হলিউড এডভেঞ্চার মুভি রিভিউ ১২৭ hours [10% beneficiaries for @shy-fox

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago (edited)
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভাল আছেন। আমিও বেশ ভাল আছি কারণ আজ থেকে আমার পরীক্ষা শেষ তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে একটি মুভি রিভিউ নিয়ে হাজির হয়ে যায়। যেই কথা সেই কাজ আজ আমি একটি হলিউড অ্যাডভেঞ্চার মুভি রিভিউ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হবো মুভির নাম হচ্ছে ওয়ান টুয়েন্টি সেভেন আওয়ার্স বা ১২৭ ঘন্টা।

Screenshot_20211122-162424.png

মুভির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

মুভি রিভিউ১২৭ ঘন্টা
পরিচালকড্যানি বয়েল
মুক্তির তারিখ৫ নভেম্বর ২০১০
দেশযুক্তরাজ্য ,যুক্তরাষ্ট্র
ভাষাইংরেজি
দৈর্ঘ্য৯৩ মিনিট
নির্মাণ ব্যয়18 মিলিয়ন ইউএস ডলার
আয়৬০ মিলিয়ন ইউএস ডলার
আইএমবিডি রেটিং৭.৫/১০
অনুবাদ৫১ টি ভাষায়

Screenshot_20211122-162539.png

মূল কাহিনী

১২৭ ঘন্টা মুভিটি একটি রোমাঞ্চকর, অ্যাডভেঞ্চার হৃদয় কাঁপানো মুভি। এটি ড্যানি বয়েল পরিচালনায় তৈরি করা হয়েছে। এই মুভিটি একটি সত্য ঘটনাকে অবলম্বন করে তৈরি করা হয়েছে । যার প্রধান চরিত্রে অ্যারন নামে এক দূঃসাহসিক, অভিযাত্রিক ,এর গল্প বলা হয়েছে। গল্পের শুরুতেই আমরা দেখতে পারি অ্যারন নামে এক পর্বতারোহী ক্যানিয়ন ল্যান্ডস ন্যাশনাল পার্কের ভ্রমণ শুরু করেন। তিনি মূলত হ্যাইকিং করতে এক পাহাড়ে যান। পাহাড়ে হাঁটার সময় তার দুই জন মেয়ের সাথে দেখা হয় যাদের নাম ছিল মেগান এবং কৃষ্টি যারা পাহাড়ের পথে রাস্তা হারিয়ে ফেলেছিল। তখন অ্যারন তাঁদের বলে পাহাড় থেকে বের হওয়ার সহজ রাস্তা আমি জানি। তখন কৃষ্টি এবং মেগান অ্যারনের কথায় রাজি হয়ে তার সাথে চলে এবং তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব তৈরী হয়ে যায়।যখন তারা পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে যাচ্ছিল অ্যারন তখন হঠাৎ করেই নিচে পড়ে যায় মেগান এবং কৃষ্টি খুব ভয় পেয়ে যায় এক পর্যায়ে অ্যারন নিচে থেকে জোড়ে চিৎকার করে ওদের আসতে বলে তখন তারা ভাবে নিচে হয়তোবা কোন জলাশয় আছে তাই তারা নিজেরাও ঝাঁপ দেয় ভূগর্ভস্থ জলের মধ্যে পড়ে। তারা অনেক মজা করে অনেকক্ষন ধরে সাঁতার কাটে। একপর্যায়ে সুরঙ্গ পথ দিয়ে অ্যারন তাদের রাস্তা দেখায়। কৃষ্টি এবং মেগান অ্যারনকে তার পার্টিতে যোগ দেওয়ার জন্য দাওয়াত দেয়। এর পর তারা বিভক্ত হয়ে যায় এবং অ্যারন হ্যাইকিংয়ের পথ বেছে নেয়। অ্যারন যখন ভুল জন ক্যানিয়ন এর পাহাড় ও গিরি সংকট পথে যাত্রা শুরু করে হঠাৎ তার পা পিছলে নিচে পড়ে যায় এবং তার হাতের ওপর এক বিশাল পাথর খন্ড আটকে যায়। সে তখনো বুঝতে পারছিল না কি হচ্ছে যখন সে বুঝতে পারলো পাথরের নিচে তার হাত চাপা পড়েছে সে অনেক চেষ্টা করল হাত সরিয়ে নিতে পারল না।

Screenshot (188).png

গল্পের হৃদয়বিদারক ঘটনা গুলো এখানেই শুরু এখান থেকে কিভাবে বেঁচে ফিরে আসবে সেই গল্পই আপনাদের জানাবো। হাত আটকে পড়ার পর সে অনেক চিৎকার করে কিন্তু সে এত নিচে খাদের ভিতরে আটকা পড়েছে তার আওয়াজ পাহাড়ের চুড়া পর্যন্ত পৌঁছানো সম্ভব ছিল না। এক পর্যায়ে তার কৃষ্টি আর মেগানে কথা মনে পড়ে যায়। তার ব্যাগ থেকে সম্পূর্ণ জিনিসপত্রগুলো বের করে সেই পাথরের ওপর রাখে কারণ সে দেখতে চাই তার কাছে কি কি সামগ্রী রয়েছে কিন্তু তেমন কোনো জিনিসই নেই। অ্যারন দেখতে পায় তার কাছে একটি ছোট ছুরি রয়েছে আর সেই ছোট ছুরি দিয়ে পাথরটাকে ভাঙতে শুরু করে যেহেতু অ্যারনের ডান হাত চাপা পড়ে যায় তাই বা হাত দিয়ে কাজ করতে তার খুব অসুবিধা হয় কিন্তু অনেকক্ষণ চেষ্টা করার পরেও সেই পাথরের একটু খানি অংশ ভাঙতে পারেনা । হঠাৎ তার হাত থেকে ছুরি নিচে পড়ে যায় কিন্তু অ্যারন তার হাত দিয়ে ছুরি তুলতে পারছে না কারণ তার ডান হাত আটকে থাকার কারণে সে মাটিতে নাগাল পাচ্ছে না ।একটা লাঠি দিয়ে তার পা এর সাহায্যে অনেক কষ্ট এই ছুরিটা
তুলে নেয়। ছুরি তুলে নিয়ে আবার চেষ্টা করতে থাকে কিন্তু তার সমস্ত চেষ্টা বিফলে যায়। আসলে এই পাথর টা অনেক শক্ত আর ছুরিটি খুব ছোট। এর পর তার খুব তৃষ্ণা পায় সে বোতল থেকে খুব অল্প কিছু জল খায় কারণ সে জানে তার কাছে শুধুমাত্র ৩০০ এম এল জল রয়েছে। আর এজন্য সে খুব যত্নসহকারে একটু একটু করে জল খাচ্ছে সারাদিন এভাবে চেষ্টা করার পরও এই পাথরের একটুখানি অংশভাগ ভাঙতে পারে না। এইভাবে দিন শেষে রাত চলে আসে সে তার খাবারে কিছু অংশ খেয়ে বাকি অংশটুকু রেখে দেয়। অ্যারন তার সাথে থাকা ফিতা কে পাথরের সাথে নিজেকে কোনোভাবে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখে এই ভাবে তার সমস্ত রাত্রি কেটে যায়। ইতিমধ্যে সে ২৫ ঘন্টা অতিবাহিত করেছে। অ্যারন এর কাছে ক্যামেরা ছিল সে তার ক্যামেরা দিয়ে সবকিছু ভিডিও করা শুরু করলো । সে মনে মনে বলতে থাকে আমার কাছে শুধু মাত্র সাড়ে ৩০০ এমএল জল আছে কালকের বেঁচে থাকার জন্য ,আছে একটু খাবার। আমি জানিনা এখানে কতক্ষণ সার্ভাইভ করতে পারব আর এই সব রেকর্ড করতে করতে অ্যারন উপর থেকে কিছু চিৎকার শুনতে পায় আর সেটা শুনে আরো জোরে জোরে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে থাকে কিন্তু এই চিৎকার কেউ শুনতে পায়না। আসলে সেখানে কোন মানুষ থাকেই না ।এইভাবে অ্যারনের আজকের সারাটা দিন কেটে যায় ।

রাত্রিবেলা তার বেঁচে থাকার খাবারগুলি যখন খেতে থাকে তখন অ্যারনের মনে পরে আজকে আমার কৃষ্টি এবং মেগানের পার্টিতে যাওয়ার কথা ছিল। এবং অ্যারন সেই পাটির কথা কল্পনা করতে থাকে অ্যারন কল্পনায় সেই পার্টি তে গেছে। সেখানে গিয়ে আরণ বিয়ার, কোলড্রিংস খাচ্ছে। এখন এটাও মনে করেছিল যে সে যখন হাইকিংয়ে আসছিল তখন তার মাকে ফোন করে জানায়নি। তখন সে ভাবতে থাকে আমি যদি মাকে ফোন করে জানাতাম তাহলে তার মা এতক্ষণ এখানে খুঁজতে চলে আসতো আবার যখন জিনিসপত্র কিনতে ছিলাম দোকানদারকে যদি বলে আসতাম তাহলে আমি কোথায় আসতেছি সেটা সবাই জানত । এসব ভাবতে ভাবতে এখন ঘুমিয়ে পড়ে পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে সে একটি রশি দিয়ে একটি কুলির মতো বানায় সেই বড় পাথর সাথে বেঁধে সে সেটাকে তোলার চেষ্টা করে। সে তার সমস্ত শক্তি সেই রশির উপর দিয়ে দেয় কিন্তু তার পরেও সে পাথরটাকে একটু নাড়াতে পারে না। আসলে সেই পাথরের ওজন ছিল প্রায় সাড়ে ৩০০ কেজি। এত চেষ্টা করার পরেও অ্যারনের সব চেষ্টা গুলো বৃথা হয়ে যায় । অ্যারন যখন জল খেতে চায় সে দেখে তার জল শেষ হয়ে গেছে। অ্যারনের তখন প্রসাব পায় সে তার সমস্ত প্রস্তাবগুলো বোতলে ভরে রাখে। অ্যারন এখানে তিনদিন ধরে আটকে আছে। তার কাছে কোন খাবার নেই যা ছিল সব শেষ হয়ে গেছে। অ্যারন কোন উপায় না পেয়ে তার হাত কাটার সিদ্ধান্ত নেয়। এজন্য সে তাঁর হাতকে শক্ত করে বেঁধে নেয়। বেঁধে নেওয়ার পর সে তখন তার ছোট্ট ছুরি দিয়ে হাত কাটতে থাকে তখন সে তার হাত কাটতে পারে না কারণ পাথর কাটতে কাটতে তার ছুরিটি ভোঁতা হয়ে গেছে। এখন হাতের চামড়া পর্যন্ত কাটেনা। অ্যারন তখন রেকর্ড করছিল আর বলছিল তোমরা কখনো চায়নার সস্তা জিনিস কেনোনা কারণ সেগুলো একদম ইউজলেস হয় দরকারের সময় কোন কাজে আসে না। আর এরপর অ্যারন তার কাটানো অতীতের কথা ভাবছিলোজ সে তার মা-বাবার কথা ভাবছিল , তার বোনের কথা ভাবছিলো, সে তার এক্স-গার্লফ্রেন্ডের কথা ভাবছিল, এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ সেখানে বৃষ্টি আসে। যেহেতু অ্যারনের কাছে কোন জল ছিলনা তাই সে বৃষ্টির পানি বোতলে ভরে নেয়। কিন্তু বৃষ্টি এত জোরে আসতে শুরু করছে যে একপর্যায়ে পাহাড়ের ঢাল বেয়ে বৃষ্টি আসতে শুরু করে । অ্যারন সেই বৃষ্টির পানিতে ডুবে যায় আর যেহেতু জলের মধ্যে কোন জিনিসের ওজন কম মনে হয় তাই জলের মধ্যে থাকা পাথরটিকে খুব সহজেই সরিয়ে ফেলতে পারে । সেই পাহাড় থেকে বেরিয়ে দৌড় দেয়। দৌড় দিয়ে সোজা তার গাড়িতে চলে আসে। সেই গাড়ি নিয়ে তাকে বাড়ির দিকে চলে আসে। কিন্তু আসলে অ্যারন দেখতে পায় সে সেখানেই আছে অর্থাৎ সম্পূর্ণ ছিল তার স্বপ্ন। অ্যারন জোরে জোরে চিৎকার করে সাহায্য চাইতে থাকে কিন্তু কেউ তাকে সাহায্য করার জন্য আসে না এক পর্যায়ে অ্যারনের হ্যালুসিনেশন হতে থাকে । সেখানে কোনো কিছু না থাকা সত্ত্বেও অ্যারন আজব আজব জিনিস দেখতে পায়। অ্যারন এখানে চারদিন ধরে আটকে আছে, না আছে কোন খাবার, না আছে কোন পানি। এমন অবস্থায় হ্যালুসিনেশন হওয়াটাই স্বাভাবিক । পরেরদিন অ্যারন আবার চেষ্টা করতে থাকে সেখান থেকে বের হওয়ার এবং এবার সে তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে তার হাত না কেটে সোজা তার হাতে মাংস পেশির ভিত্তি ডুকে দেয় আর সোজা হাড়ে সাথে লেগে যায় । অ্যারন এর বেশি আর কিছু করতে পারে না কারণ তার করা শক্তি নেই আগের থেকে অনেক দুর্বল হয়ে গিয়েছে টানা ৫ম দিন সেখানে আটকে আছে। অ্যারন বুঝতে পারে সে আর বাঁচবে না তাই পাথরের গায়ে রেস্ট এন্ড পিস লিখে রাখে তারিখ ও তার নামসহ । অ্যারন তার ভবিষ্যত ভিশন চিন্তা করে, ভবিষ্যতের ছেলের সাথে দেখা করে, সে খেলাধুলা করছে তার ছেলের সাথে এসব ভাবতে ভাবতে তার ভিতরে এক অজানা শক্তি চলে আসে। সেই শক্তির জোরে তার হাত এক ঝটকায় ভেঙ্গে ফেলে এখন সে চাকু দিয়ে তার হাতের মাংস পেশী গুলো কাটতে থাকে। এই কাজটি করতে সে ভীষণ কষ্ট পায় তার পরেও অ্যারন তার হাত কেটে ফেলে। অ্যারন তাঁর হাতকে শরীর থেকে আলাদা করেছে সেই সাথে পাথরের সে সম্পূর্ণ মুক্তি পেয়েছে।

Screenshot (208).png

সে কিছুক্ষণের জন্য হতবাক হয়ে যায় সে বুঝতে পারে না তার সাথে কি ঘটল। এরপর সে তার ক্যামেরা দিয়ে হাত পাথরের একটি ছবি তুলে নেয়। অ্যারন তার হাত খুব শক্ত করে বেঁধে পাহাড় থেকে বেরিয়ে চলে আসে। অ্যারন সেই পাথর থেকে মুক্তি পেলেও এখনো লড়াই শেষ হয়নি। তাকে অনেকটা পথ যেতে হবে এই ফাঁকা পার্বত্য অঞ্চলের মধ্য দিয়ে।এই পর্যায় দেখতে পায় এক জায়গায় বৃষ্টির জল জমে আছে। সেই বৃষ্টির জল গুলো নর্দমার জলের থেকেও নোংরা । তার পরেও অ্যারন পেট ভরে সেই জল গুলো খেয়ে নিয়ে হাঁটতে থাকে। অনেকটা পথ কষ্ট করে হাঁটার পর তার সাথে ৩জন হাইকার দেখা হয়। কারণ তাদের কাছে হেল্প চাইলে তারা দ্রুত মেডিকেল টীমের সাথে যোগাযোগ করে। খুব দ্রুত একটি হেলিকপ্টারে এসে অ্যারন কে নিয়ে যায়।অ্যারন এর কিছুদিন পরে আরো স্বাভাবিক হয়ে যায় আর এরপর এটাও দেখানো হয়েছে যে তার ভিশনে যে ছেলেকে দেখে ছিল সেটা আসলেই তার ছেলে । তিন বছর পর বিয়ে হয় এবং তার ঘরে একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। অ্যারন সেই দুর্গম হ্যাকিং থেকে বেঁচে ফিরে আসার পরেও তার মনোবল একটু ভাঙ্গেনি। এখনো অ্যারন বিভিন্ন দুর্গম জায়গায় ভ্রমণ করতে থাকে। ছবিটিতে দেখা যায় আর অনেক ইন্টারভিউতে বলে সে যদি তার প্রথম দিনই চাকু দিয়ে তার হাত কেটে ফেললে তার শরীর থেকে এত রক্ত বের হয়ে যেত যে সে সেখানে মারা যেত। আবার সেই দিনই যদি অ্যারন তার হাত কেটে বেরিয়ে না আসতো তাহলে সে পিপাসা ও ক্ষুধার জন্য মারা যেত। আর যেহেতু সে পাঁচ দিন ধরে সেখানে আটকে ছিল পাথরের মধ্যে তাই তার হাতে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল হাতে তাত শরীরটাও দুর্বল হয়ে গিয়েছিল। তার হার্ট রেট অনেক কমে গিয়েছিল। আর এজন্যই সেদিন হাত কাটার পর খুব একটা বেশি রক্ত বের হয়নি। সিনেমা শেষ অংশে দেখানো হয় অ্যারন কষ্টের মধ্য দিয়ে জীবন বাঁচিয়ে নিয়ে আসার পরেও সমস্ত জায়গায় হাইকিং এ যায় কিন্তু এখন সে যেখানেই যায় না কেন বাড়িতে একটা নোট রেখে যায়।

Screenshot (205).png

শিক্ষা

এই মুভি থেকে আমি কিছু জিনিস খুব ভালো করে শিখতে পেরেছি সেটি হচ্ছে ধৈর্য ।বিপদে অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং বিপদ থেকে বের হয়ে আসার জন্য আপনাকে সব ধরনের চেষ্টা করতে হবে। আর যে বিষয়টি আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা যখন বাড়ি বাহিরে কোথাও হাইকিংয়ে বা ঘুরতে যাব অবশ্যই বাড়িতে জানাতে হবে তাহলে কখনো বিপদে পড়লে যাতে আমাদের উদ্ধার করতে পারে ।এই মুভির প্রতিটি অংশ ছিল বেদনাদায়ক এবং বেঁচে ফেরার গল্প।

Screenshot_20211122-162439.png

নিজস্ব বক্তব্য

আমি যখন এই মুভিটি দেখতে বসেছিলাম প্রথমে আমাকে খুব ভাল লেগেছিল কিন্তু পরক্ষনেই স্ক্রিন থেকে আমি আমার চোখ ফেরাতে পারিনি কারণ যখন পাথর চাপা পড়ে শত চেষ্টা করেও সে তার হাত বের করতে পারেনা। তখন আমি ভেবেছিলাম অসাধারণ কিছু অপেক্ষা তার খাবার শেষ হয়ে যায়, তার পানি শেষ হয়ে যায় ,একপর্যায়ে সে তার প্রসাব খেয়ে নেয় । প্রতিটি মুহূর্ত বেঁচে থাকার জন্য, লড়তে হয় দিনের পর দিন তাকে সংগ্রাম করতে হয় একপর্যায়ে সে দ্বার বধূয়া ছুরি দিয়ে তার হাত কাটতে থাকে কিন্তু তার হাতে চামড়াও কাটতে পারে না তখন সে বিভিন্ন চেষ্টা করে পাথর সরানোর চেষ্টা করে কিন্তু পারে না এবং এই সবকিছু সে তার ভিডিও ক্যামেরা তে রেকর্ড করছিল । সে এক পর্যায়ে বেঁচে থাকার সব আশা ছেড়ে দিয়েছিল সে তার কল্পনায় তার পরিবার তার আত্মীয় স্বজনকে দেখতে ছিল। যাকে আমরা বলি হ্যালুসিনেশন। এক পর্যায়ে সে তার হাত ভেঙ্গে ফেলে এবং চাকু দিয়ে তার মাংসপেশিগুলো কেটে দেয় এই মূহুর্ত ছিল অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও মর্মাহত। তার শরীরের সব রক্ত শুকিয়ে গেছে হাত কাটার সময় তার হাত থেকে এক ফোটা রক্ত বের হয় নাই এক পর্যায়ে হাত এবং দেহ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সে তার ছবিটি ক্যামেরা বন্দি করে রাখে সেখান থেকে বের হয়ে এসে নর্দমা থেকে নোংরা জল খেয়ে নেয় তারপর সে তিনজন কে দেখতে পায় এবং তাদের কাছ থেকে হেল্প চাই তাড়াতাড়ি হেল্প করে তারা । এই গল্পে আপনি একজন দুঃসাহসী অভিযাত্রী বেঁচে ফেরার গল্প জানতে পারবেন কিভাবে দুর্গম পথ থেকে ১২৭ ঘন্টা না খেয়ে বেঁচে ফিরে আসতে হয়। যা আপনাকে প্রতিটা মুহূর্ত নাড়া দিয়ে যাবে। মুভিটির প্রতিটি বাঁকে বাঁকে গেঁথে আছে জীবন সংগ্রামের গল্প যে গল্প আপনাকে অনুপ্রেরণা দেবে, আপনাকে শক্তি যোগাবে বিভিন্ন বিপদে ।তবে যদি ভ্রমণের সময় তার মাকে বলে আসতো সে কোথায় যাচ্ছে তাহলে হয়তো এই দিনটা দেখতে হতো না। কেননা সে যখন বাড়ি ফিরছিল না সবাই তাকে খোঁজার জন্য বের হতো। আমি বলবো আপনারা যদি কোন অ্যাডভেঞ্চার মুভি বা সার্ভাইবাল মুভি দেখতে চান তাহলে এই মুভি অবশ্যই দেখবেন।

মুভি লিংক এখানে

ব্যাক্তিগত রেটিং ৯/১০

মুভি রিভিউ১২৭ ঘন্টা
রিভিউ করেছেন@abidatasnimora
ছবিল্যাপটপ থেকে স্ক্রিনশটের মাধ্যমে।

3W72119s5BjVs3Hye1oHX44R9EcpQD5C9xXzj68nJaq3CeJJwaZsefPk1zN6fEAs7MdkdJfudjGmTTgEGoGzxsz4JfVM6eKjD5LC9K3xQyuVYFwkWACxsp.png

Sort:  
 3 years ago 

হলিউড মুভি খুব একটা দেখা হয় না। তবে আপনার এই মুভির রিভিউটা পড়ে খুব ভালো লাগলো। একটা অ্যাডভেঞ্চার এবং ভালো একটি শিক্ষার ব্যাপার আছে এই মুভিতে। মুভিটা আমি অবশ্য দেখার চেষ্টা করব। আপনি ঠিকই বলেছেন বিপদে ধৈর্যধারণ করাই বুদ্ধিমানের কাজ। অনেক ভালো ছিল মুভি রিভিউ টা।

 3 years ago 

দেখবেন ভালো লাগবে আপনার। অসাধারণ একটি মুভি।

 3 years ago 

আসলে এই মুভিটি দেখা হয়নি কিন্তু ইউটিউবে এই মুভিটার রিভিউ দেখেছিলাম। অসম্ভব সুন্দর অ্যাডভেঞ্চার মুভি এটি।

আপনার এই মুভিটি রিভিউ টি যদিও পুরোটা পড়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। তবে অর্ধেকের বেশি পড়ে ফেলেছি। খুবই সুন্দর করে আপনি সম্পূর্ণ মুভির ঘটনা গুলো বর্ণনা দিয়েছেন।

 3 years ago 

মুভিটি দেখার সময় আমি নজর সরাতে পারিনি ভাইয়া। বাঁচার জন্য কত সংগ্রাম করে একটা মানুষ তা এই মুভি না দেখলে বোঝা যাবেনা। ধন্যবাদ আপনাকে রিভিউটি মনোযোগ পড়ার জন্য।

 3 years ago (edited)

এই মুভিটি আমার দেখা হয়নি তবে আপনার রিভিউ দেখে মনে হচ্ছে দেখতেই হবে।
আর আপু আপনি পোস্ট এডিট করে মাঝের হাত হাটা ছবিটি ডিলেট করে দিন। কারণ অনেকের ই সমস্যা হতে পারে। আর এর পরের বার থেকে এমন কিছু ব্যবহার করলে ট্যাগ প্রোপারলি দিয়েন। nsfw ট্যাগ ব্যবহার করিয়েন।
আপনি ছবিটি ডিলেট করে আমাকে জানাইয়েন আপু।

 3 years ago 

ধন্যবাদ আপু। nsfw ট্যাগ সম্পর্কে জানতাম কিন্তু অনেক রাতে পোস্ট করেছি জন্য মনে ছিলনা।আমি ঠিক করে নিয়েছি। 😊😊🙏

 3 years ago 

এর পরের বার থেকে খেয়াল রাখলেই হবে আপু, অসংখ্য ধন্যবাদ।

 3 years ago 

এই মুভি টি আমি বহু দিন আগে দেখেছি । ও যখন আটকা পরে যায় তখন ঝিমুনির মধ্যে একটি স্বপ্ন দেখে যে বৃষ্টি হয়ে নালা টি ভরে গেছে আর ও পাথর সরিয়ে বের হয়ে আসে। কিন্তু পরে দেখতে পায় সেটা স্বপ্ন ছিল। সত্যি দারুন একটা মুভি। যদিও শেষে হাতটি কাটতে হয়। তবু সে প্রান নিয়ে বেচে যায়। সুন্দর একটি মুভির রিভিউ দিয়েছেন। ধন্যবাদ।

 3 years ago 

একদম ঠিক বলেছেন। অসাধারণ একটি মুভি। ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 57297.27
ETH 3101.41
USDT 1.00
SBD 2.41