এলোমেলো আলোকচিত্র- #০৮
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে কিছু এলোমেলো আলোকচিত্র শেয়ার করে নেবো। তাহলে দেখে নেওয়া যাক আজকের ছবিগুলো।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
প্রথম আলোকচিত্রটি একটি ফুলের। এই ফুলটার নাম আমার সঠিক মনে পড়ছে না, তবে এটি স্বর্ণচাঁপা উদ্ভিদ এর ফুল এইরকম কিছু একটা মনে হচ্ছে। হতে পারে এর একটা প্রজাতি, কিছুটা একই রকমের লাগে ফুলগুলো পরিপূর্ণ পরিস্ফুটিত হলে। তবে ফলগুলো একই রকমের মনে হলো যার জন্য এটাকে স্বর্ণচাঁপা উদ্ভিদের ফুলের মতো লাগছে। এইসব উদ্ভিদগুলো হরেক নামের সাথে পরিচিত, আর এইগুলো বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। এর কিছু কিছু প্রজাতি আছে যেগুলো একই সাথে বেড়ে ওঠে ঝোঁপঝাড়ের মতো সৃষ্টি করে। আর এইগুলো অনেক সময় আমাদের হাঁটাচলার পথে রোডের সাইটেও দেখা যায়। বেশিটাই গ্রামের সাইটে গেলে সন্ধান মেলে। ফুলগুলো এখনো তেমন একটা বেড়ে ওঠেনি, তবে পরিস্ফুটিত হলে দেখতেও বেশ সুন্দর লাগে আর উদ্ভিদটিও চিরসবুজ, দেখলেই মনটা জুড়িয়ে যায়। এই ফুলটিকেও আমি রোডের সাইট থেকে তুলেছিলাম, আশেপাশে আগাছার মতো থাকলেও যেন উদ্ভিদের চিরসবুজতা আর ফুলের সমারোহে পরিবেশটা সুন্দর লাগছিলো।
Photo by @winkles
দ্বিতীয় আলোকচিত্রটি একটি পোকার। এই পোকাটিকে অনেকের চিনে থাকার কথা, কারণ এই পোকাটিকেও সবজায়গায় দেখা যায়, যেটি জিওয়েল বাগ নামে পরিচিত। এটিকে বেশিরভাগ উদ্ভিদের পাতায় দেখা যায়, এই পোকাগুলোর আবার অনেক প্রজাতির আছে, যেমন এই প্রজাতির জিওয়েল বাগ গাছের পাতায় বসে থাকে এবং পাতাগুলো অনেক ক্ষেত্রে খেয়ে খেয়ে ছিদ্র করে ফেলে। এই পোকাগুলোর বডির কালারটিই ভীষণ আকর্ষণীয়, দেখতে অসাধারণ লাগে এই পোকাগুলোকে। পুরো বডিটাই সোনালী কালারের সাথে সাথে ব্ল্যাক কালারও যুক্ত, এইধরণের মালিটিপল কালারের পোকাগুলো দেখতে অনেক আকর্ষণীয় হয়ে থাকে। এইরকম লাল কালারের একধরণের আছে, সেগুলোও দেখতে অনেক আকর্ষণীয়। যাইহোক, পোকাটা পাতার আড়ালে গুটি গুটি পায়ে হাঁটাহাঁটি করছিলো আর আমার দেখে ভালো লেগেছিলো তাই ম্যাক্রো ক্যামেরা দিয়ে তুলে নিয়েছিলাম।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
তৃতীয় আলোকচিত্রটি একধরণের ফলের। এই ফলগুলো একধরণের বেরি নামে পরিচিত। উদ্ভিদটির পরিকাঠামো আর ফুল দেখলে বেগুনের উদ্ভিদের মতো লাগে, আবার ফলগুলোর কাঠামোও ঠিক কিছুটা ওইরকম। তাই অনেক জায়গায় একে আবার মটর বেগুন বলেও সম্বোধন করে থাকে। এই উদ্ভিদগুলো অনেকটা আগাছার মতো বেড়ে ওঠে এবং উদ্ভিদটিতে প্রায় সারাবছর এইধরণের ফল বা ফুল ধরতে দেখা যায়। এর কিছু প্রজাতির ফল অনেক বিষাক্ত হয়, তবে এইগুলো বিষাক্ত না। তাই পাখিদের অনেক সময় এই ফলগুলোকে ঠোকর মেরে মেরে খেতে দেখা যায়।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
চতুর্থ আলোকচিত্রটি একটি লেকের পাড়ের থেকে বিকেবেলা তুলেছিলাম। ছোট- বড়ো অনেকে এখানে ফুটবল খেলছিল। শুধু ফুটবল বললে ভুল হবে, এইটুকু জায়গার মধ্যে এক সাইটে ভাগ করে কয়েকজন ফুটবল এবং অন্য সাইটে কয়েকজন ক্রিকেট খেলছিল। বিকালবেলা খেলাধুলা দেখতে যেমন ভালো লাগে, আবার খেলতেও তেমন ভালো লাগে। এইগুলো গ্রামের দিকে গেলে ভালো দেখা যায়, কিন্তু আমাদের এখন এই শহর অঞ্চলে একটা খেলার মাঠ খুঁজে পাওয়া যায় না। একদম বদ্ধ মতো হয়ে গেছে সব শহরে, তাই চলাচলের রাস্তার উপরেও ক্রিকেট খেলতে দেখা যায়। যাইহোক, বিকেলে সবাই খেলাধুলা করছিলো আর আমিও দেখতে দেখতে কিছু ছবি তুলে নিয়েছিলাম।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
পঞ্চম আলোকচিত্রটি একটু পুকুরের। পুকুরটি অনেকটা বড়ো, প্রায় ১ বিঘার উপরে জায়গা নিয়ে করা বলা যায়, ছবিতে বেশি একটা কভার হয়নি, কিন্তু সাইটেও আরো জায়গা আছে । এই পুকুরটির মালিক কেউ নেই, সরকারি ভাবে পড়ে আছে। পুকুরে মাছ আছে প্রচুর, কিন্তু জল অসম্বভ নোংরা হয়ে পড়ে আছে। আর দিনদিন আরো দূষিত হচ্ছে জল, কারণ দুনিয়ার যত ময়লা আবর্জনা সব পুকুরের সাইটে বা ওর মধ্যেই ছুড়ে ফেলে দেয়। মানুষ আজকাল ময়লা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা বাদ দিয়ে জলে কেন ফেলে দেয় বুঝলাম না, এতে করে সবকিছুই ধীরে ধীরে দূষিত হয়ে যাচ্ছে পরিবেশটা। আসলে কেউ কারো কিছু বলে না, তাই ইচ্ছা খুশি সবকিছু চলে, আর এই জায়গাটা একদম ফাঁকা জায়গা, তাই রাতে কেউ ফেলে দিলেও টের পাবে না বা প্রমান থাকে না কে কি ফেলছে।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
ক্যামেরা | স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G |
---|---|
লোকেশন | রঙ্গপুর |
তারিখ | ২৪ মে & ৭ জুন ২০২৩ |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা আজকে প্রকৃতি নিয়ে দারুন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। প্রথম ছবিটা স্বর্ণচাঁপা উদ্ভিদই মনে হচ্ছে। তবে আমিও আপনার মত সিউর না। তাছাড়া আরো বাকি যে ফটো গুলো দেখলাম লেকের পাড়,ফুল,সুন্দর একটি পোকা আর পুকুর দেখলাম। পুকুরটা দেখেতেই বুঝা যাচ্ছে বিশাল বড়। পুকুর পাড়ে দালান কোঠাও দেখলাম।পানিও বেশ পরিষ্কার। সব মিলিয়ে ভালই লেগেছে। ধন্যবাদ দাদা।
বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেও উপস্থাপনা কিন্তু বেশ সুন্দর ছিল। আমরা আজকাল যত শিক্ষিত হচ্ছি বোধবুদ্ধি ততো লোপ পাচ্ছে ।তা না হলে কি ময়লা কেউ পুকুরে ফেলে, নির্দিস্ট জায়গায় না ফেলে। তবে পুকুরের ফটোগ্রাফি বেশ সুন্দর হয়েছে। পানিতে গাছের প্রতিচ্ছবি দেখা যাচ্ছে।অনেক ধন্যবাদ দাদা।
জাষ্ট অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফী করেছেন দাদা, আমার কাছে কিন্তু মোটেও অগোছালো মনে হয়নি ছবিগুলো। প্রাকৃতিক পরিবেশ আর ছোট্ট পোকাটি আমার দারুন লেগেছে।
দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য।
দাদা আপনার ফটোগ্রাফি গুলো এলোমেলো হলেও উপস্থাপনা অনেক সুন্দর সাজানো গোছানো ছিল। প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে দাদা। গ্রামীণ পরিবেশের এসকল ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে খুবই বেশি ভালো লাগে। সুন্দর একটি ফটোগ্রাফির পোস্ট
আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
দাদা আপনি আজকে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছেন যা দেখে খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। আপনার তোলা প্রথম ফটোগ্রাফিতে যে ফুলটি ছিল তা আমিও চিনতে পারিনি এবং নামটাও ভুলে গিয়েছি। আর দ্বিতীয় নাম্বারে যে ছোট ছোট এক ধরনের বেরি ফলের ফটোগ্রাফি করেছেন, আমাদের এই দিকে বেশিরভাগ সময় দেখা যায় এগুলো ভর্তা করতে। যদিও এই ভর্তা আমার কখনো খাওয়া হয়নি তবে অনেকবার দেখেছি। গ্রামের দিকে এমনিতে ছোট বড় ছেলেদেরকে ফুটবল আর ক্রিকেট খেলতে দেখা যায় বেশিরভাগ সময়। আপনি খেলা দেখতে দেখতে দেখছি অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। একপাশে ক্রিকেট খেলা হচ্ছে আরেক পাশে ফুটবল খেলা হচ্ছে, এই বিষয়টা আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। পুকুরটা দেখছি অনেক বেশি বড়। আসলে বেশিরভাগ মানুষ এরকম পুকুরগুলোতে ময়লা আবর্জনা ফেলে থাকে যার কারণে পরিবেশ দূষণ হয়। আর এসব তারা কেন করে বুঝিনা। আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি অনেক বেশি ভালো ছিল দাদা। অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা তুলে ধরলেন দেখে ভালো লাগলো।
দাদা আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো অনেক বেশি সুন্দর হয়। এর আগে আপনার ফটোগ্রাফি পোস্ট দেখেছি বেশ কয়েকবার। পোকাটির ফটোগ্রাফি অনেক বেশি আকর্ষণীয় ছিল, যা আমার কাছে একটু বেশি ভালো লেগেছে দেখতে। আসলে এই পোকা গুলোর কালার অনেক সুন্দর হয় আর অনেক বেশি আকর্ষণীয় লাগে দেখতে। এই পোকাগুলো বেশিরভাগ জায়গায় দেখা যায়। আপনি পোকাটির অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করলেন অন্যান্য ফটোগ্রাফি গুলোর সাথে। লেকের পাড়ে দেখছি ছোট বড় সবাই ফুটবল এবং ক্রিকেট খেলছে জায়গা ভাগ করে। ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গিয়েছে আপনার এই ফটোগ্রাফিটি দেখে। অনেক খেলা হতো ছোটবেলায় ক্রিকেট আর ফুটবল। ইচ্ছে করছে তাদের সাথে গিয়ে খেলতে। রাস্তায় চলাফেরা করার সময় এরকম খেলা দেখলে আমি দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ খেলা দেখি। আপনি পুকুরের যে ফটোগ্রাফিটি করেছেন তার এক পাশে বুঝা যাচ্ছে অনেক ময়লা আবর্জনা করে রয়েছে। পরিবেশ দূষণ হয় ময়লা আবর্জনার কারণে। আর এর ফলে মানুষের ক্ষতি ও হয় কিন্তু মানুষ এগুলো বুঝেনা। তুলে ধরলেন দেখে ভালো লাগলো দাদা।
দাদা আপনার আলোকচিত্র গুলো এলোমেলো হলেও প্রত্যেকটি আলোকচিত্র অসাধারণ ছিল যা দেখে চোখ জুড়িয়ে গেল। প্রত্যেকটি আলোকচিত্র সবুজে ঘেরা যা দেখে আরো বেশি ভালো লাগলো। ধন্যবাদ দাদা সবুজে ঘেরা কিছু প্রকৃতির ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
প্রিয় দাদা, আপনার তোলা সব কয়টি ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুবই সুন্দর লেগেছে। আপনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে অনেক সুন্দর সুন্দর দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার তোলা তৃতীয় ফটোগ্রাফিটি হল তীতবেগুন বা গুটি বেগুন এর ফটোগ্রাফি। এ ধরনের বেগুনগুলো কবিরাজি কাজে ব্যবহার হয়। অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য প্রিয় দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
দাদা আপনার ফটোগ্রাফি গুলো ভালো ছিল। আপনারা তোলা ফটোগ্রাফির মধ্যে সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি। আসলে যে কোন পোকা বা এই জাতীয় কোন কিছুর ফটোগ্রাফিটা করা অনেক কঠিন। অনেক সময় এগুলো পাওয়া যায় না যদিও পাওয়া যায় তাহলে ফটোগ্রাফি করতে গেলে পালিয়ে যায়। যাহোক সব মিলিয়ে খুব দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন এবং আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনাকে ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.