ওয়েব সিরিজ রিভিউ: কারাগার (সিজন ১: পর্ব ১ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটি নতুন ওয়েব সিরিজ রিভিউ দেব। এই সিরিজের নাম হলো 'কারাগার'। এই সিরিজের প্রথম পর্বের নাম হলো "resurrection". এই পর্বে ঘটনাটা কি হয় সেটা দেখা যাক।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
এই কাহিনীটা সাধারণত আকাশনগর নামের একটি সেন্ট্রাল জেল থেকে শুরু হয়। এর আগে এই জেলে কিছু জল্লাদকে দেখা যায়, যারা সাধারণত ফাঁসি দেওয়ার কাজকর্ম করে থাকেন। যাইহোক, এখন এই জেলে মেইন যে অফিসার হুমাইয়ুন কবির সহ আরো যেসব অফিসার আছেন, তারা আবার রাতের দিকে বিভিন্ন ধরণের ধান্দায় লিপ্ত থাকেন বলে জানা যায় অর্থাৎ চোরা কারবার এইসব আর কি। তো এই বিষয়গুলো জেলের ভিতরে হুমায়ুন কবিরের চোখের আড়ালে এইসব চলতে থাকতো। একদিন এই সমস্ত তথ্য লিক হয়ে যায় আর এইগুলো সব বাইরে জানাজানি হয়ে যায়, কারণ এই সমস্ত তথ্য মিডিয়ার কাছে কেউ লিক করে দিয়েছে গোপনে। তার থেকে বড়ো বিষয় হলো যে, এখানে রাতের বেলা একটা মেয়েকে ঢুকতে দেখা গিয়েছে। মূলত এই সেন্ট্রাল জেলে বিনা অনুমতিতে কাউকেই ঢুকতে দেওয়া নিষেধ করা আছে, তাও আবার অতো রাতের দিকে বলে কথা।
সিসি ক্যামেরায় এইসব রেকর্ড হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে এই হুমায়ুন কবির নামের অফিসার বাইরে নিউজ চ্যানেল এ এইসব দেখতে পায় তখন বিষয়টা দেখতে আসে। সাধারণত ইনি সেন্ট্রাল জেলে তেমন আসেন না, তবে সেখানকার জেলার মোস্তাক নামের একজন এইসব দেখাশুনার দায়িত্বে ছিল, ফলে এইসব বিষয়ে জবাবদিহি তারই করতে হবে। যদিও এও নিজে এইসবের সাথে জড়িত ছিল। তবে বাকিরা কিভাবে কি ভুল করে ফেলেছে যার জন্য একসাথে সবাইকে ফাঁসতে হয়েছে আর তার রিপোর্টও দিতে বলেছে যে কে কি করেছে এই বিষয়ে বা জড়িত আছে।
আর সাধারণত এই জেলের ভিতরে মাঝে মাঝে কয়েদি নিঁখোজও হয়ে থাকে এবং সেটা কি করে কিভাবে কারো ধারণা নেই। আর তার জন্য সাধারণ যেভাবে জেলের কয়েদিগুলোকে গোনা হয় সেইভাবে কমপক্ষে ২-৩ বার গোনে প্রতিটা সেলে, আর এই নিয়ে তাদের মধ্যে একজনের বাজি হয়, কারণ সব সেল মিলিয়ে ২২৫ জন কয়েদি, কিন্তু যে গুনেছে তার মতে ২২৬ জন কয়েদি হচ্ছে। এখন এই বাজি ধরে বাকিরা গুনতে গিয়েছে এবং তাদের মতে ২২৫ জনই হচ্ছে, কিন্তু লাস্টে একটা ১৪৫ নম্বর সেল ছিল সেটা বাকিরা কেউ গোনার মধ্যে রাখেনি। কারণ ওই ১৪৫ নম্বর সেল প্রায় ৫০ বছর ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে আছে আর সব থেকে রহস্যময় কথা হলো সেই বন্ধ সেলে একজন কয়েদিকে দেখতে পায়।
✠ব্যক্তিগত মতামত:✠
এই কারাগার সিরিজটি আসলে অনেক আগে বেরিয়েছে ঠিকই, কিন্তু দেখবো দেখবো করে আর দেখাই হয়নি। আর অনেক ভালোও হয়েছে সিরিজটি এবং ভালো রেটিংও পেয়েছে। শুনেছিলাম আজকে দেখতে গিয়ে সেটাই দেখলাম। এর মূলত রহস্যময় কাহিনীটা শুরু হয় এই ১৪৫ নম্বর সেল থেকে। কারণ যেখানে একটি সেল ৫০ বছর ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে আছে, সেখানে হঠাৎ করে কয়েদি কোথার থেকে আসবে! প্রথমত যে গুনেছিলো সে তেমন অবাক হয়নি, কারণ সে নতুন আর এই সেলের বিষয়ে কিছু জানতো না তেমন। তবে এই সেলের ভিতরে একটা ঘটনা ঘটার দরুন এই সেলটি চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল অর্থাৎ এই সেলের ভিতরে যে কয়েদি রাখা হতো, সে কিছুদিন বাদে নিজেই গোলায় দড়ি দিতো বা যেকোনো উপায়ে নিজেকে মেরে ফেলতো আর এই ঘটনা কেউ ঠেকাতে না পেরে বাধ্য হয়ে সেল বন্ধ করে দিয়েছিলো। এখন বিষয় হলো এই কয়েদি কিভাবে এই সেলের ভিতরে আসলো আর সে কে!? এই প্রশ্নের উত্তর কারো কাছে নেই। পরে সেই সেল এর তালা ভেঙে তাকে বের করে পরিষ্কার পরিছন্ন করে। এখন এই রহস্যের উন্মোচন কিভাবে করে সেটা দেখার বিষয়।
✠ব্যক্তিগত রেটিং:✠
৭.৪/১০
✠ট্রেইলার লিঙ্ক:✠
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দাদা কারাগার ওয়েব সিরিজের ট্রেইলার দেখেছিলাম অনেক দিন আগে, কিন্তু ওয়েব সিরিজটা দেখা হয়নি। এই ওয়েব সিরিজটা বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। আমাদের দেশের বেশিরভাগ পুলিশ এমন ধান্ধাবাজ টাইপের। তারা আইনের পোশাক পড়ে প্রতিনিয়ত অনৈতিক এবং অবৈধ কর্মকান্ডে লিপ্ত হচ্ছে। সেজন্য সাধারণ মানুষেরা এখন পুলিশের উপর ভরসা করতে পারে না। আর দিনদিন আমাদের দেশের পরিস্থিতি একেবারে খারাপ হয়ে যাচ্ছে। যাইহোক ১৪৫ নম্বর সেল তো দেখছি বেশ রহস্যময়। এই রহস্য জানার আগ্রহ অনেকাংশে বেড়ে গিয়েছে দাদা। তবে আমার মনে হচ্ছে ১৪৫ নম্বর সেলে চঞ্চল চৌধুরী রয়েছে। তবে ৫০ বছর ধরে সেই সেল বন্ধ থাকার পরেও,কিভাবে একজন কয়েদিকে দেখতে পাওয়া যায় সেটাই ভাবছি। আশা করি পরবর্তী পর্বে বিস্তারিত জানতে পারবো। কারাগার ওয়েব সিরিজের রিভিউ পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো দাদা। যাইহোক এতো চমৎকার একটি ওয়েব সিরিজের রিভিউ, আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
রহস্যময় একটি সিরিজ আপনি শেয়ার করছেন। এই কারাগার সিরিজটি আমি দেখেছি। আসলে এটি অদ্ভুত একটি সিরিজ ছিল। প্রথমে ভেবেছি বোবা সেই কথা বলতে পারেনা, আর এই কারাগারের সিরিজটি আপনি এত সুন্দর ভাবে রিভিউ করলেন যা পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
ওয়েব সিরিজ রিভিউ কারাগার এর পর্ব-১ আজ শেয়ার করলেন দাদা।রিভিউটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। এ ধরনের সিরিজ গুলো দেখতে খুব ভালো লাগে। এই কয়েদী আসলে কে? সামনের পর্বে হয়তো জানা যাবে । অনেক ভালো লেগেছে আপনার শেয়ার করা রিভিউটি পড়ে। ধন্যবাদ দাদা এই সিরিজের রিভিউটি খুব চমৎকার ভাবে শেয়ার করার জন্য।
কারাগার ভিন্ন রকম একটি মুভি। ভিন্ন রকম কিছু দেখতে একটু বেশি ভালো লাগে। মুভিটিতে রহস্য রয়েছে দাদা। আপনার রিভিউ দেখে অনেক ভালো লাগলো। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
দাদা আমার কাছে তো খুবই ভালো লেগেছে, আপনার শেয়ার করা আজকের এই ওয়েব সিরিজটার প্রথম পর্বের রিভিউ পোস্ট পড়তে। আপনি আমাদের মাঝে সব সময় নতুন নতুন ওয়েব সিরিজের রিভিউ শেয়ার করেন, যেগুলো আমি পড়ার চেষ্টা করি। তবে এই ওয়েব সিরিজটা কিন্তু একেবারে ভিন্ন ছিল। কারাগার ওয়েব সিরিজটার প্রথম পর্ব একটু অন্যরকম লেগেছে। আর দেখছি এই পর্বের নাম ছিল "resurrection"। ওই লোকটা নতুন হওয়ার কারণে যদিও এই ব্যাপারে কিছুই বুঝতে পারেনি, কিন্তু আগেই এটাকে নিয়ে অনেক কিছুই ঘটেছিল দেখছি। নিজেরাই নিজেদেরকে মেরে ফেলত, আর দেখছি এটাকে কেউ ঠেকাতেও পারত না। যার কারণে এটাকে একেবারে বন্ধ করে দিয়ে ভালো করেছিল। তাহলে কিভাবেই বা সেলের মধ্যে সে এসেছে, এটাই হচ্ছে বড় প্রশ্ন এবং কি এটা কে হতে পারে। আশা করছি দাদা এই রহস্য গুলোর ভেদ হবে এবং পরবর্তী পর্বগুলো শীঘ্রই শেয়ার করবেন সবার মাঝে।
দাদা আমার কাছে আপনার শেয়ার করা এই ওয়েব সিরিজের রিভিউ ভালো লাগে। কারণ আপনি খুবই সুন্দর করে সম্পূর্ণ ওয়েব সিরিজটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেন রিভিউর মাধ্যমে। তেমনি আজকেও কারাগার ওয়েব সিরিজটার রিভিউর প্রথম পর্বটা রিভিউর মাধ্যমে খুব সুন্দর করে তুলে ধরলেন।"resurrection"এই ওয়েব সিরিজের প্রথম পর্বের নাম ছিল দেখলাম। এরকম ভিন্ন কাহিনী দিয়ে তুলে ধরা ওয়েব সিরিজ গুলো অনেক সুন্দর। বুঝতে পারতেছি এটা দেখবেন দেখবেন বলে এতদিন দেখা হয়ে ওঠেনি। তবে এখন দেখ আমাদের মাঝে রিভিউ শেয়ার করতেছেন দেখে ভালো লেগেছে। প্রায় ৫০ বছর ধরে দেখছি ১৪৫ নাম্বার সেলটা বন্ধ রয়েছে, তাহলে এটার মধ্যে এখন কিভাবে ওই কয়েদি আসলো। আসলে এত বছর ধরে বন্ধ একটা জায়গায় সে কিভাবে আসলো এটা তো সবার মনেই প্রশ্ন আসবে। এখন এই ব্যাপারটা দেখতে হবে। আশা করছি পরবর্তী পর্বে এই বিষয়গুলো জানতে পারবো। সেই পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকলাম দাদা।
চঞ্চল চৌধুরীর অভিনীত কারাগার সিরিজটি খুবিই আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সিরিজটি রিলিজ হওয়ার পর থেকে দেখবো দেখবো করেই যাচ্ছি। সুযোগ করে আর দেখা হচ্ছে না। আজকে আপনার রিভিউ পড়ে মূলত কিছুটা ধারনা পেলাম। হয়তো রিভিউ পড়ে ফেললে আর দেখার শক থাকবে না। মূল কাহিনী শুরু ১৪৫ নম্বর সেল নিয়ে। যেটা ৫০ বছর ধরে বন্ধ,সেটাতে কিভাবে কয়েদি আসলো। প্রবাদ আছে,যা রটে তা কিছুটা হলেও ঘটে। এইযে প্রবাদ এই কারাগারে মাঝে মাঝে কয়েদি উদাও হয়ে যায়। কয়েদি গুনতে গেলে কম বেশি হয়। কিছু তো একটা রহস্য আছেই। আর সব থেকে বড় রহস্য হলো এই সেলের কয়েদি কিভাবে আত্নহত্যা করে সেটা খুজে বের করা। কারাগারে চঞ্চল চৌধুরী কি অবস্থা দেখা যায়। দেখতে তো কিছুটা তেরেনাম মুভির সালমান খানের মত লাগছে। বাবু তো পাক্কা অভিনেতা। যায়হোক দেখা যাক পরের পর্বে রহস্য কতটুকু জানা যায়। ধন্যবাদ দাদা।
'কারাগার' ওয়েব সিরিজের কয়েকটি পর্ব দেখেছিলাম। কিন্তু সেভাবে দেখা হয়নি। তবে রিভিউ পড়ে মনে হচ্ছে ওয়েব সিরিজটি সত্যি দারুন ছিল। আর আমাদের বাংলাদেশের জনপ্রিয় একজন অভিনেতা হলেন চঞ্চল চৌধুরী। চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয় আর দক্ষতা আমাদের সবাইকে মুগ্ধ করে। এর আগে চঞ্চল চৌধুরীর আয়নাবাজি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। আর "কারাগার" ওয়েব সিরিজের এবারের পর্বের মাধ্যমে জানতে পারলাম এই ওয়েব সিরিজ একটি কারাগারকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়েছে। ১৪৫ নম্বর সেলটিকে কেন্দ্র করে এই ওয়েব সিরিজটি তৈরি হয়েছে জেনে সত্যি অবাক হলাম। আর এখানে কোন কয়েদিকে রাখা হলে তারা আত্মহত্যা করে এটা সত্যি অনেক রহস্যের ব্যাপার। অনেক ভাবেই হয়তো আত্মহত্যা করার কারণ উন্মোচন করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সব শেষে সবাই ব্যর্থ হয়েছে। আর ৫০ বছর পর একজন কয়েদিকে দেখতে পাওয়া যায় এটা সত্যিই অনেক আশ্চর্যের ব্যাপার। দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।