গ্রামের মেঠো পথ ধরে কাঁধে লাঙ্গল নিয়ে হেঁটে যাওয়া একটা লোকের প্রতিচ্ছবি ।। অরিজিনাল আর্টওয়ার্ক
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটা আর্ট পোস্ট শেয়ার করে নেবো। আজকের এই আর্টটা একটি গ্রামীণ প্রতিচ্ছবিকে কেন্দ্র করে তুলে ধরেছি। অনেকদিন গ্রামীণ বা প্রাকৃতিক বিষয়ে আর্ট করা হয় না, আসলে সময় হয়ে ওঠে না তেমন তাই আর করা হয় না। তাই এই তারিখ ভাবলাম গ্রামীণ কোনো কিছুর একটা প্রতিচ্ছবি আঁকার চেষ্টা করবো। আর এটা এঁকেছিও কয়েকদিন ধরে ধরে, তবে কালারটা দিয়েছি। এমনি একদিনেই আঁকার কাজ শেষ করেছিলাম। যাইহোক, এখানে মূলত আমি যে বিষয়টা তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলাম তা হলো, গ্রামের একটা লোক তার নিজের মাঠে লাঙ্গল দিয়ে চাষ করে গ্রামের মেঠো পথ দিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে হেঁটে চলেছে এবং সেটা লাঙ্গল কাঁধে নিয়ে।
এখন কিন্তু বর্তমানে এই লাঙ্গলের ব্যবহার অনেক কমে গিয়েছে, তবে এটির ব্যবহার অনেক প্রাচীন কাল থেকে হতো। এটি দিয়ে গরু বা মহিষের মাধ্যমেও চাষ করতো আবার অনেক সময় দেখা যেত যে, একজন উপরের অংশ চেপে ধরে আছে এবং অন্যজন টানছে। এইরকম নানা দৃশ্য গ্রামীণ পরিবেশে দেখা যেত। এখনো কিছু কিছু গ্রামের দিকে বর্ষাকালে এই লাঙ্গলের ব্যাবহার দেখতে পাওয়া যায়। এই দৃশ্যগুলো দেখলে মনে পড়ে যায় মাঠেঘাটের সেইসব স্মৃতিগুলো। যাইহোক, এইরকম দৃশ্য হিসেবে বিষয়টা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি এই অঙ্কনটা আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
❂উপকরণ:❂
✎এখন অঙ্কনের ধাপগুলো নিচের দিকে তুলে ধরবো---
❖প্রথম ধাপে, গ্রামীণ পরিবেশের যেসব দৃশ্যগুলো থাকে, যেমন-ঘর এঁকে নেওয়ার পরে দূরে একটি ঢিবির মতো দেখতে এঁকে দিয়েছিলাম এবং সেখানে দুটি গাছ এঁকে দিয়েছিলাম। এরপর মেঘের দৃশ্য এঁকে দিয়েছিলাম আর মাঝখানে ফাঁকা মাঠের মতো ফেলে রেখেছিলাম। এরপর রাস্তা মতো তৈরি করে সেখানে যে লোকটা লাঙ্গল কাঁধে নিয়ে আসছে তাকে এঁকে দিয়েছিলাম পরিপূর্ণভাবে।
❖দ্বিতীয় ধাপে, অঙ্কনের সমস্ত বিষয়গুলোকে একবার মার্কার পেনের কালী দিয়ে গাঢ় কালী করে দিয়েছিলাম।
❖তৃতীয় ধাপে, কালার দিয়ে আকাশে গোধূলি বেলার দৃশ্য তুলে ধরেছিলাম।
❖চতুর্থ ধাপে, যে বাড়িটা তৈরি করেছিলাম তাতে কালার দিয়ে খড় এর ঘরের মতো বুঝিয়েছিলাম এবং সেই সাথে ঘরের পিছনে যে কলা গাছ এঁকেছিলাম তাতে কালার করে দিয়েছিলাম। এরপর মেঘের দৃশ্যে কালার করেছিলাম।
❖পঞ্চম ধাপে, দূরে যে ঢিবির মতো দেখতে এঁকেছিলাম তাতে কালার করে মাটি আর হালকা ঘাস উঠে আছে সেটা বুঝিয়েছিলাম। এরপর গাছ দুটিতে কালার করে দিয়েছিলাম এবং পরে লোকটাকে পুরোপুরি কালার করে তার কাঁধের লাঙ্গলটিকে কালার করে দিয়েছিলাম।
❖ষষ্ঠ ধাপে, গ্রামের মাটির মেঠো পথটিকে কালার করে দিয়েছিলাম এবং সেই সাথে যে গ্রাউন্ডটা ফাঁকা রেখেছিলাম তাতে সবুজ ঘাসের দৃশ্য তুলে ধরেছিলাম। আর এখানেই অঙ্কনটিকে সমাপ্ত করেছিলাম।
আর্ট বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
চমৎকারে এঁকেছেন দাদা আপনি গ্রামীণ মেঠো পথ ধরে কাঁধে লাঙ্গল নিয়ে হাঁটা লোকের প্রতিচ্ছবি। গ্রাম বাংলার বৈচিত্র খুবই সুন্দর। যদিও কালের বিবর্তনে সবকিছু হারিয়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে। কিন্তু সেই প্রতিচ্ছবি গুলো আমরা কিছুতেই বলতে পারি না। যেহেতু আমরা গ্রামে বড় হয়েছি। গ্রামের চিত্রগুলো সব সময় আমাদের মনের মধ্যে ভেসে বেড়াই। আর গ্রাম বাংলার বৈচিত্র মানে হচ্ছেই সেই হারিয়ে যাওয়া চিত্রগুলো। আমরা যতই আধুনিক হই না কেন গ্রাম বাংলার চিত্র ভুলতে পারিনা। আমাদের এত সুন্দর বিবর্তন এত সুন্দর আবিষ্কার কৃষি কে কেন্দ্র করে। আমাদের গ্রাম বাংলার প্রধান আইনের উৎস ছিল কৃষি। তবে এখনো কৃষি নির্ভর নয় সেটা বলা যাবে না। যদি উৎপাদন না হয় তাহলে আমরা খেতে পারব না। কারণ কতটুকু বা আমদানি করার সামর্থ্য আছে আমাদের দেশের। আপনি এত সুন্দর একটি চিত্র অঙ্কন করেছেন যেটা আমাকে অনেক বেশি মুগ্ধ করেছে। আর কালার কম্বিনেশন আপনি খুব সুন্দরভাবে করেছেন। আপনার চিত্রাংকন গুলো সব সময় আমার ভালোই লাগে। অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনাকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার আর্ট গুলো নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। বরাবরই চমৎকার আর্ট করেন আপনি। এরকম গ্রামীণ দৃশ্য গুলোর আর্ট দেখলে আসলেই মুগ্ধ হয়ে যাই। একদম পারফেক্টলি আর্ট টি সম্পূর্ণ করেছেন। ঠিকই বলেছেন লাঙ্গলের ব্যবহার এখন অনেকটাই কমে গিয়েছে। বলতে গেলে একদম দেখাই যায় না এই লাঙ্গল। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর একটি আর্টওয়ার্ক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দাদা আপনার আর্টগুলো বেশ সুন্দর হয় বিশেষ করে রংকরা। মনে হয় একেবারে সত্যি সত্যি প্রতিচ্ছবি। এখন তো লাঙ্গল এর ব্যবহার দেখাই যায় না।যাই হোক ভালো লেগেছে আর্ট টা।প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ
প্রিয় দাদা অনেক সুন্দর একটি চিত্র অংকন করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই চিত্র অঙ্কনে কৃষকের কাঁধের উপর লাঙ্গলের চিত্র অঙ্কনটি দেখতে অসাধারণ সুন্দর লাগছে। একই সাথে আপনার এই চিত্র অঙ্কনে চমৎকার রং করে দেওয়াটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
দাদা এই ধরনের গ্রামীণ দৃশ্যের আর্ট গুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। এটা ঠিক যে সময়ের অভাবে অনেক কিছুই করা যায় না এখন। তবে আপনার আর্ট গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে দাদা। আপনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে খুবই নিখুঁতভাবে প্রতিটি আর্ট করে থাকেন। যাইহোক গ্রামের মেঠো পথ ধরে কাঁধে লাঙ্গল নিয়ে হেঁটে যাওয়া একটি লোকের প্রতিচ্ছবি দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি দাদা। তাছাড়া গাছপালা এবং ঘরটা দেখতেও খুব সুন্দর লাগছে। বিশেষ করে কালার কম্বিনেশনটা এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে। এটা ঠিক যে,এখন লাঙ্গলের ব্যবহার অনেকটাই কমে গিয়েছে। সবমিলিয়ে আর্টটি দেখে বেশ ভালো লাগলো দাদা। যাইহোক এতো সুন্দর ক্রিয়েটিভিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। ভালো থাকবেন সবসময়।
দাদা আপনি আজকেও অন্য দিনের মতো একটা সুন্দর আর্ট নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হয়েছেন। আপনার করা এই সুন্দর আর্ট দেখে আমি তো জাস্ট মুগ্ধ হয়েছি দাদা। এর আগেও সুন্দর সুন্দর আর্ট দেখেছি আপনার। যেগুলো দেখে আমি একেবারে মুগ্ধ হয়েছিলাম। কারণ আপনি একেবারে বাস্তবিক প্রতিচ্ছবি তুলে ধরেন আপনার আর্টের মাধ্যমে। লোকটা গ্রামের মেঠো পথ ধরে ভালোভাবেই হেঁটে যাচ্ছে, তাও আবার লাঙ্গল কাঁধে নিয়ে। লাঙ্গল আগে প্রচুর পরিমাণে দেখা যেত প্রত্যেকটা গ্রামে। কিন্তু এখন তো এটার প্রচলন খুবই কমে গিয়েছে। দাদা আমাদের এদিকে এখন এটা একেবারেই দেখা যায় না। অনেক সুন্দর একটা প্রাকৃতিক দৃশ্যকে ফুটিয়ে তুলেছেন আপনি। যেটা আমার খুব সুন্দর লেগেছে। কালার কম্বিনেশন টাও এত সুন্দর ভাবে করেছেন যে সুন্দরভাবেই ফুটে উঠেছে, যেটা দেখতেও অনেক ভালো লাগছিল। দাদা আপনি অনেক সময় ব্যবহার করে এমনকি নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে এই আর্টটি করেছেন যা দেখেই বুঝতে পারতেছি। সুন্দর করে পুরো আর্ট অঙ্কন করে সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দাদা।
দাদা আপনার আজকের আর্ট ওয়ার্ক টি দেখে গ্রামীন সমাজের সেই একটি স্মৃতিময় দৃশ্য মনে পড়ে গেল। এরকম দৃশ্যগুলো একটা সময় অহরহ দেখা যেত কিন্তু বর্তমান মেশিনারিজ যন্ত্রপাতির জন্য এগুলো প্রায় বিলুপ্তির পথে। একজন কৃষক কাঁধে লাঙ্গল নিয়ে শুরু পথ দিয়ে হেটে যাওয়ার দারুণ একটি দৃশ্য আর্ট করেছেন আজকে আপনি। আর প্রসেস গুলো খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে দাদা। আপনার পুরো আর্ট টি দেখে আমি আজকে মুগ্ধ হয়ে গেলাম দাদা। ধন্যবাদ সুন্দর একটি আর্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
বাহ্ , অনেক সুন্দর হয়েছে দাদা। আমিও মাঝে মধ্যে আর্ট করতাম কিন্তু আপনার মতো এমন সুস্পষ্ট আর সত্যিকার প্রতিচ্ছবির মতো লাগতো না। বেশ ভালো হয়েছে আপনার আর্টটি। আর তা ঠিক দাদা , এই আধুনিক যুগে লাঙ্গলের ব্যবহার নেই বললেই চলে।
দাদা আজকে আপনি গ্রামীণ প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যময় দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছেন এই চিত্রের মাধ্যমে। চিত্রটি দেখে গ্রামের কথা মনে পড়ে গেল। গ্রামে এই কাঁধে লাঙ্গল দিয়ে হেঁটে যাওয়ার দৃশ্যগুলো দেখা যেত, আসলে গরু মহিষ দিয়ে এই লাঙ্গল দিয়ে জমিতে চাষাবাদ করা হতো। আসলে হাল চাষের এই দৃশ্যগুলো এখন আর দেখা যায় না। নানা রকমের হাল চাষ মেশিন হওয়ার কারণে। যাই হোক আপনি গ্রামীণ প্রকৃতির সেই দৃশ্য ফুটিয়ে তুললেন এই চিত্রটির মাধ্যমে ম দেখে যেন পুরনো সেই গ্রামীন দৃশ্যের কথা মনে পড়ে গেল। অসাধারণ একটি চিত্র অঙ্কন করেছেন দাদা।