি। পৃথিবীর সেরা পঞ্চাশটি মুভির তালিকা করলে তার মধ্যে এই মুভিটির নাম সব সময় থাকে। ছবিটি না দেখলেও কাহিনীটি বেশ কয়েকবার পড়েছি। আজ আপনার কাছ থেকে আবারও জানলাম। তবে আপনি এত সুন্দর, সহজ সাবলীল ভাবে বর্ণনা করেছেন যা আগে কখনো পাইনি। এক কথায় বলতে হয় আপনি বেশ ভালো রিভিউ করতে পারেন। তাই আপনার পোস্টটি আমি রি স্টিমকরে রাখলাম। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মুভিটি দেখবেন অনেক ভালো লাগবে।
মুভিটির কনসেপ্ট স্ক্রিন পেলে দারুন ছিলো।অনেক আগেই মুভিটি দেখেছি তারপরেও আপনার রিভিউ পড়ে যেনো মনে হচ্ছিল আজকেই প্রথম দেখছি।সুন্দর ছিলো আপনর উপস্থাপনা।
মুভিটা সারা জাগানো একটি মুভি। দেখবেন ভালো লাগবে।
ছবিটির সার্থকতা যেন এখানে এসেছে । ক্রিস জীবনে বহু বাধা-বিপত্তির শিকার হয়েছে কিন্তু তবু সে হাল ছাড়েনি । এখান থেকে মনে হয় আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে । আপনি খুব সুন্দর একটি ছবি রিভিউ দিয়েছেন আপু । আপনার রিভিউটি পড়ে মনে হচ্ছিল যে মুভিটি মনে হচ্ছে দেখা হয়ে গেছে । অস্কার প্রাপ্ত এই মুভিটি আসলেই অনেক ভালো ছিল আপু ধন্যবাদ আপনাকে ❤️
আপনি একদম ঠিক বলেছেন। আমার লাইফের সেরা একটি মুভি।