ওয়েব সিরিজ রিভিউ: তাকদীর ( পর্ব ৫ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'তাকদীর' ওয়েব সিরিজটির পঞ্চম পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "বরফকল". গত পর্বের শেষ দেখেছিলাম যে তাকদীর সহ মন্টু এবং আরো একজন রাতের দিকে আফসানার লাশ আবারো মাটি খুঁড়ে তুলতে যায় এবং সেখানে দেখা যায় যে মন্টু ভুল করে সাইরেন বাজিয়ে দেয় আর সেখানকার লোকজন বাইরে চলে আসে। এরপর ঘটনা কি হয় আজকে সেটা দেখবো।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
☬মূল কাহিনী:☬
গাড়িতে যখন সাইরেন বাজা শুরু হয়ে যায়, তখন মোটামুটি তারা লাশটা মাটির থেকে উপরে তুলে ফেলেছিলো। তবে তার আগেই অনেকেই বাইরে লাইট জ্বালিয়ে চলে আসে। কোনোমতে তারা দ্রুত লাশ নিয়ে গাড়িতে উঠে পড়ে। লোকজন গাড়িটাও দেখে ফেলে যে এইটা সেই লাশবাহী গাড়ি, যেটাতে করে নিয়ে এসেছিলো। এখন এখানে আরেক ঝামেলা পাকিয়ে যায়, যে এই লাশ নিয়ে আরো ঝামেলা তৈরি হবে গ্রামের দিকে যে লাশ চুরি করে নিয়ে গেছে। এইটা নিয়েও থানায় কেস হবে না তার কোনো ঠিক নেই। এখন এই লাশটা নিয়ে তারা যেতে চেয়েছিলো ঢাকায় পুলিশের কাছে, কিন্তু তারা রানা দেখছে যে আপাতত কোনো প্রমান যদি তাদের হাতে আমরা না দিতে পারি তাহলে বিশ্বাস করবে না, বরং উল্টো করে তিনজন ফেঁসে যাবো। এখন গাড়িতেও বেশি তেল নেই যে ফ্রিজার অন করে লাশটা কিছুদিন রাখতে পারবে। এর মধ্যে রানা লাশটাকে নিয়ে আশেপাশের কোনো হসপিটালে যাওয়ার কথা বলে যাতে মেমোরি কার্ডটা বের করে নিতে পারবে। কিন্তু এখানেও আরেক সমস্যা, নিয়ে গেলেই পুলিশ কেস হবে, কারণ তার লেগেছিলো গুলি, আর পোস্টমর্টেম এইসব করতে গেলে ওইসব ধরা পড়ে যাবে।
মোটামুটি একপ্রকার বড়োসড়ো ঝামেলায় ফেঁসে পড়ে তারা, কোনদিকে যাবে সেইটা বুঝে উঠতে পারছে না। এখন কোনো কিছু না বুঝে আগে লাশটাকে বরফের মধ্যে রাখতে হবে সেইটা বিষয়, আর বাড়ির দিকে বা আড়তের দিকেও যেতে পারছে না যে, সেখানে নিয়ে রাখবে, কারণ ওইদিকে পুলিশ তাদের আরো খোঁজাখুঁজি করছে। মন্টু শরীয়তপুরে একটা বরফকল আছে যেখানে তার একজন পরিচিত থাকে আর তাকে বলে কিছুদিনের জন্য ওই জায়গা বন্ধ করে দেয় যাতে লাশটা রাখতে পারে। ওই এলাকায় আবার চেয়ারম্যান এর বাড়ি, ফলে জানাজানি হলে সেদিক থেকেও একটা বিপদের সম্মুখীন হতে পারে। কিন্তু তাদের আর কোনো উপায় ছিল না এটা ছাড়া। সারা রাত গাড়ি চালিয়ে সেই গন্তব্যে পৌঁছায় এবং বরফকলে লাশটা নিয়ে রাখে আর গাড়িটা মন্টু অন্য কোথাও রেখে আসে।
কিন্তু এখন তাকদীর-কে না পেয়ে অন্য দুইজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে এই মামলায়। আর তাকদীরকেও খুঁজে বেড়াচ্ছে পুলিশ। এখন এই লাশটা নিয়ে তাদের প্রধান যে কাজ সেটা হলো ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার আগে তার পেট থেকে সেই মেমোরি কার্ড বের করা। এর জন্য মন্টু একজন লোককে ডেকে আনে যে এইসব লাশ কাটাকাটি করে থাকে। তাকে ডেকে আনার পরে রানা বারবার মানা করতে থাকে, কারণ লাশ কাটার পরে সেটাকে আবার সেলাই না করতে পারলে নিয়ে যাওয়া যাবে না, এদিকে সেই লোক আবার বলে দেয় সে সেলাই করতে পারবে না। তাও জোর করে কাটায়। কিন্তু কেটেও তারা মেমোরি খুঁজে পায় না।
☬ব্যক্তিগত মতামত:☬
এই পর্বে এই বরফকল এর উদ্দেশ্য এটাই ছিল যে, লাশটাকে কেটে মেমোরি কার্ড বের করে তারপর পুলিশের কাছে যাওয়া। কারণ সেখানে যাওয়া মানে প্রমান হাতে করে নিয়ে যেতে হবে। তাই তারা কোনো কিছুতে উপায় না পেয়ে বরফকল ঘরে রেখেই নিজেরাই ব্যবস্থা করলো। তবে এখনো এই মেমোরি কার্ড এর বিষয়টা রহস্যই রয়ে গিয়েছে, কারণ কাটার পরে অনেক্ষন খোঁজাখুঁজি করে, কিন্তু কিছুই পায় না। ছোট জিনিস পাওয়াও মুশকিল। এখন সব থেকে প্রধান বিষয় এখানে যেটা দাঁড়িয়েছে, সবকিছুতেই তাকদীর বেলাইন ফাঁসা ফেঁসে গিয়েছে। তার পিছনে যাওয়ার আর কোনো পথ নেই, তার একটাই এখন পথ আছে এইটার থেকে বেরোনোর যে নিজেই নিজেকে প্রমান করতে হবে এইসবের মধ্যে সে ছিল না। এখন দেখা যাক, পরে কি হয়, তারা মেমোরি কার্ড পাচ্ছে কি পাচ্ছে না।
☬ব্যক্তিগত রেটিং:☬
৮.৭/১০
☬ট্রেইলার লিঙ্ক:☬
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
'তাকদীর' ওয়েব সিরিজটির পঞ্চম পর্ব রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো দাদা। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি এই পর্বের রিভিউ তুলে ধরেছেন। গত পর্বে আমরা দেখেছিলাম সেই সাংবাদিকের লাশ তাকদীর সহ মন্টু এবং আরো একজন তুলতে গিয়েছিল। মন্টু ভুল করে সাইলেন্সার বাজানোর কারণে আশেপাশের লোকজন চলে এসেছিল। যেহেতু লাশের কাছে থাকা মেমোরি কার্ডটি তাদের খুবই প্রয়োজন ছিল তাইতো তারা অনেক চেষ্টা করেছে মেমোরিটি সংগ্রহ করার। কিন্তু এই মেমোরিতে কি আছে তারা জানে না। মনে হচ্ছে অনেক গোপনীয় কিছু আছে। আর যেটার সাথে অনেকেই জড়িত আছে। কিন্তু তাকদীর একেবারে ফেঁসে গেছে। সে এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে কিনা বুঝতে পারছি না। এই ধরনের ওয়েব সিরিজগুলো দেখার প্রতি অনেক আগ্রহ তৈরি হয়। কারণ সব সময় ভিন্ন ধরনের প্লট সেখানে দেখতে পাওয়া যায়। আর মুভি কিংবা ওয়েব সিরিজ যদি একেবারে ভিন্ন ধরনের হয় তাহলে সেই ওয়েব সিরিজ গুলোর প্রতি আকর্ষণ বেশি থাকে। দাদা আপনি অনেক সুন্দর করে এই পর্বের রিভিউ শেয়ার করেছেন পড়ে অনেক ভালো লাগলো। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
আমার দেখা প্রথম বাংলা ওয়েব সিরিজ ছিল তাকদীর। চঞ্চল চৌধুরী এবং শাওকী এর অসাধারণ কাজ ছিল এটা। এই বরফকল এপিসোডে সবচাইতে হাস্যকর ঐ মাতাল ডোম এর কান্ডকারখানা। মেমরি কার্ড টা পেলেই ঐ নেতার সব কুকর্ম ফাঁস হয়ে যাবে। চমৎকার রিভিউ দিয়েছেন দাদা।।
দাদা আপনি অনেক সুন্দর করে "তাকদীর ওয়েব সিরিজটির পঞ্চম পর্ব আজকে সবার মাঝে শেয়ার করেছেন। এই ওয়েব সিরিজের আগের পর্বগুলো আমার পড়া হয়েছে, যার কারণে পঞ্চম পর্ব টা পড়ে আরো বেশি ভালো লাগলো। আমি তো ভেবেছিলাম এই পর্বের মাধ্যমে মেমোরি কার্ডের কথা জানা যাবে, আর মেমোরি কার্ড পাওয়া যাবে। কিন্তু এখন তো দেখছি তারা আরও বেশি সমস্যার মধ্যে এসে দাঁড়িয়েছে। তারা যেদিকেই যাক না কেন সমস্যা রয়েছে। তাকদীর কিন্তু একেবারেই ফেঁসে গিয়েছে এখানে। এদিকে গেলেও ফেঁসে যাবে আবার অন্যদিকে গেলেও ফেঁসে যাবে, এখন পরবর্তীতে তারা কি করবে এটাই ভাবছি আমি। আর তারা মেমোরি পাবে নাকি পাবে না এটাও চিন্তা করছি। তারা লাশটাকে কেটেও অনেক খোঁজাখুঁজি করেছে, কিন্তু লাশের ভিতরেও তো মেমোরি কার্ড পাওয়া গেল না। এই ওয়েব সিরিজটা কিন্তু আরো রহস্যের মধ্যে জড়িত হচ্ছে। যাইহোক দাদা আশা করছি পরবর্তী পর্বগুলোতে এসব কিছু একেবারে ক্লিয়ার হয়ে যাবে। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম দাদা। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করবেন পরবর্তী পর্ব।
দাদা আজ কয়েকদিন পর্যন্ত "তাকদীর"ওয়েব সিরিজের পঞ্চম পর্বের জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। আর আজকে আপনি এই ওয়েব সিরিজের পঞ্চম পর্বটা সাজিয়ে গুছিয়ে শেয়ার করেছেন দেখে পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। আস্তে আস্তে দেখছি এই ওয়েব সিরিজের পর্বগুলো রহস্যের জালে বাসা বাঁধছে। আমি তো ভেবেছিলাম আস্তে আস্তে পর্বের মাধ্যমে সবকিছু ক্লিয়ার হবে, এখন তো দেখছি আরো অনেক রহস্য যোগ হচ্ছে। আর এরা তো দেখছি অনেক বড় সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। তারা বেশ ভালোভাবেই ফেঁসে গিয়েছে তাহলে। এখন তারা এই বিষয়টা কিভাবে ক্লিয়ার করবে? আর মেমোরি কার্ডটা এতবার খোঁজার পরেও তারা পায়নি, লাশ কাটার পরেও পাওয়া যায়নি দেখছি। মেমোরি কার্ড টা যদি পেয়ে যায় তাহলে তাদের কাছে অনেক বড় একটা প্রমাণ থাকবে। এই মেমোরি কার্ড টা কিন্তু অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ তাদের জন্য। প্রমাণ হিসেবে এটা একেবারে পারফেক্ট। তারা তো প্রমাণ ছাড়া পুলিশের কাছেও যেতে পারবে না। দাদা পরবর্তী পর্ব টা দেখার অপেক্ষায় থাকলাম। ধন্যবাদ দাদা শেয়ার করার জন্য।
দাদা তাকদীর কি একটা জামেলার মধ্যে পড়লো না পারছে সামনের দিকে যেতে না পারছে পিছনের দিকে যেতে। দুইটার মাঝখানে দাড়িয়ে আছে সে। অন্যদিকে লাশ কেটে অনেক্ষন খোঁজাখুঁজি করে মেমোরি পাওয়া যাচ্ছে না। এমন ছোট একটি জিনিষ কোথায় আছে কে জানে। এখন এই মেমোরির জন্য তাদের জীবন যায় যায় অবস্থা। দেখা যাক পরের পর্বে মেমোরির কোন খুজ পাওয়া যায় কিনা। আর তাকদীরের কপালে কি আছে। অল্প অল্প করে এগিয়ে যাচ্ছে তাকদীর ওয়েব সিরিজ। ধন্যবাদ দাদা।