চুঁইঝাল সহযোগে শাপলাপাতা মাছের দারুন সুস্বাদু রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটা রেসিপি শেয়ার করে নেবো। রেসিপিটি করা ছিল ৪-৫ দিন আগে। রেসিপিটা ছিল শাপলাপাতা মাছের তরকারি আর সাথে ছিল স্বাদের বড়ো আলু। শাপলাপাতা মাছ আশা করি সবাই চিনে থাকবেন, এটা তো আসলে অনেক নামে বিভক্ত, যার যার যেখানে যেমন বলতে পছন্দ করে। তবে শংকর নামটাও যেমন ভালো আবার শাপলাপাতা নামটাও বেশ আকর্ষণীয়। তেমন বাজারে এই মাছ দেখা যাচ্ছে না, খাওয়ার ইচ্ছা ছিল অনেকদিন থেকে কিন্তু তেমন পাওয়া যায় না, আর গেলেও কম ওঠে, সবাই নিয়ে নেয় বা যারা খুচরো বিক্রি করে তারা কম দামে নিয়ে চলে আসে। আমার দাদু গত সপ্তাহে ভোরে আড়তে গিয়েছিলো আর তখন ৫ কিলো ওজনের বড়ো একটা শাপলাপাতা মাছ পেয়েছিলো, তাই পুরোটাই নিয়ে এসেছিলো আর বাড়িতে এনে কেটে ভাগ করে নিয়েছিলাম। কাটার পরে অনেক হয়েছিল, আর এই মাছের আসলে স্বাদ খুব ফলে মার্কেটে এই মাছের চাহিদাও খুব। এই মাছ মাংসের মতো বেশি মশলা দিয়ে রান্না করলে আলাদা করে মনে হবে না যে মাছ খাচ্ছি না মাংস খাচ্ছি, মাংসের মতো লাগে একদম। আমি যদিও মশলা খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি, তাই হালকা একটু মশলা দিয়ে নরমালি রান্না করা হয়। বড়ো আলুর সাথে খেতে অনেক স্বাদের হয়েছিল। আলুটাও যেমন বড়ো সাইজের আর সেদ্ধও হয়েছিল ভালো, যেন মাখনের মতো গলে যাচ্ছিলো, বেশ স্বাদের ছিল সবমিলিয়ে তরকারিটা। যাইহোক, এখন রেসিপিটার মূল উপকরণের দিকে চলে যাবো।

☀প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:☀
❦এখন রেসিপিটি যেভাবে প্রস্তুত করলাম---
✠প্রস্তুত প্রণালী:✠
➤বড়ো আলুটির খোসা প্রথমে ছালিয়ে নিয়ে কেটে ছোট পিস পিস করে নিয়েছিলাম এবং পরে জল দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে রেখেছিলাম। এরপর চুঁইঝাল কেটে ছোট ছোট করে নিয়ে ধুয়ে রেখেছিলাম।
➤পেঁয়াজ এবং রসুনের কোয়া থেকে পর পর খোসাগুলো ভালোভাবে ছালিয়ে নিয়ে রেখেছিলাম। এরপর কাঁচা লঙ্কাগুলো কেটে নেওয়ার পরে ধুয়ে রেখেছিলাম।
➤শাপলাপাতা মাছের পিসগুলোকে একবার ধুয়ে নেওয়ার পরে তাতে লবন আর হলুদ ১.৫ চামচ করে দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর মাছের পিসের গায়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিয়েছিলাম।
➤কড়াইতে সরিষার তেল দিয়ে শাপলাপাতা মাছের পিস দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর মাছ ভালোভাবে ভাজা হয়ে আসলে তুলে রেখেছিলাম।
➤মাছের পিস সব ভেজে তুলে নেওয়ার পরে কড়াইতে আরেকটু তেল দিয়ে শুকনো লঙ্কা দিয়ে দিয়েছিলাম। লঙ্কা হালকা ভেজে নেওয়ার পরে তাতে গোটা জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤জিরা দেওয়ার পরে তাতে কেটে রাখা পেঁয়াজ-রসুন দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর সেটি ভালোভাবে ভাজা মতো করে নিয়েছিলাম।
➤ভাজা করার পরে তাতে কেটে রাখা বড়ো আলুর পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর ভাজা পেঁয়াজ-রসুনের সাথে উল্টেপাল্টে নিয়েছিলাম।
➤উল্টেপাল্টে নেওয়ার পরে তাতে কাঁচা লঙ্কা আর চুঁইঝাল দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর স্বাদ মতো সব মশলা যেমন- লবন, হলুদ আর লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤মশলাগুলো উপাদানের সাথে ভালোভাবে মিক্স করে নিয়েছিলাম। এরপর একপাশে কেটলিতে গরম করে রাখা জল দিয়ে দিয়েছিলাম কড়াইতে।
➤জল দেওয়ার পরে তরকারি ভালোভাবে ফুটিয়ে নিয়েছিলাম এবং কিছুক্ষন বাদে বড়ো আলুর পিস সেদ্ধ হয়ে আসলে তাতে ভাজা শাপলাপাতা মাছের পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর কড়াইয়ের গায়ে একেবারে হাতা দিয়ে চেপে চেপে কিছু সেদ্ধ বড়ো আলুর পিস গলিয়ে দিয়েছিলাম এবং তরকারিটা আরেকটু সময় জ্বাল দিয়ে নিয়েছিলাম।
➤তরকারির ঝোলটা ঘন হয়ে আসলে জ্বাল নিভিয়ে দিয়ে ঢেকে রেখেছিলাম। কিছুক্ষন বাদে দম বসে আসলে তাতে জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়ে একটি পাত্রে গরম গরম পরিবেশনের জন্য তুলে নিয়েছিলাম।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |


শাপলা পাতা মাছের নাম শুনেছিলাম দাদা। তবে এই মাছটা কখনো দেখিনি এমন কি খাওয়া হয়নি। কিন্তু আপনার দাদু পাঁচ কেজি ওজনের শাপলা পাতা মাছ এনেছে এটা শুনে তো অবাক হলাম। কারণ পাঁচ কেজি ওজন হলে তো মাছটা অনেক বড়। আসলে ভিন্ন ধরনের মাছ খেতে কিন্তু ভালই লাগে। আমাদের এদিকে এই মাছটা পাওয়া যায় বলে মনে হয় না। আমার তো এমনিতে বাজারে যাওয়া হয় মাছ কিনতে। কিন্তু আমি কখনো এই মাছ দেখিনি। তবে আপনার রেসিপিটা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু একটি রেসিপি। কারণ মাছের সাথে আবার বড় আলু দিয়েছেন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দাদা আপনি তো দেখছি আজকে খুবই লোভনীয় একটা রেসিপি তৈরি করে ফেলেছেন। চুঁইঝাল সহযোগে শাপলাপাতা মাছের এরকম সুস্বাদু একটা রেসিপি দেখে আমার তো জিভে জল চলে এসেছে। শাপলাপাতা মাছের নাম আগে কখনো শুনেছে বলে মনে হচ্ছে না আমার। আপনার মাধ্যমে এই মাছটার নাম জানা হয়েছে। আপনার এই রেসিপি পোষ্টের মাধ্যমে খুবই মজাদার একটা রেসিপি তৈরি শিখে নিতে পারলাম আজকে। আপনি খুবই মজাদার ভাবে রেসিপিটা তৈরি করেছেন। এরকম রেসিপি অনেক মজাদার রেসিপি দেখা যায়। আপনার রেসিপিটার কালার দেখে বুঝতে পারছি অনেক সুস্বাদু এবং ইয়াম্মি হয়েছে এটা। সব মিলিয়ে খুবই চমৎকার একটা রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন দেখে অনেক বেশি ভালো লাগলো।
শাপলাপাতা মাছের নাম এর আগে কখনো শুনিনি। এর আগে এমন মাছ দেখিওনি। মাছের নামটা আসলে বেশ আকর্ষণীয়। আপনার লেখাগুলোর মধ্যে এই মাছের স্বাদ সম্পর্কে পড়ে তো খাওয়ার ইচ্ছাটা অনেক বেড়ে গেছে। নতুন একটি মাছের সম্পর্কে জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। রেসিপিটা নিশ্চয়ই খুব সুস্বাদু হয়েছে।
চুইঝাল দিয়ে কখনো কোন রেসিপি তৈরি করে খাওয়া হয়নি। ধন্যবাদ দাদা লোভনীয় রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দাদা শাপলা পাতা মাছ নাম শুনেছি। তবে খাওয়া হয়নি কখনো। আপনি তো খুব মজা করে চুই ঝাল দিয়ে রান্না করলেন। খেতে খুবই মজার হয়েছে, তাই না দাদা? আমি অবশ্য চুঁই ঝাল ও কখনও খাইনি।শুনেছি চুঁই ঝাল দিয়ে রান্না করলে খেতে বেশ মজার হয়। আপনার রান্নার ধাপগুলো আপনি খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। এজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা আপনাকে।আপনি বড় আলু দিয়ে খুব মজা করেই রান্না করলেন। রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
শাপলাপাতা মাছের নাম শুনেছিলাম দাদা। তবে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার দাদু আড়তে গিয়ে ৫ কেজি ওজনের শাপলাপাতা মাছ কিনে এনেছে। এতো বড় মাছ খেতে খুব সুস্বাদু লাগে। যাইহোক চুঁইঝাল সহযোগে শাপলাপাতা মাছের রেসিপি দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে দাদা। রেসিপির কালারটাও খুব সুন্দর হয়েছে। গরমের সময় এমন ঝোল ঝোল রেসিপি খেতে দারুণ লাগে। আপনার রেসিপি গুলো দেখতে বরাবরই ভীষণ ভালো লাগে দাদা। বরাবরের মতো আজকেও এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দাদা শাপলা পাতা মাছের নাম আগে কখনো শোনা হয়নি আমার খাওয়া তো দূরের কথা। আমার কাছে খুবই নতুন মনে হচ্ছে এই মাছটা। মনে হচ্ছে এটি অনেক সুস্বাদু একটা মাছ। আপনি চুঁইঝাল সহযোগে শাপলা পাতা মাছের এই দারুন রেসিপি টা তৈরি করেছেন। রেসিপিটা দেখেই বুঝতে পারছি খুবই সুস্বাদু এবং ইয়াম্মি হয়েছে এবং খুবই মজা করে খেয়েছিলেন। এই মাছ বাজারে খুবই কম উঠে, যখন উঠে তখন সবাই কিনে নিয়ে যায়। আপনার দাদু পাঁচ কিলো ওজনের একটা শাপলা পাতা মাছ পেয়েছিল। আর যখন নিয়ে আসে তখন আপনারা কেটে ভাগ করে নিয়েছিলেন। এরপর খুবই মজাদার ভাবে রান্না করেছেন। আমি ভাবছি এই মাছ নিয়ে আসব বাজার থেকে কিনে। এই মাছের টেস্ট তো করতেই হচ্ছে। যাইহোক ভালো লাগলো দাদা আপনার আজকের রেসিপি টা।
খুবই সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন দাদা। আসলে শাপলা পাতা মাছ কখনো খাওয়ার সুযোগ পাইনি আমি। তবে আপনার আজকের এই রেসিপিতে চুঁইঝাল সহযোগে শাপলাপাতা মাছের রান্নার প্রক্রিয়াটি এবং বর্ণনাগুলো পড়ে মনে হচ্ছে শাপলাপাতা মাছ খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে।চুঁইঝাল সহযোগে শাপলাপাতা মাছের রেসিপিতে বড় আলু ব্যবহার করাটা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
শাপলা পাতার মাছ এর নাম আগে কখনো শুনিনি। আর সেজন্য খাওয়াও হয়নি। তবে চুইঝালের অনেক জনপ্রিয়তা শুনেছি খেতে জানি অনেক টেস্টি। আপনার রেসিপির সমস্ত প্রক্রিয়াটি দেখে মনে হচ্ছে রেসিপিটি অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। খেতে ও ইচ্ছা করছে নতুন একটি আইটেম। রেসিপির কালারটি অনেক অসাধারণ ছিল । যাই হোক আপনার পোষ্টের মাধ্যমে এই শাপলাপাতা মাছ সম্পর্কে জানা হলো কিভাবে রান্না করে খেতে হয়। ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
দাদা আমাদের দিকে এই মাছটিকে শাপলা পাতা মাছ আবার সংকর মাছও বলা হয়ে থাকে। আমাদের গ্রামের বাজারে এই মাছ পাওয়া যায় না। তবে শহরের আড়তে গেলে এই মাছটা দেখা যায়। আমি এখন পর্যন্ত এই মাছটি খায় নি। আপনার আইডিতে দুইবার শাপলা পাতা মাছের রেসিপি দেখেছি। এখন আমার এই মাছ খেতে খুব মন চাইতেছে। এবার যদি চোখের সামনে পড়ে তাহলে অবশ্যই কিনে নিয়ে আসবো। ধন্যবাদ দাদা।