Beauty Of Bangladesh : where Heaven Meet to earth.
কবির ভাষায় বলতে গেলে,
"এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি
সকাল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভূমি।
একটি ব্লগ লিখে কখনওই হয়তো বাংলাদেশের সুন্দর্য বুঝানো সম্ভব না, এক যুগ একসাছে লিখলেও আমার দেশ বাংলাদেশ সম্পর্কে লেখা শেষ হবে না।
আমার সোনার বাংলা
আমি তোমায় ভালোবাসি।
আমি আমার দেশকে আমার মায়ের মতোই ভালোবাসি। এটি আমার কাছে স্বর্গ। এ দেশের প্রতিটা ধুলা কনাকেও ভালোবাসি।
বাংলাদেশ যেন এক রুপকথার গল্পের কোন এক রাজ্য।
বাংলার স্বাধীনতা
বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ।
এর আয়তন ১ লক্ষ ৪৭হাজার ৫৭০ বর্গকিলোমিটার।
৯ মাস এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জন করি আমরা। আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশের পতাকা চারপাশে গারো সবুজ ও মাঝখান টকটকে লাল বৃত্ত। পতাকাটির দৈর্ঘ্য প্রস্থের অনুপাত ১০:৬। লালা বৃত্তটির ব্যাসার্ধ পতাকার দৈর্ঘ্যের পাঁচ ভাগের এক ভাগ।
আমার বাংলাদেশের মানচিত্র
বাংলাদেশের আবহাওয়া
ছয় ঋতুর দেশ আমাদের বাংলেশ। এখানে ঋতু বদলের সাথে সাথে প্রকৃতির রূপ বদলায়। সে যে কি অপরূপ বৈচিত্র। নানা রকমের ফুলে ও ফলে প্রতিটা ঋতু সেজে ওঠে নতুন সাজে। শিমুল, পলাশ,কৃষ্ণচূড়া,কামিনী, হাসনেহেনা, শিউলি ফুটে প্রকৃতিকে রঙিন করে তোলে।
বর্ষার প্রথম প্রহরে ফোটে কদম।
নদীবহুল দেশ
বাংলাদেশ একটি নদী বহুল দেশ।
নদীগুলো বাঁকে বাঁকে ছুটে চলে। পদ্মা,মেঘনা,যমুনা, সন্ধ্যা ইত্যাদি অসংখ্য নদ নদী বয়ে চলেছে বাংলার বুক জুরে। আর সেই নদীর মাঝে, নদীর ঢেউয়ের সাথে পাল্লা দিয়ে চলে মাঝিরা। জেলেরা নদীর ঢেউকে হার মানিয়ে নিয়ে আসে মাছ বোঝাই করে। এই নদী লাখো মানুষে রোজগারের সন্ধান দেয়। নদীকে কেন্দ্র করে নদীর পাশে গড়ে উঠে নানা রকম ব্যবসা বাণিজ্য। নদীর পাশে গড়ে উঠেছে ইট ভাটা সেখানে থেকেও হাজার মানুষের সংসার চলে।নদীর পলি মাটির কারনে কৃষকের ফলে সোনার ফসল।
সন্ধ্যা নদী
পদ্মানদী এখান থেকে মাঝিরা রুপালি ইলিশ ধরে।
নদীর পার থাকে মাঝিদের সারি সারি নৌকা।
এদেশের বিলে ঝিলে ফুটে থাকে শত শত শাপলা
সাদা,লাল ও অন্য রঙের। পদ্মফুলেরও দেখা মেলে।
আর ফলেরতো তুলনা হয় না।
ঋতু ভেদে নানান রসালো ফলের দেখা মেলে।
বাংলার মানুষ
এখানের মানুষ সবুজ প্রকৃতির মতোই সহজ সরল। কুসুম কোমল মন। তবে তারা তাদের অধিকারের জন্য,দেশকে রক্ষা করার জন্য প্রান দিতে সর্বদা প্রস্তুত। এদেশে সবাই মিলে মিশে বাস করে।
পর্যটন কেন্দ্র
বাংলাদেশ অনেকগুলো পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেখানে সারাবছরই থাকে মানুষের ভির। শুধু মাত্র বাংলাদেশীরা না এদেশের সুন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে বিদেশ থেকে অসংখ্য মানুষ ছুটে আসে সুন্দর্য উপভোগ করার জন্য। ভ্রমন পিপাশু মানুষের কাছে বাংলাদেশ স্বর্গ। এখানের এই নির্মল পরিবেশে হারিয়ে যেতে চায় তারাও।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড়ো পর্যটন কেন্দ্র হলো কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর।
যেখানে সারাবছর বিদেশিদের আগমনে মুখরিত থাকে।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
আরো আছে সাজেক ভ্যালি, সেইন্ট মার্টিন,জাফলং,বান্দরবন, রাঙ্গামাটি,
লালবাগ কেল্লা,আহসান মঞ্জিল, মহেস্থগড়,কুয়াকাটা আরো অনেক যায়গা রয়েছে।
নোনা পরিবেশের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন হলো সুন্দরবন।
এখানে আছে মায়া হরিন,রয়েছে অসংখ্য পাখি,নদীতে মাছ,বানর,বন বিড়াল,বন মোড়ক রয়েল বেঙ্গল টাইগার।
হরিনঘাটা
জায়গাটি অসাধারণ সুন্দর, বনের ভিতর থেকে যেতে যেতে প্রায় দেখা পাওয়া যায় মায়া হরিনের। নানা রকম পাখির দেখা মেলে এখানে।
আমাদের দেশের মানুষে যুগ যুগ তারে তাদের সংস্কৃতি ধরে রেখেছে।
পহেলা বৈশাখ বাঙালির সংস্কৃতির একটি বিশেষ দিন। ১২ মাসে ১৩ পার্বণ চলে এখানে।
তাইতো কবি
জীবনজীবনানন্দ দাশের কবিতা
রূপসী বাংলায় বলেছে,
আবার আসিব ফিরে ধানসিড়িটির তীরে— এই বাংলায়
হয়তো মানুষ নয়— হয়তো বা শঙ্খচিল শালিখের বেশে,
হয়তো ভোরের কাক হ'য়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে
কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব কাঁঠাল ছায়ায়;
যদি কখনো ফিরে আসা যায় তবেও আমি বার বার, হাজার বার ফিরতে চাই এই বাংলায়। এই সবুজ শ্যামল প্রান্তরে খালি পায়ে হাটতে চাই। এই মাটির গন্ধ নিতে চাই বার বার।
তাই বার বার বলি,
আমার সোনার বাংলা
আমি তোমায় ভালোবাসি।
ভালো লাগলো বেশ সবটা পড়ে।
You have been upvoted by @tarpan A Country Representative from BANGLADESH we are voting with the Steemit Community Curator @steemcurator07 account to support the newcomers coming into steemit.
Follow @steemitblog for the latest update on Steem Community and other writing challenges and contest such as The diary game
We Love Contests
One Percent For Everyone
Also join LUCKY 10S