শৈল্পিক কারুকার্যমণ্ডিত "নাগরপুর চৌধুরীবাড়ী" - পর্ব ১
নাগরপুর চৌধুরীবাড়ী আমার দেখা অন্যতম সুন্দর একটি জমিদার বাড়ি যা টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় অবস্থিত। জমিদার বাড়িটি একটি বিশাল এলাকাজুড়ে অবস্থিত (প্রায় ৫৪ একর)। জমিদার যদুনাথ চৌধুরী ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা। আমি কয়েক সপ্তাহ আগে এই জমিদার বাড়িটি পরিদর্শন করেছিলাম। জমিদার বাড়ির কিছু ছবি এবং এটি বর্তমানে কি অবস্থায় রয়েছে সেটিই আজকের পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের কাছে তুলে ধরতে যাচ্ছি।
আমি পূর্বেও শুনেছিলাম যে, নাগরপুর উপজেলায় একটি জমিদার বাড়ি আছে। কিন্তু এটা এতটা দৃষ্টিনন্দন এবং শৈল্পিক কারুকার্যমণ্ডিত একটি জমিদার বাড়ি হবে, তা কখনো কল্পনা করতে পারিনি। নাগরপুরে এত সুন্দর একটি স্থাপনা দেখে অবাক হয়েছিলাম। আমি নাগরপুর উপজেলা হয়ে আমাদের গ্রামের বাড়ি বেড়াতে যাই। মূল সড়ক থেকে কিছুটা ভিতরে জমিদার বাড়ি অবস্থিত। আমি অটো রিকশা করে সেখানে গিয়েছিলাম।
মূল গেট দেখে মনে হয়েছিল অটোচালক আমাকে মহিলা কলেজের সামনে নামিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু যেই গেট দিয়ে ঢুকে সামনে তাকালাম, দেখি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে বিশাল এক রাজপ্রাসাদ। এটি চৌধুরীবাড়ীর মূল প্রাসাদ, যা বর্তমানে মহিলা কলেজ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আমি কিছুটা বিস্মিত হয়েছি যে, এত পুরাতন একটি স্থাপনা কলেজ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সাধারণত এসব জায়গা পরিত্যক্ত থাকে এবং প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এগুলোর দেখাশুনা করে। আর এ ধরণের জমিদার বাড়ি শুধুমাত্র দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে। তবে নাগরপুর জমিদার বাড়ি কিছুটা ব্যতিক্রম।
এই জমিদার বাড়িটি অনেক আগে নির্মিত হয়েছিল। সম্ভবত ব্রিটিশ পিরিয়ডের। কিন্তু নির্মাণকাল সম্পর্কে সুস্পষ্ট কোন ধারণা নেই। তবে জমিদার বাড়ির কারুকাজ দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম। যাই হোক বিকেলবেলা ঘুম থেকে উঠে জমিদার বাড়ি ঘুরতে আসার প্ল্যান সার্থক হয়েছিল। পুরো জমিদার বাড়ি এলাকা দেখে মনে হবে যে এটা বিশাল একটা আবাসিক এলাকা। যদিও পুরো এলাকা ঘুরে দেখা সম্ভব হয়নি। কারণ পুরোটা ঘুরে দেখতে গেলে সন্ধ্যে হয়ে যেত। কয়েকটি ভবন এতটাই পুরানো যে এগুলো দেখে ভূতের বাড়ি মনে হবে। আর কিছুটা ভিতরে গেলে একটা গা ছমছমে পরিবেশ পাবেন। ভিতরের ভবনগুলো নিয়ে পরবর্তী পর্বে আলোচনা করার চেষ্টা করব।
জমিদার বাড়ি এলাকায় বেশ কিছু ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবন দেখতে পেয়েছিলাম। বেশিরভাগ ভবনগুলো প্রবেশের অনুপযোগী। কথিত আছে নাগরপুর এলাকাটি কলকাতার মত করে সাজানোর পরিকল্পনা ছিল। এরকম জমিদার বাড়ির রয়েছে বিস্ময়কর ইতিহাস এবং এগুলো নিয়ে আসলে কৌতূহলের কোন শেষ নেই। সময়ের অভাবে পুরো এলাকাটি ঘুরে দেখা সম্ভব হয়নি। যারা নাগরপুর কিংবা এর কাছাকাছি কোথাও থাকেন তারা একবার হলেও দেখে আসতে পারেন নাগরপুরের ঐতিহ্যবাহী "নাগরপুর চৌধুরীবাড়ী"।
- ডিভাইস- স্যামসাং এস২১ আল্ট্রা
- লোকেশন- 3V3G+C2X Nagarpur
আমার কখনো নাগরপুর টাঙ্গাইল জমিদার বাড়ি যাওয়া হয়নাই। এর আগে আমি কোনদিনও নামও শুনি নাই। আপনার পোস্ট করার মাধ্যমে আমি নাগরপুর টাঙ্গাইল জমিদার বাড়ির সম্পর্কে জানতে পারলাম। অস্বাভাবিক সুন্দর ফটোগ্রাফি হয়েছে বড় ভাই। উপস্থাপনা অনেক সুন্দর।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
শৈল্পিক কারুকার্যমণ্ডিত "নাগরপুর চৌধুরীবাড়ী"সম্পর্কে আপনি অসাধারণ একটি পোস্ট লিখেছেন। সাজিয়ে গুছিয়ে সুন্দর উপস্থাপন করেছেন। ফটোগ্রাফি টা আমার কাছে পার্সোনালি অনেক ভালো লেগেছে। বিল্ডিং গুলো দেখলেই মনে হয় বিল্ডিং গুলো অনেক পুরাতন। বিল্ডিং গুলোর দিকে তাকালেই বোঝা যায় পুরাতন ঐতিহ্য এবং কারুকার্যে ঘেরা। সব মিলিয়ে অসাধারণ একটি পোস্ট করেছেন ভাই। এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
নাগরপুর চৌধুরীবাড়ী নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।আপনার পোস্টের মাধ্যমে আজকে প্রথম দেখলাম এই চৌধুরীবাড়ী। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে সেয়ার করেছেন ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।
প্রথমেই অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আমাদের টাঙ্গাইল জেলার নাগর বাড়ীর জমিদার বাড়ি সম্পর্কে এত সুন্দর উপস্থাপন করার জন্য। এই জমিদার বাড়িটি আমাদের টাঙ্গাইলের গর্ব, বর্তমানে পরিত্যক্ত জমিদার বাড়িটি এখন মহিলা কলেজের রূপান্তরিত হয়েছে। অসাধারণ উপস্থাপন করেছেন ভাই ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। অনেক ভালো লাগলো অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আমিও শুনে অবাক হলাম যে জমিদার বাড়ি এখন মহিলা কলেজে রুপান্তরিত..সাধারণত এইরকমটা কখনো শুনি নি..সামনাসামনি এখনো কোনো জমিদার বাড়ি দেখিনি।কিন্তু দেখার অনেক ইচ্ছে আছে।ফটোগ্রাফি সুন্দর হয়েছে!ধন্যবাদ ভাইয়া।
নাগরপুর চৌধুরীবাড়ী খবর কি আজকে প্রথম শুনলাম। জায়গাটি দেখতে বেশ সুন্দর আর আপনার ফটোগ্রাফি তো অসাধারণ। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
নাগরপুর জমিদার বাড়িটি অনেক সুন্দর সেটা আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখলেই বোঝা যাচ্ছে। তবে এটা জেনে অবাক হচ্ছি যে, এটা এখন মহিলা কলেজের রূপান্তরিত হয়েছ। সব জমিদার বাড়িগুলোই এখন পরিত্যক্ত কিন্তু এটা সবার ব্যতিক্রম । ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি বিষয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি মনে হয় বাংলাদেশের বেশ অনেক জায়গায় ঘুরেছেন।জমিদার বাড়িটি দেখেই বুঝা যাচ্ছে যে অনেক পুরনো।তবে যাওয়ার ইচ্ছা আছে আমারও।খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন ভাই ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।