আমার বাংলা ব্লগ - একটু হাসি || কৌতুক সপ্তাহ -২১
আমার বাংলা ব্লগের আরো একটি নতুন আয়োজন- এবিবি একটু হাসি’তে সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা একটু ভিন্ন ধরনের উদ্যোগ, মনের উচ্ছ্বাসে প্রাণ খুলে হাসার আয়োজন। যেখানে সবাইকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহের একটা দিন একটু অন্য রকমভাবে কৌতুকের সাথে আনন্দ করার প্রয়াস চালানো হবে। নিজেকে একটু অন্য রকমভাবে প্রকাশ করতে হবে, সবাইকে নিজের কথায় কিংবা কৌতুকে মাতিয়ে রাখতে হবে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতি সপ্তাহে পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে যারা এই আয়োজনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার পরিচয় দিবে এবং মজার কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করবে, পুরস্কারের ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহের বুধবার এবিবি একটু হাসি পোষ্ট শেয়ার করা হবে, যেখানে প্রতি সপ্তাহে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নির্বাচন করা হবে। আপনারা সেই বিষয়টির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজের মতো করে কৌতুক অথবা মজার কোন হাসির অনু গল্প শেয়ার করবেন। এখানে মূল উদ্দেশ্য থাকবে হাসি, এমন কিছু শেয়ার করতে হবে সবাই যেন প্রাণ খুলে হাসার সুযোগ পায়। সেটা আপনার নিজের হতে পারে কিংবা সংগৃহীত হতে পারে, তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়মের ভিতর থাকতে হবে, যেন কপিরাইট এর বিষয়টি সামনে আসতে না পারে।
আমাদের জীবনে মজার নানা ঘটনা রয়েছে, যেখানে হাসির একটা বিষয়ও সংযুক্ত রয়েছে। যেগুলো স্মরণ হলে এখনো আমরা মনে মনে হাসি অথবা লুকিয়ে হাসার চেষ্টা করি। আমরা আড়ালে থাকা সেই বিষয়গুলোকে সম্মুখে আনতে চাই এবং সকলের সাথে তা শেয়ার করার মাধ্যমে একটু অন্য রকমভাবে দিনটি উপভোগ্য করতে চাই। কৌতুকের ব্যাপারে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, কৌতুক মোটেও কপিরাইটেড না। তবে সেটা সংগৃহীত পুরনো কৌতুক হবে, যদি ক্রিয়েটিভ কৌতুক হয় যেটার লেখকের নাম জানা আছে সেটা কপিরাইটেড। আশা করছি বিষয়টি পরিস্কার এখন।
আজকের বিষয়ঃ
বিয়ে বাড়ি নিয়ে মজার কোন কৌতুক বা হাসির অনু গল্প।
বিষয় নির্বাচনকারীঃ
অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প সর্বোচ্চ ৭৫ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
- একজন ইউজার শুধুমাত্র একটি কৌতুক/হাসির অনু গল্প শেয়ার করতে পারবে।
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প অবশ্যই উপরের বিষয়ে সাথে সামঞ্জস্য/সংযুক্ত থাকতে হবে।
- এডাল্ট কিছু শেয়ার করা যাবে না, তবে সকলের সাথে ভাগ করে নেয়া যায় সেই ধরনের কিছু শেয়ার করা যাবে।
- পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
১ম বন্ধু: জানিস, বিয়ে বাড়িতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পায় কে?
২য় বন্ধু: মেয়ের বাবা-মা।
১ম বন্ধু: আরে না।
২য় বন্ধু: তাহলে কে?
১ম বন্ধু: জামাই।
২য় বন্ধু: কেন?
জামাই কষ্ট পায় কেন?
১ম বন্ধু: কারণ সুন্দর সুন্দর মেয়ে দেখে আর ভাবে, এতদিন এগুলো কই ছিল?
হিহি... ভাই এটা কি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বললেন নাকি?
না ভাই,আমার বন্ধুর বিয়েতে গিয়ে এই অভিজ্ঞতা।
যাই হোক এরকম অভিজ্ঞতার কথা বিয়ের পর কেউ তার বউকে বললে তার বউই তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেবে । 🤭🤭
এটা কি আর বলতে হয় ভাই!
আগে মুখে ময়দা মাখা অবস্থায় দেখেনি যে 🤣
হা দাদা,ঠিকই বলেছেন।
হাহাহা।। ঠিক কতা 😜
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
বল্টু,পল্টু আর কেল্টু মাগনা খেতে পছন্দ করে। তাই সেই অনুযায়ী প্রতিদিনের মতো ঢুকে পড়লো এক অনুষ্ঠান বাড়িতে। তারা খাবারের টেবিলে বসে বলছিল,
বল্টু: আমাকে মুরগির রোস্ট বেশি করে দেন আমি কিন্তু বরের দুলাভাই হই।
পল্টু: আমি কিন্তু বরের বন্ধু হই। আমার লেগ পিস চাই। না হলে কিন্তু বরের কাছে বদনাম করব।
কেল্টু: আমি তো এই বিয়ের ঘটকের ছোট ভাই। তাই সবদিক থেকে আমার খাবারের পরিমাণ বেশি হওয়া দরকার। আমার ভাই না হলে তো বিয়েই হতো না।
বাড়ির মালিক: তাদের কথা শোনার পর বাড়ির মালিক বলল আমি কি ভুল করে অন্য বাড়িতে এসে পড়েছি নাকি। আসলে এখানে আমার ছেলের জন্মদিন পালন হচ্ছে।
🤪🤪🤪
হা হা 😄
মাগনা খেতে গিয়ে বিপদে পরে গেছে 😅
এটা সেরা ছিল। হা হা হা....🤣
এখন থেকে দেখেশুনে ট্রাই মারতে হবে দেখতেছি। 🤣
ছেলেপক্ষ গেছে মেয়ে পক্ষের বাড়িতে। কথাবার্তার এক পর্যায়ে ছেলে- মেয়েকে একান্তে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হল।
মেয়ে : তো, কি সিদ্ধান্ত নিলেন..?
ছেলে : সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমার একটা ইচ্ছা আছে।
মেয়ে : কি ইচ্ছা..?
ছেলে : আপনার সাথে একবার বৃষ্টিতে ভিজবো।
মেয়ে : উফফ ! আপনি কি রোম্যানটিক।
ছেলে : ইয়ে, আসলে ব্যাপার সেইটা না। ব্যাপার হল,
আপনি যেই পরিমান মেক-আপ করেছেন, বৃষ্টিতে না ভিজলে আপনার আসল চেহারা দেখা যাবেনা।
আমাদের হাফিজ ভাই আপনার এই কৌতুকটা খুব পছন্দ করবেন। 🤣
হা হা এটা অস্থির ছিল😄😄😄
বিশাল বুদ্ধি। কাজে দিবে সিওর। 😅
বর আর বরের বন্ধুরা আলোচনা করছে
প্রথম বন্ধুঃভাই ঐ সবুজ শাড়ি পড়া মেয়েটা আমার।
দ্বিতীয় বন্ধুঃ নীল শাড়ি পড়া মেয়েটা আমার।
তৃতীয় বন্ধুঃ ভাই লাল শাড়ি আমার।
বরঃ হারামাজাদা ঐটাই বিয়ের কনে।ওকে তো অন্তত ছেড়ে দে।
এরই মাঝে দেখা গেল একজন ছেলে কান্না করছে।তখন একজন বলল ভাই আপনি কি কনের ভাই?
অচেনা লোকঃ না ভাই, আমি সেমি ফাইনাল খেলে হেরে গেছি,তাই ফাইনাল দেখতে এসেছি।
অত্যন্ত গভীর অনুভূতি লুকিয়ে আছে সেমি ফাইনাল খেলে হেরে যাওয়ার মধ্যে 🤭🤭
একদম ভাই একদম।
এই সেরেছে 🤓
বিয়ে বাড়িতে ছোট বোন আর বড় বোনের মাঝে কথোপকথন..
ছোট বোন:- আচ্ছা আপু বিয়ের সময় মেয়েরা শশুর বাড়িতে যাওয়ার সময় এত কাঁধে কেন..?
বড় বোন:- কাঁধবে না এতদিন প্রেম করছে হ্যান্ডসাম হ্যান্ডসাম পোলার লগে আর এখন বিয়ে হয়ছে টাকলা র্মাকা আঙ্কেলের লগে, হি হি হি।🤣🤣🤣
রহিম তার বন্ধুর বাড়িতে বিয়ে খেতে যাচ্ছিল।
বিয়ে খেতে যাওয়ার সময় পথে একটা মরা লোককে দেখতে পেল ।মরা লোকটিকে একবার ভালো করে দেখে সে বিয়ে খেতে চলে গেল।বিয়ে বাড়িতে গিয়ে তার বন্ধু করিমকে বলতেছে
রহিম: জানিস তোদের বাড়ি আসার সময় একটা লোককে দেখতে পেলাম, লোকটা একদম তোর মত কিন্তু মরে গেছে।
করিম: (অবাক হয়ে) হায় হায়, কি বলিস লোকটা কি খাটো ছিল।
রহিম: হ্যাঁ লোকটি খাটো ছিল।
করিম: হায় হায়,লোকটার কি নাক বোচা ছিলো?
রহিম:হ্যাঁ দোস্ত, লোকটার নাক তো বোচা ছিল।
করিম: কি বলিস তুই,,লোক টা কি টাক ছিল?
রহিম: হ, দোস্ত টাক ছিল ।
করিম: হায় হায়,লোকটার কি সামনের একটা দাঁত পড়া ছিল নাকি?
রহিম: না,, সামনের দাঁত তো পড়া ছিল না।
করিম: (একটু স্থির হয়ে) ওরে বাঁচা বাঁচছি তাহলে। তাহলে ঐ লোক টা আমি না,তুই তো আমারে ভয় পাওয়াই দিছিলি।আমি তো ভাবছিলাম ওই মরা মানুষ টা আমি,😒যাক বাবা বাচলাম।😀
এক ভদ্রলোকের বাড়ির পাশে বিয়ে হচ্ছে! ভদ্রলোকের অনেকদিনের খায়েশ বিয়ে খাবে! শেষ কবে বিয়ে খেয়েছিল মনেও নেই! সুন্দর পাঞ্জাবী পরে ভদ্রলোক রেডি বিয়ে খেতে যাবে! বিয়েতে বর ও কনে পক্ষ দুপক্ষই উপস্থিত! যেহেতু মেয়ের বাড়িতে বিয়ে খেতে যাবে তো ভাবলো সবার শেষে বসে খাওয়া দাওয়া করি! যখন খেতে বসলো তখনই হলো বিপদ! একজন এসে জিজ্ঞেস করলো, "আপনি বরের পক্ষ নাকি কনের পক্ষ! " ভদ্রলোকের সোজা উত্তর, "আমি উভপক্ষ! " 😁
হাসতে হাসতে শেষ 🤣
ঘটনা সত্যি, সুমনদা... তবে আমি নিজে এই ঘটনা জানার পর খুব হেসেছিলাম।
এক ইউরোপিয়ান ও এক ভারতীয়র মধ্যে বিয়ে নিয়ে কথা হচ্ছে ... এক ভারতীয় বিয়ের অনুষ্ঠানে-
ইউরোপিয়ান : জানো, আমাদের দেশে বিয়ে ই-মেইলে হয়।
ভারতীয়: বাহ্, খুব ভালো কিন্তু আমাদের দেশে বিয়েটা শুধু ফি-মেইলে (ফিমেলের) সঙ্গেই হয়।
😜
ছেলে বল্টুর বিয়ে দেবে গদা গোসাই তবেই কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া হলো উদ্দেশ্য।
বল্টুর বিয়ে ঠিক হয়েছে দূর গ্রামে।
যথেষ্ট খাতির করছে মেয়ে পক্ষের লোকজন। যেটাই দিচ্ছে সেটাই নাকি ভালো হয়নি 😕 এই বলে মুখে পুরে গোগ্রাসে গিলে চলেছে গদা গোসাই।
মেয়র বাবা এসে প্রতিটি খাবার দিতে থাকলো বেয়াই মশাই এটা খান ওটা খান সব খেয়ে চলেছে তবে মুখ ভীষণ ভার করে। মনে হচ্ছে হাতির মতো খাবার খাচ্ছে, ভেতরে ভেতরে গদা কিন্তু বেশ খুশি।
কিন্তু মেয়ে পক্ষের লোকের মন ভীষণ খারাপ।
লোকের মধ্য থেকে একজন মেয়ের বাবাকে বললো ওতো রাক্ষস গদা গোসাই যতই খাবার দেন ও খেয়ে বলবে স্বাদের হয়নি।
এবার মেয়ে পক্ষ বিয়ে না দিয়ে দুটো হাড়ি গলায় ঝুলিয়ে বিদায় করে দিলো 😂