শৈল্পিক কারুকার্যমণ্ডিত "নাগরপুর চৌধুরীবাড়ী" - পর্ব ২
নাগরপুর চৌধুরীবাড়ী আমার দেখা সেরা জমিদার বাড়িগুলোর মধ্যে অন্যতম। আমি কিছুদিন আগে এই জমিদার বাড়ি নিয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলাম যেখানে জমিদার বাড়ির মূল ভবনগুলো বর্তমানে কি অবস্থায় আছে তা আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। প্রথম পর্বটি এখান থেকে পড়তে পারেন শৈল্পিক কারুকার্যমণ্ডিত "নাগরপুর চৌধুরীবাড়ী" - পর্ব ১।
আজ আমি জমিদার বাড়ির পাশের একটি পুকুর এবং পরিত্যক্ত ভবনগুলোর কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।
এটি নিরিবিলি ভবনের পশ্চিম পার্শ্বে অবস্থিত ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবন-৯। ভবনটি দেখলেই একটু ভয় লাগে। কোন হরর মুভি কিংবা নাটকের লোকেশন হিসেবে এই ভবনটি যথার্থ হবে বলে আমি মনে করি। ভবনগুলো এতটাই পুরাতন যে এর চারপাশে অনেক ঝোপঝাড় জন্ম নিয়েছে। আমার মতে, এরকম প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনাগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করে রক্ষণাবেক্ষণ করা উচিত এবং দর্শনার্থীদের পর্যবেক্ষণের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা উচিত। বিশেষ করে যে ভবনগুলো অতীব ধ্বংসপ্রাপ্ত, প্রয়োজনে সেগুলো সংস্কার করা উচিত। আর যে ভবনগুলো ভালো আছে, সেগুলোর চারপাশের আগাছাগুলো যথাযথভাবে পরিষ্কার করা উচিত।
কিছু কিছু ভবন প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত। এই ভবনগুলোতে প্রবেশ করার মত অবস্থা নেই। দূর থেকে জানালাগুলো দেখে মনে হয় যেন অনেক আগেই ভবনগুলো পরাজয় বরণ করে নিয়েছে। অথচ এখানেই এক সময় জমিদার এবং তার পরিবার বসবাস করত। তখন হয়তো ভবনগুলোর চাকচিক্য দেখে মানুষ অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকত। কিন্তু এখন এই ভবনগুলো জৌলুস হারিয়ে শুধুমাত্র ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে, আর নির্জীবতাকে সঙ্গী করে বিলীন হওয়ার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে।
জমিদার বাড়ির এরকম জরাজীর্ণ পরিবেশ দেখে কিছুটা মায়া লাগে। আমি যতগুলো জমিদার বাড়ি দেখেছি প্রত্যেকটি জমিদার বাড়ির আশে পাশে একটি বড় পুকুর খেয়াল করেছি। জমিদাররা হয়তো পুকুরে গোসল করতে পছন্দ করতেন অথবা পুকুর পাড়ে বসে সময় কাটাতে পছন্দ করতেন অথবা পুকুরে মাছ চাষ করতেন। নাগরপুর জমিদার বাড়ির পাশেই একটি বড় পুকুর রয়েছে। পুকুরটি বেশ সুন্দর। পুকুর পাড়ে বেশ কয়েকটি বসার জায়গা আছে। সবচেয়ে বড় পাড়ের সাথেই রয়েছে একটি কৃষ্ণচূড়া গাছ। বিকেল বেলা এরকম পুকুর পাড়ে বসে থাকার অনুভূতি হবে চমৎকার।
নাগরপুর চৌধুরীবাড়ীর পিছন দিকে পুনরায় যাওয়ার ইচ্ছে আছে। কারণ পিছনে আরো বেশ কয়েকটি ভবন আছে বলে শুনেছি। নাগরপুর বাংলাদেশের সব থেকে দর্শনীয় স্থান হত, যদি এই জায়গাটি কলকাতার আদলে প্রস্তুত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হত। কিন্তু দেশ বিভাগের পর তা হয়তো সম্ভব হয়নি। ৫৪ একর জায়গাজুড়ে নির্মিত এই জমিদারি এলাকা ঘিরে অনেক ইতহাস রয়েছে। এখানে রঙ্গমহল, চিড়িয়াখানা, ঘোড়ার দালান ইত্যাদি ভবন ছিল। জমিদাররা বিনোদন কিংবা ব্যবসার অংশ হিসেবে এখানে অনেক কিছুর প্রচলন করেন।
জমিদার বাড়ির পেছনের এলাকা ঘুরে দেখতে পারলে আপনাদের জন্য আরো চমকপ্রদ কিছু ছবি তুলতে পারতাম। যদি পরবর্তীতে এই জমিদার বাড়ি পরিদর্শন করার সুযোগ হয় তাহলে পুরো জমিদার বাড়ি ঘুরে দেখার চেষ্টা করব।
- ডিভাইস- স্যামসাং এস২১ আল্ট্রা
- লোকেশন- 3V3G+C2X Nagarpur
অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন ভাইয়া চৌধুরী বাড়ি নিয়ে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ সুন্দর হয়েছে একেবারে প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
এতগুলো ছবি নিয়ে একটা পোস্ট করেছেন! তৃতীয়পর্বের ছবিগুলো দেখার অপেক্ষা করবো। সুন্দর ছবি শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে ধন্যবাদ আপনাকে।
২য় পর্বই শেষ। ধন্যবাদ
বাড়িটার জানালা গুলো কি টিনের নাকি বা?
কৃষ্ণচূড়া গাছ পুকুর ঘাটের পাশে। কৃষ্ণচূড়া ফুল যখন ফোটে তখন গাছ গুলো অসাধারণ দেখতে লাগে। ভাতিজ যত গুলো ছবি তুলেছেন তোরা মাথায় নষ্ট। হারা তো ৫ টা পোস্টেও এত ছবি শেয়ার করি না 😊।
ধন্যবাদ
Tweet
https://twitter.com/sohan74077/status/1665444058234503168
অনেক পুরানো যায়গা ভাই। দেখেই গাঁ কেমন করতেছে। আপনি ঠিক বলেছেন কোনো হরর মুভির লোকেশন হিসাবে এই জায়গা সিলেক্ট করলে পারফেক্ট হবে। বিশাল এরিয়া ৫৪ একর জায়গা। সুন্দর ছবি তুলেছেন ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ এমন একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
বাহ বস সেই ঘোরাঘুরি করোছেন বাহে🫡🫡 ছবিগুলো তো সেই তুলছেন। অবশ্য আপনার তোলা ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে আপনি একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার। নাগরপুর চৌধুরীবাড়ী সম্পর্কে সুন্দর লিখেছেন। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
চৌধুরী বাড়ির ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর করেছেন আপনি।পুকুরটি অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে। দারুন লিখেছেন ভাই ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য আমাদের মাঝে।
ধন্যবাদ ভাই
প্রথমে ধন্যবাদ জানাই ভাই আপনাকে আমাদের টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী জমিদার বাড়ি সম্পর্কে এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। এই জমিদার বাড়ির ভবণগুলো অনেক পুরাতন। যা ইতিহাস ঐতিহ্যের সাক্ষী। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর জমিদার বাড়ি আমাদের দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই
নাগরপুর জমিদার বাড়ি নিয়ে আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন। ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটি অনেক বছরের পুরনো। পুকুরের ছবিটি অনেক সুন্দর হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ।