গল্পঃ আকাশের আনিকা- পর্ব ১

হ্যালো স্টিমিয়ানস,
সবাই কেমন আছেন? আশা করছি মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে আপনারা সকলেই অনেক ভাল আছেন। আমি আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহ তায়ালার রহমতে অনেক ভাল আছি।

আজ আবারও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম। আজ আপনাদের মাঝে আমি একটি প্রেমের গল্প উপস্থাপন করব। এই গল্পটি কাল্পনিক কোন গল্প নয়, গল্পটি কারো জীবনের বাস্তব ঘটনা।

আমি আসল চরিত্রের নাম পরিবর্তন করে গল্পের চরিত্রের নাম রেখেছি আকাশ এবং আনিকা। এই গল্পটি আমি কয়েকটি এপিসোডে ভাগ করে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব। আশা করছি আমার শেয়ার করার গল্পটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। তাহলে চলুন বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক।

Picsart_23-02-22_04-35-41-850.jpg

বাবা মার একমাত্র আদরের সন্তান আকাশ। বাবা-মার একমাত্র ছেলে হওয়ায় আকাশ তার বাসায় সব সময় আদরের মাঝে থাকে। আকাশ এখন অনার্সে পড়াশোনা করছে, অনার্সে পড়াশোনা করছে মানে সে এখন অনেকটা বড় হয়ে গিয়েছে। আকাশের বয়স বেড়েছে পড়াশোনা অনেকটা দূর এগিয়ে গিয়েছে কিন্তু তার বাচ্চামো স্বভাবটা কিন্তু এখনো যায়নি।

আকাশকে কখনোই কোন ব্যাপারে চিন্তিত কিংবা মন খারাপ করে থাকতে দেখা যায়নি, সে সবসময়ই হাসিখুশি হয়ে চলাফেরা করে। নিজেও সব সময় হাসি খুশি থাকে এবং অন্যদের ও হাসি খুশি রাখার চেষ্টা করে। এজন্যই এই ছেলেটাকে সকলেই এততা পছন্দ করে।

সকালে ঘুম থেকে উঠে ইউনিভার্সিটি তে যাওয়া, ইউনিভার্সিটি শেষ করে বাহিরে বন্ধুরা সহ আড্ডা দেয়া, বিকেল বেলা মাঠে গিয়ে ক্রিকেট খেলা, সন্ধ্যার পর বন্ধুদের সাথে চায় আড্ডায় মেতে উঠা। এভাবেই আকাশের জীবন কেটে যাচ্ছিল। এভাবে সাধারণ ভাবে থাকতেই আকাশ বেশি পছন্দ করে।

দেখতে দেখতেই ডিসেম্বর মাস চলে আসলো, আগেরবারের থেকে এবারের শীতের প্রকোপটা অনেকটা বেশি। কিন্তু শহরে শীতের প্রকোপটা খুব একটা ভালোভাবে বোঝা যায় না। এজন্যই প্রতিবছর ডিসেম্বর মাসে আকাশ তার গ্রামের বাড়িতে শীতের আনন্দ উপভোগ করতে ছুটে যায়।

প্রতিবারের মতো এবারও আকাশ বাসে চেপে বেরিয়ে পরলো গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে। গ্রামের বাড়িতে পৌঁছাতে সময় লাগবে পাক্কা ৮ থেকে ৯ ঘন্টার মত। গ্রামের বাড়িতে যাবে বলে সে এতটাই খুশি যে তার কাছে এই ৮-৯ ঘন্টা কিছুই মনে হবে না।

আকাশ ডিসেম্বর মাসের ৭ তারিখ রাত্রি ৯ টায় বাসে ওঠে, বাস ছাড়তে ছাড়তে সাড়ে নটা বেজে যায়। এদিকে সে বাসে উঠেই তার ফুফাতো ভাই হাসানকে ফোন করে জানিয়ে দেয় সে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছে, এই খবরটা শুনে হাসান খুবই খুশি হয়ে যায়।

আকাশ এবং হাসান ফুফাতো এবং মামাতো ভাই কিন্তু তাদের মধ্যে যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েছে সেটা চোখে পড়ার মতো, সত্যি তাদের দুজনের বন্ধুত্বের মতো বন্ধুত্ব এখন আর চোখে পড়ে না।

সারারাত জার্নি করার পর আকাশ তার গন্তব্যে পৌঁছায়। বাস থেকে নেমেই দেখে হাসান মোটরসাইকেল নিয়ে তাকে বাসা নিয়ে যাওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আছে। আকাশের বাস যেখানে দাঁড়িয়েছে সেটা মোটামুটি শহর এলাকা।

শহর থেকে আকাশের গ্রামের দূরত্ব প্রায় ১৪-১৫ কিলোমিটার দূরে। আকাশের গ্রামের বাড়ি এলাকাটা একদম সীমান্তবর্তী এলাকায়, সেই এলাকাটি তিন দিক থেকেই ভারতের বর্ডারে ঘেরা। সেই এলাকাটি সত্যি ভালো লাগার মত একটি জায়গা।

তারপর তারা দুজন শহরে আর কোথাও দেরী না করে সোজা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। বাড়িতে গিয়ে আকাশ তার দাদির সাথে দেখা করে তারপর সোজা সে তার হাসানের বাড়িতে চলে যায়। আকাশ গ্রামের বাড়িতে গেলে বেশিরভাগ সময়ই হাসানের বাড়িতেই থাকে।

তারপর হাসানদের বাড়িতে যাওয়ার পর তারা সকালে নাস্তা সেরে নেয়। সকালের খাবার দাবার শেষ করে আকাশ এবং হাসান বিছানায় শুয়ে গল্প করছিল। আকাশ সারারাত জার্নি করেছে তাই সে প্রচুর ক্লান্ত ছিল। বিছানায় শুয়ে গল্প করতে করতে আকাশ কখন যেন ঘুমিয়ে পড়েছে তা সে বুঝতেই পারেনি।

চলবে...



-1675190969286.gif

Join our Discord server

Sort:  
 last year 

আসলেই শীতের প্রকোপ গ্রামে বুঝতে পারলেও শহরে এতটা বোঝা যায় না। অনেকে আছে এমন যে শীতকে ভালো পছন্দ করে। আকাশও ঠিক তাই। শীতের আবহাওয়া তার গায়ে মাখতে চায়, তাই সে এতদুর অতিক্রম করে গ্রামের বাড়ি চলে যায়। ভালো লাগলো গল্পের অংশ পড়ে। অপেক্ষায় রইলাম পরবর্তী পর্বের জন্য। ভালো থাকবেন।

 last year 

আসলেই ডিসেম্বরের সময় অনেকেই শহর থেকে গ্রামে আসে শীতের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য। কারণ শহরের চাইতে গ্রামের শীতের সৌন্দর্য অনেক বেশি দেখা যায়। যেটা আমরা গ্রামে যারা থাকি তারা উপভোগ করতে পারে।

তার উপরে আপনি উল্লেখ করেছেন যে আকাশের গ্রামের বাড়িটা খুবই সুন্দর। এখন তাকে তো আসতেই হবে। সেই গ্রামের বাড়ি সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য। তাই সে দেরি না করে খুব খুশিতেই আট নয় ঘন্টা জার্নি করে তার গ্রামের বাড়িতে চলে আসলো।

গ্রামে এসে দাদির সাথে দেখা করে সে হাসানদের বাড়িতে চলে যায়। যেহেতু হাসান এবং আকাশ খুবই ভালো বন্ধু। হাসান দের বাড়িতে গিয়ে নাস্তা করে কিছুক্ষণ গল্প করে গল্প করতে করতে আকাশ ঘুমিয়ে পড়ে।

পরবর্তী পর্বের জন্য অবশ্যই অপেক্ষায় থাকলাম গল্পটার এই পর্ব অনেক ভালো লাগলো।

Loading...

সত্যিই ভাই শীত উপভোগ করার জন্য গ্রাম একটি আদর্শ জয়গা।শহরের মতো বড় বড় দালান নেই,কলকারখানা নেই। আছে শুধু শিশিরে ভেজা ঘাস,গাছপালা,মাঠের পরে মাঠ আর নদীনালা তাই গ্রামে শহরের তুলনায় শীত একটু জাকিয়ে বসে।এজন্য শহরের থেকে গ্রামে শীত অনেক ভালোভাবে উপভোগ করা যায়।

 last year 

ফুফাতো ভাইয়ের সাথে বন্ধুত্ব এটা খুবই ভালো কথা।

শহর থেকে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে শীতের উপভোগ করাটাই অনেক বড় কথা আমরা আসলে গ্রামের সৌন্দর্য শহরে থাকলে ভুলে যাই।

কিন্তু আমাদের গ্রামে অনেক স্মৃতি আছে স্মৃতিগুলো আমরা অনেকেই মন থেকে মুছে ফেলেছি আমাদের গ্রামে অনেক বন্ধুবান্ধব আছে তাদের সাথেও কিন্তু কিছুটা সময় আড্ডা দেওয়া যায়।

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার গল্পটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে ।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.12
JST 0.029
BTC 60250.72
ETH 3377.07
USDT 1.00
SBD 2.52