মুভি রিভিউ: ইরাইভান

in আমার বাংলা ব্লগlast year
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে আমি একটি মুভি রিভিউ শেয়ার করে নেবো। এই মুভিটি অনেকদিন আগে একবার দেখেছিলাম, আজকে ভাবলাম এইটার রিভিউ দেই। এই মুভিটির নাম হলো "ইরাইভান"। এই মুভিটার কাহিনী একটু ভয়ানক আছে।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠

মুভির নাম
ইরাইভান
প্লাটফর্ম
নেটফ্লিক্স
পরিচালকের নাম
আই. আহমেদ
অভিনয়
নয়নতারা, জয়ম রবি, রাহুল বোস, বিনোদ কিষাণ, বিজয়লক্ষ্মী ফিরোজ, আশীষ বিদ্যার্থী ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩( ইন্ডিয়া )
সময়
২ ঘন্টা ৩২ মিনিট
ভাষা
হিন্দি
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইন্ডিয়া


✠মূল কাহিনী:✠


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

সাধারণত এই মুভিটির কাহিনী প্রথম থেকেই খুন খারাপির মধ্যে দিয়ে শুরু হয়। ব্রম্মা নামের একটি লোক ছিল, যে প্রতিনিয়ত প্রায় কাউকে না কাউকে তুলে নিয়ে আসতো আর তাকে একটি ফাঁকা কোনো বাড়িতে নিয়ে খুন করে ফেলতো। হতে পারে সেটা যেকোনো ভাবে, একটু ভয়ানক বিষয় আছে তাই খোলসা বলছি না। লোকটা সাধারণত ছিল সাইকোকিলার। রাতে কোনো কম বয়েসী মেয়ে বের হলে তাদেরই শুধু তুলে নিয়ে যেত আর জঘন্য ভাবে মেরে রাস্তায় বা যেকোনো জায়গায় বাজে ভাবে ফেলে রাখতো। এই নিয়ে পুলিশের কাছে অনেক অভিযোগ পড়ে এবং অনেকে মিসিং ডায়েরিও করে। কিন্তু পুলিশের হাতের নাগালের বাইরে এই কাজগুলো করে বেড়াতো। লোকটা আসলে ভদ্র মানুষের বেশে আসতো, যাতে কেউ সন্দেহ না করতে পারে। একদিন অফিসার চেঞ্জ করে অর্জুন আর আরেকজনকে মানে তার বন্ধুকে দিয়ে দেয়। আর অর্জুন তাদের ডিপার্টমেন্ট এর এমন একজন অফিসার ছিল, যে সে কারো নির্দেশ মানতো না, সামনে পেলেই ইনকাউন্টার করে দিতো।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

তাই একদিন কোনো একটা মেয়েকে চারা বানিয়ে তার সামনে টোপ ফেলানোর মতো জাল পাতে, যাতে তাকে সহজে ধরতে পারে। সেই হিসেবে ব্রম্মা লোকটা সেই মেয়েকে তুলে নিয়ে যায় এবং তার বন্ধু প্রথমে কিছু ফোর্স নিয়ে সেই ভাঙা একটা বাড়িতে চলে যায় তাকে ধরার জন্য আর অর্জুনকে মেসেজ করে লোকেশন সেন্ড করে দেয়। তবে তার আসতে আসতে সেখানে বিপদ ঘটে যায়, কারণ ব্রম্মা লোকটা তাদের আগেই দেখে ফেলে আর তাদের উপরে হামলা করে দেয়। তার বন্ধুকে গুলিও করে দেয় এবং ব্রম্মাকে পরে অর্জুন গ্রেফতারও করে নেয়। তবে তার বন্ধুকে বাঁচাতে পারেনি। ব্রম্মাকে গ্রেফতার করলেও তেমন কোনো ফায়দা তাদের হয়নি, কারণ ব্রম্মাকে বাঁচানোর জন্য আরো একজন তার সাথী সেখানে বাইরে ছিল, কারণ যে ডাক্তার তার কাছে গিয়ে তার মানসিক অবস্থার পরীক্ষা করছিলো তার মেয়েকে কিডন্যাপ করে নেয়। আর ডক্টরকে বাধ্য করে তাকে সেখান থেকে বের করে দিতে।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

এদিকে অর্জুনও এই চাকরি ছেড়ে দেয় আর তার বন্ধুদের বাড়িতে তার পরিবারের সাথে থাকতে লাগে। সেই ডক্টরকে মেরেতো ফেলে সাথে পরেরদিন তার মেয়েকেও মেরে ফেলে। আর এইবার সে প্রতিদিন আরো বেশি করে করে অফিসার এবং তার আত্মীয় স্বজনদের টার্গেট করছে। প্রথমেই অর্জুনের কাকার মেয়েকে টার্গেট করে এবং তাকে কিডন্যাপ করেও নেয়। তাকে বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করলেও সে পৌঁছাতে পৌঁছাতে তার গলা কেটে দেয় । এই নিয়ে আরো ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। তবে ব্রম্মার সাথে এইবার বাবু নামের একটা ছেলে ছিল সেও এইবার তার সাথে মিলে খুন করা শুরু করে দেয়। অর্জুন পরে আবার ব্রম্মাকে ধরে ফেলে এবং তাকে গুলি করে মেরে দেয় কিন্তু খুন করা থেমে থাকেনি, বাবু নামের লোকটা একের পর এক খুন করতেই থাকে। এই বাবু একদম সহজ সরল ছেলের মতো একটা ফাদারের সাথে থাকতো, কিন্তু অর্জুন তাকেই সন্দেহ করে আর তাকে মারেও খুব। পরে কেউ না মানলেও এই সত্যিটা জানতে পারে আর তাকেও মেরে দেয়।


✠ব্যক্তিগত মতামত:✠

এই মুভিটার কাহিনী সম্পূর্ণটাই থ্রিলার বেস, এর মধ্যে আসলে শুধু খুনখারাপি ছাড়া তেমন কিছুই নেই। সাধারণত শহরে এইধরণের একজন সাইকো কিলার এমনভাবে সবার উপরে হামলা করতে থাকে যে, কিভাবে কি হচ্ছে সেটা সাধারণ মানুষের ধারণার বাহিরে ছিল। প্রথমে অনেকদিন পর পর এইরকম একটা করে খুনের খবর থাকতো, কিন্তু তাকে গ্রেফতার করার পরের থেকে ডেইলি মেয়েদের তুলে নিয়ে খুন করতো। এইটা যে কারো উপরে রাগ বা কোনো কারণবশত করতো তাও না, এইধরণের সাইকো কিলারদের এই খুন করে করে আনন্দ পেতো। এর জন্য অনেক আগেও আরেকবার জেল খেটেছিলো আর সেন্ট্রাল জেলে এই বাবু নামের ছেলেটার সাথে হাত মিলিয়ে আরো একটা টিম গঠন করেছিল, একজন তুলে আনবে আর আরেকজন খুন করবে, একটা প্যাটার্ন তৈরি করে নিয়েছিল সবকিছুর, ফলে খুব সহজেই খুনগুলো করে ফেলতে পারতো।


✠ব্যক্তিগত রেটিং:✠
৭.৭/১০


✠ট্রেইলার লিঙ্ক:✠



শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

অসাধারণ একটি মুভি রিভিউ দিলেন দাদা। মুভিটির নাম শুনেছি অনেক সুন্দর একটি মুভি। তবে কখনো দেখা হয়নি এই মুভিটি। যেহেতু আগে অনেক মুভি দেখা হতো। কিন্তু এখন বাচ্চাদের ঝামেলার কারণে। সাংসারিক কাজকর্ম কমিউনিটির কাজ সব গুলো মিলিয়ে একদম সময় পাইনা। কিন্তু আপনি স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে খুব সুন্দর বর্ণনা দিলেন। বেশ ভালোই লেগেছে আমার কাছে ইরাইভান মুভিটি। অনেক ভালো লেগেছে দাদা অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মুভি রিভিউ দেওয়ার জন্য।

 last year 

তামিল মুভি গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। কারন তারা একটি বিষয়কে মুভির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলার চেষ্টা করে। এমন সব গল্প বা কাহিনী করে যা কখনো কল্পনা করা যায় না। তবে প্রত্যকটা মুভির ভিতরে একটি শিক্ষনীয় বিষয় থাকে। আমি আগে প্রচুর তামিল মুভি দেখেছি। এই মুভি গুলোতে হাসিঁ প্রেম,কান্না ভালোবাসা,ফানি সব কিছু থাকে। আজকের আপনার রিভিউ করা ইরাইভান মুভিটা খুবই ভয়ানক একটি মুভি। এসব মুভিতে যারা ভিলেন থাকে তারা সমাজে ছদ্ধবেশ ধরে থাকে। যেমন আজকের মুভিতে ব্রম্মা এবং বাবু। সাধারন ভাবে দেখলে তাদের কাউকেই খুনি মনে হবে না। তবে ভিতরে ভিতরে তারা যে কতটা জগন্য সেটা কল্পনাও করা যায় না। অর্জুন প্রথমে বিষয়টা বুঝতে না পারলেও পরে ঠিকই বুঝতে সক্ষম হয়েছে। কিছু কিছু সমস্যার সমাধন সাথে সাথে করতে হয়। কারন এগুলো ধীর্ঘায়িত হলে সমস্যা সমাধন করা যায় না। অর্জুন ব্রম্মাকে ধরে গুলি করে মেরে ফেলার পরে ঐ টিমের ডান হাত চলে যায়। যদিও বাবু নামের লোকটি একের পর একের টার্গেট করে মারতেছিলো। তবে তার ভিতরে একটি ভয়ও ছিল। যে সে যে কোন সময় মারা যেতে পারে। আর ফলাফল সেটাই হয়েছে। যেমন কর্ম তেমন ফল। ধন্যবাদ দাদা।

 last year 

দাদা আপনি অনেক সুন্দর করে এই মুভিটার রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমার কাছে মুভি দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে, আর মুভির রিভিউ পোস্ট পড়তেও আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। আজকে আপনি অনেক সুন্দর করে ইরাইভান মুভিটার রিভিউ করেছেন। এই মুভিটা দেখছি থ্রিলার মুভি ছিল। এরকম থ্রিলার মুভি গুলো দেখতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আবার মাঝে মাঝে খারাপও লাগে যাদেরকে মেরে ফেলে তাদের জন্য। কোন কারণ ছাড়া ওই খুনি গুলো কম বয়সী মেয়েদেরকে মেরে ফেলেছে। আর ওই খুনি টা তো দেখছি ডেইলি কোন না কোন মেয়েকে খুন করত। এই মুভিটা কিন্তু আসলেই অনেক বেশি ভয়ানক ছিল দাদা। এরকম মুভি গুলো দেখলে আত্মা কেপে উঠে। এত সুন্দর করে সম্পূর্ণ মুভিটার রিভিউ পোস্ট লিখে সবার মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আপনার পরবর্তী মুভির রিভিউ পোস্ট এর জন্য অপেক্ষায় থাকলাম দাদা।

 last year 

দাদা মুভি দেখতে আমি এত বেশি পছন্দ করি যা বলে বুঝানো যাবে না। সময় পেলে আমি সঙ্গে সঙ্গে মুভি দেখার চেষ্টা করি। আর এরকম মুভিগুলো তো একটু বেশি দেখে থাকি আমি। এই মুভিটার কিছু শর্ট ভিডিও আমি দেখেছিলাম। তবে তখন ভেবেছিলাম সময় পেলে মুভিটা দেখে নেব। কিন্তু সময়ের কারণে মুভিটা দেখা হয়নি আমার। আজকে আপনি এই মুভিটার রিভিউ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক সুন্দর ভাবে করে আমাদের মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন দেখে খুব ভালো লাগলো দাদা। এই মুভিটা দেখছি অনেক বেশি ভয়ানক এবং থ্রিলার টাই পেড়েছিল। এই মুভিটা শুরু হয়েছিল দেখছি হত্যা নিয়ে। খুন খারাপি এই মুভিটার মধ্যে লেগেই ছিল। বাবু নামের লোকটা কিন্তু টার্গেট করে করে একের পর এক মেয়েদেরকে মেরে ফেলছিল। আর এটা তাদের যেন ডেইলি রুটিন হয়ে গিয়েছিল হত্যা করাটা। আসলে কথায় আছে না, যেরকম কাজ করবে মানুষ সেরকমই ফল পাবে। তেমনি ওই লোকটাও মারা গিয়েছিল। সময় পেলে আমি মুভিটা দেখে নেওয়ার চেষ্টা করব দাদা। কারণ রিভিউটা অনেক সুন্দর ছিল এবং খুব ভালো লেগেছে।

 last year 

"ইরাইভান" মুভিটি যদিও দেখা হয়নি। তবে থ্রিলার মুভি আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আর এই মুভিটির গল্পটা একেবারে আলাদা। সাইকো কিলারদের কেন্দ্র করে এই মুভিটি তৈরি করা হয়েছে। আসলে সাইকো কিলারদের খুঁজে বের করা অনেক মুশকিল। কারণ তারা সাধারণ মানুষদের মতোই ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়ায়। আর সুযোগ পেলেই খুন করে ফেলে। এসব মানুষদের খুঁজে বের করা যেমন কষ্টকর কাজ তেমনি খুন করা আটকানোও মুশকিল ব্যাপার। কারণ এইসব কিলাররা খুন করে অনেক আনন্দ পায়। তাদের কাছে এটা অনেক বেশি আনন্দের। বাবু নামের লোকটাকে দেখতে সাধারণ মানুষের মতো হলেও এর মাথায় সবসময় অন্য চিন্তা ঘুরে। আর খুন করার প্লান নিয়ে ঘুরতে থাকে। অর্জুন আসল রহস্য খুঁজে বের করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। অর্জুন আবার ব্রম্মাকে ধরে ফেলে এবং গুলি করে দেয়। সেও এই সাইকো কিলারদের একজন। সাইকো কিলাররা অর্জুনের কাকার মেয়েকে টার্গেট করে এবং কিডন্যাপ করে। অবশেষে তাকে মেরে ফেলে। এটা সত্যি অনেক দুঃখজনক ব্যাপার। আসলে এই ধরনের সাইকো কিলারদের হাত থেকে সাধারণ মানুষদের বাঁচানো অনেক মুশকিল। যাইহোক দাদা ভিন্ন ধরনের একটি মুভি রিভিউ শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

 last year 

মাঝে মাঝেই জয়ম রবির মুভিগুলো দেখা পড়ে।এই নায়ক ভয়ানক কাহিনীর মুভিতেই বেশি অভিনয় করে যেন।যেমন-টারজান আবার একটা ভাইরাসের মুভিও দেখেছিলাম।সাইকো কিলারের মুভিগুলিতেই যেন মেয়েদেরকে বেশি তুলে নিয়ে যেতে দেখা যায় আর শুধুই খুনের দৃশ্য থাকে।সুন্দর রিভিউ করেছেন দাদা,ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 79169.45
ETH 3182.99
USDT 1.00
SBD 2.63