হরর মুভি রিভিউ: I Know You

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে একটা হরর মুভি রিভিউ শেয়ার করে নেবো। অনেকদিন বাদে আজকে আমি একটা হরর মুভি দেখলাম, অনেকদিন দেখা হয় না হরর মুভি। আজকে আমি যে হরর মুভিটির রিভিউ স্বরূপ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো সেটির নাম হলো " I Know You ". এই মুভিটি আমি আগে জাস্ট একবারই দেখেছিলাম এবং মুভিটির কাহিনীটা বেশ ভালো লেগেছিলো আমার কাছে। কাহিনীটা পড়ে আশা করি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে


☬কিছু গুরুত্ত্বপূর্ণ তথ্য:☬

মুভির নাম
I Know You
পরিচালকের নাম
জয়বীর পাঙ্গাল
লেখক
জয়বীর পাঙ্গাল
অভিনয়
নিশান্ত ভরদ্বাজ, মুজাহিদ খান, সাগরিকা নেহা, সঞ্জীব পান্ডে, নিকিতা সোনি ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
৩ জুলাই ২০২০ ( ইন্ডিয়া )
সময়
১ ঘন্টা ৩৬ মিনিট
মূল ভাষা
হিন্দি
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ভারত
বাজেট
₹২৫,০০০,০০০


✔মূল কাহিনী:


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে

শুরুতে দেখা যায় সমুদ্রের তীরে একটা লাশ পড়ে থেকে এবং সেখানে পুলিশ খবর পেয়ে চলে যায়, আর সাথে নিউজ চ্যানেল এর লোকজনও চলে যায়। পুলিশ সেখানে গিয়ে সবকিছু ভালোভাবে দেখার পরেও বুঝতে পারছিলো না যে মৃত্যুটা কিভাবে হয়েছে, কখনো তারা ভাবছে ড্রাগ নেওয়ার কারণে হতে পারে। এই মৃত্যুর ঘটনার ৪ বছর বাদের কাহিনীতে দেখা যায় একটা ফিল্ম এর শুটিং চলতে লাগে এবং সেখানে নায়িকার যে রোল ছিল সেইটার সাথে নায়কের তালমিল খাচ্ছে না , শেষে নায়িকা রাগ করে প্রোডিউসার এর কাছে এসে বলে এসব লোক কথার থেকে আনেন যে কাজ জানে না। এরপর ওই নায়িকা অনামিকা এর ফোনে হঠাৎ করে অচেনা নম্বর থেকে একটা মেসেজ আসে যে তোমরা ৪ বছর আগে আমার সাথে যা যা করেছো তার সব প্রমান আমার কাছে আছে। আর এই মেসেজ টা অনামিকা, নিকিতা সহ আরো তাদের সব বন্ধুর কাছে চলে যায় আর সবাই এতে ভীষণ ঘাবড়িয়ে যায়। এরপর সবার মাঝে দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়ে যায় আর সবাই মহা টেনশন এ পড়ে যায় যে না এ কে হতে পারে। ৪ বছর হয়ে গেছে এখন কে আবার এই মেসেজ করছে অজানা অচেনা নম্বর থেকে। এরপর সবাই মোটামুটি কন্টাক্ট করে যে যেখানে আছে সে সেখান থেকে এক জায়গায় এসে মিলিত হয় এবং কি করা যায় তাই নিয়ে সবাই আলোচনায় বসে যায়। তাদের মেসেজে এটাও লেখা ছিল যে তোমাদের সবার জন্য একটা গাড়ি চলে যাবে আর তোমরা আমার এখানে চলে আসবে। এরপর সেই মতে তাদের জন্য রাস্তার একটা স্থানে গাড়ি আসে এবং সেখান থেকে তারা গাড়িতে উঠে পড়ে।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে

গাড়িতে সবাই উঠে যাওয়ার পথে ড্রাইভার সবাইকে যার যার মোবাইল দিয়ে দিতে বলে কিন্তু তারা রাজি না হলে বন্দুক বের করে তখন সবাই মোবাইল দিয়ে দেয়। তবে একজন চালাকি করে ছোট মোবাইল পায়ের দিকে লুকিয়ে রেখেছিলো। যাইহোক তাদের সবাইকে শহর থেকে অনেক দূরে শুনশান জায়গায় একটা বাড়ির সামনে বট গাছ তলায় নিয়ে ফেলে, কারণ তারা সবাই অচেতন ছিল। তারা যখন গাড়িতে আসছিলো তখন ড্রাইভার কিছু একটা স্প্রে করে সবাইকে অচেতন করে ফেলে যাতে তারা কেউ জানতে না পারে যে কোথা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যাইহোক এরপর তারা সেখানে অন্ধকারের মধ্যে একটা ফাঁকা বাড়ি দেখতে পায় আর সেখানে গিয়ে তারা ডাকাডাকি করতে লাগে যে কেউ আছে কিনা ভিতরে। কিন্তু কিছুক্ষন বাদে তারা দেখতে পায় যে বাইরে থেকে তালা দেওয়া, তখন সেখানে একজন বৃদ্ধ লোক এসে খুলে দেয় আর ভিতরে গিয়ে আরাম করতে বলে। ওই বৃদ্ধ লোকটি ছিল ওখানকার কেয়ারটেকার। এরপর তারা ভিতরে তো প্রবেশ করে কিন্তু ক্যারেন্ট সেখানে নেই, তাই বৃদ্ধ লোকটি মোমবাতি জ্বালিয়ে দেয় তাদের জন্য। ঘরের ভিতরে শুনশান থাকায় তারা ওখানে ভয়ে ভয়ে থাকে একপ্রকার, বিশেষ করে নিকিতা মেয়েটা। এরপর নিকিতা বাইরের দরজা খুলে ওয়াশরুম খুঁজতে বাইরে যায় এবং একটা দরজা দেখতে পায়, দরজা খুলে ভিতরে গিয়ে একটা ঝুলানো কিছু অংশ দেখে লাশ মনে করে আর ভয়ে চিল্লাচিল্লি করে। তার চিল্লানি শুনে বাকিরাও তাকে খুঁজতে বের হয় কিন্তু খুঁজে পায় না। কিছুক্ষন দৌড়াদৌড়ি করার পরে একটা রুমে গিয়ে তাকে দেখতে পায় আর সেখানে সেই বৃদ্ধ লোকটিও আসে আর তাদের বলে ওটা লাশ না। এরপর তাদের ডাইনিং টেবিলে যেতে বলে খাবার খাওয়ার জন্য। এরপর তাদের ফোনে যে মেসেজ পাঠিয়েছিল সে ফোন করে এবং একটা অদ্ভুত সুরে তাদের সাথে কথা বলে এবং তাদের বলে ভুল করেও পালানোর চেষ্টা করবে না, নাহলে সারাজীবন জঙ্গলে কাটাতে হবে।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে

তারা ডাইনিং টেবিলে বসে থাকা অবস্থায় বাইরে থেকে দরজায় ধাক্কা দেওয়ার মতো আওয়াজ আসতে লাগে এবং তারা একটু ভয় পেয়ে যায় কারণ এইরকম শুনশান জায়গায় আবার এই রাতে কে এসে দরজায় ধাক্কা দিচ্ছে। এরপর একজন আস্তে আস্তে গিয়ে দরজা খুলে দেখে কেউ নেই। বন্ধ করে দিয়ে চলে আসার সময় আবারো দরজায় ধাক্কা দেওয়ার শব্দ আসে এবং সাথে সাথে তারা খুলে দেয় কিন্তু তাও কাউকে তারা দেখতে পায় না। এরপর তারা সবাই বাইরে বেরিয়ে কিছুটা দূর যায় এবং দেখতে পায় যে সেই বৃদ্ধ লোকটি মাটি খুঁড়ছে। তারা সবাই তার কাছে গিয়ে বলে মাটি খুঁড়ছো কেনো, তখন বৃদ্ধ লোকটি বলে কবর খুঁড়ছি। বৃদ্ধ লোকটি তাদের আরো একটি কথা বলে যে এখানে একটি রুম আছে যেখানে যাওয়া মানা আছে, কেবল সেই দরজাটা আমি খুলতে পারি। তাই সেখানে কেউ গেলে দম আটকে তার মৃত্যু অবধারিত। এরপর তাদের আরো একজন বন্ধু রমন সেখানে চলে আসে, কারণ রমন এই জায়গাটা চিনতো আর এই বাড়িটা কিনে নিয়ে পার্টি হাউস বানাবে বলে বৃদ্ধ লোকটিকে বলেছিলো। আর তাদের এখানে আনার প্ল্যান তারই ছিল। এরপর সবাই মিলে সেখানে পার্টি শুরু করে দেয়। পার্টিতে সবাই মাত্রাতিরিক্ত ড্রিংক করে ফেলে আর হুঁশতাল হারিয়ে যেখানে সেখানে গিয়ে শুয়ে পড়ে, কিন্তু তাদের নেশার ঘরে রুমের ভিতরে হঠাৎ করে একটা ফুটেজ চালু হয়ে যায় যেখানে ৪ বছর আগে তারা সবাই মিলে একজনকে গলা চেপে মেরে ফেলেছিলো। তবে এটি দেখে অনেকে তেমন অবাক হয়নি কারণ তারা মনে করেছে এটাও রমন এর একটা চালাকি কারণ সে এখানে আমাদের নিয়ে আসার জন্য একটা ইয়ার্কি করেছিল। এখানে রমন এর বক্তব্য হলো সে এই ফুটেজ চালায়নি।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে

পরেরদিন সকালে সবাই যখন সকালের নাস্তা করছিলো তখন রাতের ওই ফুটেজ নিয়ে রমন এর সাথে ঝগড়া লাগিয়ে দেয়। এরপর একজন রাগ করে রুমে চলে যায় আর ড্রাগ নিয়ে ফেলে বেশি করে, কিন্তু এখানে ওই বৃদ্ধ লোকটিই বিষাক্ত জিনিস আগেই তার খাবারে মিশিয়ে দিয়েছিলো। এরপর রক্ত বমি করতে করতে মারা যায়। বিষের বোতল বাইরে পড়ে ছিল আর সেটি একটা মেয়ে দেখে ফেলে আর সাথে বৃদ্ধ লোকটিকেও। এরপর সবাই মিলে বৃদ্ধ লোকটিকে জিজ্ঞাসা করে এইসব কে করছে আর কেন। বৃদ্ধ লোকটি কোনো উত্তর না দিলে সবাই তাকে ঘুষি মেরে মেরে বেহুশ করে ফেলে। এরপরে দিন শেষ হয়ে রাত হয়ে যায় কিন্তু বৃদ্ধ লোকটির হুশ আসে না, ফলে সবাই টেনশন করতে লাগে। এরমধ্যে রাত গভীর হতেই আত্মা এসে একটা মেয়েকে মেরে ফেলে। এরপর সুরেশ, রমন মিলে বৃদ্ধ লোকটিকে মেরে ফেলে। এরপর আত্মাটি অনামিকার শরীরে প্রবেশ করে সবাইকে এক এক করে মেরে ফেলে।


✔ব্যক্তিগত মতামত:

এই মুভিতে মূল ভৌতিক কাহিনীটা শেষ পার্টের দিকে বেশ ইন্টারেস্টিং হয়ে ওঠে। এখানে এই শুনশান বাড়িতে তাদের বন্ধু রমন তো মেসেজ দিয়ে ডেকে এনেছিল কিন্তু মূল যে মেসেজটি প্রথমে ছিল সেটি এই বৃদ্ধ লোকটি পাঠিয়েছিল সবাইকে রমন এর মাধ্যমে এখানে নিয়ে আসার জন্য। এই বৃদ্ধ লোকটি ছিল রবিন নামক ছেলেটির বাবা। আর এই রবিনকে এরা সবাই মিলে মেরে ফেলেছিলো। রবিন ছেলেটি কথা বলতে পারতো না তাই সে কলেজ লাইফে অনামিকা মেয়েটিকে ভালোবাসা সত্বেও তাকে পাত্তা দিতো না আর যা তা বলে এড়িয়ে যেত। কিন্তু রবিন তাও তাকে ভালোবাসতো। এরপর কলেজ থেকে তারা সবাই পাশ করার পরে ড্রাগ এর ধান্দা করতো আর সেখানে রবিন গিয়ে দেখে ফেলে বিষয়টা। এরপর সে যখন পুলিশকে জানানোর জন্য যেতে লাগে তখন সবাই মিলে তাকে ড্রাগ এর ওভারডোজ দিয়ে মেরে ফেলে। আর এই ঘটনা নিয়েই এই মুভির মূল কেন্দ্রিক ফুটে উঠেছে। সে অনামিকাকে অনেক ভালোবাসতো তাই সে তাদের সাথে মিলে অন্যায় করলেও পরবর্তী দুনিয়ায় গিয়ে সে যখন সবাইকে মেরে তার বদলা পূরণ করতে চায় তখন সে অনামিকার শুধু শরীর ব্যবহার করেছিল কিন্তু তাকে মারেনি। এই মুভির কাহিনীতে বড়ো ট্যুইস্ট আছে শেষ পর্যন্ত। এই মুভিটি দেখলে আপনারাও বিষয়গুলো ভালোভাবে উপভোগ করবেন।


✔ব্যক্তিগত রেটিং:
০৮/১০


✔মুভির ট্রেইলার লিঙ্ক:


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 2 years ago 

প্রথমে আমি ভেবেছিলাম এটি একটি হলিউডের মুভি কিন্তু পরে দেখছি হিন্দি মুভি।আসলে এইসব হরর মুভি আমি ছোটবেলায় খুব সাহসের সঙ্গে দেখতাম।কিন্তু কেন জানি না এখন ভয়টা একটু বেড়ে গিয়েছে।তবুও আমি দেখি মাঝে মাঝে একাই রাতে কম্বল মুড়ি দিয়ে।মুভি দেখার নেশা আমার ছোটবেলা থেকেই, তার মধ্যে পুতুলের হরর মুভি আমার বেশি ভয় লাগে।শেষমেষ সকলের মৃত্যু ঘটে,অর্থাৎ পাপ করলে তার শাস্তি ভোগ করতেই হয়।হরর মুভিগুলো অনেক উত্তেজনাময় হয়।তবে হরর মুভি দেখার জন্য মনে সাহস ও দম দরকার, নাহলে মুভি দেখে ও অনেকে ভয় পায়।তবে এই ধরনের মুভি দেখার পর ঘুমালে ,ঘুমের মধ্যে শুধু আত্মগুলিই ও ভয়ানক পর্বগুলিই চোখের সামনে ঘুরে ফিরে আসে।তারপর মনে হয় আর দেখবো না,কিন্তু এর নেশা কাটানোই মুশকিল।অনেক সুন্দর মুভি রিভিউ করেছেন দাদা,পড়ে সব চোখের সামনে ভাসছিল।খুবই ভালো লাগলো, ধন্যবাদ দাদা।শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

 2 years ago 
প্রথমেই বলবো আমি হরর মুভির একজন পাগল ভক্ত। আসলে মাঝরাতে হরর মুভি দেখারও অনেক রেকর্ড আছে আমার। আর ওখন যে আপনার রিভিউ পড়ে কমেন্ট করছি ওখনো রাত ৩ টা বাজে। যাইহোক, আপনার রিভিউ করা মুভি i know you খুবই চমৎকার একটি গল্পের উপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে। মুভির রিভিউ পড়ে মুভিটি দেখার জন্য ব্যাকুল হয়ে আছি।
আমার কাছে মনে হয় রবিন উচিত কাজই করেছে, তাকে যেভাবে ঔষধের ওভার ডোস দিয়ে মেরে ফেলা হয় এটা আমার কাছে অনেক খারাপ লাগছে। তবে তার প্রতিশোধ নেওয়ার স্টাইলটাও অনেক ভালো লাগছে। অনমিকা বেঁচে গেছে কারণ রবিন তাকে ভালোবাসতো। যাইহোক, প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত রহস্য ঘেরা ছিলো। এই টাইপের মুভিগুলো আমার অনেক ভালো লাগে। দাদা আপনাকে অনেক ধন্যবাদ হরর মুভির রিভিউ দেওয়ার জন্য। ভালোবাসা অবিরাম ❣️❣️❣️❣️
 2 years ago 

দাদা সত্যি বলতে হরর মুভি যখন দেখি তখন সেই রাতে ঘুমানো খুবই কষ্ট হয়ে যায়। যখন একা থাকি তখন আমি হরর মুভি দেখি না। কারণ এই মুভি দেখার পরে খুবই ভয় হয়। বাইরে যেতে ইচ্ছা করে না। আপনি খুবই সুন্দর একটি মুভি আমাদের মাঝে রিভিউ করলেন। আপনার রিভিউ করা দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে রিভিউ করেছেন যা থেকে এই মুভিটি খুবই সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মুভি আমাদের মাঝে এভাবে রিভিউ করার জন্য। আরও সুন্দর সুন্দর মুভির রিভিউ আপনার কাছ দেখার উপহার পাওয়ার। আশায় রইলাম।

 2 years ago 

দাদা আমি ছোট বেলা থেকেই মুভি খুব কম দেখি।তাই অনেক মুভি আমার দেখা হয় না।বিশেষ করে যে মুভিগুলো দেখলে অনেক বেশি ভয় আর আতঙ্ক হয় সেই মুভি গুলো একদমই দেখতে পারতাম না।আপনার এই হরর মুভি রিভিউ থেকে শুরুটা জানলাম সমুদ্র সৈকতে একটি লাশ।পুলিশ এসে লাশ সনাক্ত করতে পারছিলেন না।তবে এই হরর মুভি দেখতে অনেক সাহসী হতে হয়।যাহা আপনার মুভি রিভিউ থেকে জানতে পারলাম।কারণ এই হিন্দি মুভি টি আমি আগে কখনো দেখিনি।তবে মুভি রিভিউটি আপনি খুব চমৎকার করে তুলে ধরেছেন যেটা প্রশংসনীয়।আমি নিজে মুভি না দেখলেও আপনার রিভিউ দেখে অনেক মুভি দেখার চেয়েও বেশি হয়ে যায়।তাই অনেকটাই ইচ্ছে করেই আপনার মুভি রিভিউ টা পড়ার ইচ্ছে জাগে।আগামীতে আরো সুন্দর সুন্দর মুভি রিভিউ দেবেন এটা আপনার কাছে অনুরোধ আবদার কিংবা প্রত্যাশা মনে করতে পারেন।তবে এতো চমৎকার একটি ভয়ংকর মুভি রিভিউ দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা অবিরাম।সব সময় ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আমাদের সাথেই থাকবেন সুদৃষ্টি দিয়ে এটাই প্রত্যাশা প্রিয় দাদা♥♥

 2 years ago 

দাদা আপনার এই হরর মুভি রিভিউ এর মাঝে একটি অতৃপ্ত আত্মা ও একটি অসমাপ্ত প্রেমের গল্প ফুটে উঠেছে। রবিন হয়তো অনামিকা কে অনেক ভালোবাসতো। কিন্তু তাদের সেই ভালোবাসার পরিণতি পেল না। রবিনের একতরফা ভালোবাসা ও একটি হৃদয়বিদারক ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই মুভিটি গড়ে উঠেছে। কথা বলতে না পারা সেই রবিনকে দুষ্ট লোক গুলো মেরে ফেলেছে। হয়তো সে অনেক অপরাধের সাক্ষী হয়ে গিয়েছিল। নিজেদের অপরাধ ঢাকার জন্য রবিনকে তারা মেরে ফেলেছে। কিন্তু রবিনের হত্যাকারীরা শাস্তি পায়নি। তেমনি রবিন যখন আত্মা হয়ে আবার সবার মাঝে ফিরে এসেছে তখন সে তার মৃত্যুর বদলা নিয়েছে। নিজের ভালোবাসার মানুষটির ভিতরে নিজেকে প্রবেশ করিয়ে তার মাধ্যমে সে প্রতিশোধ নিয়েছে। কিন্তু সে অনামিকার কোন ক্ষতি করেনি কারণ সে অনামিকাকে ভালোবাসতো। আসলে ভালবাসার মানুষের ক্ষতি করা কখনোই সম্ভব নয়। অনামিকাকে ব্যবহার করে তার অতৃপ্ত ইচ্ছে গুলো পূরণ করেছে। আসলে এই মুভিটি আমি দেখিনি তবে মুভি রিভিউ পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পারলাম এই মুভিটি আসলেই অনেক সুন্দর। আমি হরর মুভি যখন দেখি তখন আমার গা শিরশির করে। কারণ তখন চারপাশে অজানা সব ভয়গুলো আমার চারপাশে ভর করে। মাঝে মাঝে মনে হয় যেন হরর মুভির কাহিনী চরিত্রের সেই চরিত্রগুলো আমার চারপাশে ঘুরাঘুরি করছে। তখন খুবই অসহায় লাগে এবং বিশেষ করে যখন মাঝ রাতে একাকিত্বে চারপাশ ঘিরে থাকে তখন এই মুভি গুলোর কথা মনে হলেই ভয় লাগে। দাদা আপনি হরর মুভি দেখতে পছন্দ করেন এটা আমরা সকলেই জানি। তেমনি আজকে আপনি আপনার দেখা হরর মুভি রিভিউ সকলের মাঝে শেয়ার করেছেন ও আমাদেরকে এই মুভিটি সম্পর্কে জানার ধারণা দিয়েছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।

 2 years ago 

দাদা আজকে আপনি হরর মুভি রিভিউ শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। হরর মুভি গুলো মাঝে মাঝেই দেখতে ভালো লাগে। একা নিস্তব্ধ নিরালায় হরর মুভিগুলো দেখলে সময়টা আরো বেশি ভিন্ন অনুভূতির হয়। আজকে আপনি যেই হরর মুভি রিভিউ শেয়ার করেছেন সেই মুভিটি আমি দেখিনি। তবে আপনার এই রিভিউ পোস্ট পড়ে এই মুভি সম্পর্কে অনেক ধারণা পেয়েছি। নিষ্পাপ ছেলে রবিন কে কিছু লোক মেরে ফেলেছিল। আর এই নিষ্পাপ ছেলে আত্মা হয়ে ফিরে এসে তার প্রতিশোধ নিয়েছে। এজন্য সে অনামিকার শরীর ব্যবহার করেছে। কিন্তু অনামিকার কোন ক্ষতি করেনি। হরর মুভি গুলো মূলত প্রতিশোধের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। কোন অতৃপ্ত আত্মা বা নিরপরাধ মানুষকে যখন মেরে ফেলা হয় তখন তারা প্রতিশোধ নিতে ফিরে আসে। হরর মুভি গুলোর মূল থিম গুলো একটু ভিন্ন ধরনের। এই মুভিগুলো দেখার আগ্রহ একটু বেশি। আমি এই হরর মুভি গুলো যতই দেখি ততই আগ্রহ তৈরি হয়। হরর মুভির রিভিউ পোস্ট যখন আমি পড়ছিলাম তখন আলাদা রকমের এক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। আমি মাঝে মাঝে যখন হরর মুভি দেখি তখন যেমন আমার আগ্রহ কাজ করে তেমনি আজকে এই হরর মুভি দেখার ফলেও আমার সেই একই অনুভূতি হয়েছে। আমি যখন আপনার লেখাগুলো পড়ছিলাম তখন মনে হচ্ছিল যেন আমি এই মুভি দেখার মাঝে যেমন আনন্দ রয়েছে তেমনি এই হরর মুভি রিভিউ পোস্ট পড়ে অনেক আনন্দ পেয়েছি। মুভি দেখলে যেমন অনুভূতি হয় তেমনি এই মুভি সম্পর্কে জানতে পেরেও অনেক সুন্দর অনুভূতি হয়েছে। সুন্দর এই হরর মুভি দেখে যেমন আপনার ভালো লেগেছে তেমনি আপনি আপনার লেখার মাঝে এই মুভিটি রিভিউ অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। সঠিকভাবে সঠিক কিছু বুঝতে সহায়তা করেছেন। সকলকে এই মুভিটি সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিয়েছেন। আমার কাছে কিন্তু খুবই ভালো লেগেছে দাদা। আপনি আপনার দক্ষতায় অনেক সুন্দর করে এই মুভি রিভিউ সকলের মাঝে শেয়ার করেছেন এবং আমাদেরকে পড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। দাদা আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।

 2 years ago 

হরর মুভি গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে। আমার বাচ্চারাও আমার সাথে বসে বসে দেখে কিন্তু সমস্যা হচ্ছে কিছুক্ষন দেখার পর ওদের অবস্থা ভয়ে খারাপ হয়ে যায় বলে ওরা যেদিন দেখবে সেদিন তাদের খাওয়া-দাওয়া বন্ধ, ঘুমাতে গেলেও সমস্যা ঘুম আসতেছে না ভয় লাগতেছে। সেজন্য আমি আর এই ছবিগুলো বাসায় ওদের সামনে দেখতে পারিনা বা দেখিও না। তবে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আপনার আজকের হরর মুভি রিভিউ পুরোটা পড়েছি পড়ে যেটা বুঝলাম সেটা হচ্ছে একটি নিষ্পাপ ছেলে রবিনকে ওরা মেরে ফেলেছিল তাই সেই ছেলেটা মরে যাওয়ার পর আত্মা হয়ে ফিরে এসে তার প্রেমিকার উপরে ভর করে সে তার প্রতিশোধ নিয়েছে। আত্মার জাতীয় মুভিগুলো এরকমই বেশির ভাগ হয়ে থাকে, যদিও মুভিটি দেখিনি তবে আপনার আজকে রিভিউ পড়ে অনেক ধারণা পেয়ে গেলাম অবশ্যই মুভি একদিন সময় করে দেখে নেব। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি মুভি রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

এই ধরনের ভৌতিক মুভি দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে দাদা। বিশেষ করে রাতের বেলায় এই ধরনের ভৌতিক মুভি দেখার মজাই আলাদা। সব সময় গায়ের ভিতর একটা সমসং করতে থাকে কখন যেন ভূত চলে আসলো। আজকে আপনি যে ভৌতিক মুভি রিভিউ করেছেন সেটা আমার দেখা হয়নি আশা করি খুব তাড়াতাড়ি এটা দেখে নিব। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা নতুন একটি ভৌতিক মুভির নাম আমাকে স্মরণ করিয়ে দেবার জন্য।

 2 years ago 

সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল দাদা যেদিন হরর মুভি দেখি সেই রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারিনা। আবার মুভি দেখার নেশাও কমাতে পারি না । হরর মুভি দেখা শুরু হয়ে গেলে ভেতরে অন্য রকম একটা অনুভূতি কাজ করে সব সময়। উত্তেজনায় ভরা থাকে প্রতিটা মুহূর্ত। I know you মুভিটা দেখিনি কখনো। তোমার রিভিউটা পড়ছিলাম আর পুরো কাহিনী টা যেন আমার চোখের সামনে ভেসে উঠছিল। নামটা নোটপ্যাডে রেখে দিয়েছি। একটু অবসর পেলে অবশ্যই দেখবো।

 2 years ago 

আগে একটা সময় প্রচুর পরিমাণ মুভি দেখা হতো এবং আমার পছন্দের তালিকায় সবসময় হরর মুভি থাকতো, তবে এখন মুভি দেখার যেমন একই সময় হয়ে ওঠে না তবে হরর মুভির প্রতি এখনো আমার রয়েছে গভীর ভালোবাসা আপনার পোস্ট চমৎকার সুন্দর ছিল এবং এর গল্প গুলো ছিল রহস্যে ঘেরা এবং ভৌতিক।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 58752.84
ETH 3153.55
USDT 1.00
SBD 2.44