রাজ হাঁসের মাংসের সুস্বাদু রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করবো। এই রেসিপিটি আসলে করেছিলাম বেশ কিছুদিন আগে, কিন্তু দিতে মনে ছিল না। এইটা ছিল রাজ হাঁসের মাংস। রাজ হাঁসের মাংস অনেকদিন বাদে খেয়েছিলাম, যদিও যেকোনো হাঁসের মাংস শীতকালে অসাধারণ লাগে। তবে বর্ষার সময়েও খেতে দারুন লাগে। আমাদের এখানে কাছাকাছি দেশি হাঁস বা চরে বেড়ানো হাঁস তেমন পাওয়া যায় না, সেই অনেকদূর গিয়ে তারপর নিয়ে আসতে হয়। মাঝে মাঝে খাওয়ার ইচ্ছা হলে নিয়েও আসি, কারণ অরিজিনাল দেশীর যে স্বাদ সেটা পেলে বেশিদূরে যেয়ে নিয়ে আসাটাও স্বার্থক মনে হয়। এখন বর্ষাকাল, আর তাই খেতেও মন চাইছিলো, কিন্তু আমার কিছু সমস্যার জন্য আর যাওয়াই হচ্ছিলো না। তবে একদিন আমাদের এখানে গ্রামের দিক থেকে একজন হাঁস বিক্রি করতে এসেছিলো, মানে একপ্রকার ওই ডিম বিক্রি করার সময় মাঝে মাঝে নিয়ে আসে। তো রাজ হাঁসটা বেশ ভালো বড়ো দেখে নিয়েছিলাম, আর কাটার পরে মাংসও অনেক হয়েছিল আড়াই কিলোর মতো। রাজ হাঁসের মাংসের একটা আলাদা স্বাদ আছে, বেশ দারুন লাগে, আর কষা খেতে আরো বেশি ভালো লাগে। রান্নার থেকে এতেই স্বাদটা বেশি লাগে আমার কাছে, আর এইজন্য আগেই কষা মাংস এক বাটি খেয়ে নেই হা হা। আসলে চরে বেড়ানো হাঁসের স্বাদটাই অন্যরকম, আর এইটা গ্রামের চরে বেড়ানো হাঁস ছিল, তাই স্বাদটা বেশি লেগেছিলো। তবে অনেক কম মশলা দিয়ে করেছিলাম। যাইহোক, রাজ হাঁসের এই রেসিপিটা কিভাবে তৈরি করেছিলাম সেটা এখন ধাপে ধাপে তুলে ধরবো।
☀প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:☀
❦এখন রেসিপিটি যেভাবে প্রস্তুত করলাম---
☬প্রস্তুত প্রণালী:☬
➤আলু দুটির খোসা প্রথমে ভালোভাবে ছালিয়ে নিয়েছিলাম এবং বড়ো পিস মতো কেটে ধুয়ে নিয়েছিলাম। এরপর চুঁইঝালটিও কেটে ধুয়ে রেখেছিলাম।
➤পেঁয়াজ এর খোসা ছালিয়ে নেওয়ার পরে কেটে নিয়েছিলাম এবং সেই সাথে রসুন দুটি থেকে কোয়া আলাদা করে করে খোসা ছালিয়ে রেখেছিলাম। এরপর আদার খোসা ছালিয়ে কেটে রেখেছিলাম।
➤মিক্সারের বাটিতে কেটে রাখা পেঁয়াজ, রসুন, আদা এবং পরে হালকা গরম করে রাখা জিরা, দারচিনি, লবঙ্গ, এলাচ আর শুকনো লঙ্কাও একসাথে দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর অল্প করে জল দিয়ে দিয়ে একসাথে একটা পেস্ট তৈরি করে নিয়েছিলাম।
➤মাংসগুলো একবার ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়ার পরে তাতে লবন আর হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে সরিষার তেল দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤তেল দেওয়ার পরে তাতে তৈরি করে রাখা পেস্ট দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে কেটে রাখা চুঁইঝাল দিয়ে একবার ভালোভাবে মিক্স করে নিয়েছিলাম মাংসের সাথে।
➤একটি প্যান চুলায় বসিয়ে আলুর পিসগুলো একটু ভেজে নিয়েছিলাম।
➤এরপর সেই ভাজা আলুর পিসগুলো মিক্স করা মাংসের উপর দিয়ে দিয়েছিলাম এবং সেই সাথে দুটি তেজ পাতা দিয়ে আবারও একবার মিক্স করে নিয়েছিলাম।
➤এরপর প্রেসার কুকারে মাংসগুলো সব ঢেলে দিয়েছিলাম ভালোভাবে সেদ্ধ করার জন্য । এরপর কিছুক্ষন ধরে জ্বাল দিয়ে দুটি সিটি মারলে নামিয়ে নিয়েছিলাম।
➤এরপর প্রেসার কুকার থেকে মাংসগুলো সব একটি কড়াইতে ঢেলে দিয়েছিলাম এবং পরে তাতে জল দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤জল দেওয়ার পরে আরো কিছুক্ষন জ্বাল দিয়ে নিয়েছিলাম ভালোভাবে তরকারিটা হয়ে আসার জন্য।
➤তরকারির ঝোলটা মোটামুটি কমিয়ে নেওয়ার পরে আমি চুলা অফ করে নামিয়ে নিয়েছিলাম। এরপর সুস্বাদু এই রাজ হাঁসের মাংসটা পরিবেশনের জন্য একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |




Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আহা রাজহাঁসের মাংসের কথা শুনে জিভে জল চলে এলো। আসলে দেশী জিনিসের একটা আলাদা স্বাদ রয়েছে। মাংসটা নিঃসন্দেহে সুস্বাদু হয়েছিল বোঝাই যাচ্ছে দাদা। আশেপাশে থাকলে দাওয়াত নিয়ে চলে যেতাম।
যাইহোক লোভনীয় রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
দোয়া রইলো পুরো পরিবারের জন্য।
আসলে আপনাকে কি বলবো রাজহাঁসের মাংস অনেকবার খেয়েছি আসলেই রাজহাঁসের মাংস খেতে খুবই স্বাদ লাগে। আসলে আমাদের গ্রামে প্রতিটি বাড়িতেই রাজহাঁস রয়েছে এবং আমাদের বাড়ির পাশের পুকুরটিতে রাজহাঁসের এক বিশাল আড্ডা জমে। তবে আপনি রাজহাঁসের রেসিপিটি সুন্দরভাবে ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ।
চরাঞ্চল থেকে যেসব হাঁস গুলো কিনে আনা হয় সেগুলো খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। এছাড়া পরিচিত লোকের কাছ থেকে কিনেছেন তাইতো বেশ ভালো রাজ হাঁসে পেয়েছেন দাদা। আর মাংসটাও বেশ ভালোই হয়েছে। আসলে অনেক সময় দেখতে পাওয়া যায় ফার্মের মধ্যে হাঁস পালন করা হচ্ছে। আর সেই হাঁসগুলোর টেস্ট একদমই নেই। নিজে দেখে শুনে যদি দূরের কোন গ্রাম কিংবা পরিচিত কারো কাছ থেকে হাঁস কেনা হয় তাহলে খেতে আরো বেশি ভালো লাগে। রাজ হাঁসের মাংস খেতে সত্যিই অনেক ভালো লাগে। কিছুদিন আগে আমিও রান্না করেছিলাম। খেতে খুবই ভালো লেগেছিল। এরপর তো রাজহাঁসের মাংসের চপ বানিয়ে ফেলেছিলাম। সেটা খেতেও বেশ ভালো ছিল😋। ঝাল ঝাল রাজহাঁসের মাংস ভুনা খাওয়ার মজাই আলাদা। শীতকালে হাঁসের মাংস খেতে বেশি ভালো লাগে। তবে বর্ষাকালে খেতেও কিন্তু মন্দ লাগে না। শীত কিংবা বর্ষা সব ঋতুতেই হাঁসের মাংস খেতে দারুন লাগে। সাথে যদি গরম গরম ভুনা খিচুড়ি হয় তাহলে একেবারে জমে যায়। দাদা আপনি এত সুন্দর করে রাজহাঁসের মাংস রান্না করছেন দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। মনে হচ্ছে খেতে পারফেক্ট হয়েছিল। খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের সবার মাঝে উপস্থাপন করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।
দাদা আপনার রাজ হাঁসের মাংস রান্না দেখে অনেক লোভ লেগে গেল। সত্যি দাদা রাজহাঁসের মাংস শীতের সময় একটু বেশি ভালো লাগে। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
দাদা রাজহাঁসের মাংস বেশ কয়েকবার আমাদের বাড়িতে রান্না করা হয়েছিল। কিন্তু কেন জানি না রাজহাঁসের মাংসের মধ্যেই খুবই গন্ধ লাগে। আসলে আমার শাশুড়ি অনেকগুলো রাজহাঁস পালন করত, যার কারণে মাঝে মাঝে রান্না করা হতো। কিন্তু সবাই বলতো রাজহাঁসের মাংস নাকি অনেক বেশি মজাদার হয়, তবে আমার কাছে ভালো লাগে না কেন জানি। তবে আমি এমনিতে কয়েকবার খেয়েছিলাম। আপনি আজকে রাজহাঁসের মাংসের এরকম সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে, আমার তো মনে হচ্ছে এটা অনেক বেশি মজাদার হয়েছে। আর আপনারা সবাই অনেক বেশি মজা করে খেয়েছিলেন। উপস্থাপনার মাধ্যমে এই মজাদার রেসিপি টা তৈরি করে আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। আমি তো ভাবছি পরবর্তীতে যদি রাজহাঁস রান্না করা হয় তাহলে খাবো। কারণ আপনার রেসিপিটা দেখে আমার খুব লোভ লেগে গিয়েছে দাদা।
যাক অবশেষে হাাঁসের মাংস খাওয়ার ইচ্ছে টা পূরণ হলো। যে সুন্দর করে রান্না করেছেন দাদা, দেখে তো চোখ পড়ে আছে রেসিপির দিকে। আর জিহবার কথাটা না হয় নাই বললাম। অসাধারন একটি রেসিপি আজ শেয়ার করা হলো। দেখে তো মনে হচেছ অনেক মজাদার হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে এত স্বাদের একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
দাদা আজকে আপনি আমার খুবই পছন্দের একটা রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপিটা দেখে আমার তো অনেক বেশি লোভ লেগে গিয়েছে। এভাবে রাজহাঁসের মাংস রান্না করলে এমনিতেই অনেক বেশি সুস্বাদু হয়। আমি তো অনেকবার রাজহাঁসের মাংস খেয়েছি, আর এটা আমার খুবই পছন্দের। আমার কাছে তো যেকোন মাসের মাংস শীতকালে খেতে সবথেকে বেশি ভালো লাগে। আগে আমাদের অনেকগুলো রাজহাঁস ছিল, আর প্রত্যেক বছর শীতকালে খাওয়া হতো। এভাবে হাঁসের মাংস রান্না করে সবাই একসাথে মিলে খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার এই রেসিপিটা দেখে আমার তো ইচ্ছা করছে তুলে নিয়ে খেয়ে ফেলতে। এরকম মজার মজার রেসিপি গুলো দেখলে যে কারো অনেক বেশি লোভ লেগে যাবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই দাদা, এত মজাদার একটা রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপনার মাধ্যমে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভাগ করে নেওয়ার জন্য। ভালো থাকবেন সবসময়। ধন্যবাদ।
দাদা আজকে রাজ হাসেঁর দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করলেন। অনেক দিন যাবৎ রাঁজ হাসের মাংস খাওয়া হয় না। আজকে আপনার রাজ হাঁসের মাংস দেখে খেতে খুবই মন চাইতেছে। চরে বেড়ানো হাসঁ সাধারনত কম পাওয়া যায়। কারন এগুলো চাহিদা থাকে বেশি। তবে গ্রামের পুকুরে বা বাড়িতে বেড়ানো হাঁস পাওয়া যায়। তাও সেটা আগে থেকে বলে রাখলে হয়। তবে অনেক দাম থাকে। যায়হোক কেউ যখন হাঁসের মাংসের স্বাদের পাল্লায় পড়ে তখন আর দাম দেখে না। আমাদের দিকে আবার মাঝে মাঝে খামারের হাঁস বিক্রয় করতে আসে। এ গুলোর মাংস তেমন মজা না। তাই কেনা হয় না। দেশি হাঁস খাওয়া হয় বেশি। আজকে আপনার রেসিপিটা আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো। আড়াই কিলো মাংস হলে হাসঁটা অনেক বড়ই বুঝা যায়। ধন্যবাদ দাদা।