দূর্গা পুজো ২০২৩ ( পর্ব ২ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে দূর্গা পুজোর কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করবো। গত একটি পর্বে কয়েকটি প্যান্ডেলের আলোকচিত্র শেয়ার করেছিলাম। আজকে দ্বিতীয় পর্বে আরো কিছু আলোকচিত্র তুলে ধরবো।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
এই প্যান্ডেলগুলোতেও ষষ্ঠির দিন গিয়েছিলাম। তবে আগেরদিনের থেকে এই প্যান্ডেলগুলোতে অনেক কারুকার্য দেখতে পাবেন। এইটা শেঠপুকুর নামের একটি স্থানে হয়ে থাকে। প্রতিবছর তারা দূর্গা পুজোর প্যান্ডেল, প্রতিমা খুব ভালো করে থাকে। প্যান্ডেলের কারুকার্য দেখে বেশ বোঝা যাচ্ছে, তবে কি স্টাইলে করেছে এইটা জানিনা, শুধু প্যান্ডেলের উপরে চাইনিজ কিছু লেখা দেখে আন্দাজ করতে পারলাম চায়নার কিছু একটা থিম আকৃতি তৈরি করেছে। এখানে বেশ লোকজন হয়েও থাকে। এখানে প্রতিমাগুলোও খুব ভালো এনেছে প্রতিবছরের ন্যায়, কলকাতার ভাস্কর দিয়েই করিয়ে থাকে, কারণ তাদের নামও এখানে দিয়ে রেখেছে। প্রতিমাটা খুবই সুন্দর করে সাজিয়েছে, দেখেও অনেক ভালো লাগছে।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলাম একটি স্কুলের মাঠের ওখানে। এখানেও দুর্গাপুজো অনেক ভালো করে করে থাকে। প্যান্ডেলের ডিজাইনটা চোখে ধরার মতো করেছে তারা, এই বছর প্যান্ডেলের কারুকার্য ভিন্ন ভাবে করেছে। পুরো প্যান্ডেলের উপরের ডিজাইনগুলো লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন যে, প্রত্যেকটা স্তরে স্তরে বিভিন্ন দেব দেবীর মূর্তির মতো ডিজাইন করে গড়ে তুলেছে।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
বাইরে দাঁড়িয়ে প্যান্ডেলের ছবি তোলার পরে এখানে দেখলাম ছোট ছোট মেয়েদের নিয়ে একটা অনুষ্ঠানের আয়োজনও করেছে। মূলত নৃত্যের আয়োজন করেই থাকে তাদের নিয়ে। গানের তালে তালে তাদের নৃত্যগুলো দেখতে বেশ ভালো লাগছিলো তাই কিছুক্ষন দেখে নিয়েছিলাম। এরপর লোকজনের ভিড় একটু কমলে প্যান্ডেলের ভিতরে গেলাম এবং মায়ের দর্শন করলাম। মায়ের মূর্তিগুলোও বেশ ভালো তৈরি করেছে, কারুকার্যগুলো বেশ সুন্দর আর সাজানোয় আরো বেশ ভালো ফুটে উঠেছে।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
এইটা দেখার পরে আরেকটা প্যান্ডেলের দিকে গেলাম, এখানেও ভালো করে তাই এটাও ফেরার পথে একবার দেখে নিয়েছিলাম। এই প্যান্ডেলটিতে স্বাভাবিকভাবে তেমন লোকজনের আনাগোনা তেমন থাকে না, তবে এইবার একটু লোকজন বেশি দেখলাম। আগের দুটি প্যান্ডেলে লাইন না থাকলেও এটাতে আবার লাইন তৈরি করেছিল বেশি। এইগুলো সাধারণত কমিটির লোকজন পাবলিসিটি করার জন্য ইচ্ছা করেই করে যার কোনো প্রয়োজন নেই তাও। যাইহোক, কিছুক্ষন লাইন দেওয়ার পরে প্যান্ডেলের কাছে চলে গেলাম এবং কিছু ছবি তুললাম। প্যান্ডেলটি বেশ ভালোই সাজিয়েছে, বেশ সুন্দরও লাগছে।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
তবে প্যান্ডেলের ভিতরে যাওয়ার আগে তারা বাইরের গেটে কিছু ভালো কারুকার্য করেছে যেগুলো আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। এখানে আপনারা দেখতে পাবেন যে, বিভিন্ন ধর্মের মানুষদের মতো একটা ডিজাইন করে তুলে ধরেছে, এই বিষয়টা আমার কাছে খুবই সুন্দর লেগেছে। তাছাড়া সাইড দিয়ে আরো কিছু আফ্রিকান ডিজাইন তৈরি করেছে, এই ডিজাইনগুলো প্যান্ডেলের শোভা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। যাইহোক, এছাড়া সত্যি বলতে এদের প্রতিমার ডিজাইন দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম, বেশ খানিক্ষন ধরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম প্রতিমা। প্রত্যেকটা ডিজাইন খুবই সুন্দরভাবে তুলে ধরেছে। তবে প্রতিমার ধারে কাছে কাউকে যেতে দেয়নি তারা, দূরের থেকে যা দেখার যা ছবি তোলার তুলতে হয়েছে।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
ক্যামেরা | স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G |
---|---|
লোকেশন | কলকাতা |
তারিখ | ২০ অক্টোবর ২০২৩ |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা আজকে আপনার দূর্গা পুজো ২০২৩ এর পর্ব ২ দেখলাম। সব গুলো মন্ডপের ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে। আসলে যারা এই প্যান্ডেল গুলো তৈরী করে তারা সবাই অনেক দিক খেয়াল রেখেই এগুলো তৈরী করে থাকে। আর সময়ও লাগে অনেক। এর আগে আপনার কয়েকটি ফটোগ্রাফি পোষ্টে দেখলাম এক মাস আগে থেকেই এই প্যান্ডেল গুলো বানানোর কাজ শুরু করে। প্রথমে যেটা বলবো শেঠপুকুর নামের স্থানের প্যান্ডেলটি যেটা ভারতীয় কোর্টের আদলে তৈরী করা হয়েছে। দারুন সব কারোকার্য দিয়ে সাজানো হয়েছে। লাল কালারটা দারুন লাগছে। তারপর রয়েছে স্কুলের মাঠের ওখানের প্যান্ডেলটা যেটা আপনাদের বিখ্যাত একটি মন্দিরের আদলে তৈরী করা হয়েছে। যে মন্দিরটা আমি আলু অর্জনের ডিজে মুভিতে দেখেছিলাম। এটা কারোকার্যও দারুন হয়েছে। প্রত্যেকটা স্টেপে স্টেপে ডিজাইন করেছে। সেখানে আবার ছেলে মেয়েরা নিত্য করে দর্শকদের আনন্দ দিচ্ছিলো। তারপরে আসি আসার সময় যেখানে গিয়েছিলেন। যেখানে লাইন ধরে ভিতরে প্রবেশ করেছিলেন। এখানে দেখলাম সব ধর্মের মানুষের মূর্তি বানিয়ে সাজিয়ে রেখেছে। আবার আফ্রিকার কিছু মেয়েদের নিত্যের মূর্তি বানিয়েছে। বিষয় গুলো দেখে যেটা বুঝতে পারলাম অনেক সময় আর শ্রম দিয়ে এই জিনিষ গুলো তৈরী করতে হয়েছে। সব মিলিয়ে দারুন উপস্থাপনা আর ফটোগ্রাফি দেখলাম। ধন্যবাদ দাদা।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
পুজো মানেই ঘোরাঘুরি আর পুজো মানেই আনন্দ। পূজোর আনন্দ তখনই বেড়ে যায় যখন প্যান্ডেল গুলো বিভিন্ন রকমের কারুকার্যে সাজিয়ে তোলা হয়। আর যখন বিভিন্ন লাইটিং দিয়ে পুজো প্যান্ডেল ভরে ওঠে তখন দেখতে ভালো লাগে। সাথে আবার ছোট বাচ্চাদের নাচের অনুষ্ঠান ভাবতেই অনেকটা ভালো লাগছে দাদা। পুরো ব্যাপারটা একেবারে জমে গেছে। গেটের কাছে করা মানুষের মূর্তিগুলোর কারুকার্য এতটাই সুন্দর হয়েছে যে চোখ ফেরাতে পারছিলাম না। দেখতে সত্যিকারের মানুষের মতোই লাগছিল দাদা। সত্যি দাদা পুজো প্যান্ডেলের থিমগুলো যেমন ভালো লেগেছে তেমনি অসাধারণ কারুকার্য ছিল। আর চায়না থিমের উপর নির্মিত প্যান্ডেলটিও সুন্দর লাগছিল। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে মানুষের মতো মূর্তিগুলো দেখতে। একেবারে মনে হচ্ছিল যেন সত্যিকারের মানুষগুলো দাঁড়িয়ে আছে। সব মিলিয়ে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে দাদা। দারুন সব পুজো প্যান্ডেলের ফটোগ্রাফি গুলো সবার মাঝে উপস্থাপন করেছেন এজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।
বাহ্! ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো মুগ্ধ হয়ে গেলাম দাদা। এককথায় দুর্দান্ত ডেকোরেশন করা হয়েছে। প্রতিমা গুলো দেখতেও দারুণ লাগছে। একেকটা প্যান্ডেল জাস্ট অসাধারণ লাগছে দেখতে। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম দাদা। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রত্যেকটা প্যান্ডেলের কারুকাজ একদম চোখ ধাঁধানো দাদা। ছবিগুলো যতই দেখছিলাম, ততই যেন বারবার চোখ আটকিয়ে যাচ্ছিল, প্যান্ডেলের কারুকাজ গুলো দেখে। সবগুলো ফটোই আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে ।
শুভেচ্ছা রইল ভাই
দাদা আপনি অনেক সুন্দর করে আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে, দুর্গা পূজো ২০২৩ এর ২য় পর্ব শেয়ার করেছেন। এর প্রথম পর্বটা যেমন আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল, তেমনি দ্বিতীয় পর্বও অনেক ভালো লেগেছে। আপনি দুর্গাপুজোর কিছু আলোকচিত্র আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন, যেগুলো অনেক সুন্দর ছিল। প্রত্যেকটা আলোকচিত্র দেখে আমি তো অনেক বেশি মুগ্ধ হয়েছি। নিখুঁত হাতের অনেক সুন্দর সুন্দর কারুকাজ ছিল। প্রত্যেকটা মূর্তি অনেক বেশি নিখুঁত ভাবে তৈরি করা হয়েছে। এখানে দেখছি সব ধর্মের মানুষের মূর্তিও তৈরি করা হয়েছে দাদা। মেয়েদের নিত্যের বিষয়টা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। সত্যি দাদা আপনার সম্পূর্ণ পোস্ট আমি যত দেখছিলাম এবং পড়ছিলাম, আমার কাছে ততই অনেক বেশি ভালো লাগছে। সব মিলিয়ে আমাদের মাঝে এত সুন্দর করে পোস্টটা ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম। আশা করছি নতুন কিছু আলোকচিত্র দেখতে পাব পরবর্তী পর্বে।
দাদা আপনার তোলা দুর্গাপুজোর আলোকচিত্র গুলো দেখে আমি অনেক বেশি মুগ্ধ হয়েছি। দ্বিতীয় পর্ব টা পড়তে যেমন আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে, তেমনি দ্বিতীয় পর্বের মাধ্যমে শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো ও দারুন লেগেছে। প্যান্ডেল গুলো অনেক সুন্দর ভাবে করা হয়েছে আর দেখতেও ভালো লাগছে। প্রত্যেকটা মূর্তি অনেক বেশি সময় এবং শ্রম দিয়ে করা হয়েছিল দেখে বোঝা যাচ্ছে। এমনিতেই এরকম কাজগুলো অনেক বেশি সময় নিয়ে করা লাগে। পুজোতে আপনারা অনেক ঘুরাঘুরি এবং ভালো সময় কাটিয়ে থাকেন নিশ্চয়ই। দারুন দারুন কারুকাজ দেখতে পেলাম দাদা। ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের মানুষের মূর্তিগুলো ও অনেক সুন্দর করে তৈরি করেছে দেখছি। দেখে তো মনে হচ্ছে মূর্তিগুলো যেন বাহির থেকে আসা মানুষগুলোকে আহ্বান জানাচ্ছে। যাই হোক দাদা আপনি অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি। এবং পুরো পোস্টটা ও অনেক সুন্দর করে লিখেছেন। আশা করছি আপনি পরবর্তী পর্বটা আমাদের মাঝে খুবই শীঘ্রই শেয়ার করবেন।
শেঠপুকুরের দুর্গা ঠাকুর ও শেষের প্যান্ডেলের দুর্গা ঠাকুরটি আমি মুগ্ধ হয়ে দেখছিলাম দাদা।অসাধারণ, অনবদ্য তৈরি করেছেন কলকাতার ভাস্কররা।প্রথম দুটি প্যান্ডেলে আপনাকে লাইন দিতে হয়নি তবে শেষটি দেখতে লাইন দিতে হয়েছিল জেনে খারাপ লাগলো।তবে ভিতরের কারুকাজগুলি সত্যিই চমৎকার হয়েছে।চাইনিজ থিমটিও ভালো ছিল।সবমিলিয়ে আপনাদের ওখানের দুর্গা ঠাকুর দেখতে পেয়ে ভালো লাগছে সকাল সকাল।ধন্যবাদ আপনাকে, ভালো থাকবেন।