নদীর কিনারায় একটি শিব মন্দিরের চিত্রাঙ্কন ।। অরিজিনাল আর্টওয়ার্ক
| হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
|---|
আজকে আপনাদের সাথে একটা আর্ট পোস্ট শেয়ার করে নেবো। আজকের আর্টটি একটু ভিন্ন ধরণের করেছি, আসলে এই তারিখ তাড়াতাড়ি করে কি আর্ট করবো সেটা ভেবে পাচ্ছিলাম না। আর তারপর কিছু কিছু বিষয় নিয়ে এতো ডিপ্রেশনে ভুগছি যে কোনোকিছুতেই মন বসছে না ঠিকভাবে। আর্ট যে করবো তাই কনসেনট্রেট করতে পারছিলাম না ঠিকভাবে। কি অঙ্কন করবো সেই টপিক খুঁজতে খুঁজতে আমার রাতে অবস্থা খারাপ হা হা। এই মন্দিরের ছবিটা এঁকেছি তাও কোনো একটা ছবি দেখে, কোনো টপিক এই মুহূর্তে আসছে না যখন তখন একটা মন্দিরের চিত্র অঙ্কন করি। আসলে অঙ্কন করতে গেলে যেকোনো টপিক দিয়ে আমি ম্যান্ডেলা তৈরি করতে পারি, কিন্তু এইগুলো আসলে ঠিকমতো যদি কনসেনট্রেট করে তৈরি করা না যায় তাহলে দেখতে একদমই খারাপ লাগে, আর খারাপ দেখালে সেই আর্ট আর দিতেও ইচ্ছা হয় না। এই মন্দিরটি করেছিলাম একটা শিব মন্দিরের। তবে এই শিব মন্দিরটি দেখিয়েছিলাম একটি নদীর কিনারায় প্রতিষ্ঠিত আছে এইরকমটা। মন্দিরের ভিতরে একটি শিবলিঙ্গ এঁকেছিলাম, কিন্তু কালো কালার করার পরে দেয়ালের সাথে একটু মিশে গিয়েছে, ফলে কম বোঝা যাচ্ছে। যাইহোক, অঙ্কনটি এখন কিভাবে তৈরি করলাম তার ধাপসমূহ নিচের দিকে তুলে ধরবো।
 |
|---|
☬উপকরণ:☬
✎এখন অঙ্কনের ধাপগুলো নিচের দিকে তুলে ধরা হলো---
 |
|---|
❖প্রথম ধাপে, একটি শিব মন্দির পুরোপুরি এঁকে নিয়েছিলাম এবং তাতে প্রবেশদ্বার তৈরি করে দিয়েছিলাম। এরপর উপরে আরো ছোট করে মন্দিরের মতো দেখতে এঁকে তার চূড়ায় ত্রিশূল এঁকে দিয়েছিলাম এবং নিচের কক্ষে একটি শিবলিঙ্গ এঁকে দিয়েছিলাম আর সাথে সিঁড়ি তৈরি করে দিয়েছিলাম। এরপর পিছন দিকে গাছের মতো এঁকে পরে একটা বড়ো নদীর মতো দেখতে শেপ দিয়ে দিয়েছিলাম।
 |
|---|
❖দ্বিতীয় ধাপে, অঙ্কনটা পুরোপুরি কমপ্লিট করে নেওয়ার পরে মার্কার পেনের কালী দিয়ে গাঢ় করে দিয়েছিলাম।
 |
|---|
❖তৃতীয় ধাপে, কালার পেন্সিল দিয়ে আকাশের দৃশ্য সহ সূর্য অস্ত যাওয়ার মুহূর্তের দৃশ্য তুলে ধরেছিলাম।
 |
|---|
❖চতুর্থ ধাপে, দূরে মেঘের মতো দেখতে যেটা এঁকেছিলাম সেটাতে কালার করে নিয়েছিলাম এবং পরে মন্দিরের পিছনে যে গাছটা এঁকেছিলাম তাতে কালার করে দিয়েছিলাম পাতাসহ। এরপর নদীর কিনারার দিকে ঘাসের মতো দেখতে এঁকে দিয়েছিলাম এবং নদীতে জলের দৃশ্য কালার করে ফুটিয়ে তুলেছিলাম।
 |
|---|
❖পঞ্চম ধাপে, মন্দিরটিকে সম্পূর্ণ কালার করে দিয়েছিলাম এবং ভিতরে তৈরি শিবলিঙ্গটিকেও কালার করে দিয়েছিলাম।
 |
|---|
❖ষষ্ঠ ধাপে, মন্দিরের আশেপাশে কালার করে সবুজ ঘাসের দৃশ্য তুলে ধরেছিলাম এবং অঙ্কনটিকে এখানেই সমাপ্ত করেছিলাম।
আর্ট বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা আপনি ঠিকই বলেছেন, কোন কিছু লিখতে বা অংকন করতে গেলে অনেকক্ষণ ভাবতে হয়। আর আপনি যেহেতু আর্টিস্ট সেহেতু আর্ট করতে গেলে আগে চিন্তা ভাবনা করা লাগে। এছাড়াও আপনি ডিপ্রেশনে ভুগছেন, যার কারণে মাথায় কিছু আসছে না। আমরা প্রতিনিয়ত পোস্ট করতে গেলে কি পোস্ট করব সেই কথা ভাবতে ভাবতে অনেকটা সময় চলে যায়। যাইহোক, দাদা আপনার আজকের নদীর ধারে শিব মন্দিরটি অনেক সুন্দর ভাবে আর্ট করেছেন। আপনি বলেছেন যে শিব মন্দিরের ভেতরে একটি শিবলিঙ্গ দিয়েছেন। এটিও স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে যদি ও কালো রংয়ের কারনে তেমনটা বুঝা যায় না। নদীর ধারে দোতলা বিশিষ্ট এত সুন্দর একটি আর্ট আপনি তৈরি করেছেন সত্যি অসাধারণ হয়েছে। আর এই মন্দিরের কালার টাও সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। এতো সুন্দর করে আমাদের মাঝে শিব মন্দিরের একটি আর্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাহ্ দাদা আপনার আজকের আর্ট টি একটু বেশিই ভালো লেগেছে।নদীর কিনারায় শিব মন্দিরের সুন্দর কালারফুল আর্ট আপনি শেয়ার করেছেন। আর্টটির কালার কম্বিনেশন দুর্দান্ত ছিল।আপনি মনোনিবেশ করতে পারছিলেন ঠিক মত,কোনো বিষয় নিয়ে টেনশনে আছেন এজন্য।তারপরেও সুন্দর একটি আর্ট আপনি করেছেন।ধন্যবাদ দাদা সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
দাদা আপনার এরকম সুন্দর সুন্দর আর্ট গুলো আমি যত দেখি আমার কাছে ততই প্রতিনিয়ত ভালো লাগে। আজকে অনেক সুন্দর করে একটা আর্ট করলেন আপনি। আসলে দাদা কোনো রকম ডিপ্রেশনে থাকলে আর কোন কিছুর প্রতি মন বসে না। কোন কিছু করতেও একেবারে ভালো লাগেনা। আর কোন কিছু করার জন্য বসলে তো ভাবনা চিন্তা করতে করতে এমনিতেই সময় চলে যায় অনেক বেশি। আপনি একটা ছবি দেখে এই আর্টটি করেছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। নদীর কিনারায় একটি শিব মন্দিরের চিত্রাঙ্কন করলেন খুবই নিখুঁতভাবে। প্রথমে পুরো দৃশ্যটার সেপ এঁকে নিয়েছিলেন। তারপরে অনেক সুন্দর করে আস্তে আস্তে পুরোটা কলম দিয়ে এঁকে রং করেছেন ভেতরে। কালার কম্বিনেশনটা সত্যি অসম্ভব সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে দাদা। পুরোটা সুন্দর করে এঁকে সবার মাঝে সুন্দর করে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন দাদা। নিশ্চয়ই সময়ের প্রয়োজন পড়েছিল অনেক বেশি এটা অঙ্কন করতে। কেউ চাইলেই কিন্তু আপনার উপস্থাপনা দেখে এই আর্ট টি এঁকে নিতে পারবে দাদা। ধন্যবাদ পুরোটা সুন্দরভাবে অংকন করে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
দাদা আজকে দারুন একটি আর্ট দেখলাম। অবশেষে চিন্তা ভাবনা করে খুব সুন্দর একটি জিনিষ চয়েজ করেছেন। আসলে ডিজাইন করতে বসলে কোন বিষয় খুঁজে পাওয়া যায় না। কি আর্ট করবো চিন্তা করতে করতে কয়েক ঘন্টা সময় চলে যায়। আর কোন কিছু ভালো করে আর্ট করতে না পারলে সেটা পোষ্ট করতেও মন চাই না। আপনার আর আমার অবস্থা সেইম। আজকে নদীর কিনারায় যে শিব মন্দিরের চিত্রাঙ্কন করেছেন সেটা কিন্তুু অসাধারন হয়েছে। দুই তলা বিশিষ্ট চিত্রটার কালারটা দারুন ভাবে ফুটে উঠেছে। চার পাশে ভালোই গাছপালা দিয়েছেন। আবার দেখলাম নদী ও সূর্যও অঙ্কন করেছেন। চিত্রটির নিচের অংশটা এমন ভাবে অঙ্কন করেছেন দেখতে কিছুটা থ্রিডি আর্ট বুঝা যায়। আমি আপনার আর্টের ধরন দেখলেই বুঝতে পারি যে আপনি যে কোন বিষয়ের উপর সুন্দর একটি আর্ট উপরহার দিতে পারবেন। ধন্যবাদ দাদা।
দাদা আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি চিত্রাংকন শেয়ার করেছেন। দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ দাদা চিত্র অঙ্কনটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দাদা আপনার এই মন্দিরে চিত্র অংকনটি একদম অরজিনাল হয়েছে। আর দেখে খুবই ভালো লাগলো। আসলে আপনি অনেক চিন্তিত ছিলেন রাতে আপনার ভালোভাবে ঘুম হয়নি আপনি কি অংকন করবেন এই চিন্তায় ছিলেন।এই ভাবেই আপনার সময় পার হচ্ছিল। আসলে কোন একটা টপিক থাকলে সেই টপিকের উপরে একটু আলাদা জ্ঞান এবং টপিকটা নিয়ে আলোচনা এবং চিন্তা ভাবনা করতে হয়। যাই হোক আপনার আজকের এই মন্দিরে চিত্র অংকনটি দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। আর এত সুন্দর এবং খুবই দক্ষতার সাথে আপনি হুবাহুব চিত্রটি অংকন করে আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। আপনার এই চিত্র অঙ্কন দক্ষতা দেখে সত্যি আমার খুবই ভালো লাগছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চিত্রটি আমাদের মাঝে এত সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য।
দাদা অসম্ভব দারুন ছিল কিন্তু আপনার এই আর্ট। আজকে একটু ভিন্ন রকম ভাবে আর্ট করেছেন তাও আপনাদের ধর্মের শিব মন্দিরের। রাতের বেলায় তাহলে আপনার অবস্থা একেবারে খারাপ হয়ে গিয়েছিল দাদা, কি অংকন করবেন এটার টপিক খুঁজতে খুঁজতে। আসলে আমার নিজের সাথেও সব সময় এরকমটা হয়ে থাকে। কোন কিছু করার জন্য বসলেই কি করব এটাই ভেবে পাইনা একেবারে। অবস্থা একেবারে খারাপ হয়ে যায় ভাবতে ভাবতেই। আপনি প্রথমে পেন্সিল দিয়ে অঙ্কন করেছেন, তারপরে কালো মার্কার কলম দিয়ে গাড় করে নিয়েছেন। এরপর সবকিছুর ভেতরে ভিন্ন ভিন্ন কালার করলেন। সব মিলিয়ে কিন্তু পুরোটা খুবই আকর্ষণীয় এবং দারুন লাগছিল দাদা। এটা কিন্তু একেবারে চোখ ফেরানোর মতো ছিল না। একটা ছবি দেখে এটা অঙ্কন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, এটা জেনে বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে। নদীর কিনারায় ছিল এই শিব মন্দিরটা। অনেক সময়ের প্রয়োজন পড়ে এই ধরনের আর্ট গুলো করার জন্য। আর সময় নিয়ে কোন কিছু করলে দেখা যায় সেটা খুবই সুন্দর হয়েছে। সত্যি দাদা আপনার এরকম সুন্দর সুন্দর আর্ট গুলো প্রশংসার দাবি রাখে অনেক বেশি। তেমনি আপনার এই আর্টেরও প্রশংসা করা লাগে।
আসলেই দাদা আর্ট করার টপিক খুঁজে না পেলে, ভাবতে ভাবতে অনেক সময় চলে যায়। আর মনোযোগ সহকারে আর্ট করতে না পারলে,দেখতে ততোটা সুন্দর লাগে না। আর্ট করার পর দেখতে সুন্দর না লাগলে,সেই আর্ট কোনোভাবেই শেয়ার করতে ইচ্ছে করে না। যাইহোক নদীর কিনারায় একটি শিব মন্দিরের চিত্রাঙ্কনটি জাস্ট অসাধারণ হয়েছে দাদা। সবুজ গাছপালা এবং নদীর চমৎকার দৃশ্য, শিব মন্দিরের সৌন্দর্য অনেকাংশে বৃদ্ধি করেছে। কালার কম্বিনেশনটা এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে দাদা। আপনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে খুবই নিখুঁতভাবে সম্পূর্ণ আর্টটি করেছেন। মন্দিরের ভিতরে একটি শিবলিঙ্গ আঁকার পর কালো কালার করেছেন বিধায়, ততোটা বুঝা যাচ্ছে না। তবুও সবমিলিয়ে শিব মন্দিরটা দেখতে দারুণ লাগছে। যাইহোক এতো সুন্দর একটি আর্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
নদীর কিনারার শিব মন্দির গুলো ভীষণ ভালো লাগে দেখতে।ডিপ্রেশন থেকে এত্তো সুন্দর একটি মন্দিরের অংকন মাথায় আসলো কি করে দাদা আমি শুধু ভাবছি।তবে এটা ঠিক খারাপ সময় গুলোতে ভগবানকে বেশি মনে পড়ে।আপনার শিব মন্দিরের অংকনটি দারুণ সুন্দর ও আকর্ষণীয় হয়েছে। দেখেই ভক্তি চলে আসছে মনে হচ্ছে যেন সত্যিকারের একটি শিব মন্দির দর্শন করছি।ধন্যবাদ দাদা মন ভালো হয়ে যাওয়ার মতো একটি মন্দিরের অংকন পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।