মানসিক যন্ত্রণা ও মানবজীবন।।৩ নভেম্বর ২০২২।।
হ্যালো বন্ধুরা,কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।আজকে আমি অনেক দিন পর কিছু লিখতে চলেছি আর সেটা অবশ্যই জীবন সম্পর্কীয়।কারণ আমি জীবন ও জীবনের আনুষঙ্গিক বিষয় গুলো নিয়ে ভাবতে ও লিখতে খুবই ভালোবাসি।আর সেই ধারাবাহিকতা থেকেই আমার এই পোস্ট লেখা।আজকে আমি জীবনের একটা মৌলিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি।আলোচনা মানেই বিচার-বিশ্লেষণ,তর্ক-বিতর্ক থাকবেই।আর এগুলো থাকেলই আলোচনা বেশি সমৃদ্ধ হয়।
আমাদের মানুষের জীবনে মন একটা বিশাল ধারণা।আসলে মন বলতে কিছুই নেই, ইংলিশে যেটাকে মাইন্ড বলে সেটা আসলে আমাদের এই বিস্ময়কর মস্তিষ্ক।আমরা আমাদের মস্তিষ্কের মাত্র দশ শতাংশ ব্যবহার করতে পারি,তাই করেই আমরা সমগ্র পৃথিবী তো বটেই এই মহাকাশকে ও শাসন করার হিম্মত দেখাতে পারছি।বর্তমান সময়ে একটা অদৃশ্য প্রতিযোগিতা চলছে।আমরা চাই কিংবা না,আমাদের এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতেই হয়।এটাই অলিখিত নিয়ম হয়ে গেছে।
আর এই প্রতিযোগিতা লড়তে লড়তে এক সময় আমাদের মনের উপর চাপ চলে আসে।আমরা একটু একটু করে তলিয়ে যেতে থাকি।আর এর নামই হতাশা বা ডিপ্রেসন।একটা সুস্থ সবল কর্মঠ মানুষকে এই হতাশা একদম শেষ করে দিতে পারে।আজকাল আমাদের জীবনে একটা অস্থিরতা কাজ করে।আমরা নিজেরা বুঝতে পারিনা কেন মনটা অস্থির।এই অস্থিরতা কিন্তু বিনাশকরী হতাশার পূর্ব লক্ষণ।
মানসিক অস্থিরতা শুধু মনের উপর নয় আমাদের শরীরের উপর ও ব্যাপক প্রভাব ফেলে। ফলশ্রুতিতে আমাদের সব রকমের সৃজনশীল কাজ ব্যাহত হয়।একজন শিল্পী ও মানসিক অস্থিরতার কারণে নিজের স্বকীয়তা নষ্ট করে ফেলে।
১.একঘেয়েমি কাজে বেশি দিন সম্পৃক্ত থাকলে একটা মানসিক অবসাদ চলে আসে,তখন মনে ও শরীরে অস্থিরতা কাজ করে।
২.নিজেকে হঠাৎ করে কোনো কিছুতে অপরাধী মনে করলে বা কোনো বিশেষ কারণে হীনমন্যতায় ভুগলে।
৩.কোনো কারণে কাজের প্রতি উৎসাহ হারালে।
৪.অনেক সময় অনেকদিন যাবৎ বিনা কাজে থাকলে একটা মানসিক যন্ত্রণা কাজ করে।
৫.অনেক গুলো অজানা কারণে এই অস্থিরতা শুরু হতে পারে।
মানসিক অস্থিরতা থেকে মুক্তির উপায়
মানসিক অস্থিরতা থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে সে বিষয়ে সম্মানিত পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।আমি এই বিষয়ে একটা ছোট মান নির্ধারণের ব্যবস্থা রেখেছি।যিনি বা যারা তিনটি পয়েন্টের মাধ্যমে তিনটি লাইনে মুক্তির উপায় ভালো বলতে পারবেন তাদের মধ্য থেকে ৩ জনকে বিজয়ী করা হবে।
মোট পুরস্কার : ৩০ স্টিম
প্রথম বিজয়ী:১৫ স্টিম
দ্বিতীয় বিজয়ী:১০ স্টিম
তৃতীয় বিজয়ী:৫ স্টিম
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়।👇
মানসিক অস্থিরতা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সবচাইতে কার্যকরী উপায় হচ্ছে
★দুনিয়ার মোহ থেকে মুক্ত হওয়া।
★নিজের চাহিদাকে নিয়ন্ত্রণ করা
★নিজের কাজের মাঝে আনন্দ খুঁজে নেয়া
যদিও জানি এই কাজ তিনটি করা খুবই কঠিন। তবে এটি করতে পারলে আপনি আর কখনোই মানসিক অস্থিরতায় ভুগবেন না।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
মানসিক অস্থিরতা যে কোনো কারণেই হতে পারে কিন্তু এই মানসিক অস্থিরতা থেকে মুক্তির উপায়:
প্রথমত :খুব নিজের কেউ থাকলে তার সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে যদি সে বিশ্বাসযোগ্য বলে আপনার মনে হয়।
দ্বিতীয়ত:নিজের পছন্দের যে কোনো কাজ যেমন গান শোনা, বই পড়া,বা যে কোনো কিছু যদি করা যায় অনেকটাই অস্থিরতা কমে।
তৃতীয়ত:এই অস্থিরতা বিষয়টিকেই খুব একটা গুরুত্ব না দেওয়া, বা ওই সময়টা কোনো নেগেটিভিটিকে গুরুত্ব না দিয়ে পজিটিভ কিছু চিন্তা করা।
মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়।
১. সর্ব প্রথম ঈশ্বরের উপর ভরসা রাখা এবং প্রার্থনা করা।
২. পরিবার প্রিয় জনের সাথে বেশি বেশি সময় কাটানো।
৩. যে কাজ করলে সাচ্ছন্দ্যবোধ করা যায় সেই ধরনের কাজগুলোতে বেশি বেশি করে সময় কাটাতে হবে।
সর্বপরি যদি এসব কোনকিছুতেই কাজ না হয় তখন ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া একান্ত প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। ধন্যবাদ দাদা।
মানসিক অস্থিরতা থেকে মুক্তির উপায়ঃ
১। পছন্দের কাজগুলো করা (ঘুরতে যাওয়া, সিনেমা দেখা, আড্ডা দেওয়া, গান শুনা, বই পড়া ইত্যাদি)
২।উত্তেজনা পুর্ন সময় কাটানো (তা পজিটিভ বা নেগেটিভ যাই হোক) এর ফলে সাময়িকভাবে অস্থিরতা সম্পুর্ন দুর হয়ে যাবে।
৩। ধ্যান করা (সৃষ্টিকর্তার প্রার্থনা করা)
মানসিক অস্থিরতা থেকে মুক্তির উপায়:
এক: যে কাজটি করতে করতে এই মানসিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে সেই কাছ থেকে যথা সম্ভব দূরে থাকা।
দুই: নিজেকে সময় দেয়া এবং প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়ানো এবং নিজ নিজ ধর্মের প্রতি আরো মনোযোগী হওয়া।
তিন: একা না থেকে যতদূর সম্ভব আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে সুন্দর মুহূর্ত কাটানোর চেষ্টা করা।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
জীবনে সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য আমরা কাজ করি, ওই কাজই যদি আমদের জীবনকে আসুখি করে দেই তাহলে প্রয়োজন নেই ওই কাজ করার। জীবনের জন্য কাজ , কাজের জন্য জীবন নয়।
Hi @blacks,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community