গল্পঃ আকাশের আনিকা- পর্ব ৪

হ্যালো স্টিমিয়ানস,
সবাই কেমন আছেন? আশা করছি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনার সকলেই অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহ তায়ালার কৃপায় অনেক ভাল আছি ।

আজ আবারো নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। আকাশ এবং আনিকার প্রেমের গল্পের তিনটি পর্ব ইতিমধ্যে পোস্ট করা হয়ে গেছে, এটা আমার লেখা গল্পের চতুর্থ পর্ব।

আমি এর আগের পর্বেও এটা আপনাদের বলেছি আমার এই গল্পটি কোন কাল্পনিক গল্প নয়। এটা একজন মানুষের জীবনের বাস্তব গল্প। আমার কাছে এরকম বাস্তব গল্প গুলো শুনতে বা পড়তে বেশি ভালো লাগে, আপনাদের কাছে কেমন লাগে তা কিন্তু অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।

আমার লেখা গল্পটি আপনাদের কেমন লাগবে এটাও অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আপনাদের সুন্দর সুন্দর মতামত গুলো থেকেই আমি ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত হই। যাইহোক চলুন আর বেশি কথা না বাড়িয়ে গল্পটি শুরু করা যাক।



আকাশের আনিকা- পর্ব ১

আকাশের আনিকা- পর্ব ২

আকাশের আনিকা- পর্ব ৩

Picsart_23-03-02_07-07-42-525.jpg

আনিকা এবং আকাশ প্রায় সারাটা দিনই চ্যাটিং করত। কিছুক্ষণের জন্য চ্যাটিং না করে তারা থাকতে পারত না। দুজন দুজনের সাথে কথা বলাটা তাদের অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল। কখনো যদি কেউ একজন রিপ্লাই দিতে একটু দেরি করত তাহলে অপরজন একদম টেনশনে পড়ে যেত।

তারা দুজনে দুজনকে ভালোবাসতো কিন্তু কেউ কখনো মুখ ফুটে ভালোবাসার কথা বলত না কিন্তু তারা দুজনেই এটা জানতো। এভাবেই চ্যাটিং করা ফোনে কথা বলার মধ্য দিয়ে তাদের দুজনের দিন কেটে যাচ্ছিল।

দিন যেতে যেতেই আনিকার জন্মদিন চলে আসে। এদিকে আকাশ আনিকার জন্মদিন নিয়ে অনেকগুলো পরিকল্পনা করে রেখেছে। আকাশ ঠিক করেছিল এবার বর্ডারে গিয়ে আমি তোকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাবে।

ঠিক আকাশের পরিকল্পনা অনুযায়ী আকাশ সব কিছু গুছিয়ে আবারো রওনা হয় গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে। পরের দিনই আমি তার জন্মদিন ছিল। তাই গ্রামের বাড়িতে গিয়ে সে সোজা হাসান এর সাথে এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলে। তারা একটি জায়গাও ঠিক করে ফেলে যেখানে আকাশ এবং আনিকা দেখা করবে।

পরের দিন সকাল সকাল উঠে আকাশ এবং হাসান একদম প্রস্তুত হয়ে যায় আনিকার সাথে দেখা করার জন্য। তারপর দেয়ার সময় হয়ে এলে হাসান এবং আকাশ বাড়ি থেকে বেরিয়ে সেই জায়গার উদ্দেশ্যে রওনা হয় যেখানে তারা দেখা করবে।

হাসান শহর থেকে আসার সময় আনিকের জন্য অনেকগুলো গিফট নিয়ে এসেছিল, এক কথায় বলতে গেলে তার দুহাত শুধু গিফট দিয়েই ভরপুর ছিল। আনিকার প্রথম জন্মদিন বলে কথা, তার আরও অনেক পরিকল্পনা ছিল কিন্তু বর্ডারে এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার কোন উপায়ও ছিল না তাদের কাছে।

তারপর ঠিক সময় মত আনিকাল চলে আসে আর আকাশও সেখানে সময় মতই পৌঁছে যায়। তারপর আমি যাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই এবং সেখানে বসে তারা দুজন অনেক সুন্দর সময় কাটায়।

আকাশ ভেবেছিল আজকেই সে তার মনের কথা আনিকা কে জানাবে। কিন্তু কোন ভাবে আকাশ তার মনের কথা আমি কারো সামনে গিয়ে বলতে পারল না। এদিকে আমি কাউকে ভেবে রেখেছিল আকাশ আজকে মনের কথা বলবে। কিন্তু আকাশের বলার সাহস হয়ে ওঠেনি।

অনেকটা সময় তারা সেখানে বসে গল্প করে, অবশেষে আনিকার যাওয়ার সময় চলে আসে কারণ কিছুক্ষণ পরেই বর্ডারের গেট বন্ধ করে দেয়া হবে। গেট বন্ধ করার আগেই আনিকা কে ফিরে যেতে হবে নাহলে সে পরে আর কোনভাবেই ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না পরের দিন ছাড়া।

আনিকা সেখান থেকে চলে যাওয়ার পর আকাশ এবং হাসান ও বাড়িতে ফিরে আসি। আকাশ আমি তাকে তার জন্মদিনের দিন তার মনের কথা বলতে না না পারায় তার খুবই খারাপ লাগছিল। ওইদিকে আনিকাও ভেবেছিল আকাশ তাকে কিছু একটা বলবে না বলায় তারও মনটা কিছুটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল।

সারাটা দিন আকাশ এটা ভেবে মন খারাপ করে বসে ছিল। আকাশ শেষমেষ ঠিক করল আজ রাতে ফোন করি সে তার মনের কথা বলবে। তারপর আকাশ অপেক্ষা করতে থাকে কখন রাত হবে আর কখন সে তার মনের কথা আমি কাকে বলতে পারবে।

চলবে...



-1675190969286.gif

Join our Discord server

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

বাহ..! কী ভালোবাসা! আসলে এই সময়টাতেই সবাই এরকম অবস্থায় পরে। আমারও এরকম সময়ে গেছিল। আমিও গাদা গাদা গিফট নিয়ে তাকে দিয়েছিলাম। তবে যাই হোক আকাশ আনিকাকে খুব ভালোবাসি এবং প্রথম প্রেম, আবেগ বেশি ইমোশনাল বেশি। তবে খুব দ্রুত মনের কথা জানিয়ে দেওয়া উচিত আকাশের। আসলে এতটা মন্তব্য করতে পারছিনা দেখা যাক সামনে কি হয়, অপেক্ষায় থাকলাম

Loading...
 last year 

আপনার গল্প টি পড়ে ধিরে ধিরে অনেক ভালো লাগছে কোথায় গিয়ে শেষ হবে সেটি আমার জানা নেই কিন্তু ভালোবাসার সম্পর্কটি এমনই হয় আমাদের জীবনে অনেক ভালোবাসা হারিয়ে যায় না বলার কারনে ভালোবাসার মানুষকে যত তাড়াতাড়ি তার মনের কথা বলতে পারবে আমার মতে তা তো তাড়াতাড়ি ভালো হবে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর একটি গল্প এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন আপনার গল্পটি পড়ে আসলে অনেক ভালো লাগে আমার।

 last year 

গল্পটা পড়ছি যত বেশি ভালো লাগছে তত। প্রেমের শুরুটা খুব সুন্দর ছিল,আসলে প্রেমটা এমনই হয় খুবই মধুম।

গল্পের বাকি অংশ পড়ার জন্য ব্যাকুল ছিলাম। আজকে সেটা এখন পড়লাম, আগামী পর্বের জন্য আরো মনটা ব্যাকুল হয়ে আছে। ইনশাল্লাহ আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি পাব। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা গল্প আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য, ভালো থাকবেন।

হ্যাঁ আপু পরের পর্ব খুব তাড়াতাড়ি পোস্ট করে দেব। চোখ রাখুন। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত দেয়ার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 57839.82
ETH 3132.70
USDT 1.00
SBD 2.43