দূর্গা পুজো ২০২৩ ( পর্ব ৫ )

in আমার বাংলা ব্লগ8 months ago
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

আজকে আপনাদের সাথে দূর্গা পুজোর কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করবো। গত পর্বে সিংহী পার্ক এর কিছু আলোচিত্র তুলে ধরেছিলাম। আজকে তার পাশেরই একটি ক্লাব এর পুজোর কিছু আলোকচিত্র তুলে ধরবো। তো সিংহী পার্কে দেখার পরে চলে গিয়েছিলাম হিন্দুস্থান ক্লাব এর পুজো প্যান্ডেলের দিকে। এই ক্লাবটি প্রতিবছরই আকর্ষণীয় কিছু নিত্যনতুন থিম নিয়ে হাজির হয়। তবে এই বছর এদের থিমটা ছিল "দড়িয়া পার "।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এই ক্লাবের আলোকসজ্জার বিষয়টাও বেশ চমৎকার ছিল। তবে এই ক্লাবে যে লাইটিং দিয়ে রথের মতো সাজিয়েছে সেটা মনে হলো ডায়নোসরের। এছাড়াও নিচের দিকে আরো কিছু বিভিন্ন কালারের লাইট দিয়ে ডিজাইনগুলো পরিপূর্ণ করেছে। তবে এইগুলো এনিমেটেড টাইপের করা ছিল কিছু কিছু জায়গায়, যা দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিলো গেটের কাছের থেকে। তবে প্যান্ডেলগুলো এইবার সাজিয়েছে কাঠ,খড় এইসব দিয়ে। বিষয়টা অনেক ইন্টারেষ্টিং এবং ইউনিক ছিল। থিমের সাথে ভালো মিলিয়েছে বিষয়গুলো।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

প্যান্ডেলের চারিপাশটা সাজিয়েছে নৌকার মাধ্যমে। একপ্রকার বলা যায় নৌকা দিয়ে প্যান্ডেলের মেইন আকর্ষণটা তুলে ধরেছে। এছাড়া পর পর যত মন্ডপের দিকে মায়ের কাছাকাছি এগিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো, ততই বিভিন্ন ধরণের কারুকার্য সামনে পড়ছিলো। উপরের দিকের বিভিন্ন ডিজাইনে কিছু আদিবাসীদের মতো কারুকার্য করা মনে হলো দেখে।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

গতবছরও যেমন ইংরেজ আমলে শহীদদের বিষয় নিয়ে ইউনিক আকারে থিমটা সাজিয়েছিল, এইবারও এই "দড়িয়া পার " এর মাধ্যমে নতুন কিছু দেখা গেলো। যাইহোক, অনেক্ষন সময় প্যান্ডেলের বিভিন্ন অংশ দেখতে দেখতে সামনের দিকে অবশেষে মায়ের স্থানে পৌঁছালাম। মায়ের স্থানটিও নৌকা দিয়ে সাজিয়েছে আর সবথেকে মায়ের মূর্তিটা অনেক সুন্দর লাগছিলো।


শুভেচ্ছান্তে, @winkles

ক্যামেরাস্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশনকলকাতা
তারিখ২২ অক্টোবর ২০২৩


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 8 months ago 

দাদা আগের পর্বের হিংসী পার্কের আলোকচিত্র গুলো দেখেছিলাম। দারুন ভাবে সাজিয়েছিল। আজকে হিন্দুস্থান ক্লাব এর পুজো প্যান্ডেলটি দেখে অবাক হওয়া ছাড়া উপায় নেই। সেই সাথে চিন্তায় পড়ে গেলাম এই কাজ গুলো তারা শুরু করে কখন আর শেষ করে কখন। খরচাই বা কত যায়। দরিয়া পার থিমটা সত্যিই খুব সুন্দর হয়েছে। এত নিখুঁত কাজ মনে হয় আর কোথাও দেখি নাই। দাদা এই কাঠ,খড় দিয়ে যে তারা এত সুন্দর সুন্দর নৌকা সত বিভিন্ন জিনিষ তৈরী করেছে এগুলোর খরচ কেমন পড়েছে। আবার দেখলাম উপরে একটি নৌকা বানিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে। নৌকার সাথে অনেক গুলো বৈঠাও দেখলাম। শুধু তাই নয় প্যান্ডেলে প্রবেশ করতে যে লম্বা উচুঁ গেইটা দেখা যায় সেটার ভিতরে ভিতরে খড় কাঠ কেটে অনেক গুলো মূর্তি পুতুল বানিয়ে ডিজাইন করেছে। মানুষ মোবাইল উচু করে করে ফটোগ্রাফি করছে। আজকের পূজা প্যান্ডেলটি সত্যিই ধারুন হয়েছে। আর উপরে কয়েকটি ফটোগ্রফিতে দেখলাম ডাইনোসরের আদলে রথ যাত্রা তৈরী করেছে। সেটার কাজ দেখেও মাথা নষ্ট হয়ে যায়। কত নিখুঁত কাজ করেছে। আর বিভিন্ন ধরনের কালার করার কারনে দেখতেও সুন্দর লাগছে। সব মিলিয়ে আজকের ফটোগ্রাফি গুলো অতুলনীয় ছিল। ধন্যবাদ দাদা।

 8 months ago 

দাদা আগের পর্বটি পড়েছিলাম এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখেছিলাম, বেশ ভালো লেগেছিল। যাইহোক হিন্দুস্থান ক্লাব এর পুজো প্যান্ডেল এবং প্রতিমা এককথায় দুর্দান্ত লেগেছে। আসলেই দাদা ক্লাব কর্তৃপক্ষ দড়িয়া পার থিমের সাথে মিল রেখে সাজিয়েছে কাঠ,খড় এইসব দিয়ে। তাদের থিমের নামকরণটা একেবারে সার্থক হয়েছে দাদা। সবমিলিয়ে বেশ ভালো লাগলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

 8 months ago 

দাদা আজ পুজো পর্ব - ৫ শেয়ার করলেন। এই পর্বে হিন্দুস্থান ক্লাবের পুজো প্যান্ডেল ও এ বিষয়ে বেশকিছু তুলে ধরেছেন । ফটোগ্রাফিতে পুজো প্যান্ডেল ও প্রতিমার ফটোগ্রাফি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো দাদা।এরা কাঠ,খড় দিয়ে কি সুন্দর ভাবে ই না তৈরি করলেন।তাদের প্রশংসা আসলে করতেই হয়।আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আর বর্ননা পড়ে অনেক কিছু জানা হলো। ধন্যবাদ দাদা শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 8 months ago 

এক কথায় বলতে গেলে অসাধারণ হয়েছে দাদা। পূজার থিম গুলো দেখে মনে হচ্ছে খুব বেশি টাকা খরচ করা হয়েছে এখানে। বিশেষ করে হিন্দুস্থানের পূজার থিম বেশ ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর করে আপনি ফটোগ্রাফি গুলো নিলেন। অনেক আলোজসজ্জা ছিল সেই সাথে মানুষের ভিড়ও বেশ হয়েছিল দেখা যাচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে আপনি অসাধারণ একটি সময় কাটিয়েছেন। মুহূর্তটি আপনি ফটোগ্রাফি আকারে আমাদের সাথে শেয়ার করলেন অনেক ভালো লাগলো।

 8 months ago 

যেমন আলোকসজ্জা, তেমন ডেকোরেশন। যতই ছবি দেখছিলাম ততই বারবার চোখ আটকে যাচ্ছিল ভাই। পুজো প্যান্ডেলের কারুকাজের প্রশংসা করতেই হচ্ছে।

 8 months ago 

দাদা আপনি দুর্গা পুজোর পোস্টটির পঞ্চম পর্ব আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, যেটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। সিংহী পার্কের আলোকচিত্র দেখেছিলাম, যেটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছিল। দুর্গাপুজোর প্রথম থেকে চতুর্থ পর্যন্ত সবগুলো পর্ব আমি দেখেছিলাম। আর আপনি আজকে পঞ্চম পর্বটা অনেক সুন্দর করে তুলে ধরেছেন, যার কারণে এটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আজকে দুর্গাপুজোর বেশ কিছু আলোচিত্র তুলে ধরেছেন এই পোষ্টের মাধ্যমে‌। যেগুলো আমার কাছে শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লেগেছে। এই বছর তাদের থিম ছিল দেখছি "দড়িয়া পার"। প্রতিবছর নতুন নতুন থিম নিয়ে তারা হাজির হয় এটা জেনে ভালো লেগেছে। সম্পূর্ণটা আপনি অনেক সুন্দর করে লিখেছেন আমাদের সবার মাঝে। আশা করছি ষষ্ঠ পর্ব টা আপনি আমাদের মাঝে খুব শীঘ্রই শেয়ার করবেন। এবং ওই পর্বের মাধ্যমে আরো বেশ কিছু পুজোর আলোকচিত্র আমরা দেখতে পাবো। ধন্যবাদ দাদা ফটোগ্রাফিগুলো এত সুন্দর করে তুলে ধরার জন্য। এবং কি ফটোগ্রাফি গুলো সম্পর্কে বর্ণনা ও সুন্দর করে লেখার জন্য।

 8 months ago 

গত পর্বে আমরা সিংহী পার্কের পুজো সম্পর্কে জেনেছিলাম এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখেছিলাম। এবার নতুন একটি পুজো সম্পর্কে ধারণা পেলাম এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখলাম। "দড়িয়া পার "প্রতিবারের মতো এবারও দারুণ আয়োজন করেছে জেনে ভালো লাগলো। তাদের থিমটা সত্যিই দারুণ ছিল। পুজো প্যান্ডেল থেকে শুরু করে ডেকোরেশন সবকিছুই অসাধারণ হয়েছে। আর প্রতিমাটি দেখতে আরো বেশি সুন্দর লাগছে। মায়ের প্রতিমা এত সুন্দর করে নৌকা দিয়ে সাজানো হয়েছে দেখে সত্যি মুগ্ধ হয়েছি দাদা। আসলে শিল্পীর হাতের ছোঁয়ায় পুরো প্যান্ডেল দারুণভাবে সেজে উঠেছে। আর এত সুন্দর পূজা প্যান্ডেল দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। আর নতুন একটি আইডিয়ায় পুরো প্যান্ডেলটি যেন নতুন ভাবে সেজে উঠেছে। সত্যি দাদা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। দাদা আপনি পুজোয় দারুন সব ফটোগ্রাফি করেছেন এবং পুজো প্যান্ডেলের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

 8 months ago 

হিন্দুস্থান ক্লাব এর পুজো প্যান্ডেল টি বেশ দারুণ লাগছে আপনার ফটোগ্রাফিতে। আলোকসজ্জার বিষয়টা জাস্ট অসাধারণ লাগলো । এছাড়া নৌকার ব্যাপারগুলোও ভালো হয়েছে । গত বছর আমি এই পুজো প্যান্ডেলে গেলেও এইবার আর যাওয়ার সুযোগ হয় নি। বেশ ইউনিক লাগছে এইবারের পুজো প্যান্ডেল থিম টি।

 8 months ago 

দুর্গা পুজো ২০২৩ এর প্রথম থেকে চতুর্থ পর্ব পর্যন্ত দেখা হয়েছিল। আর আপনি এই পোষ্টের মাধ্যমে পঞ্চম পর্বটা অনেক সুন্দর করেই তুলে ধরেছেন, এবং কি অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু আলোকচিত্রও তুলে ধরেছেন। কাঠ, খড় এসব দিয়ে প্যান্ডেল গুলো সাজানো হয়েছিল, এই বিষয়টা শুনে তো আমার নিজের কাছেও অনেক বেশি ইউনিক লেগেছে দাদা। থিমের সাথে মিলিয়ে এসব কিছু করেছিল, এটা জেনে অনেক বেশি ভালো লাগলো। পুরো প্যান্ডেলের আলোকসজ্জা অনেক বেশি সুন্দর ছিল। এসব কিছু অনেক বেশি সময় নিয়ে তারপরে তৈরি করেছে যা দেখেই বুঝতে পারছি। পুরোটা সুন্দরভাবে সাজানোর কারণে দেখতেও অনেক ভালো লাগছে। আপনি সবকিছুর ফটোগ্রাফি আলাদা আলাদাভাবে করেছেন এবং অনেক সুন্দর করে বর্ণনার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন দেখে অনেক ভালো লেগেছে দাদা। দাদা আশা করছি পরবর্তীতেও এ ধরনের সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো নিয়ে সবার মাঝে হাজির হবেন আপনি।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 63894.70
ETH 3178.14
USDT 1.00
SBD 2.63